![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি প্রায় প্রায়ই হারিয়ে যাই, এর কারণ রোমান্টিকতা নয়, অলসতা। প্রবল আলস্যবোধের কারণে মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজের খুঁজতে ইচ্ছে হয় না।
বিবর্ণ কৃষ্ণচূড়া - ১ম পর্ব
বিবর্ণ কৃষ্ণচূড়া- ২য় পর্ব
ওদের দু’জনের গল্পঃ
নাজিফা ভেবে পায় না এটাকেই কি বলে ভালোবাসা? দমবন্ধ করা অনুভূতির কথাটা কাউকে বলার জন্য ছটফট করে ওর ভেতরটা। সমস্যা হচ্ছে কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না ও। এমন এক ছেলের জন্য ওর গলা মুচড়ে কান্না আসে যে ছেলেটার নাম ছাড়া বলতে গেলে কিছুই জানে না সে। ছেলেটা এত নিভৃতচারী যে কোন বিষয়ে সে পড়াশোনা করে সেটা পর্যন্ত বলেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত সাবজেক্ট। কোথায় গিয়ে খুঁজবে ও আবিরকে? যদি এমন হয় যে আবির বলে কেউ নেই, ওর সাথে নোংরা ফাজলামি করছে কেউ? হতেও পারে, হয়ত ওর কোচিং এর কোন ছেলেই কাজটা করছে। ভাবতে গিয়েই নাজিফার ভেতরটা ঠান্ডা হয়ে যায়। নাহ, এত বড় অপমান নিশ্চই আল্লাহ তার সাথে হতে দেবে না। আবিরকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছে ও। কিন্তু ভয়ে আবিরকে দেখা করার কথা বলতে পারে না। আবির যদি ওকে পছন্দ না করে? ওকে দূর থেকে দেখেই যদি চলে যায়? আবির কালকে ওকে একটা কবিতা পাঠিয়েছে, “তুমি একটি কৃষ্ণচূড়ার কলি”। নাজিফা পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেছে। কান্না সামলে আবার পড়েছে, আবার কেঁদেছে। সুখের কান্না, ভালোবাসার কান্না, উদ্বেগের কান্না। এই প্রথম কেউ তাকে বলেছে সে সুন্দর, ভালোবাসার চাদরে মোড়া রক্তিম ফুলের কলির মতই সে সুন্দর। কিন্তু বুকের কাঁপন বলছে অন্য কথা। দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা ঘাসের ডগায় জমে থাকা ভোরের শিশির বিন্দুকে সূর্যের আলোর প্রতিফলনে হীরে বলে ভ্রম হয়, কিন্তু কাছে আসলে তা সামান্য জলকণা মাত্র। হাওয়ার সামান্য কাঁপনেই তা ঝরে মাটিতে পড়ে নিমিষে মিশে যায়। আবির আবিরের মতই রঙিন, নাজিফা দেখেছে ওকে। আবিরকে অবশ্য বুঝতে দেয়নি ও। গুগলে অনেক খুঁজে আবিরের কয়েকটি ছবি দেখেছে ও। আবির বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলো খাগড়াছড়ি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সবুজ পাহাড়ের ওপর গাঢ় নীল রঙের টিশার্ট পড়া দীর্ঘাকায় কোঁকড়া চুলের হাস্যজ্জ্বল এক তরুন দুই বন্ধুকে জাপ্টে ধরে আছে। আরেকটি ছবি দেখে নাজিফার চোখের পলক পড়ছিলো না, সানগ্লাসে কি হ্যান্ডসামই যে লাগছে আবিরকে। এই ছেলে তার ভালোবাসা কামনা করে? নাজিফার মনে হয় ও বোধহয় রূপকথার রাজ্যে ঢুকে পড়েছে কোনভাবে। ওর বান্ধবীদের কারো বয়ফ্রেন্ড এত সুন্দর না। সবার ঈর্ষামেশানো দৃষ্টি কল্পনায় এখনই উপভোগ করে নাজিফা। আবির রূপকথার রাজপুত্রের মতই স্বপ্নিল। হাতে মোবাইল নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে আবিরের নাম্বার বের করে ও। আজ ও শুনবে ভালোবাসার কন্ঠস্বর... প্রথম ভালবাসা।
মোবাইলের স্ক্রিনে ক্যান্ডি ক্রাশ গেম মুছে গিয়ে বাতি জ্বলতে নিভতে শুরু করে, ফুটে ওঠে পানির বুকে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম ছায়ার এক ছবি। আবির নিঃশ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে থাকে। অনেকদিন আগেই ফোন নাম্বার আদান প্রদান হলেও কেউ কাউকে ফোন করেনি। এতদিন শুধু ক্ষুদেবার্তাই পাঠিয়েছে আর প্রতীক্ষায় থেকেছে কাঙ্ক্ষিত ফোনটির। আবিরের গলা শুকিয়ে কাঠ।
“হ্যালো”
ওপাশে শুনশান নিরবতা।
“হ্যালো” আবির আবার বলে। “কৃষ্ণচূড়া?”
