নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস অসমাপ্ত জবানবন্দী, নিরু, গায়েবি শৃঙ্খল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’ ও ‘একাত্তরের অবুঝ বালক’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন বিষয়ক উপন্যাস ‘গায়েবি শৃঙ্খল’: ফ্যাসিস্ট আমলের বিচার বিভাগের কিছু নমুনা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭


বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানি চলছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদে কয়েকটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ঘটনা সম্পৃক্ত মামলার আধিক্য বেশি থাকায় অনেকে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করছে। জামিন শুনানিতে আসামি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীর উপস্থাপনার বিশেষ দিক হলো, মাননীয় আদালত আমার আসামি কোনোভাবেই বিরোধী দলীয় মতাদর্শের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। তিনি ক্ষমতাসীন দলের উপজেলার সহ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক। তার আপন শ্যালক ক্ষমতাসীন দলীয় নমিনেশন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পরিবারের কেউ-ই বিরোধী দলীয় মতাদর্শের রাজনীতিকে ধারণ বা লালন করেন না। তিনি যে ক্ষমতাসীন দলের পোড়খাওয়া নিবেদিত নেতা সেটার স্বপক্ষে জেলা, উপজেলা কমিটির প্রত্যয়নপত্রও রয়েছে এবং সংযুক্তি হিসেবে ফিরিস্তিযোগে দাখিল করা হয়েছে। মূলত একই নামের বিরোধী দলের এক আসামির জায়গায় ভুলবশত তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লার্নেড, তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু চার্জশিটে তো সুস্পষ্টভাবে আপনার মক্কেলের নাম, পিতার নাম, ঠিকানাসহ উল্লেখ আছে এবং তা আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্রের সাথেও মিলছে।

বিজ্ঞ আদালত, ঘটনা তো এখানেই। আপনি জানেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। আমার মক্কেলকে হয়রানি করার হীন প্রয়াসেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এমনটি করা হয়েছে।

আপনার মক্কেল যদি নির্দোষই থাকে তো এতোদিন পরে কেন আসলেন? পুলিশ তো আর স্থানীয়দের বিষয়ে এতো কথা জানে না। তাহলে কী নিজ দলের লোকজনেই এমনটি করেছে বলবেন?

বিজ্ঞ আদালত, আপনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছেন। আমার মক্কেল উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী। নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চক্রান্তেই এমনটি হয়েছে মর্মে অনুমেয়। আর তিনি ঘুণাক্ষরেও তো কখনো কল্পনা করেননি তার নামে কেউ মামলা করতে পারে। মামলার বিষয়ে অবহিত হওয়া মাত্রই সন্দেহ দূর করার নিমিত্তে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করিছেন।

আদালত নথি পর্যালোচনায় এক ঘণ্টা পর আদেশ দিবেন মর্মে জানালেন। আসামি পক্ষে সরকার দলীয় একনিষ্ট নেতা তার যুক্তির স্বপক্ষের মূল কাগজপত্র দাখিল করলেন। উপস্থিত সবাই বিষয়টি হাসি-ঠাট্টায় নিলেও নিরুর মাথায় ধরছে না। তাহলে কী বিচারের ক্ষেত্রে অপরাধ নয়, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয়ই মুখ্য? বিচার হবে তো অপরাধের, রাজনৈতিক মতাদর্শের নয় এবং এটি কখনোই বিচারের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।

গায়েবি শৃঙ্খল, শিকড় প্রকাশনী, পৃ-৪০-৪১

লেখকের অন্যান্য গ্রন্থ- আইন বিষয়ক উপন্যাস 'অসমাপ্ত জবানবন্দী' এবং 'নিরু'; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস 'মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ' এবং 'একাত্তরের অবুঝ বালক' ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব বুঝলাম কিনতু জাতি জানতে চায় : কালো আইন কেনো বাদ দেওয়া হইতেসে না ? পরের ইলেকটেড সরকার এগুলো ওপোনেনট কে দমনে ইউজ করলে এর দায় কার? সাধারণ মানুষ কি করবে যারা আনদোলনে ছিলো ? তারা কেবল শেখ হাসিনার পতন চায় নাই । কালো আইন , ভুয়া মামলা কেনো হইতেসে ? চিনময় দাস, মনজুর আলম পাননা, শহিদ বারি খান এদের যে জেলে পুরে রাখছে সেটার এসপেসেফিক কি মামলায় ?

মানুষ কি বারবার আনদোলন করবে আর মারা যাবে ? সব কালো আইন রেখে দিসে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: কালো আইন কোনগুলো?

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ (Special Powers Act) - এই আইনটি ১৯৭৪ সাল থেকে চলে আসছে এবং দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সন্ত্রাস দমন আইন, ২০০৯ (Anti-Terrorism Act, 2009) বাংলাদেশের আরেকটি বিতর্কিত আইন যা "কালো আইনের" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ।

এসব আইন নিয়ে এই সরকার কি ভাবছে ? পলিটিকাল হাতিয়ার হিসাবে ইউজ করা যায় ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ন্ত্রাস দমন আইন, ২০০৯ (Anti-Terrorism Act, 2009), বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ (Special Powers Act) কালো আইন কোন যুক্তিতে? হ্যাঁ, এসব আইনের অপব্যবহার প্রচুর হয়েছে। সেক্ষেত্রে অপব্যবহার রোধ করলেই তো হয়।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এগুলো নিয়ে বিএনপি বহু কথা বলেছে । সেগুলো রেকরড আছে। এগুলো বাদ দেয় না কেনো ? ভিননোমত দমন করা হয় এসব আইন দিয়ে । জামাতের লোকজন কে ২০০৯ সালের আইন ইউজ করে জেলে ভরতো। এখন তারা পাওয়ারে এসেছে দেখে সব ওকে ?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: এগুলো বাদের কথা তো স্বয়ং জামায়াতও বলছে না! জুলাই প্রস্তাবনাতেও নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.