নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির অংশ সৌরমন্ডলের অধীন পৃথিবী নামক গ্রহের স্থানীয় প্রাণী।
ভারতের রাজনীতি নিয়ে যারা টুকটাক খবর রাখে তাদের কাছে নামটি বেশ পরিচিত হওয়ার কথা। কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-আরএসএস এর যে স্বর্ণ-যুগ চলছে তার বিপরীতে উঠে এসেছে মুসলিম মুখ হিসেবে তেলেঙ্গানার ওয়াইসি ও তার দল অল-ইন্ডিয়া মুত্তাহিদুল মুসলিমিন বাঁ সংক্ষেপে মিম। বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে ভারতে যেই অর্থডক্স হিন্দুত্ববাদি রাজনীতির জাগরণ শুরু হয়েছিল তার ফলাফল ভারতের বর্তমান রাজনীতিতে বিজেপির একছত্র আধিপত্য।
বিজেপির এই উত্থানে ভারতে সেকুলার রাজনীতির ও যবানিকপাত ধরা যায়। বর্তমান ভারতে রাজনীতির ধরন দুটো হয়ে গেছে এক হচ্ছে, কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি অথবা সফট হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি করতে হবে টিকে থাকতে হলে। সেখানে সেকুলার কিংবা বাম পন্থার রাজনীতির ভোট বক্সে কোন ভোট নাই অথচ ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেসের সেকুলার রাজনীতির প্রতিপক্ষ ছিল বামেরা। সেই বামেরা ভারতের রাজনীতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে।
কিন্তু কংগ্রেসও আর তার সেই সেকুলার ভাবমূর্তি ধরে রাখতে পারছে না। বিপরিতে বিজেপির আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিপরীতে সফট হিন্দুত্বের পথে হাঁটতে হচ্ছে। ভারতের রাজনীতিতে কংগ্রেসের রিজার্ভ ভোট ব্যাংক হিসেবে কাজ করে এসেছে যেই মুসলিম ভারতীয়রা তারা হয়তো বিষয়টা আঁচ করতে পেরে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করছে কংগ্রেসের সাথে বিভিন্ন রাজ্য। যেই কংগ্রেসকে মুসলিমরা স্বাধীনতার পর থেকে একক ভোট ব্যংক হিসেবে বার বার ভোট দিয়ে এসেছে বস্তুত কংগ্রেস মুসলিমদের জন্য কি করেছে সেটার মধ্য একটা বড় যতি চিহ্ন পরে যায়।
উদাহরণ হিসেবে আমাদের পাশের রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের দিকে তাকালেই বিষয়টা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। ভারতের মধ্য অন্যতম সংখ্যালগু অধ্যুষিত রাজ্য হিসেবে আছে পশ্চিমবঙ্গ। আর এই পশ্চিম বঙ্গের একক মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে আছে মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বশীরহাট, দুই ছব্বিশ পরগনার বেশ কিছু অঞ্চল। আর এই অঞ্চল গুলোই এখনো কংগ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতেতে টিকিয়ে রেখেছে অথচ পশিচম বঙ্গের সবচেয়ে অবহেলিত জেলা গুলোর মধ্য এই জেলা গুলোই প্রথম। যেখানে অন্য অঞ্চলে মাইলের মধ্য অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল পাওয়া গেলেও ওই অঞ্চল গুলোতে তা অনুপস্থিত।
