নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঠোঁটকাটা কাকাতুয়া

ঠোঁটকাটা কাকাতুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি হিন্দু-মেলা ও সাধু বাবা

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

নারায়নগঞ্জের

বারদীতে শ্রী শ্রী লোকনাথ

ব্রহ্মচারীর আশ্রমে দু দিন

ব্যাপী বিশাল মেলা হচ্ছে।



ওখানকার একটা ফ্রী মেডিকেল

ক্যাম্পে আজ গিয়েছিলাম ডাক্তার

হিসেবে। আশ্রমের বর্তমান

আধ্যাত্মিক গুরু শতায়ূ 'সাধু বাবা'র

সাধনাগৃহের পাশে ছিল আমাদের

মেডিকেল ক্যাম্প। চিকিত্সার

ফাঁকে ফাঁকে দেখছিলাম শতায়ূ সাধু

বাবাকে। শীর্ণ দেহ-

সাদা বস্ত্রে ঢাকা, অস্থির

হয়ে হাঁটছিলেন তাঁর কক্ষের ভেতরে।

তালাবদ্ধ কক্ষটির বাইরে প্রচুর

মানুষের ভীড়। ঊনি ইত:স্তত হাঁটছেন

আর মাঝে মাঝে কক্ষের একদম

কিনারে এসে অত্যন্ত রাগত স্বরে কিছু

কথা বলছেন।



কি বলছিলেন বোঝা যাচ্ছিলনা। কিছু

ভাঙা ভাঙা শব্দ কানে আসছিল- …

বলদ তোরা… কী জন্যি আয়েচিস… যা…

যা…

একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই

উনি এত রেগে যাচ্ছেন কেন?

উনি বল্লেন, সাধু বাবার

সামনে বেপর্দা মহিলা আসলেই

উনি রেগে যান!! দেখলাম বাইরে প্রচুর

নারী পুরুষ ভীড় করে দেখছে, কেও

দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করছে,

আর উনি থেকে থেকে বকাঝকা করেই

যাচ্ছেন। দর্শনার্থীরা, বিশেষ

করে মহিলারা যদি বুঝতো,

এভাবে প্রণাম করার

চেয়ে পর্দা করে আসলেই

উনি বেশি খুশি হতেন!

আমার সাথে একজন হিন্দু ডাক্তার

ছিলেন। উনি গর্বিত ভঙিতে বললেন,

সাধু বাবাকে দেখতে সব ধর্মের মানুষ

ভীড় জমায়। আমি ভাবলাম ঠিক আছে,

আমাদের বিভিন্ন মাযারগুলাতেও সব

ধর্মের মানুষ ভীড় জমায়।আমাদের

তথাকথিত পীরদের কাছেও সব ধর্মের

নারী পুরুষরা যায়। কিন্তু

এটা আমাদের কাছে প্রশংসার বিষয়

না, এগুলো বিদআত।





সাধু বাবার বেপর্দা মহিলাদের

প্রতি এমন ক্ষোভ দেখে খুব ভাল লাগল,

সাথে সাথে লজ্জা লাগলো আমাদের

কিছু ভন্ড পীরদের কথা মনে করে,

যাদের সুন্দরী নারী মুরিদ

না হলে সাধনাই হয়না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.