নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

TORTURE CELL

শূন্য

তির্থক আহসান রুবেল

শূন্য

তির্থক আহসান রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এলিট শ্রেণীর 'মেঘমল্লার' সর্ব সাধারণের নয়

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৫


এক বন্ধুর কল্যাণে জাহিদুর রহিম অঞ্জন এর পরিচালনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মেঘমল্লার’ এর প্রিমিয়ার শো দেখা হয়ে গেল। বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনীতে তথ্য মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য অনেক গুণীজন। হাউসফুল শো শেষে উপস্থিত দর্শকদের জোর করতালি সিনেমাটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সাধারণ দর্শক মূলত সিনেমা দেখে ভাল লাগাটুকুই বোঝে। আবার বিশেষ প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত বন্ধুরাও করতালির মাধ্যমে শুভকামনা জানায় তাদের বন্ধু আপনজন নির্মাতাকে। যদিও তথ্য মন্ত্রী মহোদয় একদম শুরুতেই চলে যান। তবে মাননীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শেষ সময় পর্যন্ত। অবশ্য আমি যখন সিনেমা দেখতে ঢুকলাম, ততক্ষণে মিনিট ১০/১৫ পার হয়ে গেছে (পাশের দর্শকের তথ্যমতে)। তাই আপাতত আমার বয়ানটা সেই মিনিট কয়েক পর থেকে নিবেদন করছি।

ইতিমধ্যে পত্রিকার কল্যাণে দেশের অনেক গুণীজনের কিছু মতামত নজরে এসেছে। সবাই প্রসংশায় ভাসিয়েছেন চলচ্চিত্রটিকে। তার উপর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী অনেকের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল, অঞ্জন সিনেমা বানাবেন। অন্ত:ত সিনেমা শেষে লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে একটি জটলায় একজন বলেই বসলো কথাটি: “কতদিনের স্বপ্ন ছিল অঞ্জন দা একটি সিনেমা বানাবে! সেই স্বপ্ন সফল হলো এবং সিনেমাটিও সফল”।

ব্যক্তিগতভাবে ছিদ্রান্বেষী হিসেবে আমার একটু বদনাম আছে। এখানেও হয়ত সেই বদনামের সুনাম একটুও কমবে না। তবে সেই বদনামের ঘরে যাবার আগে কিছু প্রশংসা করতেই হয়। সিনেমাটির ক্যামেরার কাজ দূর্দান্ত। বহুদিন পর এত সুন্দর কাজ দেখলাম। কালারকে বলবো বাংলাদেশের দেখা সিনেমার মাঝে শ্রেষ্ঠ ২/১ টির একটি। শব্দের কারুকাজ অসাধারণ। তবে এগুলো মুম্বাই আর কলকাতার যাদু। বৃষ্টি কতটা প্রাকৃতিকভাবে তুলে ধরা যায়, বৃষ্টি কতটা নস্টালজিক হতে পারে, বৃষ্টির শব্দ একজন মানুষকে কতটা আবেগে ভাসাতে পারে, তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন মেঘমল্লার। শেষ মূহুর্ত্বে শহীদুজ্জামান সেলিমের অভিনয় মনে দাগ কেটেছে। ভাল লেগেছে অপর্ণাকে। শিশু জারার চমৎকার অভিব্যক্তি ভাল লেগেছে। মুড়ির টিন বাস, সামনে কাঁচ বসানো ট্রাক এগুলো ছোটবেলার স্মৃতিকে জাগিয়েছে। রাগ সঙ্গীতের ব্যবহার খুব ভাল লেগেছে। মেকআপ চমৎকার। এরচেয়ে ভাল মেকআপ আর হয় না। বিশেষ করে নাক-মুখ ফেটে যখন রক্ত বেরোয়, এমন তরতাজা রক্ত বাংলাদেশের সিনেমায় এর আগে কেউ দেখাতে পারেনি বলে ধারণা করছি।

