নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মস্তিষ্কের সাথে বসবাস

মুহাম্মদ তৌকির হোসেন

গভীর রাতের বুকচিরে ওঠা অদূরের ক্ষীপ্র তেজের থেকে থেকে ভেসে ওঠা আওয়াজে একটা কথাই আমার অন্তরে প্রতিধ্বনি তোলে, আমি আছি, এখানেই আছি। সামনের বইগুলো আমাকে বলতে থাকে, তুমি আছ, সত্যিই আছ, ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে আজানের দীর্ঘায়িত স্বর বলতে থাকে, তুমি শুনছো, সত্যিই শুনছ। মেয়ে, তুমি তিনটি শব্দ বলতে থাকবে, আমি পালাতে থাকব। বুঝে নাও আমাকে।

মুহাম্মদ তৌকির হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাইটার\'স ব্লকে ভুগছি যখন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১০

কথাবার্তা সাধারণ হয়ে যাচ্ছে। এরকম চললে ডেস্কে জীবনেও দাঁড়াতে পারব না। এই মূহুর্তে বিশাল একটা বই দরকার।

গতকাল নতুন একটা কথা শুনলাম, হুমায়ূন আহমেদ নাকি টাকার জন্যে বই লিখতেন! এটা ঠিক স্যারের বইগুলোতে প্রমথ চৌধুরী গভীরতা পাওয়া যায় না। তাই বলে তিনি যে বই লেখাকে ব্যবসা হিসেবে ধরেছিলেন এ কথাটা বলা ভুল হবে।

আমি কোন গবেষক না, সাহিত্য সমালোচনা করার মতো জ্ঞানও আমার নাই। তবে অপ্রয়োজনীয় বই যা পড়েছি জীবনে, খুব ভালোভাবেই পড়েছি অন্তত এই বিশ্বাস রাখি।

একটা লেখককে কখন আমি লেখক বলব? তার কয়েকটা বই বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে, তাকে বিভিন্ন তথাকথিত একপেশে সাহিত্য সভায় বসে থাকতে হয়, মানুষজন তার হাতের আঁকাবাঁকা স্বাক্ষর বাঁধাই করে রাখতে চায় তাকে? জি না। আমি একজন মানুষকে তখনই লেখক বলব যখন সে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

সে ভাত খাচ্ছে, এমন সময় দেখতে শুরু করলো তার প্রেমিকা তার সামনে ভাত খাওয়া শুরু করেছে। সে লিখতে লিখতো হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখে একটা ট্রেন ঝকঝক করে ধোঁয়া তুলতে তুলতে ঝোপঝাড়ের মধ্যে চলতে শুরু করলো আর দুর্গা, অপু তার সামনে দৌড়াচ্ছে, দৌড়াচ্ছে, দৌড়াচ্ছে...

হুমায়ূন আহমেদ স্যার ছিলেন এরকম একজন অবসেসড ডে ড্রিমার। তিনি যখন চা খেতেন সামনে তাঁর চরিত্রও বসে বসে চা খেতো। হিমু তাঁর সামনে ঘুরঘুর করতো। সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের ট্রলিতে শুয়ে শুয়ে যখন এই মৃত্যু এই জীবন অবস্থা তখন তিনি ভাবছেন, "জোছনা- জননী শেষ করা হলো না! মায়ের প্রতি ঋণ শোধ করা হলো না!"

লেখা আর লেখক এরকম একটা সম্পর্ক! অবিচ্ছেদ্য! প্রেমিকার থেকেও শক্তপোক্ত। রাত জেগে তার কথা শুনতে হয় না, লেখাকেই তোমার কথা বলতে থাক। বিশ্বস্ত সহচর সঙ্গী! জৈবিক তৃপ্তি না পেলেও যে মানসিক তুষ্টি পাওয়া যায় তা প্রথমটির থেকে কম কিছু নয়!

ইমদাদুল হক মিলন আর হুমায়ূন আহমেদ। দুজনেরই প্রাথমিক অবস্থা লেখালেখি করার। এক প্রকাশকের কাছে বেশ কিছু টাকা পান তাঁরা। প্রকাশক তাঁদের চা খাওয়ায়, সাহিত্য নিয়ে বেশ লম্বাচওড়া আলোচনা করেন, "তৈল প্রদান" করেন কিন্তু হাত বেয়ে টাকাটা দেখা যায় না। দিনশেষে তাঁদের ফিরে যেতে হতো।

ইমদাদুল হক মিলন পরবর্তী পর্যায়ে একটা ঘটনা বলেছিলেন। সেই একই প্রকাশক স্যারের কাছে একবার পাঁচ লাখ টাকা ক্যাশ নিয়ে এসে হাজির! এবারের বইমেলায় একটা বই দিতে হবে! স্যারের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। পাত্তা দিচ্ছেন না। সিগারেট টানছেন, মিটিমিটি হাসছেন।

'নন্দিত নরকে'-র সময় হয়তোবা টাকা নামের কাগজগুলো চিন্তা হিসেবে টোকা দিতো স্যারকে, কিন্তু 'নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ' এ এই চিন্তাগুলো আসার কোন অবকাশই ছিলো না কেননা যারা তাদের ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে রাখে তাদের আর চিন্তা থাকে না!

খুবই বাজে কিছু লিখলাম এতক্ষণ। খুবই দূষিত হয়ে গেছে লেখাটা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮

রাফা বলেছেন: হুমায়ুন আহম্মেদ স্যার টাকার জন্য লিখতেন এটা উনি নিজেই বলে গেছেন।আর এটাতে স্যার ছোট হয়েছেেন মনে করার কিছুই নেই।উনি একটি ধারাবাহিক নাটক লিখেছিলেন একটি রঙিন টেলিভিষন কেনার জন্য।উনার সাক্ষাতকারেই আছে।আর বাস্তবতা স্বিকার করে নেওয়ার মধ্যে দোষের কিছু আছে বলে মনে করিনা আমি।বরং ভন্ডামিই কলুষিত করে পুরো সমাজ ও দেশকে।

ধন্যবাদ,মু তৌ.হোসেন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা ভাই মতামতের জন্যে। টাকা ছাড়া যেমন চলা যায় না, মানসিক তৃপ্তি ছাড়া বাঁচা যায় না। তবে স্যারের কাজগুলো দেখে সেটা মনে হয় না।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুবই বাজে কিছু লিখলেন এতক্ষণ এমন মনে হচ্ছে কেন ?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

মুহাম্মদ তৌকির হোসেন বলেছেন: ইদানিং মনের মতো কোন লেখাই দাঁড় করাতে পারছি না। তাই দু:খে ওটা নিচে দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.