নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করার নিয়ম

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৫

একজন নতুন বিনিয়োগকারীকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবসা শুরু করতে হয়। প্রথমে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস এন্ড ফার্মস- এ নতুন কোম্পানি নিবন্ধন করাতে হয়। নিবন্ধন অফিসটির ঠিকানা টিসিবি ভবন (৭ম তলা), ১, কাওরান বাজার, ঢাকা। কোম্পানি আইন ও অন্যান্য বিধি অনুসারে এটি কোম্পানি, সমিতি ও অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য পৃথক নিয়ম রয়েছে

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মৌলিক তথ্য ঃ

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডার থাকতে হয় দুই জন। আর সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার হতে পারে ৫০ জন। এর বেশি শেয়ারহোল্ডার নিতে হলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত করতে হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা ও অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে কোন কোম্পানিকে লিমিটেড কোম্পানি বলা হয়। যে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানিতে সদস্যের সংখ্যা ন্যূনতম ২ বা সর্বোচ্চ ৫০ জন রাখা হয় এবং সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে কোম্পানিকে প্রদত্ত আইনের আওতায় নিবন্ধিত করা হয়, তাকে ঘরোয়া মালিকানায় সীমাবদ্ধ কোম্পানি বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (Private Limited Company) বলে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর ও ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির কোনো শেয়ারহোল্ডার শেয়ার বিক্রি করতে চাইলে তাকে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যই তা বিক্রি করতে হয়। তবে তাদের সম্মতি সাপেক্ষে বাইরের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করা যায়। কোম্পানি জনসাধারণের কাছে শেয়ার এবং ডিবেঞ্চার ও বন্ডসহ কোনো ধরনের ঋণপত্র বিক্রি করতে পারে না।

**প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠনের প্রক্রিয়া:

আগেই বলা হয়েছে নূন্যতম ২ জন এবং অনধিক ৫০ জন মিলে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
(১) কোম্পানির নাম (নামের ক্লিয়ারেন্স প্রাপ্ত হওয়া আবশ্যক)
(২) সংঘ বিধি ও সংঘ স্মারক।
(৩) শেয়ারহোল্ডারদের বিবরণী (যদি শেয়ারহোল্ডার একজন বাংলাদেশী হয় তবে জাতীয় পরিচয়পত্র)
(৪) পরিচালক বিবরণী (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সহ)
(৫) নিবন্ধিত ঠিকানা
(৬) স্বাক্ষরিত IX ফরম
(৭) বিদেশী শেয়ারহোল্ডার এবং পরিচালক পাসপোর্ট অনুলিপি।

ধাপ-১: নামের ছাড়পত্র:
বাংলাদেশ একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে, আপনার প্রথম পদক্ষেপ প্রস্তাবিত কোম্পানির নাম জন্য একটি নাম ক্লিয়ারেন্স প্রাপ্ত হওয়া। http://www.roc.gov.bd ভিজিট করে নিজের নামে একটি একাউন্ট করে নাম ক্লিয়ারেন্স জন্য আবেদন করতে পারেন। নাম ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করার পর, আপনি একটি ব্যাংক পেমেন্ট স্লিপ পাবেন এবং আপনাকে নির্ধারিত ব্যাংকে ৬০০ টাকা এবং ১৫% ভ্যাট তথা ৯০ টাকা জমা দিতে হবে। পেমেন্ট করার পরে, আপনাকে পুনরায় ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলে নামের একটি ক্লিয়ারেন্স সনদ পাবেন।
নেইম ক্লিয়ারেন্সের জন্য RJSC এর গাইড লাইন অনুসরণ করতে পারেন। গাইড লাইনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

অনুমোদিত নামটি ক্লিয়ারেন্সের তারিখ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে টাইম এক্সটেনশন অনুরোধ দাখিল করে নামটির মেয়াদকাল বর্ধিত করতে পারেন।

ধাপ ২: কোম্পানি নিবন্ধন
কোম্পানি নিবন্ধন করার জন্য RJSC এর ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হয়। এছাড়াও আপনাকে ফরম IX এবং কোম্পানির শেয়ার-হোল্ডিং পাতা (স্বাক্ষরসহ) আপলোড করতে হবে। আপনি সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার পরে, স্ট্যাম্প ডিউটি সহ রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করার জন্য আপনাকে একটি ব্যাংক পেমেন্ট স্লিপ পাবেন।
ব্যাংকের পেমেন্ট করার পরে, আপাতত দৃষ্টিতে আপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। RJSC এর কর্মকর্তারা আপনার প্রদত্ত নথি ও তথ্য পরীক্ষা করবে। তারা সন্তুষ্ট হলে, উক্ত নথি ডিজিটাল-ভাবে স্বাক্ষরিত হবে এবং নিম্নোক্ত ডকুমেন্ট আপনার ই-মেইলে পাঠানো হবে।
১) সার্টিফিকেট অফ ইন-কর্পোরেশন;
২) MOA এবং AOA; এবং
৩) ফরম XII

এসব ডকুমেন্ট প্রাপ্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, কোম্পানিটি নিবন্ধিত হয়েছে। কোম্পানি নিবন্ধনের পর আরও কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়ে। এনবিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী ট্যাক্সের বিষয়টি যথাযথভাবে পরিপালন করতে হয়। একটি ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন রয়েছে, সর্ব ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। আবার কোম্পানির নাম বা লগো ট্রেডমার্কও রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। তবে কোম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত পণ্য বা প্রদত্ত সেবার নাম, লগো ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করে নেওয়া জরুরী অন্যথায় উহা নকল হবার সম্ভাবনা থাকে।


** মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক প্রয়োজনীয় একটা পোষ্ট!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

প্রিয়তে
+++++++

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট আমার কোনো উপকারেই আসবে না।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার লিমিটেড কোম্পানী করার স্বপ্ন সুদূর পরাহত
তাই এই পোস্ট আমার কোন কাজে আসবে বলে মনে হয়না।
আর যদি কখনো অত টাকা হয় তখন আপনার মতো কোন
বিজ্ঞ উকিলকে দ্বায়িত্ব দিয়ে দিব।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন

০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রয়োজনীয় এবং তথ্যবহুল একটি পোষ্ট।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৯

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

সাসু বলেছেন: আমি ঠিকাদারির একটা লাইসেন্স করতে চাই। কি কি করতে হবে?কোথায় যেতে হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.