এবার কিছু প্রশ্ন তুলতে যাচ্ছি। কারণ অঞ্জন দা’র মতো ব্যক্তির নির্মাণে ভুল ধরার যোগ্যতা আমার নেই। তাই নিজের মনে মাথাচাড়া দেয়া কিছু প্রশ্নের জবাব খুঁজতে এই প্রশ্নগুলো। সেইসাথে কিছু ভাবনাও জানাতে চাই:
১. ১৯৭১ সালে মফস্বলের একটি কলেজের শিক্ষক নাম্বারখচিত কোয়ার্টারে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনকার কোয়ার্টারের মতোই দেখতে রাস্তা সেই ঘরের সামনে। আসলেই সে সময় একটা মফস্বলে এমন হবার সুযোগ ছিল কি?
২. রেইনকোট পড়ে বাড়ি থেকে বের হবার সময় পিঠ ভেজা। অথচ সেটা ঘরে কয়েকদিন ধরে ঝুলে আছে। না দেখা সেই দশ মিনিটে কি তবে রেইনকোটটি বৃষ্টিতে ভিজেছিল?
৩. মুষলধারা বৃষ্টিতে ভিজে কলেজে পৌঁছার পর রেইনকোট শুকনো। বৃষ্টি কি মাঝে থেমেছিল, যা আমি হয়ত অখেয়ালে দেখিনি?
৪. ১৯৭১ সালে মফস্বলের একজন সিনিয়র লেকচারার যে কোয়ার্টারে থাকে, সে বাসে চড়ে কলেজ গেলেন এবং রাস্তায় টিনের যাত্রী ছাউনী আছে। আসলেই কি সে সময় এমন ছিল? বাসে যাতায়াতের মতো দূরত্বে কোয়ার্টার ছিল?

৫. টর্চার সেলটিকে দেখে মনে হলো হয়ত সেখানকার কোন রাইসমিল। এমন একটি জায়গায় টর্চারসেল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে প্রশ্ন জাগলো তখনই, যখন তার সামনে বিরাট জায়গা জুড়ে সিমেন্টের ঢালাই করা মাঠ। সাধারণত বর্তমানে বিভিন্ন রাইসমিলে এমন জায়গায় ধান শুকায়। কিন্তু ৭১ এ কি রাইস মিলের সামনের জায়গা সিমেন্টের ঢালাই করা ছিল?
৬. টর্চার সেলের সামনের পথে বিদ্যুতের খুঁটি দেখা গেল। সে খুঁটি দিয়ে ৪/৫ টি বিদ্যুতের তার টানা। আমি ঠিক জানি না, সে সময় মফস্বলের পথে এমনটা ছিল কিনা!
৭. পিচঢালাই রাস্তার চেয়ে কংক্রিটের রাস্তাই বোধহয় বেশী দেখলাম। আসলেই কি! নাকি একদম সামনে বসেছি বলে দেখার ভুল! ঠিক দেখে থাকলে প্রশ্ন উঠছে, কংক্রিটের রাস্তা কি সে সময় প্রচলিত ছিল?
৮. আসমা চরিত্রটি তার ভাই’র জন্য চিঠি নিয়ে চলে গেলেন নদীর পাড়ে, সেখানে মাঝিকে চিঠি দিলেন। যোগাযোগ কিভাবে? মাঝি কিভাবে সেখানে অপেক্ষায় ছিল? কোন লিঙ্কআপ কোনভাবে কি এসেছিল, যা আমি খেয়াল করিনি?
৯. মুক্তিযুদ্ধের সাথে সেভাবে মানসিকভাবে সংযুক্ত নয় নুরুল হুদা, টর্চারসেলের নির্যাতনটা আমাদের জানা নির্যাতনের কাছাকাছিও না। অথচ সে হঠাৎ বদলে গেল। মানসিক এই পরিবর্তন বা উপলব্ধিটা কিভাবে আসলো? টর্চারসেলটাকে চরমভাবে অবহেলা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। গল্পেই তো বলা ছিল, ঠিক কিভাবে তার মাঝে এই পরিবর্তনটা আসে। পর্দায় নেই কেন?
১০. নদীর পাশে ফসলী জমি কিংবা ধইঞ্চা ক্ষেত এ হঠাৎ আগুন জ্বলছে! আগুনটা বাড়িতেও হতে পারতো। যেখানে টানা তিনদিনের (আনুমানিক) মুষলধারে বৃষ্টি, সেখানে শুকনো জমি কিভাবে আসে? না হয় ধরে নিলাম ভারতীয় বিমান ঢুকে গেছে ততদিনে। তারা বোম্বিং করতে গিয়ে ভুল করেছে। তাহলে সেই বিমান কোথায়?

