![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খবরটা শুনে বেশ আশ্বস্থ হয়েছিলাম। এবার বুঝি হবে! লাখ লাখ শিক্ষার্থী এবার সঠিক ইতিহাস তো শিখবেই উপরন্তু মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দাবী "অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ" এর দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। কিন্তু আমি এ কী দেখলাম! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী একমাত্র দলটি ক্ষমতায় থাকার পরেও "আজগুবি" সব যুক্তি দিয়ে সাধারণ শিক্ষার মূল পাঠ্যবইগুলোকে "মাদ্রাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য-উপযোগী" করতে গিয়ে বইগুলোর আঙ্গিক ও মৌলিক কিছু বিষয়ে পরিবর্তন যদি শেষপর্যন্ত আনতেই হয় তাহলে সেটা হবে চরম হতাশার।
আসুন এক নজরে দেখে নিই প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো:
জর্জ হ্যারিসনের ছবি বাদ, লেখা থাকবে:
মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জর্জ হ্যারিসনের ছবিসহ ‘দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ লেখাটি পড়বে। কিন্তু মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ওই লেখাটির বদলে ইসলামি সংগীত, হামদ ও নাত পড়তে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে পরিমার্জন কমিটি। এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
তিন সদস্যের পরিমার্জন কমিটি এমন প্রস্তাব দিলেও স্টিয়ারিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ‘দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ পড়বে। তবে গিটার বাজিয়ে গান গাওয়া অবস্থায় তোলা শ্মশ্রুমণ্ডিত ঝাঁকড়া চুলের জর্জ হ্যারিসনের ঐতিহাসিক ছবিটি মাদ্রাসার বইয়ে থাকবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত জর্জ হ্যারিসনের নাম। তাঁর ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানটি নিয়ে এমন হাস্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা জেনে নিশ্চয়ই তাঁর ছবিটি দেখার কৌতূহল শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেবে।
আমার মন্তব্য: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাই সব বলে দিয়েছেন। তাছাড়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যের পেছনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জাগরণী গানের যে অবদান সেটাও কি তারা অস্বীকার করবেন?? হামদ-নাত, ইসলামী গান দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা আসেনি।
কিশোরী হিজাব পরবে, কিশোর পায়জামা:
বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা এবং পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের প্রচ্ছদের ছবি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি। তৃতীয় শ্রেণীর আমার বাংলা বই-এর প্রচ্ছদ চিত্রে এক কিশোর হাফপ্যান্ট পরে নৌকা বাইছে, নৌকায় বসে এক কিশোরী শাপলা ফুল তুলছে। মাদ্রাসার বইয়ে এই প্রচ্ছদ পরিবর্তন করে কিশোরকে পায়জামা পরানো হবে। কিশোরীর মাথায় হিজাব দেওয়া হবে, তার হাফ হাতা জামাটি ফুল হাতা করা হবে।
পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের প্রচ্ছদে ফুল, পাখি, প্রজাপতি ও কাশবন রয়েছে। এর ভেতর নৌকা বাইছে এক কিশোর, নৌকার অপর প্রান্তে ফ্রক পরা এক কিশোরী বসা। এই চিত্রটিও মাদ্রাসা শিক্ষার উপযোগী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের প্রচ্ছদচিত্রে এক গ্রামীণ নারী পানির কলসি নিয়ে ফিরছেন। তাঁর মাথায় ঘোমটা দেওয়া। পাশে আরেক নারী নদীর দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। কিন্তু তাঁর ঘাড়ের পাশ দিয়ে সামান্য পিঠ দেখা যায়। শিল্পীর আঁকা পিঠের এই অংশটিও ঢেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আমার মন্তব্য: এর চাইতে হটকারী সিদ্ধান্ত আর কি হতে পারে?? আমি বুঝি না, মোল্লাদের ঈমানদন্ডের সাথে সাথে বিশেষ দন্ডটিও কি অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ?? তা না হলে সামান্য কিশোরীকে হিজাব পড়াবার মানে কী?? আর তাদের নজর এতকিছু বাদ দিয়ে ঐ সামান্য খোলা পিঠেই বা পড়ে কেনো?? সবচাইতে বড় কথা এসব দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কি শিখবে?? রাস্তায় যখন কাউকে হাফহাতা জামায় দেখবে তখন তার মনে কী খেলা করবে সেটা ভেবে দেখেছেন কী??
