নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

'রাজপুত্তুর' ভালোবাসার ছবি হতে পারে

১৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৫

'রাজপুত্তুর' ভালোবাসার ছবি হতে পারে


যেখানে জাতীয় স্লোগান চালু অাছে 'ছেলে হোক, মেয়ে হোক, একটি সন্তানই যথেষ্ট', সেখানে 'রাজপুত্তুর'র নির্মাণে ১৫টা বাচ্চা-কাচ্চা লেগেছে। বোঝো ঠ্যালা! তাছাড়া সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই চলচ্চিত্র প্রকল্পটি একান্তই 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ সাহিত্য নির্ভর'। অর্থাৎ ছবির মুখ্য দর্শক দেশের শিশু-কিশোর-কিশোরীরা। 'রাজপুত্তুর' নির্মাণকালে স্ক্রিপ্টে অ্যাডাপ্টেশন করা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের একাধিক টেক্স, টেক্সটাংশ। কিন্তু একটা কথা বলাই যাবে যে, রবীন্দ্রনাথের শিশুতোষ রচনার নামে যা কিছুকে অামরা জানি, তার সবটাই যে সব শিশুদের বোধগম্যযোগ্য, তা তো নয়। অমল কি 'শিশু'? নাকি বালক অমলের মধ্যে ঘাপটি মেরে 'পাঁচমোড়া পাহাড়ের তলায় শ্যামলি নদীর ধারে' স্বপ্নের জাল বুনছেন পাকা রবীন্দ্রনাথ! অাবার, সুধা যখন ঘুমন্ত অমলের শিয়রের পাশে বলল, 'অমল উঠলে বোলো, সুধা ওকে ভোলেনি'-- এ তো কেমন 'ম্যাচিউর' সংলাপ। 'রাজপুত্তুর'ও একটা লিটল বয়, তার খেলার সাথী পুপেদিও লিটলগার্ল। কিন্তু সাত-অাট বছর বয়সে নিজের ভেতরে সংঘটিত অনুভূতি কি কারো জন্যে মনে মনে-গোপনে নেচে ওঠে না লিটলদের? ওঠেনি অামাদেরও? উঠেছে, উঠবেই। 'ভালো লাগা ভালোবাসা' ব্যাপারটা সম্পূর্ণ বড়দের, এমনটা ভেবে নিশ্চিন্ত হওয়া বা চিন্তিত হওয়ারও কিছু নেই। গ্রহণ করবার ব্যাপার, উৎসাহিত করবার ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ তা মনে করতেন, তাই লিখে গেছেন, সে-লেখা থেকে চিত্রনাট্য করার অর্থই দাঁড়াচ্ছে, অামরাও মনে করছি যে, ছোটদের প্রতি বড়দের ভালোবাসা বাড়াতে হবে অার ছোটদের-ছোটদের ভালোবাসাকে অানন্দের সঙ্গে নিতে হবে। ব্যাপারটা মানা হয়তো ট্যাবুতে অাঘাত লাগা, যা সাধারণত বড়দের জন্যে কঠিন, কিন্তু কবি গুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই বলেছেন, 'কঠিনেরে ভালোবাসিলাম'। হ্যাঁ, বাসিলাম।

অনেক কাহিনী ঘটেছে, ঘটছে। এখন দুইটা বলি।
বুয়েটের এক ছাত্রী। অামাদের রাজপুত্তুরের হাডকোর ফ্যান। সে ফেসবুকে তার প্রোফাইল পিক হিসেবে খালি পুপেদির ফটো অাপলোড দেয়। দেখে দেখে, একদিন তার কাছে জানতে চেয়েছি, 'তুমি তো রাজপুত্তুরের ফ্যান, অার তোমার প্রোফাইল পিক হিসেবে কপি করে নিয়ে অাপলোড দিচ্ছ পুপেদির ছবি। মানেটা কী?'
শ্রীমতী বুয়েটি প্রথমত বলল, 'সে অাপনি বুঝবেন না।'
অাচ্ছা।
শ্রীমতী বুয়েটি দ্বিতীয়ত যা জানাল তারও এক মনোজাগতিক মানে অাছে, মাজেজা অাছে, সংবেদন অাছে। বিড়বিড় করে যেন কী এক অচেনা ভঙ্গিতে সে বলল, 'পুপেদির বয়স তো হারিয়ে ফেলেছি, বাড়ির বড়দের চোখ এড়িয়ে কিচ্ছু করতে পারিনি। এখন অামি অনেক কিছুই করতে পারি, করিও। কিন্তু ওই বয়সটা তো অার পাব না। রাজপুত্তুরকে অামার পছন্দ হইছে, তাই শাড়ি পরা পুপেদির ফটো কপি করে নিয়ে যাই অার মনে মনে পুপেদি হয়ে রাজপুত্তুরের সঙ্গে শালবনে প্রেম করি।'
অাচ্ছা।

অারেকজন ত্রিশ ছুঁই ছুঁই মহীয়সী জানিয়েছেন, 'ঢাকায় গিয়ে অাপনার রাজপুত্তুরকে চটকে দিয়ে অাসব। খুব কিউট।'
এখন ভালোবাসার প্রশ্নে ছোটদের-বড়দের ভাগ করি কীভাবে? হতে পারে, রাজপুত্তুর' ছোটদের ভালোবাসার ছবি। অাবার তা নাও হতে পারে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.