![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আড়াই বছর বয়স থেকেই লিবিয়াতে পড়ে আছি - প্রথমে মিসুরাতা, এরপর সিরত, এরপর আইএসের দখল থেকে বেরিয়ে ত্রিপলীতে। জীবন তিন জায়গাতেই সমান বৈচিত্রহীন। যেখানে মনের কথাগুলো খুলে বলার মতো কোন মানুষ নেই। তাই মাঝে মাঝে ছুটে আসি ইন্টারনেটে। নিজের না বলা কথাগুলো বলার জন্য অথবা অন্যের বলা কথাগুলো শোনার জন্য।
আইএসকে কারা অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে? আমেরিকা? ইসরায়েল? হতে পারে। কিন্তু আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারের ক্লিন্টনের এক ফাঁস হওয়া গোপন ইমেইল থেকে জানা যাচ্ছে, হিলারী নিজেই জানে যে, আইএসকে সাহায্য করছে দুই মুসলিম পরাশক্তি সৌদিআরব এবং কাতার।
উইকিলীক্সের ফাঁস করা এই নতুন ইমেইলে হিলারী তার ক্যাম্পেইন ম্যানেজারের সাথে আটটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করছিল কিভাবে আইএসকে পরাজিত করা যায়। তারমধ্যে একটা হচ্ছে সৌদি এবং কাতারের উপর চাপ সৃষ্টি করা, কারণ তারা আইএসকে সাহায্য করছে। আরেকটি হচ্ছে কুর্দিদেরকে সাহায্য করা।
ফেসবুক পাবলিকের মধ্যে আইএসের স্রস্টা হিসেবে আমেরিকা আর ইসরায়েলের নাম যতোটা জনপ্রিয়, তার সিকিভাগ আলোচনাও সৌদি, কাতার বা তুর্কি নিয়ে নাই। কারণ? কারণ এরা মুসলমান রাষ্ট্র। মুসলমান তকমা থাকলেই ফেসবুক পাবলিকের কাছে সাতখুন মাফ। সৌদি আরব হচ্ছে মক্কা-মদীনার ধারক-বাহক, আর কাতার এবং তুর্কি হচ্ছে ব্রাদারহুডের প্রধান স্পন্সর।
অথচ আইএসকে সাহায্য করার এবং মদদ দেওয়ার বেশিরভাগ প্রমাণ আছে এই দেশগুলোর বিরুদ্ধেই। টুইটের সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আইএসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সমর্থক সৌদি আরবে। এদের প্রচুর যোদ্ধাও সৌদি থেকে আসা। আইএসের সৃষ্টির যে পটভূমি, আরব বসন্তের সুযোগ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তোলা, এবং এই অঞ্চলের এক নায়কদের পতন ঘটিয়ে তথাকথিত ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, তার প্রধান কারিগর কাতারের ব্রাদারহুডপন্থী সরকার এবং তার প্রপাগান্ডা মেশিন আল জাজিরা।
আর তুরস্ক তো শুরু থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিনা বাধায় আইএসের রিক্রুটমেন্টের প্রধান হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত ফ্র্যাংকেনস্টাইনের মতো নিজেরাই আইএসের হাতে চড়া মূল্য দিতে হওয়ায় তারা এখন আইএস বিরোধী অবস্থান নিয়েছে
https://www.facebook.com/tohamh/posts/10154098435889091
©somewhere in net ltd.