লালন শাহের পরিবর্তে ফররুখ আহমদ:
অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে একটি পদ্যের শিরোনাম ‘মানবধর্ম’। এটি লালন শাহের লেখা। প্রথম লাইন হচ্ছে, ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।’ কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এই পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হবে যে, ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। শিক্ষার্থীরা জাত-পাত বা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা মিথ্যে গর্ব করা থেকে বিরত থাকবে।’ (পৃষ্ঠা-৭১)
বিশেষজ্ঞ কমিটি এই কবিতার পরিবর্তে কবি ফররুখ আহমদের পদ্য ‘মেঘ বৃষ্টি আলোর দেশে’ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব দেয়। স্টিয়ারিং কমিটি ওই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আমার মন্তব্য: অসাম্প্রদায়িকতার দারুণ একটি উদাহরণ আলোচ্য কবিতাটি। মোল্লারা কি তাহলে চাননা শিশুরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করুক??
মংডুর পথে বাদ, মদিনার পথে প্রতিস্থাপন:
অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপ্রদাশ বড়ুয়ার গদ্য ‘মংডুর পথে’। বিশেষজ্ঞ কমিটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওই লেখাটি পড়তে দিতে চায় না। তারা মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলীর ‘মদিনার পথে’ লেখাটি প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ অনুমোদন করেছে স্টিয়ারিং কমিটি।
আমার মন্তব্য: বাহ! অপরাপর মাদ্রাসা সংক্রান্ত বইসমূহে তো প্রাণভরে মক্কা-মদিনা বন্দনা করাই আছে। এখানে অতিরিক্তভাবে আবারো এটা টানার হেতু কী??
ভূত ও আছর:
বিস্ময়কর হলেও সত্য, পরিমার্জন কমিটি অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৈলচিত্রের ভূত’ গদ্যটির শিরোনাম পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। তারা ‘ভূত’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘তৈলচিত্রের আছর’ নামকরণের প্রস্তাব করে। তবে স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য সভায় জানান, কোনো লেখকের দেওয়া শিরোনাম পরিবর্তন করা যায় না। তাই এই কমিটির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়নি।
আমার মন্তব্য: হাস্যকর। এর পরেও কি বুঝতে বাকী আছে মোল্লাদের ঘিলু জিনিসটা কী দিয়ে ঠাসা?? যাদের এটুকু সেন্স নাই যে, কোনো লেখকের লেখা রচনার নাম পরিবর্তনীয় নয় তারা কীভাবে গোটা দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে সঠিক জিনিস শেখাবেন??
জ্ঞানদাশের পরিবর্তে মুহাম্মদ সগীর:
নবম-দশম শ্রেণীর একটি পদ্যের শিরোনাম ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু’। এটি লিখেছেন জ্ঞানদাশ। এর পরিবর্তে বিশেষজ্ঞ কমিটি মুহাম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ পদ্যটি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে।
আমার মন্তব্য: দেখা যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বী লেখকদের ব্যাপারে মোল্লাদের এলার্জী বেশ ভালো মাত্রাতেই আছে!
