![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গভীর রাতের বুকচিরে ওঠা অদূরের ক্ষীপ্র তেজের থেকে থেকে ভেসে ওঠা আওয়াজে একটা কথাই আমার অন্তরে প্রতিধ্বনি তোলে, আমি আছি, এখানেই আছি। সামনের বইগুলো আমাকে বলতে থাকে, তুমি আছ, সত্যিই আছ, ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে আজানের দীর্ঘায়িত স্বর বলতে থাকে, তুমি শুনছো, সত্যিই শুনছ। মেয়ে, তুমি তিনটি শব্দ বলতে থাকবে, আমি পালাতে থাকব। বুঝে নাও আমাকে।
স্ট্রিট ফটোগ্রাফির এটা একটা নির্মমতা। মানুষের দু:খ, কষ্ট নিরসনের চেয়ে তা ফ্রেমবন্দী করার তাগিদটাই বেশী মুখ্য হয়ে ওঠে। এই বালকটি অনেকক্ষণ ধরেই আমার দ্বারা অনুসরিত হচ্ছিল। উদ্দেশ্য জীবন পর্যবেক্ষণ। ভাসমান এক মায়ের পাঁচ সন্তানের শেষের আগের এই ছেলেটি তার মা থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছে। ছেলে মাকে ফেলে আসে নি, মা ছেলেকে ফেলে গিয়েছিলো। তবুও একেবারে ফেলে যেতে পারে নি। মাতৃটান! এত সোজা ব্যাপার! শেষমেষ ঠিকই ফিরে এসেছে তবে একটু দূরে রেখে। ছেলেটাকে একটু দূরে রেখেই সন্তান পরিবেষ্টিত হয়ে শেষমেশ ভিক্ষার থাল সামনে পেতে দিয়েছে।
আজকের রাত কিভাবে কাটাবে তারা? এই শীত রাত্রিতে আরেকটা মা ছেলের ঝগড়া ঘটবে কি? শেষমেষ ঝগড়া শেষে অনাহারে কিংবা অর্ধাহারে আবার রাস্তায় বিছানা পাতা হবে কি? রাতের শেষ সময়টায় মাতৃ আলিঙ্গনে বালক নিশ্চিন্ত হবে?
আল্লাহ ভালো রাখুক।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: এরাই জীবনকে আসল সংগ্রামের সাহায্যে দেখতে শেখে।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭
সুমন কর বলেছেন: বেঁচে থাকাটা, আসলেই কষ্টের !!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: জীবন সংগ্রামের!
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন:
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন:
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এদের জন্য খারাপ লাগেই। কিন্তু এদের দুঃখ দুর্দশার ছবিটা আগে না তুলে - তাকে খাওয়ানো দরকার। ভাল ভাবে যাতে বাঁচতে পারে - সেইটার চিন্তা করা দরকার। কিন্তু আমাদের ফটোগ্রাফার - আসলেই অনেক উচ্চ মাপের ফটোগ্রাফার। তারা ছবিতে দুঃখ ফুটিয়ে সুন্দর ক্লিকের বাহবা নেয়। কিন্তু যার দুঃখের কথা বিবেচনা করে বাহবা নিচ্ছে - তার দুঃখের কথাটাই আর মনে থাকেনা।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: এটাই আমার দু:খ।
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৩
গ্রিন জোন বলেছেন: তোল আমাদের ছবি তুলে নিয়ে বেঁচে খাও....রাগত স্বরে এক দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত এক মহিলা সাংবাদিকদের বলেছিল.....বইটার নাম মনে করতে পারছি না.......আসলে আমরা কত টাকা খরচ করি......কত টাকা হারিয়ে যায়, শিল্পপতিরা লাখ লাখ টাকা উড়িয়ে দেয়,, কিন্তু যারা খাবার পায় না তাদের কথা মোটেই ভাবে না। এ সমাজ ব্যবস্থার কি পরিবর্তন দরকার নয়?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবেই আমাদের পরিবর্তিত হতে হবে।
৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
প্রামানিক বলেছেন: এদের জন্য দুঃখ হয়। বড়ই কষ্টের জীবন।