১১. যেহেতু সিনেমাটি অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধ করার কোন গল্প নয় বরং একজন শিক্ষকের মানসিক দ্বন্দ এবং দেশপ্রেমে জাগ্রত হবার গল্প এটি! তাই মুক্তিযোদ্ধাদের তেমন কোন ভূমিকা না থাকাটাও গ্রহণযোগ্য।
১২. পাকিস্তানী সেনাদের আচরণ, কথাবার্তা বাংলাদেশের অন্যান্য সিনেমার মতো ভিলেন পুলিশের মতো। তবে কখনো কখনো দৃঢ়তাও দেখা গেছে। বিশেষ করে টেবিলে বাড়ি দিয়ে নূরুল হুদার নাক ফাটিয়ে দেবার সময়।
১৩. প্রিন্সিপালের কথায় কলেজের আলমারী বুঝে নেবার দায়ে নুরুল হুদাকে আটক করা হলো। সেই আলমারীর ভূমিকা কি? তাকে কেন আটক করা হলো?
১৪. চলচ্চিত্রটি বড় শর্টফিল্মের জন্য দূর্দান্ত ছিল। আবার ছোট আকৃতির ফিচার ফিল্ম হিসেবেও খারাপ হয়নি। কারণ কাহিনী ঝুলে যায়নি। তবে কাহিনীর সংযোগে কোথাও কোথাও হয়ত বিচ্যুতি ঘটেছে। তবে এটা মনোযোগী দর্শকদের জন্য নয়। ত্রুটি ধরতে যারা বসে থাকে, তাদের মনে হতে পারে।
১৫. সিনেমাটি দেখে কেন যেন এলিট শ্রেণীর জন্য নির্মিত বলে মনে হয়েছে। সর্বসাধারণের সিনেমা বলে মনে হয়নি। জানি না সিনেমা ব্যক্তিজীবনের দর্শন কিনা। যেমন হুমায়ুন আহমেদের ‘আগুনের পরশমনি’ সবদিক থেকেই সর্বসাধারণের সিনেমাই মনে হয়েছিল।

১৬. আমার সর্বশেষ বক্তব্যটি মূলত চলচ্চিত্রটির সাথে জড়িত সকলকে একটি গর্হিত অপরাধে দোষী করা। আপনারা প্রায় কোটি টাকা খরচ করে মুক্তিযুদ্ধের একটি ভিন্ন দর্শনের উপর চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। আজকের বিশেষ আয়োজনে আপনাদের আমন্ত্রণে দেশের বিশিষ্ট, বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন সিনেমাপ্রেমী, দেশপ্রেমী, মুক্তিযুদ্ধপ্রেমী অনেকে। উপস্থিত ছিলেন আপনাদের ভক্ত, বন্ধু ইত্যাদি নানা শ্রেণীর লোক। আবার আমার মতো বিনা দাওয়াতী হঠাৎ কোন বন্ধুর মাধ্যমে সেখানে হাজির হয়েছে। এগুলোর কোনটাই পাপ নয়। সবই ভালবাসা। এবার আমার প্রশ্ন, কোন ভালাবাস টানে আপনারা ‘ফরহাদ মাজহার’ নামক স্বাধীনতা বিরোধী, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়ানো কীটটাকে আজকের আয়োজনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন? যে লোকটা বোমাবাজ জঙ্গীদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনা করে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী বলেছিলেন, যে লোকটা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্তমান চক্রান্তের অন্যতম মদতদাতা এবং পরামর্শক সে আপনাদের কোন ক্যটাগরীর অতিথি? নাকি মুক্তিযুদ্ধটা পণ্য বই আর কিছুই না আপনাদের কাছে? ঘৃণাভরা ধিক্কার জানাই তাদের, যাদের মনে হয়েছিল আজকের আয়োজনে ফরহাদ মজহার হতে পারে তাদের সম ভাবনার বন্ধুপ্রতিম।

সিনেমাটির শুরুতে নাম ছিল ‘রেইনকোট’। পরবর্তীতে ঋতুপর্ণ ঘোষ এর একই নামে চলচ্চিত্র থাকায় কেউ যেন কনফিউশনে না পড়েন বা প্রশ্ন তুলতে না পারেন তাই নামটি পরিবর্তন করে ‘মেঘমল্লার’ রাখা। এখানে পরিচালককে প্রকৃতি অনেকগুলো প্রশ্নের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ স্কুল জীবনে বাংলায় নামকরণের স্বার্থকতা বলে একটা বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো। সেই মানদন্ডে গল্পটির নাম রেইনকোট হিসেবে ঠিক থাকলেও, সিনেমায় শরীরে রেইনকোট ছিল শুধুমাত্র এই কারণে এই নামটি রাখার কোন যৌক্তিকতা ছিল না। বরং বর্তমান নামটিই দূর্দান্তভাবে নামকরণের স্বার্থকতাকে পূরণ করেছে। তবে শুধুমাত্র শেষ নুরুল হুদার মৃত্যু দৃশ্যের জন্যই সিনেমাটির নাম ‘জয় বাংলা’ দিলে এতটুকু ক্ষতি হতো না। জানিনা কেন এই ভাবনাটি আসেনি। অবশ্য ফরহাদ মজহার যেখানে বন্ধু, সেখানে ‘জয় বাংলা’...

