![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন কৃষকের ছেলে, এই হাতে হাল চালাই, এই হাতেই কলম চালাই আবার এই হাতেই কীবোর্ড চালাই। সবকিছুই করার প্রচেষ্টা আমার মধ্যে রয়েছে।
আজ আপনাদের সামনে চাচা কাহিনী তুলে ধরব। এই চাচা কাহিনী সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই “চাচা কাহিনী” নয়। এটা আমার চাচার কাহিনী।
আমার এই চাচা ছিলেন বিটলামিতে অতুলনীয়। পিচ্চি থেকে বুড়া কাওকেই রেহাই দিতেন না। মাথায় সবসময় শয়তানী চিন্তা কাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায়। চাচার বিটলামীর টপ লিস্ট থেকে কয়েকটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এক
চাচা তখন রাবির ছাত্র। নামাজ কালামের ধারে কাছে যেতেন না। এনিয়ে দাদী খুব চিন্তিত । কি করা যায়? তখন তিনি প্রায় জোর করেই তাবলীগে পাঠালেন ছেলেকে। যা হোক চাচা শান্ত ছেলের মতই গেলেন। নামাজ কালাম ও ধর্ম বিষয়ক অনেক কথা বার্তা ইতিমধ্যে শিখে ফেলেছেন। তারপর ফ্রিতে খাওয়া থাকা, বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল তার। মাঝে মধ্যে যে শয়তানী চিন্তা ভাবনা মাথাতে আসছে না তা নয়। একদিন খেয়াল করলেন খাবার সময় বড় হুজুর থাকেন না। তার খাবার আলাদা ভাবে দেওয়া হয়। আপনারা জানেন তাবলীগে সবাই একটা বড় প্লেটে গোল হয়ে বসে খায়। চাচা সুযোগ বুঝে একসময় হুজুরের খাবার চেক করে দেখলেন। হ্যাঁ, অনুমান সত্যি, মুরগীর বড় বড় দুইটা ঠ্যাং সহ আরও অনেক গোস্ত রাখা হয়েছে। চাচা তখন মনে মনে ভাবলেন ‘এই ব্যপার! আপনি মুরগীর ঠ্যাং আর আমরা কচুর লতি, দেখাচ্ছি মজা।’ কিন্তু কিভাবে হুজুরকে শায়েস্তা করা যায় এ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত, এ সময় মনে পড়ল হুজুরের সেন্ডেলের কথা। হুজুরের সেন্ডেল জোড়া বেশ দামী এবং নতুন। তিনি সেগুলো মেরে দিলেন। যথারীতি বিক্রি করে পুরদস্তুর নাস্তা করলেন। ফিরে এসে দেখলেন হুজুর বেজার মুখে বসে আছে। কি হয়েছে বলতেই হুজুর তার সেন্ডেল বিলাপ শুরু করে দিলেন, চাচাও তার সাথে শামিল হলেন এবং হুজুরের সেন্ডেল হারানোর ব্যপারে গভীর সমবেদনা জ্ঞ্যাপন করলেন এবং প্রস্তাব দিলেন “হুজুর আগামী ওয়াক্তে পাশের মসজিদ থেকে কি একজোড়া আপনার জন্য চুরি করে নিয়ে আসব?” হুজুর কড়া কথা বলতে গিয়ে থেমে গেলেন, শেষমেশ বলেই ‘ফেললেন যাও নিয়া আস।’ চাচা মনে মনে ভাবলেন ব্যটাই টোপ গিলছে। যাক হুজুরের হুকুম মত পাশের মসজিদ হতে সবচেয়ে দামী ও নতুন সেন্ডেল জোড়া চুরি করে এনে হুজুরের সম্মুখে হাজির করলেন। হুজুরতো বেসম্ভব খুশি! এ যে তার খোয়া যাওয়া সেন্ডেলের চেয়ে দামী ব্র্যান্ডের। কাহিনী কিন্তু শেষ হয় নাই টুইস্ট কিন্তু বাকি আছে। পরদিন চাচা কি চাচা সেই মসজিদে গিয়ে খতিবকে ‘গতরাতে আপনাদের এখান থেকে কি কোন স্যান্ডেল চুরি হয়েছে’ বলতেই তিনি বললেন ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, নতুন একজোড়া স্যান্ডেল চুরি হয়েছে, চেয়ারম্যান সাহেবের।’ চাচা মনে মনে ভাবলেন পড়বি তো পড় মালীর ঘাড়েই! চাচা বললেন, ‘আপনি কি স্যান্ডেল চোর ধরতে চান? তাহলে আজ আপনাদের এখানে তাবলীগের যে দলটা আসবে তার হুজুরের পায়ে দেখবেন সেই স্যান্ডেল।’ তারপর চাচা তাবলীগে না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে আসলেন। পরের ঘটনা আর নাই বললাম। হুজুরের মুরগী খাবার ইচ্ছা অন্তত আর হবেনা।
দুই
আপনারা জানেন আমার বাড়ি রাজশাহী। ব্যপার সেটা না ব্যপার হল আম। আম কুড়ানোর যে কি মজা যে এই কাজ না করেছে তাকে বলে বোঝানো যাবেনা। চাচা প্রতিদিন খুব ভোঁরে ঘুম থেকে উঠে ছোট্ট একটা টর্চ নিয়ে আম কুঁড়াতে যেতেন। আমও পেতেন বেশ! সব কিছুই রুটিন মাফিক হচ্ছিল। কিন্তু একদিন বাগানে গিয়ে কোন আম পেলেন না। তার মনে হল কার এত বড় সাহস! আমার আগে এভাবে আম কুঁড়িয়ে নেয়। সকাল বেলা জানতে পারলেন পাশের বাড়ির দুই ফুপু এই কাজ করেছে। এবার যাবে কোথায় পড়েছ মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে। পরদিন শেষ রাতের দিকে চাচা একটা লম্বা সাদা চাঁদর নিয়ে বাগানে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন ফুপুরা আসছে। ব্যাস তিনি চাদরটি দিয়ে মুখ ঢেকে দুইহাত উঁচু করে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর ফুপুরা তো দুরের কথা অন্য কেওই আর রাতের বেলা বাগানে যেত না।
তিন
এবারের ঘটনা শীতে। সে বার প্রচুর শীত পড়েছে। মাঘ মাস তার পরে হিম শ্বৈত্য প্রবাহ চলছে। এমন এক রাতে চাচা ও এলাকার এক বড় ভাই বসে গল্প করছে-
চাচাঃ দাউদ বেটা এবার খুব জাড়(শীত) পড়ছে তাই না?
