নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু বিবাহ/ একাধিক বিয়ে করার আইনি পদ্ধতি

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৩


বহু বিবাহ বা একাধিক বিয়ে করতে হলে আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তা করতে হয় এবং পূর্বাহ্নে সালিশী পরিষদের নিকট হতে লিখিত অনুমতি না নিয়ে কোন পুরুষ একটি বিবাহ বলবৎ থাকাকালে আর একটি বিবাহ করতে পারবে না এবং পূর্বানুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোন বিবাহ হলে তা মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিষ্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ মালের ৫২ নং আইন মোতাবেক রেজিষ্ট্রী হবে না)।

বহু বিবাহ করার ক্ষেত্রে যা যা করতে হয়ঃ
১. সালিশী পরিষদের নিকট হতে লিখিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করতে হবে এং আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিবাহের কারণ এবং বর্তমানে স্ত্রী বা স্ত্রীগণের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে।
২. আবেদনপত্র পাঠাবার পর চেয়ারম্যান আবেদনকারী ও তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণকে তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবে এবং সালিশী পরিষদ যদি মনে করে যে, প্রস্তাবিত বিবাহটি প্রয়োজন ও ন্যায়সঙ্গত তা হলে কোন শর্ত থাকলে সে সাপেক্ষে প্রার্থীর বিবাহের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারে।
৩. আবেদনপত্র সম্পর্কে সিদ্ধান্তকালে, সালিশী পরিষদ এ সিদ্ধান্তের কারণ সমূহ লিপিবদ্ধ করবে এবং কোন পক্ষ নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের পুনর্বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং এতে সহকারী জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে এবং এর বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
৪. বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের প্রাপ্য মুয়াজ্জল বা মু-অজ্জল দেনমোহরের টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবে। সে টাকা ওইরূপে পরিশোধ করা না হয় তা হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব রূপে আদায় করা হবে।

বহু বিবাহেরে ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের দায়-দায়িত্বঃ

১. বহু বিবাহের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সাহেব স্বামীকে অনুমতি দিতেও পারে আবার নাও দিতে পারে।
২. যদি কোন স্বামী সালিশী পরিষদের মাধ্যমে অনুমতি পেয়ে যায় তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে স্মারক নং- সহ দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি প্রদান করবে।
৩. অনুমতি ব্যতিত স্বামী বহু বিবাহ করলে চেয়ারম্যান সাহেব তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বর্তমান স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করবে।
৪. সালিশী পরিষদের অনুমতি ব্যতিত কোন ব্যক্তি যদি অন্য একটি বিবাহ করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।

**বহু বিবাহের ক্ষেত্রে কাজী সাহেবের দায়-দায়িত্ব:

➖বিবাহটি বরের বহু বিবাহ কিনা তা যাচাই করবে।
➖সলিশী পরিষদের লিখিত অনুমতি আছে কিনা তা দেখবে।
➖সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কাজী সাহেব যে কোন পন্থা অবলম্বন করতে পারে আবার সন্দেহ হলে বিবাহটি নাও রেজিষ্টি করতে পারে।

মনে রাখতে হবে,

কোন পুরুষ যদি অনুমতি বিনা দ্বিতীয় বিবাহ করেন তবে তিনি অবিলম্বে তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের আশু বা বিলম্বিত দেন মোহরের সম্পূর্ণ টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবেন এবং মোহরানার টাকা পরিশোধ করা না হলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের মতো আদায় করা হবে। এছাড়াও স্ত্রী মামলা আনায়ন করলে তাতে দোষী সাব্যস্থ হলে ১ বৎসর পর্যন্ত জেল ও ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড কিংবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবেন। পাশাপাশি দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ৪৯৪ এর বিধান মতে স্বামী যা স্ত্রীর জীবনকালে পুনরায় বিবাহ করেন যে ব্যক্তি যে কোন বর্ণনার কারাদন্ডে যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে তদুপরি অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবে।

- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ, আইনজীবী
01733 594 270

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম কি বলে আর আইন কি বলে।আমাদের কি ইসলাম অনুযায়ী চলা উচিত না আইন অনুযায়ী।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ইসলাম কি বলে?

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আইচ্ছা; বাংলাদেশী কেউ যদি বিদেশে বসে সেই দেশের নিয়ম মেনে ২টা বিয়া করে; তারপর দেশে ফেরৎ যায়; তখনও কি এইসব আইনের পথ ধরে যাওয়া লাগবে?

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: বাংলাদেশের নাগরিকের জন্য দেশীয় আইন প্রযোজ্য হইবে

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

বিটপি বলেছেন: এইসব আইনের ধার কেউ ধারেনা। হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটকের ডায়ালগ ছিল জামাই তার বউকে বলছে, "আমার কামাই বাড়ছে, এক বউ দিয়া আর চলেনা। দ্বিতীয় বিবাহ করব। তুমি রাজী না থাকলে তালাক নিয়া চইলা যাইতে পার।"

আইন যাই বলুক না কেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক বাস্তবতা হল হুমায়ূন আহমেদের ঐ নাটকের ডায়ালগের মত। আইনের দ্বারস্থ হয়ে কেউ কোন সুবিধা করতে পারবেনা।

১০ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.