“হ্যাঁ”। প্রাণপণে কান্না সামলে বলে নাজিফা।
“কাঁদছো কেন কৃষ্ণ?”
“তোমাকে দেখবো”।
আবির চুপ হয়ে যায়। কি বলবে সে? কবিতার কথা মনে পড়ে যায়। কবিতাও ছোট্ট করে বলেছিলো, “তোমাকে দেখবো আবির, ভালোবাসবো তোমাকে”। চিরদিন কি দূর থেকে ভালোবাসা যায় না? কেন ভালোবাসা শুধু ভালবাসার স্পর্শের জন্য উন্মাতাল হয়? কেন ভালোবাসাকে প্রতিটি ইন্দ্রিয় দিয়ে জানতে হয়? কেন ভালোবাসাকে মানুষ হাত বাড়ানো দূরত্বে পেতে চায়? কেন শত চেষ্টা করেও ভালোবাসার ডাক অগ্রাহ্য করা যায় না? কেন নেশাগ্রস্ত মানুষ বার বার করা ভুল আবারো করে কষ্ট পেতে চায়? আবির এসব কথাই বলতে চায় নাজিফাকে, কিন্তু সে শুনতে পেলো তার কন্ঠ বলছে, “কখন দেখবে বলো”।
“আজকে বিকেলে?”
“কোথায় বলো”।
“ধানমন্ডি লেকে?”
“ওখানে তো অনেক ভীড়-ভাট্টা”।
“তাতে কি? ভীড় তো আমাদের চেনে না, আমরাও ভীড়কে চিনি না”।
আবির হেসে ফেলে। সত্যি তো। ভীড়ের মাঝে একা একা কি সে কখনো হাঁটেনি? আজ না হয় দুজন মিলেই একলা হবে। “ঠিক পাঁচটায় থেকো। আমি আসবো”।
“তুমি আমাকে চিনবা কিভাবে? কি রঙ এর কাপড় পড়বো?”
“আমি তোমাকে চিনে নেবো। তুমি শুধু থেকো”।
আবিরের অস্থিরতা কমে না। কৃষ্ণচূড়া তার দুর্বলতাকে মেনে নেবে তো? কিছু বলবে না বলবে না করেও সে বলে ফেলে, “কৃষ্ণ, আমি দেখতে ভালো না”।
“আমার চেয়ে খারাপ নিশ্চই না!”
“কৃষ্ণ, তুমি অনেক সুন্দর। তোমার কোন খুঁত নেই। আমার...আমার সমস্যা আছে”।
“আবির, তুমি যেমনই হও আমার চোখে তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ছেলে। তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা। কি সমস্যা তোমার?”
কথাগুলো আবিরের গলায় এসে আটকে যায়। শুধু বলে, “আমি দেখতে ভালো না। আমার ভয় হয় তুমি আমাকে পছন্দ করবা না। তুমি আঘাত দিলে আমি সইতে পারবো না কৃষ্ণ। তার চেয়ে আমরা চলো দূর থেকেই ভালোবেসে যাই”। আবিরের কন্ঠে মিনতি ঝরে পড়ে।
নাজিফা কিছুতেই শুনবে না। সে বারংবার আবিরকে বলতে থাকে যে ভালোবাসার চোখে আবিরই তার স্বপ্নের রাজপুত্র। আর আজীবন কি এভাবে মুঠোফোনে ভালোবাসা সম্ভব? আবির হাল ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে শেষমেষ।
“ওকে। ঠিক বিকাল পাঁচটায়। দেরী করেও লেট কইরো না কিন্তু!”
