![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যশোরের বেজপাড়ায় কমলেশ রায় (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে মণিরামপুর উপজেলার মোনোহরপুর গ্রামের গোবিন্দ রায়ের ছেলে এবং সরকারি এমএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সে যশোরের বেজপাড়া তালতলা পূর্বাশা ছাত্রাবাসে থাকত।
২৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রাবাসের কিছু দুরে তার লাশ পেয়েছে পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে ঘটনাটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে, আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে রহস্য পরিস্কার হবে।
২৭ জানুয়ারি সকালে যশোর শহরের বেজপাড়া তালতলার পূর্বাশা ছাত্রাবাসের ছাত্ররা দেখত পান পাশের কামরাঙা গাছের নিচে গলায় ফাঁস ও বসা অবস্থায় কমলেশের লাশ রয়েছে। ওই দিন সকাল ৭টার দিকে ছাত্রবাস থেকে মোবাইল করে তার বন্ধুরা কমলেশের পরিবারকে জানায়। পরে বেজপাড়ার লোকজন পুলিশে খবর দিলে এসআই তারেক তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
মৃতের ছাত্রাবাসের বন্ধুরা জানিয়েছে, ২৬ জানুয়ারি রাতে প্রতিদিনের মত কমল খাওয়া-দাওয়া করে তাদের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরবেলা তাদের ঘুম ভাঙলে তারা দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা এবং কমল রুমে নেই। পরে বাইরে এসে ছাত্রাবাসের কামরাঙ্গা গাছের নিচে তার লাশ দেখতে পায়।
কমলেশের কাকা দীপংকর রায়ের অভিযোগ, কমল আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। কেননা লাশটি গাছের নিচে বসা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কোন ডালে নয়, গাছের মূল কান্ডের সাথে ফাঁস দেয়া পাওয়া গেছে। কেউ আত্মহত্যা করলে গাছের মূল লগের সাথে ফাঁস দিতে পারেনা। কয়েকদিন আগে কমলেশ জানিয়েছিল শংকরপুর ও বেজপাড়ার একটি চক্র তার সাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছিল এবং তার মোবাইল কেড়ে নিতে চায়। আর ওই ঘটনার কিছুদিন পর লাশ হল কমলেশ।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা থানার এসআই তারেক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরিষ্কার করে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
©somewhere in net ltd.