এই দীর্ঘ অবহেলার পরেও মুসলিমরা দিন শেষে আবার কংগ্রেসকেই ভোট দিয়েছে শুধু মাত্র নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। কিন্তু বিনিময়ে কংগ্রেস দিনে দিনে যেন রাজনীতিতে আরও এলেমেলো হয়ে যাচ্ছে। তারা যেন হিন্দুত্ববাদীদের দেয়া কংগ্রেস মানেই মুসলিম তোষণ এই কালিমা দুর করতে অভ্যস্ত, আর তাতেই তারা হাঁটছে সফট হিন্দুত্বতের পক্ষে। আরেকটি বিষয় যেই কংগ্রেস এত সেকুলার ছিল সেই কংগ্রেসিরাই দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে আর মুসলিমদের দাগাচ্ছে সব কিছুর জন্য।
এই যখন অবস্থ তখনই ভারতে মুসলিমরা নিজেদের অনেক একা মনা শুরু করেছে। তারা বিজেপি-আরএসএস এর সাম্প্রাদায়িক দানবতা থেকে বাচতে নতুন ত্রাণ কর্তা খুঁজতে হন্য। কংগ্রেসকে আর তারা তাদের রাজনৈতিক ত্রাণ কর্তা ভাবতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই তারা রাজ্য ভিত্তিক যেই সেকুলার দল গুলো উঠে এসেছে তাকেই ভোট দেয়া শুরু করেছে। এর ফলাফল দেখতে পাই মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য গুলোতে।তার বাস্তব উদাহরণ হতে পারে উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, বিহারে লালুর দল আরজেডি বা জেডিউ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস, আর যেখানে রাজ্য ভিত্তিক শক্তিশালী দল পাচ্ছেনা সেখানে ঘুরেফিরে আবার কংগ্রেসকেই ভোট দিচ্ছে।
কিন্তু রাজ্য ভিত্তিক দল গুলোও যেন বিজেপি -আর এসএসের সাথে ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং পেরে উঠতে পারছে তাই তারাও সফট হিন্দুত্ব কার্ড খেলা শুরু করেছে। তাদের হাতেও তেমন কিছু করার থাকেনা কারন বিজেপি-আরএসএস রাজনীতিতে কে এমন যায়গায় নিয়ে এসেছে যেখানে উন্নায়ন, সুশান, শিক্ষা বাদ দিয়ে ইস্যু হিসেবে নিয়ে এসেছে মুসলিম তোষণ, লাভ জিহাদ, গরু জবাই, মন্দির, পাকিস্থান, কাশ্মীর, মুসলিম হটাও, নাগরিকত্ব।
ধর্মের বড়ি খাইয়ে বিজেপিও বেশ সফলও বলা চলে, নাহয় যোগী আদিত্যনাথের মত উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে উত্তর প্রদেশের মত প্রায় ২০% মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য মুখ্য মন্ত্রী হয় কিভাবে?
আর বিজেপি-আরএসএস ও নিজেদের ফিল্ডে নিয়ে এসে সেকুলার দল গুলোকে খেলানোয় তারাও খেই হারিয়ে এখন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পথে হাটতে হচ্ছে।
হতাশাগ্রস্থ ও দিকভ্রান্ত মুসলিমরাও তাই এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় শেষ কামড় হিসেবে ওয়াইসি, বদরদ্দিন আজমলদের মধ্যই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখা শুরু করেছে। আর এই অবস্থা দেখেই কংগ্রেস আরও হযবরল। তাই তাদের নিশানা এখন বিজেপি থেকে বেশি ওয়াইসিদের দিকে অথচ যখন মুসলিমরা বিনা শর্তে বছরের পর বছর তাদের ভোট দিয়ে এসেছিল তখন মুসলিমদের উন্নায়নে এবং তাদের মুল স্রোতে মেশাতে কি করেছে সেটাই প্রশ্ন বিদ্ধ।
সেই তুলনায় কেরালায় বামেদের নেতৃত্ব মুসলিমরা নিজেদের যেখানে নিয়ে গেছে তা বাকি দলগুলোর কাছে উদাহরণ হয়ে থাকার কথা। আর বাস্তবতা হচ্ছে কেরালায় বিজেপি তার রাজনৈতিক দাঁতই ফেলতেই পারেনি কারন যেখানে উন্নয়ন সুশান আছে সেখানে এদের বড়ি কেউ খায় না। (চলবে......)