বিকাল পৌঁনে পাঁচটাতেই উদ্বিগ্নমুখে নাজিফাকে রবীন্দ্রসরোবরে বসে থাকতে দেখা যায়। তিনবার ড্রেস চেঞ্জ করে শেষপর্যন্ত কালো রঙের লং সালোয়ার কামিজটায় থিতু হয়েছে সে। কালো রঙের নাকি কি যেন ইফেক্টে মানুষকে একটু শুকনা দেখা যায়। আপুকে দিয়ে চোখে আইলাইনার আর কাজল লাগিয়ে নিয়েছে। চুলগুলোও আপু হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে টেনে সুন্দর করে এক পাশে আটকে দিয়েছে। হিল পড়ে সে মোটেই অভ্যস্ত না, আজকে পড়ে মহা ঝামেলায় আছে। বেরুবার মূহুর্তে আপু কপালে একটা কালো ছোট্ট টিপ লাগিয়ে দিলো, তাতে তাকে আরো মিষ্টি দেখাচ্ছে। আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই অবাক, লাজুক একটা মেয়ের প্রতিচ্ছবি। রাঙা একটা আভা তাকে ঘিরে আছে। প্রথমবারের মত তার নিজেকে দেখে মনে হলো, সে তো দেখতে খারাপ না। গায়ের রঙটাও আসলে শ্যামলাই, কালো মোটেই না। নাজিফার সবকিছু নিয়ে টেনশন লাগছে। বাসায় বলে এসেছে বন্ধুর জন্মদিনে যাচ্ছে, ঠিক সাড়ে সাতটার মাঝে বাড়ি না ফিরলে নির্ঘাত আম্মু ভাইয়াকে পাঠিয়ে দেবে। আবির দেরী করলে মূল্যবান আড়াই ঘন্টার মাঝে বেশ কিছু মিনিট নষ্ট হবে। আকাশের মতিগতিও বোঝা যাচ্ছে না; একটু আগেই রোদ ছিল, এখন কোথাথেকে যেন মেঘ এসে আকাশ ঢেকে ফেলেছে। আচ্ছা এই মেঘগুলোর কি বিচার বুদ্ধি কিচ্ছু নাই? আর আবিরটাই বা কই? টেনশনে ঘামতে থাকে নাজিফা।
আবির খুব কাছে দাঁড়িয়েই নাজিফাকে দেখছে, মেয়েটা টেনশনে ইতিউতি চাইছে। আবিরের পিঠের ব্যাগে পাঁচটা গোলাপ, কবিতায় মোড়ানো। হাতে গোলাপ নিয়ে আসতে লজ্জা লাগে, তাই ব্যাগ বয়ে আনা। আবিরও মেঘলা আকাশ দেখে একটু বিরক্ত। ভেবেছিলো অনেকক্ষণ সানগ্লাস পড়ে থাকবে। চাচাতো ভাই ইংল্যান্ড থেকে সানগ্লাসটা পাঠিয়েছিলো, ওকে পড়লে দারুন লাগে দেখতে। প্রিন্টের শর্ট শার্ট আর জিন্সে ওকে আজকে ভালোই দেখাচ্ছে, বের হবার সময় আম্মা আর মহুয়া দুইজনেই হাসাহাসি করছিলো যে সে নাকি জামাই সাজে বাইরে যাচ্ছে। পাঁচটা বাজার আর মাত্র দুই মিনিট বাকি। আবির আস্তে আস্তে নাজিফার পিছে দাঁড়ায়। সমস্ত সাহস একত্রিত করে সে ডাকে, “কৃষ্ণ?”
ডাক শুনে নাজিফা চমকে তাকালো। আবির এসেছে? আলোয় উদ্ভাসিত সদ্য ফোঁটা গোলাপের মতই ওকে আনন্দিত দেখায়। “আসছো??”
