নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলে সন্তানেরা কার কাছে থাকবে বা কে হবে তাদের অভিভাবক/ তত্ত্বাবধায়ক হবে তা নিয়ে প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয়। নাবালক সন্তানের ত্বত্তাবধান, অভিভাবকত্ব ও ভরনপোষণের বিষয়গুলি পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ ও গার্ডিয়ানস এন্ড ওয়ার্ডস অ্যাক্ট ১৮৯০ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ অনুসারে, সাধারনত একজন শিশু সন্তানের ত্বত্তাবধানের অধিকার বা দায়িত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পেয়ে থাকে ঐ শিশু সন্তানটির মাতা। শিশুসন্তানের দেখাশোনার বিষয়ে (জিম্মাদারির ক্ষেত্রে )সবচেয়ে বড় অধিকারী হলেন মাতা। তিনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্তানের জিম্মাদার হয়ে থাকেন; কিন্তু তিনি কখনও অভিভাবক হতে পারেন না।
নিম্নোল্লিখিত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন মাতা তার শিশু সন্তানের ত্বত্তাবধানের দায়িত্ব বা অধিকার পেয়ে থাকেন
ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে ৭ বছর আর মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটলে বা স্বামী মারা গেলে ছেলেসন্তান ৭ বছর পর্যন্ত এবং মেয়েসন্তান বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত মায়ের হেফাজতে থাকবে, এটাই আইন । এক্ষেত্রে মায়ের অধিকার সর্বাগ্রে স্বীকৃত। এ সময়ের মধ্যে মায়ের অগোচরে যদি বাবা জোরপূর্বক সন্তানকে নিজের হেফাজতে গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে পিতার বিরুদ্ধে মামলা করা দেয়া যাবে।
তবে, কিছু কারণে মাতা সন্তানের জিম্মাদারিত্ব হারাতে পারেন
— পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে
— নীতিহীন জীবনযাপন বা অনৈতিক জীবন যাপন করলে
— সন্তানের প্রতি অবহেলা বা অযত্ন করলে
— দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে
— বিয়ে থাকা অবস্থায় বাসার বসবাসস্থল থেকে দূরে অবস্থান করলে
— ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম গ্রহণ করলে
— যদি সন্তানের পিতাকে তার জিম্মায় থাকা অবস্থায় দেখতে না দেয়।
— দুশ্চরিত্রবান হন, বিশ্বস্ততা হারিয়ে ফেলেন, ইত্যাদি।
এসব বিষয় দেখা দিলে পিতা মামলা করে তার জিম্মাদারিত্ব নিশ্চিত করতে পারবেন।
মুসলিম আইনে মা সন্তানের আইনগত অভিভাবক নন। কেবলমাত্র জিম্মাদার।
মায়ের অবর্তমানে যারা শিশুর জিম্মাদার হতে পারেন-
১। মায়ের মা যত উপরের দিকে হোক (নানী, নানীর মা)
২। পিতার মা যত উপরের দিকে হোক (দাদী, দাদীর মা)
৩। পূর্ণ বোন (মা,বাবা একই)
৪। বৈপিত্রেয় বোন (মা একই কিন্তু বাবা ভিন্ন)
৫। আপন বোনের মেয়ে (যত নিচের দিকে হোক)
৬। বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে (যত নিচের দিকে হোক)
৭। পূর্ণ খালা (যত উপরের দিকে হোক)
৮। বৈপিত্রেয় খালা (যত উপরের দিকে হোক)
৯। পূর্ণ ফুফু (যত উপরের দিকে হোক)
বি:দ্র: উপরে উল্লেখিত আত্মীয়গণ কেবলমাত্র উপরের ক্রমানুসারে একজনের অবর্তমানে বা অযোগ্যতার কারণে অন্যজন জিম্মাদারিত্বের অধিকারী হবেন।
মা এবং নারীদের অবর্তমানে কারা জিম্মাদার হবেন?
মা অথবা অন্যান্য নারী আত্মীয়দের অবর্তমানে শিশুর জিম্মাদার হতে পারেন যারা তারা হলেন:
১। বাবা
২। বাবার বাবা (যত উপরের দিকে হোক)
৩। আপন ভাই
৪। রক্তের সম্পর্কের ভাই
৫। আপন ভাইয়ের ছেলে
৬। রক্তের সম্পর্কের ভাইয়ের ছেলে
৭। বাবার আপন ভাইয়ের ছেলে
৮। বাবার রক্তের সম্পর্কের ভাইয়ের ছেলে।
বি:দ্র=একজন পুরুষ আত্মীয় একজন নাবালিকার জিম্মাদার কেবলমাত্র তখনই হতে পারবেন যখন তিনি ঐ নাবালিকার নিষিদ্ধস্তরের আত্মীয় হন।
* এছাড়া পারিবারিক যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে স্বামী/ স্ত্রী যে কেউ পারিবারিক আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
- এডভোকেট এম টি উল্যাহ
০১৭৩৩ ৫৯৪ ২৭০
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬
এম টি উল্লাহ বলেছেন: মৌলিক পার্থক্য আছে
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আইন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০০
ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: জিম্মাদার ও অভিভাবকের মধ্যে পার্থক্য কিসে হচ্ছে? কেন করা হচ্ছে?