লেখাটি পুর্বে প্রকাশিত আমার ব্যাক্তিগত ব্লগেঃ https://sotly.me/51F
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দলের যেই নাম দিয়েছে, তাতে ভারতীয় মুসলমানদের ক্ষতি হবে, লোকটার ন্যুনতম জ্ঞানও নেই।
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
তেীহিদুল ইসলাম শওকত বলেছেন: তাকে জ্ঞান দেয়ার ব্যাবস্থা করা হোক।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়াইসি ভাল বক্তা এবং যুক্তি বাদী । কাশ্মীরের গোলযোগ শুরু হলে পার্লামেন্টে তাকে প্রথম দেখি একজন দৃঢ় বক্তা যে শাসনতন্ত্র না দেখেই একাধারে বলে যাচ্ছে ভারতীয় আইনের ধারা ।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আসাদ উদ্দিন বর্তমানে তিনি নাকি অসুস্থ।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার কথা শুনেছি এবং পড়েছি এক প্রতিবাদী মানুষ। আগ্রাসী হিন্দুবাদী দল বিজেপির কতটুকু টিকতে পারে ভবিষ্যতে দেখা যাবে।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
ঊণকৌটী বলেছেন: ওয়াইসি জন্ম সূত্রে উচ্চ বংশের এবং শিক্ষিত কোটিপতি পরিবারের একজন, সে যুক্তি তর্কে খুবই পারদর্শী ব্যাক্তি I ভারতের নির্বাচনে কুনো মুসলিম ভোট বিজেপি তে যায় না, বিরোধী পক্ষের দলে যায়, কিন্তু বিহারে বিজেপি এর বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল একটা মহাজোট করেছিলো, আর তিনটি দল নিয়ে উনি আর একটা জোটের ফ্রন্ট খুলে ছিলেন I সব শেষে কি দেখলাম বিহারের বহু আসনে ফলাফল 5 থেকে 500 ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় দেখা গেলো I লাভ কার হলো বিজেপি এর অথচ লক ডাউন এর সময় সব চেয়ে ক্ষতি শিকার হতে হয়ছে বিহারের শ্রমিকদের কিন্তু
ভোটে উল্টো ফল দেখা গেলো বিজেপি এর জয় জয়কার I মুসলিম ভোট ভাগ হলো, উনি 5 টি আসনে জয় লাভ করেছেন কিন্তু ভোট কেটে বিজেপি এর জয়ের রাস্তা খুলে দিয়েছেন I আজ উনাকে সারা ভারতের বিরোধী দল গুলি বলছে বিজেপি এর দুই নম্বর টিম I সামনের বছর পশ্চিমবঙ্গ এর ভোট উনি কাল আজটক চ্যানেল লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল এবং উত্তর প্রদেশের ইলেকশন উনার দল দাঁড়াবে, প্রশ্ন কর্তা বলেন তা হলে মুসলিম ভোট বিভাজন হলে তো বিজেপি এর সুবিধা হবে, উনার উত্তর কেউ দল দাস নয়, আমাদের দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে I মমতার মাথা ব্যাথা শুরু, বিজেপি মহা খুশি I
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতে রাজনীতি করতে হলে, দলে হিন্দু থাকতে হবে; না'হয় মুসলমানেরা ষেই দলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
তেীহিদুল ইসলাম শওকত বলেছেন: মুসলমানদের ভালো করেচে কে?
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: উনি বিজেপির মতই মুসলমান।
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
তেীহিদুল ইসলাম শওকত বলেছেন: টিট পর ট্যাট
৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
এমেরিকা বলেছেন: ভারতে মুসলিমরা যে কি জাতের মুসলিম, তা পশ্চিমবঙ্গের গর্দভদের দেখলু বুঝা যায়। মুর্শিদাবাদের মুসলিমরা এক মুসলিম নামধারী নায়িকাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করল, সে জয়ী হয়েই সিঁদুর পরে, সাতপাক ঘুরে মালাবদল করে এক হিন্দুকে বিয়ে করল, হিন্দুদের রাশ উৎসব, দোল উৎসবে বেশ ঘটা করে যোগ দিল, কলকাতা দূর্গাপূজা কমিটির সদস্য হল, হিন্দু না হলে যে কমিটিতে ঢুকা যায়না। তাই সবার ধারণা সে বিয়ে করার আগে অবশ্যই ধর্মান্তরিত হয়েছে। যে মুসলিমদেরকে এভাবে গাধা বানানো যায়, তাদের দিয়ে ভালো কিছুর আশা একেবারেই করা যায়না।
১০| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
অধীতি বলেছেন: ভারতের রাজনীতি প্যাঁচালো। এখানে ধর্ম প্রথম।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১
জুন বলেছেন: ওয়াইসি বিহারে তিনটি আসন লাভ করেছে আর দুটোতে এগিয়ে আছে। সকালে পড়েছি নিউজ। ওই দুটো আসনে জিতেছে কি না জানা হয় নি। ওয়াইসির দল কিন্ত কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের সাথে জোট করতে চেয়েছিল। কিন্ত তাদের হাত কেউ ধরেনি তাই তারা নিজেরাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ কতেছে। দেখা যাক ভবিষ্যত কি আছে। সাম্প্রদায়িকতার কবলে আজ পুরো ভারত।