বাংলাদেশের গত প্রায় দু দশকের বিকৃত সিনেমা দেখে যে প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে, তাদের একটা কথাই বলতে পারি, জাহিদুর রহিম অঞ্জন সিনেমার নামে নাটক বানাননি। তিনি সিনেমাই বানিয়েছেন। সিনেমাটি আপনারা দেখবেন সাউন্ড, মিউজিক, কালার, ক্যামেরাওয়ার্ক দেখার জন্য। আপনার মন ভরবে শহিদুজ্জামান সেলিম, অর্পণা আর মিষ্টিমুখ জারার এক্সপ্রেশন দেখে।

চলচ্চিত্রটির গল্প আপনাকে কিছু হলেও যদি দেশের প্রতি ভাললাগা এবং শ্রদ্ধা বাড়ায়, তাতে আমাদের সবার লাভ। আসুন দেশকে ভালবাসি, বাংলাদেশের গল্প এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে ভালবাসি, আমাদের ভালবাসাই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের সমাজ, আমাদের চলচ্চিত্রকে জয়ী করবে বারবার।

বি.দ্র.:
১. চলচ্চিত্র এবং সিনেমা শব্দগুলো পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে ব্যবহারিক দিক লক্ষ রেখে।
২. আমি কোন পেশাদার চলচ্চিত্র সমালোচক নই। অত জ্ঞানও আমার নেই। আমি শুধুমাত্র আমার ভাল লাগা, মন্দ লাগা, উঁকি দেয়া প্রশ্ন এবং কিছু ভাবনা শেয়ার করলাম। সেখানে অনেক ভুল থাকতে পারে। যা হয়ত অভিজ্ঞতা এবং বয়সগত দূর্বলতা।

লেখক: গণমাধ্যম কর্মী
প্রকাশিত:
১. mediakhabor.com এর লিঙ্ক
২. www.dhallywood24.com এর লিঙ্ক
৩. cinemanews24.com এর লিঙ্ক

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
( পোষ্টের কারনে হাসি নি , কেন হেসেছি সেটা যার বুঝার সে বুঝলেই হল )

পোস্ট ভালোই হয়েছে ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ.... জাতি বুঝলেই হলো...

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দীর্ঘদিন পর, হ্যাঁ দীর্ঘদিন পর আমি এত চমৎকার বিশ্লেষনমুলক একটি সিনেমা রিভিউ পড়লাম। ছবিটা দেখার সুযোগ হয় নি, তবে আপনি যে প্রশ্নগুলো করেছেন, আমার ধারনা দেখার সময় হয়ত একই প্রশ্ন আমাদের মনেও আসতে পারে। নিজেদের সিনেমার প্রশংসা যেমন আমরা করতে পারি, তেমনি মান উন্নয়নে কিছু পজেটিভ সমালোচনারও দরকার আছে। ঠিক যা আপনি করেছেন।


আর আপনি যে গর্হিত দোষের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন, সেই একই অভিযোগ আমারও, এখন কি ইচ্ছাকৃত নাকি খামখেয়ালি, পরিষ্কার বক্তব্যের মাঝে তাদেরকেই ব্যাপারটা খোলাসা করতে হবে।

ব্লগে নিয়মিত লিখুন। আশা করি ব্লগের পাঠকরা অন্য যে কোন মাধ্যমের পাঠকদের চাইতে বেশি সচেতন এবং আলোচনায় অংশগ্রহনে ইচ্ছুক। আলোচনার সুযোগ না থাকলে শেখার পথ বন্ধ হয়ে যায়!

ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ বহু বহুদিন পর আসলে ব্লগে একটু লিখতে মনে হলো। এক সময় নিয়মিত লিখতাম। বহুদিন হয় না। জীবন জীবিকার তাগিদে সময় পাই না।
ধন্যবাদ সময় করে পড়েছেন, মতামত দিয়েছেন।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯

রোদেলা বলেছেন: বহুদিন ধরে অপেক্ষা করছি মেঘমল্লার দেখবো বলে।কিন্তু এলিট শ্রেনী বলতে কি বোঝানো হয়েছে তা আমি বুঝিনি।আমি বাংলা ছবির নিয়মিত দর্শক,অতএব এটাও মিস হবে না আশা রাখি।আপনার রিভিউ খুব বিশ্লেষন ধর্মী হয়েছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: আসলে, পর্দা খুব ভয়াবহ জায়গা। চোখের পলকে একজন মানুষ বুঝতে পারে যে, তাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে কিংবা হয়নি। কেন যেন মনে হলো, বোদ্ধা মানুষ আমার সাইকোলজি বুঝবে, সাধারণ দর্শকরা আবার কি বোঝে! এমন একটা ভাব যেন ছিল.... অবশ্য আমার ভাবনার ভুলও হতে পারে। আর এটাকেই আমি এলিট শ্রেণী বুঝিয়েছি।

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রিভিউ ভাল লেগেছে দেখার অপেক্ষায় রইলাম

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ... আশা রাখছি আরো কিছু আপনাদের জন্য আগামীতে উপস্থিত করার প্রয়াশ পাবো

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

পৌরাণিক এক মানুষ বলেছেন: বিশ্বের কোন ছবি নির্ভুল নয়। আপনার মতো বিশ্রী করে ভুল ধরলে, অনেক ভুল ধরা যায়। এমন বিশ্লেষণের জন্য আমাদের দর্শক এখনো তৈরী নয়। যেটাকে পজিটিভ সমালোচনা বলে গেলেন কাভা, সেটাকে আমি অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা বলবো। আপনি সাংবাদিক। জাহিদুর রহিম অঞ্জনের কাছে প্রশ্নগুলো করে, জবাবটা নিয়ে নিতে পারতেন। আমাদের জানাতেন, আমরাও উপকৃত হতাম। এখন আপনার কঠিন সমালোচনার ফলে যদি কিছু দর্শক এই ছবি দেখবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়, এর দায়ভার কার? আপনি হয়তো বলবেন, "ওমন দর্শকের দরকার নেই। যারা ছবির ভুল দেখে ছবি দেখেনা। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হবে।"
কিন্তু ভায়া, আপনি বিনা পয়সার প্রিমিয়ার দেখে বেড়ান আর ওমন দর্শকরাই টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ছবি দেখে। তাদের এভাবে ভুল দেখিয়ে নিরুৎসাহিত করলে প্রযোজকের পেটে লাথি পড়বে। আর হয়তো বলবেন, দর্শককে ভুল দেখিয়ে প্রতারণা করা যাতে না যায়, সেই দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন! আপনার ঐ রেইনকোট এ জল থাকা না থাকার মতো চিন্তার গভীরতায় যাবার দরকার আসলেই কি আছে? বিশ্বনন্দিত "টাইটানিক" ছবিতে ৬টি বড় রকমের ভুল আছে। ওখানকার প্রিমিয়ার দেখনেওয়ালারা মুভি রিলিজের আগেই জ্ঞান জাহির করেন নাই।

বিনা পয়সায় প্রিমিয়ার দেখুন, দর্শককে টিকেট কেটে ছবি দেখতে দিন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: কথাটা তখনই উঠবে, যখন মানুষটির নাম জাহিদুর রহিম অঞ্জন। নামটি এম এ রহিম, কালাম কায়সার হলে উঠতো না।

আপনি পিরিয়ডিক সিনেমা নির্মাণ করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ভিজুয়্যালি সেই সময়টাকে ধারণ করতে হবে। আপনি ৭১ এর গল্পে মোবাইল যেমন দেখাতে পারবেন না, তেমনি ২০১৪'র গল্পে DOS মুডে কম্পিউটার চলছে দেখাতে পারবেন না। আবার পারবেন, যদি কোনভাবে কোন লিঙ্কআপ থাকে।

আর এই সিনেমাটি প্রিমিয়ারের আগেই অনেক অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষের কলাম/ফিচারে ইতিমধ্যে পত্রিকার পাতায় স্থান নিয়েছে। বরং বলা যেতে পারে, প্রিমিয়ারের পর এটাই প্রথম।

সিনেমা হলের মূল দর্শক ব্লগ পড়ে না। আর এই মূল দর্শক হলে না গেলে কোন সিনেমাই তার লগ্নি ফেরত পাবে না। আবার যারা ব্লগ বা অনলাইনে এ্যকটিভ, তাদের বেশীরভাগ বছরে একবারও হলে গিয়ে বাংলাদেশী সিনেমা দেখে না।

আমি সিনেমাটির কঠিন সমালোচনা করিনি। আমি প্রশংসার পাশাপাশি কতগুলো প্রশ্ন তুলেছি। আর এই প্রশ্নটা অঞ্জন ভাই'র সিনেমা বলেই তুলেছি। এটা সমালোচনা, শত্রুতা নয়। আর সমালোচনাকে সহ্য করার যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে একজন কর্মপ্রিয় মানুষের।

আমার কাছে কোন তথ্য নেই যে, টাইটানিক এর প্রিমিয়ার দেখে মুক্তির আগে কোন চলচ্চিত্র সমালোচনা প্রকাশ পেয়েছিল কিনা! তবে সেই সিনেমার বিশালতার সাথে অন্য কিছুর তুলনা না হওয়াই ভাল। কারণ সেই সিনেমাটি দেখতে দেখতে মানুষ আবেগে ভেসেছে। ফলে সেই আবেগটাই ছিল সেখানে মূখ্য।

আর আমি এখনো টিকিট কেটে হলে বসে বাংলাদেশী সিনেমা দেখি (নিয়মিত সম্ভব হয় না, কিন্তু দেখি), প্রিমিয়ারও দেখি, সিডি কিনে বাংলাদেশী গান শুনি, উপহার পেলেও শুনি।

আমি অনেক প্রশ্ন এবং একটি চরম অনৈতিকতার ব্যপারে প্রশ্ন তুলেছি। কারণ ভুলটা সবার সাথে যায় না।

আশা রাখছি আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন :)

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম সিনেমাটা দেখতে হবে । আপনার আলোচনা-সমালচনামূলক বিশ্লেষন ভালো লাগলো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ... সিনেমার কালার-ক্যমেরা-শব্দ খুব আনন্দ এবং ভাললাগা উপহার দেবে....

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

পৌরাণিক এক মানুষ বলেছেন: কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যখন উঠে দাঁড়াচ্ছিল, তখন সকল সাংবাদিকরা একটাই ধুয়া তুলেছিলো। ভালো ছবি হচ্ছে, হলে আসুন। কোন সমালোচনা করেনি। আমাদের সাংবাদিকদেরও তাই করা উচিত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। আসলে ভাল ছবি হচ্ছিলও সেখানে। আমাদের এখানেও ভাল ছবিকে প্রমোট করছি নানাভাবে। তবে প্রপাগান্ডা করি নাই কখনো।
যদিও এটা সত্য যে, আমাদের সাংবাদিকরা সর্বোচ্চ এটা করে থাকে যে, এই সিনেমাটা মুক্তি পেয়েছে, অভিনয় করেছে অমুক-তমুক ইত্যাদি। সেখানে আমি নিয়মিত সিনেমা মুক্তির আগে থেকেই আমার কর্মস্থল থেকে যেমন সিনেমার কাভারেজ দিয়ে থাকি, একই ভাবে অনলাইনেও সেই সিনেমার পজেটিভ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করি।
এই সিনেমাটির ভাল দিকগুলো নিয়ে শুরুতে এবং শেষে ঢালাওভাবে বলেছি। কিন্তু কিছু ভয়াবহতা নিয়ে বলতেই হয়েছে, কারণ সেগুলো না বললে আমার ব্যক্তি ইমেজের জায়গাটাও নষ্ট হবে। কারণ তখন আমার চারপাশের লোকেরা এসব ব্যপারকে এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে আমাকে প্রশ্নের সামনে দাড় করাতো। সবচেয়ে বড় ব্যপার, আমি চেষ্টা করেছি নিজের জায়গায় সৎ থাকতে শতভাগ।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

কাউসার রুশো বলেছেন: রুবেল ভাই, পড়ে মনে হলো নিজের জায়গায় সৎ থেকেই লিখেছেন । এটাই দরকার। মুভিটা দেখা হলে আড্ডা মারবো আপনার সঙ্গে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ ওস্তাদ। আপনার মতো বাংলাদেশী সিনেমার সাইক্লোপিডিয়ার কমেন্টস সব সময় উৎসাহ জাগানীয়া

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দারুন রিভিউ। এসব সিনেমার ডাউনলোড লিংক কই পাওয়া যায়?

১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৮

তির্থক আহসান রুবেল বলেছেন: সিনেমা হলে বসে দেখবেন। ভিনদেশী সিনেমা ডাউনলোড করুন কিন্তু দেশের সিনেমা পাইরেসী অনৈতিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.