নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্যাম্পে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করলে আইনি ব্যবস্থা নিবেন যেভাবে

৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১২


ব্যক্তিগত ঋণ, কোন কাজের অঙ্গীকার কিংবা যে কোন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে পক্ষ গণের মাঝে চুক্তি সম্পাদিত হতে দেখা যায় নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। যিনি অঙ্গীকার করেছিলেন যে নির্দিষ্ট একটি তারিখের মধ্যেই উক্ত টাকা পরিশোধ কিংবা কাজটি করে দিবেন কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা ফেরত বা কাজটি করে না দেওয়ায় তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও তিনি সাড়া না দিলে আপনি আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন।

**কীভাবে আইনের আশ্রয় নিবেনঃ

এতে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় আদালতেই আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেওয়ানি আদালতের অশ্রয় নিতে হলে টাকার ক্ষেত্রে মানি মোকদ্দমা আর অঙ্গীকারের ক্ষেত্রে চুক্তির ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মামলা হতে পারে। এবং ধরণ ভেদে কোর্ট ফি দাখিল করতে হয়।
ফৌজদারি আদালতে আশ্রয় নিতে হলে প্রতারণা এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে সিআর (নালিশি) মামলা দায়ের করা যায়। এ ছাড়া থানায় এজাহার হিসেবেও মামলা দায়েরের সুযোগ রয়েছে। আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করলে আদালত জবানবন্দি নিয়ে সরাসরি সমন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি আমলে না নিয়ে পুলিশ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলতে পারে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত আমল গ্রহণ করে আদেশ দেন। ফৌজদারি আদালতে মামলা হলে দায়ী ব্যক্তি জামিন না-ও পেতে পারেন।

**চুক্তি করার সময় মনে রাখতে হবেঃ
সাধারণত চুক্তিপত্র করতে হয় ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর তারতম্য হতে পারে। যেমন অংশীদারি ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র করতে হয় ২ হাজার টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে। ব্যবসার মূলধন ৫০ হাজার টাকার নিচে হলে ১ হাজার টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করলেই চলবে। চুক্তিপত্র নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নোটারাইজড করতে হবে। অংশীদারি চুক্তির ক্ষেত্রে নিবন্ধন করাতে হবে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ থেকে। কোনো জমি বা ফ্ল্যাট কিনতে বায়নানামা সম্পাদন করার প্রয়োজন হতে পারে। বায়নানামাও একধরনের চুক্তি। তবে বায়নানামা সম্পাদন করলে তা অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রশন বাধ্যতামূলক।

-মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
০১৭৩৩৫৯৪২৭০ ( কল করার পূর্বে হোয়াটস্অ্যাপে ম্যাসেজ দিন)

লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'নিরু" এবং 'অসমাপ্ত জবানবন্দী', মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব চুক্তি কি লিখিত হওয়া জরুরী?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার পোস্টগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লগের এখ ধরণের সম্পদ বলা যায়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.