নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তি করলে যে আইনী সুবিধা পাবেন/ চুক্তির আইনী গুরুত্ব

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬


আর্থিক সহ যে কোন লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র, দলিল বা ডকুমেন্টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আর্থিক লেনদেন সহ যে কোন রকমের অঙ্গীকার /কারবার লিখিত চুক্তির মাধ্যমে হওয়া উচিত। এবং তা নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে করতে হয়।

বাংলাদেশে ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনে চুক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ” An agreement enforceable by law is a contract”. তার মানে বলা হয়েছে, আইন দ্বারা বলবৎযোগ্য সম্মতিকে চুক্তি বলা হয়। সুতরাং যখন একটি সম্মতি আইন দ্বারা বলবৎ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে তখন সেই সম্মতিকে চুক্তি বলা হয়।

চুক্তি করার অযোগ্য ব্যক্তিগণ:

১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী তিন শ্রেণীর ব্যক্তি চুক্তি করার অযোগ্য। যথা-

(১) নাবালক।

(২) মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি।

(৩) প্রচলিত আইন অনুসারে অযোগ্য ব্যক্তি।

চুক্তি আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হল পক্ষগণ যেন তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে অপরপক্ষের অধিকার নিশ্চিত করে। চুক্তির কোন পক্ষ চুক্তির বাধ্যবাধকতা বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে চুক্তি আইন তার প্রতিকার করবে। সোজা কথা চুক্তি আইন চুক্তির পক্ষগণের স্বাধীনতার সীমাকে স্থীর করে দিয়েছে।

** লেনদেনের লিখিত চুক্তি বা দলিল থাকলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর প্রতারিত হলেও আইনের আশ্রয় নেওয়া যায়। যদি কোনো ব্যক্তি প্রতারণা করে এবং প্রতারণার কারণে প্রতারিত ব্যক্তিকে কোনো সম্পত্তি দিতে বাধ্য করে তাহলে প্রতারণাকারীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় প্রকার দণ্ড দেওয়া যেতে পারে দন্ডবিধির ৪০৬ ধারার বিধান মোতাবেক।
দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাহলে তাকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। লেনদেনের দলিল বা ডকুমেন্টস থাকলে কেউ প্রতারণা করার সাহস পাবে না। আর যে কোন চুক্তি সম্পাদনের পূর্বে অবশ্যই আইনজীবীর সহায়তা নিন। চুক্তিপত্র ব্যাতিত পরবতীতে মামলা করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই লক্ষ লক্ষ /কোটি কোটি টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু টাকা খরচ করে চুক্তি সম্পাদন করা উত্তম।

**সাবালক ও নাবালকের যৌথ চুক্তির ফলাফলঃ

কোন নাবালক চুক্তি করতে পারে না। নাবালক চুক্তি করলে সেটা বাতিল বলে পরিগণিত হবে। কোন নাবালক যেমন এককভাবে চুক্তি করতে পারে না, ঠিক তেমনি যৌথভাবেও চুক্তি করতে পারে না। সাবালক ও নাবালক যৌথভাবে চুক্তি সম্পাদন করলে সাবালক ব্যক্তি এককভাবে চুক্তির বাধ্যবাধকতার জন্য দায়ী হবে। সাবালক ব্যক্তি চুক্তির জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবে, কিন্তু নাবালককে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা যাবে না।

- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (এম টি উল্যাহ)
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.