“হু, আসলাম তো”।
নাজিফা হড়বড় করে কথা বলতে থাকে, অর্থহীন কথা। অতিরিক্ত উত্তেজনায় কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। অর্ধেকের বেশীই আবির বুঝতে পারছে না। জন্মদিন, আম্মু, দুপুর, টেনশন – টুকরো টুকরো শব্দগুলোকে নিজের মত করে বাক্য বানিয়ে হু হু করে যায় ও। নাজিফা হঠাৎ খেয়াল করে যে আবিরকে ও কোন কথাই বলতে দিচ্ছে না। লজ্জিত হয়ে কথা থামায়, “আচ্ছা, এবার তুমি কথা বলো। তুমি তো কথাই বলো না!”
“কি বলবো? তুমি বলো, আমি না হয় আজ থাকি শ্রোতার ভূমিকায়”।
“এভাবে কবিতা কবিতা করে কথা বলবা না। আমি জানি তুমি অনেক ভালো ল্যাখো, আমি তো নরমালি কথা বলি”।
আবির হাসে।
“এত্ত মিথ্যা বলো তুমি! তোমার কি সমস্যা? কই?” দম না ফেলেই আরেক প্রসঙ্গে রওনা দেয় নাজিফা, “আচ্ছা এই বিকাল বেলায় তুমি সানগ্লাস পড়ে আছো ক্যান? মানুষ কি ভাবতেছে?”
আবিরের বুক কিন্তু এবার আর কাঁপে না। সামনে বসা কিশোরীর দিকে তাকিয়ে থাকে ও। মেয়েটা অস্থির হয়ে কথা বলছে, কি ব্যাগ্রতা আবিরের সামনে নিজেকে প্রমাণ করার। ভালোবাসার শক্তি আসলেই অসীম। আবির আস্তে করে সানগ্লাস খুলে নাজিফার দিয়ে তাকায়।
নাজিফা প্রথমে থতমত খেয়ে যায়, আবির কি ওর সাথে দুষ্টামি করছে নাকি? করতেই পারে! চোখের মণি ওলট পালট অনেকেই করতে পারে। উচ্চস্বরে হেসে ওঠে সে।
“অ্যাই চোখ এভাবে ট্যারা করে রাখছো ক্যান?? আমাকে ভয় দেখাও! ঠিক করো!”
আবিরের কান লাল হয়ে যায়। অদ্ভুত দৃষ্টিতে ও তাকিয়ে থাকে নাজিফার দিকে।
“আরে বাপ হইছে তো! এরকম হাস্যকর ভাবে তাকায় থাকবা না। উইয়ার্ড লাগতেছে”।
আবিরের অনেক কষ্ট হয় কথাটা বলতে, “কৃষ্ণ, আমার চোখ এরকমই”।
নাজিফা হতভম্ব হয়ে যায়। এই তাহলে আবিরের সমস্যা। এত ভয়ংকর কথা এতদিন এই ছেলে তাকে বলেনি? না হয় সে একটু কালো, তাই বলে বিধাতা তার সাথে এত বড় রসিকতা করবে? ট্যারা ছেলে? এজন্যই সে কোথাও ছবি দেয়না, খাগড়াছড়ির ছবিগুলোতেও ছিল সানগ্লাস পড়া। নাজিফার মাথা ঘুরতে থাকে। এই ছেলে নিয়ে সে বান্ধবীদের সামনে যাবে কিভাবে? গ্রুপ ডেটে এই ছেলে তো তাকিয়ে থাকবে নাজিফার দিকে অথচ বান্ধবী ভাববে যে তাকিয়ে আছে তার দিকে! এই ছেলের সাথে রাস্তায় বেরুলে তো টিজ শুনতে শুনতে তাকে মরে যেতে হবে।
“তুমি...তুমি ট্যারা? জন্মগত?”