ব্রতচারী নৃত্য বাদ:
সপ্তম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা বইয়ে ব্রতচারী নৃত্যের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্রতচারী নৃত্য বিষয়ে জানতে দিতে নারাজ বিশেষজ্ঞ কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে ব্রতচারী নৃত্যের সংজ্ঞা বাদ দিয়ে লোকজ ব্যায়ামের সংজ্ঞা প্রতিস্থাপন করতে বলা হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটি তা অনুমোদন করেছে।
বইটির সপ্তম পৃষ্ঠায় ব্রতচারী নৃত্যের সংজ্ঞায় বলা আছে, ‘শারীরিক ব্যায়াম ও সুন্দর দেহ গঠনের জন্য চিত্তবিনোদনের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোকনৃত্য দ্বারা সেই অঞ্চলের কৃষ্টি, প্রথা প্রভৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়। এতে ছাত্রছাত্রীদের একদিকে যেমন চিত্তবিনোদন হয়, অপরদিকে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষ্টি বিষয়ে ধারণা লাভ করে। বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগীতির মাধ্যমে যে লোকনৃত্য করা হয়, এসবই হলো ব্রতচারী কার্যকলাপ বা লোকনৃত্য।’
এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রতচারী নৃত্যের এই সাধারণ সংজ্ঞা পরিবর্তন করে লোকজ ব্যায়ামের সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করার কারণটি হাস্যকর।
আমার মন্তব্য: আর পারছিনা! মাইরি বলছি, একসাথে এত বিনোদন অনেক দিন পাই নাই।
পত্রিকান্তরে জানা যায়:
মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষকনেতা ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চাওয়া অনুযায়ী এ পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়া চলছে। সাধারণ বিদ্যালয়ে আগের পাঠ্যবই-ই বহাল থাকবে।
চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সে জন্য বাংলা, ইংরেজিসহ সাধারণ শিক্ষার মূল বিষয়গুলো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গত জানুয়ারিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি স্তরের ২১টি ও দাখিল স্তরের ৩১টি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। তবে নয়টি বইয়ের সংশোধনীর বিষয়ে পরিমার্জন কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এরপর বিষয়টি স্টিয়ারিং কমিটির সভায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপস্থাপন করা হয়। মাদ্রাসা বোর্ড ও এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এই কমিটির সদস্য।
আমার প্রশ্ন হলো: যাদের কথায় এসব পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে তাদের কি আসলেই যোগ্যতা আছে এসব পরিবর্তনের কথা বলার?? অন্তত তাদের যুক্তির যে বলিহারী তাতে তো আমার একপর্যায়ে হাসিই পেলো!!
স্টিয়ারিং কমিটির সভার একটি সূত্র জানায়, বিষয়গুলো স্পর্শকাতর হওয়ায় একধরনের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে কমিটি। মাদ্রাসা-পক্ষকে খুশি করতে কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে, আবার কিছু সুপারিশ বাদও দেওয়া হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো: এখানে স্পর্শকাতরতার কী হলো?? এখানেও তো বায়বীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কিছুই নাই। আর থাকলে সেটা ৯০% মুসলমানের দেশে এতোদিন ধরে চলে আসছে কিভাবে?? আর আগামীতে চলবে কীভাবে?? নাকি এটা শিক্ষাব্যবস্থাকে ইসলামীকরণ করার প্রথম ধাপ?? এ সরকার তো আর আজীবনের ম্যন্ডেট নিয়ে আসেনি!
এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাদ্রাসা শিক্ষার বৈশিষ্ট্য-উপযোগী করতে গিয়ে নয়টি বইয়ে এমন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা পাঠ্যবইয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ও সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। এসব পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে পেরে এনসিসিসির সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কলকাতার মাদ্রাসায় বিপুলসংখ্যক হিন্দু ছাত্রছাত্রী পড়ে। সেখানকার মাদ্রাসার বইয়ে অন্য ধর্মের লেখক, ভিন্ন ধর্ম নিয়ে লেখা আছে। এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়।
পরিমার্জন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম মিয়া প্রথম আলোকে জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কিছু পরিবর্তনের কাজ চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো কারও একক সিদ্ধান্ত নয়, সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবিতে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত মো. আবুল কাসেম মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার দুই স্তরের মূল বিষয়গুলো একই রকম হওয়া উচিত বলে সবাই মনে করেছেন। তার পরও বাস্তবতার নিরিখে কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
আমার প্রশ্ন: কিসের বাস্তবতা?? বোল্ডকৃত অংশটি কি মো: আবুল কাসেমের "বাস্তবতার নিরিখ" সম্পর্কে কোনো ধারণা দেয় না?! বোঝা যাচ্ছে এ পরিবর্তনের পেছনে জনাবের ভালোই প্রভাব আছে। উপরন্তু এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তাও কিন্তু এ পরিবর্তন যে "পাঠ্যবইয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ও সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ" করে সেটা স্বীকার করেছেন।
পরিমার্জন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছিনের মহাসচিব শাব্বির আহমেদ মোমতাজি প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ শিক্ষা জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই যেসব বিষয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।
আমার মন্তব্য: সাধারণ শিক্ষার্থীদের কি ধর্মীয় অনুভূতি নাই?? আর এসবে অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্তই বা হয় কীভাবে??
