নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই-কমার্স নীতিমালার বাস্তবায়ন সময়ের দাবি

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কমার্স বা ই-কামার্স কার্যক্রমের সম্প্রসারণের সাথে সাথে এটিকে নিয়ন্ত্রিত ধারায় পরিচালনার স্বার্থে আন্তজাতিকভাবে বিভিন্ন মানদন্ডের প্রতিফলনের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশেও প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা। মূলত দেশের ডিজিটাল কমার্স খাতের সুষম উন্নয়ন, নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদেন সুরক্ষা ও ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে এটি সচেষ্ট ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও নীতিমালা প্রণয়নের দীর্ঘ তিন বছর পার হতে চললেও কার্যত কাঠঅমোগত বাস্তবায়ন বা রূপ প্রদান করা সম্ভব হয় নি।

দেশে ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবে ই-কমার্স কার্যক্রম যাত্রা শুরু করলেও মাত্র আট বছরের ব্যাবধানে ই-কমার্সের আকার এখন প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে যাতে, ছোট বড় প্রায় পঞ্চাশ হাজার প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর তথ্য মতে প্রতিদিন লাখের উপর পণ্য ডেলিভারী হচ্ছে এবং ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে শুধু করোনা কালেই। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর তথ্য মতে প্রতি বছর ই-কমার্সের আকার ৫০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশে ই-কমার্স খাতের আকার হবে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

নতুন নতুন ব্যবসায় ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, প্রান্তিক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণ, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হলেও বিনিয়োগ ও ভোক্তা অধিকার কতটুকু সংরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে নীতিমালার আলোকে সার্বিক কার্যক্রমকে তদারকি ও সুরক্ষা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নামমাত্র সেল গঠন করা হলেও ই-কমার্স খাতে বিনিয়োগের সুরক্ষা, উদ্যোক্তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা, ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি, ভোক্তার অধিকার সংক্রান্ত নির্দেশনা ও প্রতিকারের স্বার্থে লেনদেনের নিরাপত্তা, ডেলিভারী সংক্রান্ত নির্দেশনা, লজিস্টিক সাপোর্ট, নিরাপদ সার্ভার ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহন নীতিমালা, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচী, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিতকরণ, ক্রস বর্ডার রিটেইল সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরী সহ সামগ্রিক বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। অতি সম্ভাবনাময়ী এই খাতের সুষম উন্নয়ন ও ই-কমার্সকে আস্থাশীল করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরী করার স্বার্থে সার্বিক অর্থে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো তৈরী পূর্বক ই-কমার্স নীতিমালার বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।

-এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০


মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা নীতিমালা থাকা দরকার।
কিন্তু নীতিমালা থাকলেই বা ক;জন সেটা মানবে?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.