তীব্র অসহায়ত্বে আবিরের শরীর কাঁপতে থাকে। আসার আগে রিক্সায় বসে কৃষ্ণচূড়ার অনেকরকম প্রতিক্রিয়া সে কল্পনা করেছে। তার মাঝে বিষ্ময়, করুণা, আহত, আদর, মায়া, গাঢ় ভালোবাসা সবই ছিল, কিন্তু অবজ্ঞা মিশ্রিত ঘৃণার কথা একবারো তার মনে আসেনি। সে কি বোকা! ভেবেছিলো যে ভুক্তভোগী একটি মেয়ে হয়ত তার কষ্ট বুঝতে পারবে। তার শারীরিক দুর্বলতাকে ছাপিয়ে তার ভালোবাসাই হবে মেয়েটির কাছে মুখ্য। সাত বছরের ছেলেটির কথা মনে পড়ে তার, খেলতে গেলেই “ট্যারা আইছে” “ট্যারা আইছে” বলে বাকি ছেলেরা চেঁচাতো, কেউ খেলায় নিত না। ষোল বছরের শান্ত কিশোরের চেহারা তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে যে দুরন্তপনার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে সারাদিন বই এ মুখ গুঁজে থাকতো কারণ আড্ডায় সবাই তাকে “ট্যারা আবির” ডাকতো। শৈশব-কৈশোরে দৌড়ে গিয়ে মায়ের কোলে মুখ গুঁজে থাকতো। তাকে কখনো কিছু বলতে হয়নি, তার মা কিভাবে কিভাবে যেন সব বুঝে যেত।
সানগ্লাসটা তুলে ঝট করে উঠে দাঁড়ায় ও। “তুমি দেখতে অপরূপা নও, নিশ্চই জানো তুমি। আমি তোমাকে একদিন কাঁদতে দেখেছিলাম রিক্সায়। দেখে মনে হয়েছিলো তুমি আমারই মত একজন, আমারই মত বুকে কষ্ট চাপা দিয়ে রাখো। আমি ভুল বুঝেছিলাম। তুমি আর বাকি সবার মতই। নিজের যত খুঁতই থাকুক, মনের মানুষটা হতে রূপকথার রাজপুত্র। কোথায় তোমার ভালোবাসার চোখ যাতে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ছেলে? মুখেই তোমাদের বড় বড় কথা, আসলে শারীরিক সৌন্দর্যের উর্ধ্বেও যে অন্যকিছু আছে সেটা বোঝার ক্ষমতাই নাই তোমার। আমি তোমার গায়ের রঙ দেখিনি, দেখেছিলাম তোমার মনের রঙ। কিন্তু সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। তুমি আমার কৃষ্ণ না, কখনো ছিলেও না। কখনো তুমি কারো কৃষ্ণ হবেও না”।
নাজিফা কাঁদতে থাকে। আবির নামের কোঁকড়া চুলের তরুন দৃঢ় পদক্ষেপে চলে যাচ্ছে। নাজিফার তাকে ডাকার কোন সাহস নেই। আকাশ বুঝি নিচের মানুষ নামক নির্বোধ প্রাণীগুলোর কর্মকান্ডেই লজ্জিত হয়ে অঝোরে কান্না শুরু করলো। আশেপাশে মানুষ ছুটাছুটি করছে। নাজিফা রবীন্দ্র সরোবরের মাঝখানের সিঁড়িটাতেই বসে থাকে। বৃষ্টির যদি ক্ষমতা থাকে তার ক্ষুদ্রতা ভাসিয়ে নিয়ে যাবার, তাহলে যাক না।
রিক্সায় বসে এক তরুন হাউমাউ করে কাঁদছে। বৃষ্টির ফোঁটা আর তার অশ্রু মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার তৈরী করা নিখুঁত মনের একজন তরুন।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল মামু
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
ত্রিনিত্রি বলেছেন: উপরের কড়া কথা শুনে নিচের প্লাসগুলি কি আসলেই আমার জন্য কিনা একটু চিন্তায় পড়লাম।
আচ্ছা, এই গল্প বাদ দেন। আগামীটাতে মিল করায় দিবো!
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
বোকামন বলেছেন:
সময় করে ১ম থেকেই পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম। শেষ করে আবার কথা হবে।
ভালো থাকুন লেখক।।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন:
আপনের নামে কেইস কইরা দিমু মিয়া !! মিল করলে কি এমন হত !