দাউদঃ হ্যাঁ গো চাচা। কিন্তু আমাখে এত জাড় লাগে না।
চাচাঃ তাই! এখুন পারবি সাঁতার কাট্যা পুকুরের এ মাথা থাইকা ঐ মাথায় যাতে?
দাউদঃ কুনু ব্যপার! কি দিবা বুলো?
চাচাঃ দশটা ডিম খাওয়াবো।
দাউদঃ ঠিক আছে।
দাউদ ভাই নেংটি ঠুকে পুকুরে ঝাঁপ দিলেন আর চাচা আর এক দিক দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেন।
আরো অনেক অনেক কাহিনী আছে পরে সময় পেলে শেয়ার করব।
সেই চাচা এখন কত সংসারিক। একটা উপজেলার ইউ এন ও পদে চাকরি করছেন। জীবনের অনেকটা বছর সেই চাচার হাত ধরে ঈদগাহে গেছি। কিন্তু এখন সবাই ব্যস্ত নিজ কর্মে। আপনাকে অনেক মিস করি চাচা। আপনি কি পারবেন না এবারের ঈদটা আমাদের সাথে করতে।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: এ রকম কমেন্টের জবাব কি ভাবে দিব!
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চাচা কাহিনী মজা পেলাম ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৭
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: মজা পেলেই আমার কষ্ট সার্থক।
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভাল থাকবেন সবসময়।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৯
আমি যে আমার মতো, কারো মতো নই! বলেছেন: তারপর চাচা তাবলীগে না গিয়ে সোজা বাড়ি চলে আসলেন। পরের ঘটনা আর নাই বললাম। হুজুরের মুরগী খাবার ইচ্ছা অন্তত আর হবেনা।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৯
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন:
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হাহাহ, খুব মজা পাইলাম ||
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আম চুড়ি ঠ্যাকানের কাহিনিডা বেশি মজার হইছে !!!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৩
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আমারও অইডা ভালা লাগছে
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২০
নূর আদনান বলেছেন: চাচা-ভইজত্যা যেখানে..........তারপর কিযেন?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৮
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: হবে কিছু একটা!
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩০
আহলান বলেছেন: বানান্টিক নাতো ... !
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: কি কন! বিশ্বাস না হইলে আমার এলাকায় খোঁজ নিয়া দেখতে পারেন
৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৩
বোহেমিয়ান বলেছেন:
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ঈদ মোবারক।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫০
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন:
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: প্রিয় প্রিন্স হেক্টর ঈদ মোবারক।
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ব্যাপক. হইছে
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ঈদ মোবারক।
১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আরও চাচা কাহিনী পড়ার অপেক্ষায়।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: সুপ্রিয় ভাই অনেক ধন্যবাদ।
সময় পেলে আরও শেয়ার করব।
ঈদের শুভেচ্ছা রইল।। ঈদ মোবারক।।
১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: মজা পাইলাম
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: তাই!
ঈদ মোবারক।
১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
নীল-দর্পণ বলেছেন: চাচার ভাতিজা কেমন ছিল সেটা জাতি জানতে চায়
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ভাতিজা চাচার ষোল আনা গুন না পেলেও বার আনা পাইসে।
ঈদের শুভেচ্ছা নিন আপু। ঈদ মোবারক।
১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হেব্বি। চাচাকাহিনী চলুক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: চলুক!
ধন্যবাদ হাসান ভাই।
ঈদ মোবারক।
১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
টুম্পা মনি বলেছেন: হেব্বি। চাচাকাহিনী চলুক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: চলুক।
প্রিয় টুম্পামনি নাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা 'ঈদ মোবারক'
১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
জাতির মামু বলেছেন: মজা পাইলাম চাচাকাহিনী চলুক।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দেখি!
বাসায় আইসা খাইয়া যাও। কবে আসবা কও?
ঈদ মোবারক।
১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১
চতুষ্কোণ বলেছেন: জোস হইছে। চলুক..
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩০
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: দেখি কতদূর চালানো যায়। ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক।
১৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চাচা তো সেইরাম ! চাচা কি এবার তোমার সাথে ঈদ করেছে !
ঈদ মোবারক সজীব !
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই। কেমন আছেন? ঈদ কেমন কাটালেন?
না এবারও করছে না।,
ব্যপার সেটা না সালামী কই। ছোট ভাইদের সালামী না দিয়া কই পালাইছেন ।
আপনার ও আপনার পুরো পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা "ঈদ মোবারক"
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: চাচার পোলাটা যে কি হবে!!!!!????
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: