![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাবেক প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ এখন টক অফ দা টাউন। এই ফোনালাপের ব্যাপারে অনেক উৎসাহি চোখ টিভির পর্দায় ছিল। ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণে আমি যা দেখলাম, সেটা অভিযোগ পালটা অভিযোগ এবং একই রেকর্ড বার বার বাজানো হলো। কাজের কাজ কি হবে, বা জাতি কি পেলো, সেটা বিচারের জন্য একটি মাত্র ফোনালাপই যথেষ্ট নয় বলেই মনে করি।
কি পেলেন হাসিনাঃ সমালোচকরা যখন বার বার সরকার প্রধানের উদ্যোগের কথা বলছিলেন, তখন অন্তত সাবেক সরকার প্রধান হিসাবে এই ফোনালাপ , নিন্দুকদের সাময়িক সমালোচনা বন্ধ করলো। তাছাড়া বিএনপির ডাকা হরতালের তীব্রতা কিছুটা হলেও স্তিমিত করতে কাজে লাগলো।
কি পেলেন খালেদা জিয়াঃ সাধারণ মানুষের তো সাধ্য নেই সরকার প্রধানের মুখের উপর উচিত কথা বলা। অন্তত বৃহত্তর একটি দলের নেত্রি হিসাবে তিনি হাসিনাকে সেই কথাগুলিই শুনিয়েছেন। বলা হয়ে থাকে যে, মনের গুমোট বাতাস বের হয়ে গেলে, রাগ অভিমান ঘৃণা ইত্যাদির তীব্রতাও কমে যায়। তাছাড়া এই কথাগুলি হাসিনার শোনার দরকার ছিল। নতুবা চাটূকার পরিবেস্টনে থাকার কারণে হাসিনা একটি স্বপ্ন জগতে ছিলেন। এই কথাগুলি শোনার পর তার কিঞ্চিত শুভ বুদ্ধির উদয় হলে হতেও পারে।
সাধারণ মানুষ তথা বাংলাদেশ কি পেলো? বলতে গেলে কিছুই না। কারণ হাসিনা খালেদা যার যার অবস্থানে অনড়। সত্যি কথা হলো, আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনা বলতে চায়ের কাপে ঝড় তোলা। তাও সেটা মধ্যবিত্তের মধ্যেই। উচ্চ বিত্তদের এ সবে উৎসাহ নেই। আর নিম্নবিত্তের প্রতিদিনের সমস্যা সমাধানেই দিন চলে যায়। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো কি হলো না, রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধবংস হবে কি হবে না, টিপাইমুখ বাধের কারণে পরিবেশের সুদুর প্রসারি ক্ষতি কি হতে পারে ইত্যাদি তাদের চিন্তা চেতনায় আঘাত করে না। বরং চাল ডাল আর পেয়াজের আকাশছোয়া মুল্যের কারণে স্বাদের আর পরিমানের তারতম্যই তাদের প্রধান আলোচ্য এবং বিবেচ্য।
এই অবস্থায় হাসিনা খালেদার পারস্পরিক ফোনালাপ দেশ বা জাতির জন্য সামগ্রিকভাবে কিছুই বয়ে আনেনি।
তবে হ্যা, যেহেতু আওয়ামি লিগ আর বিএনপি ছাড়া দেশের ক্ষমতায় আসবার মত কোন তৃতীয় শক্তি আর কেউ নেই, সেই যুক্তিতে দুই প্রধান দলের নেত্রির মাঝে বরফ গলতে শুরু করেছে, তাও বা কম কিসে? চরম আশাবাদি মানুষ এটা আশা করতেই পারেন যে দুই প্রধান দলের মধ্যে সতীন সুলভ সম্পর্ক বিদায় নিয়ে স্বাভাবিক রাজনৈতিক দলের মতই সম্পর্ক বিদ্যমান হোক এটাই কামনা।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আতিক ভাই। দুই নেত্রির মধ্যে যে আলাপ, সেখানে বরফ গলেছে মাত্র। দেশের ভবিষ্যত নিয়ে আরো বিস্তারিত আলাপ হওয়া দরকার।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আমি ১০ মিনিট আগে শুনলাম।
হাসিনার ফোন মূলত ফোন ২টি কারণে।
মূখ্য/মূল কারণ -
বিদেশীদের দেখানো আমি (শেখ হাসিনা) কত আন্তরিক! খালেদা জিয়াকে ফোন করেছি। আমি গণতান্ত্রিক। এবং সেই সাথে দেশের জনগণকেও।
২য় কারণ -
হরতাল প্রত্যাহার করানো। হরতাল শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে। যখন হরতালের প্রস্তুতি ও প্রসেসিং শুরু হয়ে গেছে। চালাকিটা ফেল মারলো।
আর ফোনালাপের কন্টেন্টে উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। গতানুগতিক। রোমান্স ছিল এইখানে যে দেশের মানুষ এই প্রথম গরম গরম দুই নেত্রীর ফোনালাপ শুনলো। এই যা।
আমার কাছে ফোনালাপে খালেদা জিয়ার কন্ঠস্বর আত্মপ্রত্যয়ী ও দৃঢ় মনে হয়েছে। স্মার্ট মনে হয়েছে। আর শেখ হাসিনাকে নার্ভাস মনে হয়েছে।
ধন্যবাদ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
ধীবর বলেছেন: আপনার সাথে পুর্ণ সহমত মুন্না ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
সদয় খান বলেছেন: তারা যার যার অবস্থানে অণড় । এটাই ধ্রুব সত্য ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
ধীবর বলেছেন: সত্যের পথে দৃঢ়তাই কাম্য। অনেক ধন্যবাদ সদয় ভাই।
৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০৪
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: হাসিনারে বিশ্বাস করা যায় না।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
ধীবর বলেছেন: রাজনৈতিক মত ভিন্নতাকেও যদি এক পাশে সরিয়ে রাখি, এর পরেও হাসিনার মত এমন অসত্যবাদি নেতা সারা বিশ্বে খুজে পাওয়া যাবে না বলেই বিশ্বাস করি বা জি ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন ধীবর ভাই।
কে কি পাইল না পাইল, তবে আমি ব্যাপক মজা পাইছি। দিল খুস। ম্যাডাম আমার মনের কথা গুলো বুলেটের মতন ছুড়ে মেরেছেন।