![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাচুতিয়ার ৫ ই মের তাণ্ডবের কথা মনে আছে?? মনে আছে তারা কিভাবে অগ্নিসংযোগ করে, গাছ কেটে ঢাকাকে ধ্বংসের নগরীতে রূপান্তরিত করেছিলো??
এসব নৃশংসতায় তারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলো শিশু-কিশোরদের। এটা আবেগী বাঙ্গালীর সহানুভূতি আদায়ের পুরনো ট্রিক্স। বিগত দিনে বিভিন্ন জামাত-শিবিরের আন্দোলন নামক সহিংসতায় আমরা এমনটা দেখেছি। তারা শুধু শিশু-কিশোরই নয় মহিলাদেরও ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলো যুদ্ধাপরাধী রায় সম্পর্কিত প্রাথমিক সহিংসতায়।
আসুন সাতক্ষীরায় গত ৩ তারিখে ঘটে যাওয়া যৌথ বাহিনী ও জামাত-শিবিরের সংঘর্ষের নিউজে চোখ বুলাই-
"জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে এবং বালু ও মাটির ঢিবি করে অবরোধের সৃষ্টি করে। সকাল সাতটার দিকে অবরোধ সরাতে পুলিশ-বিজিবি সখীপুর মোড়ে পৌঁছলে জামাত-শিবিরের কয়েকশ নেতা-কর্মী তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ-বিজিবি জবাবে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৪ বছর বয়সী শিবির কর্মী হোসেন আলী মারা যায়। পরে যৌথ বাহিনী গরানবাড়িয়ায় পৌঁছলে জামাত-শিবির কর্মীরা সেখানেও ইটপাটকেল ছোড়ে এবং ককটেল ফাটায়। পুলিশ-বিজিবি গুলি চালালে ১৬ বছর বয়সী শিবির কর্মী আরিজুল ইসলাম মারা যায়।"
এখন আমার প্রশ্ন হলো যেখানে ১৮ বছর বয়সের নিচে কোনো নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্র পাবার অধিকার অর্জন করেন না তথা ভোটাধিকার প্রাপ্ত হননা সেখানে ১৪-১৬ বছর বয়সীরা কোন যুক্তিতে একটি দলের কর্মী হয়?? সংবিধানে এ ব্যাপারে কি কোনো নির্দেশনা নাই???
আমার আরো প্রশ্ন সেসব অভিভাবকদের কাছে যারা এসব কিশোরদের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যেতে দেখেও কিছু বলেন না বা করেন না।
আমার প্রশ্ন নাগরিক সমাজ ও সুশীল সমাজের নিকট- এ বয়সী কিশোরেরা রাজনীতির কি বোঝে?? তাদেরকে রাজনীতির মাঠে দেখেও এনারাও কেনো কাঠের চশমা পড়ে টক-শোতে গলাবাজি করেন?? এদের ব্যাপরে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নাই?? তাদের নিজেদের ছানাপোনাদের তো ঠিকই ইংলিশ মিডিয়ামে কিংবা দেশের বাইরের নামীদামী স্কুল-কলেজে পড়াতে পাঠান। তাদের ছেলে-মেয়েরা যদি এভাবে রাজনীতিতে জড়ায় তাহলে তাদের কি ভালো লাগবে???
আরো খবরঃ
"গত ৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় সহিংসতায় ১৪ বছর বয়সী শিবির কর্মী সিয়াম মস্তান মারা যায়।"
"পয়লা ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর এলাকায় ফুটওভার ব্রীজের সামনে সকাল ১০ টা ৩৩ মিনিটে শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে পাথর নিক্ষেপ করে দীপন পরিবহনের একটি চলন্ত বাস থামানো হয় এবং পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দুই মিনিটের মধ্যেই বাসটি পুড়ে যায়। এ ঘটনার স্থিরচিত্র দেখে পুলিশ ১৪ বছর বয়সী শিবিরকর্মী সাগরকে গ্রেপ্তার করে।"
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন, রেললাইনে নাশকতা, পেট্রোলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণে প্রত্যক্ষভাবে শিবিরের কিশোর কর্মীদের অংশগ্রহন পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ যারা এসব কিশোরদের ব্রেন ওয়াশ করছে তাদের বিরুদ্ধে মেইনস্ট্রীম মিডিয়ায় কোনো প্রতিবেদন আসছে না। তারা যেনো হাসিনার পিণ্ডি চটকাবার ব্রত নিয়ে মাঠে নেমেছেন। "যত দোষ নন্দ ঘোষের" পারফেক্ট উদাহরণ হতে পারে আমাদের মিডিয়া।
যুদ্ধাপরাধের সাথে সাংগঠনিকভাবে সম্পৃক্ত থাকার দায়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়া এ দলটির এহেন নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞ স্বচক্ষে দেখার পরও আমাদের ম্যাঙ্গো পিপলও ভ্যাবদা মেরে বসে আছে ক্যানো সেটাও আমার বুঝে আসছে না। মাঝে মধ্যে ভাবি- এদের পূর্বসূরিরাই কি নিরস্ত্র হাতে লাখে লাখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো অসাম্প্রদায়িক এক বাংলাদের বিনির্মানে?! হাউ ইজ ইট পসিবল?!
হিসাব যে মিলতে চায় না!! যুদ্ধাপরাধীদের নির্যাতন হামলার ক্ষত যে এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে বঙ্গমাতা…
©somewhere in net ltd.