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাধারণ শিক্ষার বইগুলো মাদ্রাসায় পড়ানোর সিদ্ধান্তটি সরকারের হলেও এগুলো মাদ্রাসা শিক্ষার উপযোগী করার কাজ করেছে মূলত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এনসিটিবি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের হাতে বিষয়টি এখনো পৌঁছায়নি। তবে এনসিটিবির পক্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা ডাকতে শিক্ষাসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এই একটা আশাই আছে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেনো এসব গাঁজাখুরি পরিবর্তনের ব্যাপারটা আমলে না নেয়- সরকারের নিকট চাওয়া এটাই...
তথ্যসূত্র: প্রতিবেদনটি নেয়া হয়েছে প্রথম আলো থেক
পুনশ্চ: লেখাটি পূর্বে আমার ব্লগে প্রকাশিত
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
জাতির বোঝা বলেছেন:
বাংলাদেশের নতুন পাসপোর্টে মন্দিরের ছবি নিয়ে কিছু লিখুন।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: আপনার অনেক যুক্তি হাস্যকর।
ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে আপনার ধর্ম বিদ্বেষী চেহারা ঢাকতে ব্যার্থ হয়েছেন। এদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা হয়েছে "ইন শা আল্লাহ" বলে। ভুলে গেছেন? হ্যা বংগবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের কথা বলছি।
মাদ্রাসা ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাচ্চাদের ধর্মীয় বিধিনিষেধ শিক্ষা দেবার জন্য মহিলার খোলা পীঠ দেখানো জরুরী?
ব্যাপারটা হচ্চে- "যারে দেখতে নারী তার চলন বাকা" এই ধরনের। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাই আপনার মুল সমস্যা । সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বল্লেন আরকি।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৩
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ভাল লিখেছেন তবে আমার একটা প্রম্ন আছে।
জর্জ হ্যারিসনের 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ', লালনের 'মানবধর্ম' মংডুর পথে, তৈলচিত্রের ভূত অথবা ব্রতচারী নৃত্যের সংজ্ঞা ইত্যাদি কি ইংলিশ মিডিয়ামের পাঠ্যপুস্তকে অন্তভূক্ত করা হয়েছে কিনা? যদি অন্তভূক্ত না হয়ে থাকে তাহলে সেই ব্যাপারে প্রতিবাদ করে আপনার পোস্ট কোথায়?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৭
খাটাস বলেছেন: আপনার পোস্টের প্রসঙ্গের সাথে এক মত সন্দেহাতীত ভাবে। কারন পুস্তক পরিবর্তনের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতি রক্ষার বিষয়টা বোধগম্য হচ্ছে না। তবে আপনার উপস্থাপন টা অসাম্প্রদায়িকতার আবেগে ধর্ম বিদ্বেষীতার কিছুটা রোষে পরিপূর্ণ।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোন কিছু সংযোজনে অযৌক্তিক কিছু দেখি না। ব্যাপার টা হাস্যকর দাঁড়ায় তখন ই যখন অন্য ধর্মের লেখকদের লেখা কে সড়িয়ে এবং মুক্তি যুদ্ধের প্রাসঙ্গিক চ্যাপ্টার গুলোকে ইসলামের মোড়কে বেধে ভোটের নেশায় নাকি কিসের নেশায় কাঠ মোল্লা দের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়, যাদের কারণে ইসলাম বারবার ই অপমানের স্বীকার হয়। শিক্ষার্থীরা সব কিছু নিয়েই পড়বে- এটা ই স্বাভাবিকতা। শুধু মাত্র বালক বালিকার ও নারীর পোশাক সংযোজন বেতিত অন্য সংযোজনে আপত্তি দেখি না। কিন্তু যেহেতু সংযোজনে শিক্ষায় ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে বিয়োজনের চেষ্টা চলছে, সেখানে ঘোরতর আপত্তি আছে।
আজিব ভোটের রাজনীতি, নাস্তিক, অন্য ধরমালম্বি ও অনেক দেশ প্রেমিক মুসলমানদের ব্যবহার করে অল্প কিছু রাজাকার নিধনের মুলা দেখিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখান। ভোট শেষে আবার ৯০ ভাগ মুসলমানের সামনে ধর্মের মুলা দেখিয়ে সন্তুষ্টির চেষ্টা। মূর্খ তারাই যারা আবেগে বোধ বুদ্ধি হারায়।
শুভ কামনা।