উকিল ঠিক কইরা নেন, আমি কেইস করতে যাইতাছি !!
++++
উনার সাথে সহমত। তিন পর্ব পড়ে শেষে বিচ্ছেদ? মানা সম্ভব নয়।।
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
ত্রিনিত্রি বলেছেন: তারপরেও পিলাচের জন্য ধইন্যা
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
মাহবু১৫৪ বলেছেন:
এইভাবে কষ্ট দিলেন!! মিল করলে কি এমন হইতো???
পোস্টে ++++++
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: মিল করলে আমার কাছে মনে হচ্ছিল একটু নাটকিয় হয়ে যাবে। কিন্তু এখন কমেন্ট গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে মিল করাই দরকার ছিল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
বোকামানুষ বলেছেন: আমারতো এই শেষটাই ভাল লেগেছে সবাই না আবার ধরে আমাকে পিটানি দেয়
৩য় +++++
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: যাক কেউ তো একজন সাথে পাইলাম!! পিটাইতে চাইলেই হবে? আমাদের পা আছে না?
ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
আরিফ রুবেল বলেছেন: ফিনিশিং ভালো হইছে আপু
+++++
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
স্বপ্নছায় বলেছেন: আমি তো আবিরের প্রেমে পড়ে গেলাম....
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: এরকম ছেলেরই প্রেমে আসলে পড়া দরকার!
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
ডরোথী সুমী বলেছেন: মিল থাকলে খুব খুশি হতাম যদিও সেটাই বরং অস্বাভাবিক হোতো। যেভাবে সমাপ্তি টেনেছেন বাস্তবে এমনটাই ঘটে। সেই সত্যটা আবার মনে করিয়ে দিলেন, আমরা দেখতে যেমনই হই না কেন সুন্দরটাতেই আকর্ষিত হই। এজন্যই মনের সৌন্দর্যও অধরা থেকে যায়। গল্প ভাল হয়েছে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধনে পাতা!
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ভালো লাগল
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
মুনসী১৬১২ বলেছেন: সমাপ্তিতা সুন্দর হয়েছে.................. পাঠক এমনটি আশা করবে না...........
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
ত্রিনিত্রি বলেছেন: হু সবাই বোধ হয়ে মিল চেয়েছিলো!
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই সমাপ্তিটাই ভাল লাগল বেশি। ধরেই নিয়েছিলাম শেষে ওদের মিল হবে। অবশ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। ট্যারা হলে এমন কি ক্ষতি! কত লোকইতো ট্যারা থাকে, তাতে সে মানুষটাতো আর খারাপ হয়ে যায় না।
শুভকামনা ত্রিনিত্রি।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
ত্রিনিত্রি বলেছেন: হু তা তো ঠিকই বলেছেন আপু, কতজনেরই তো কত রকম সমস্যা থাকে, তাতে মানুষ তো আর খারাপ হয় না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে টিভি কালচার আর দৃষ্টিভঙ্গি।
শুভকামনা আপু।
১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
না পারভীন বলেছেন: আহারে , শুধু শেষ পর্ব পড়েই কেমন জানি লাগল , অপারেশন করে কি এই চোখ ঠিক হবে না ?
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলে স্কুইন্ট বা ট্যারা অপারেশন করে ঠিক হয়। তবে সব না। পরীক্ষা করে দেখতে হয় আগে। তবে কিছু ঠিক হয় বইকি।
গল্পের মোরাল অবশ্য সেখানে না, অন্যখানে। প্রথম পর্ব পড়লে বুঝতে পারতেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
"আগামীটাতে মিল করায় দিবো!" মানে??? আরও এক পর্ব বাকি আছে এখোনো???
মনেহয় একবার বলেছিলাম আপনার সব পোস্টে অটো প্লাস। শুধু পাত্র-পাত্রীর মুখে মাঝে মাঝে কথ্য ভাষা বেশি ভালো লাগেনাই। বাংলা নাটকে এইটার অতি ব্যবহার কেমন জানি এলার্জী ধরিয়ে দিয়েছে
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০১
ত্রিনিত্রি বলেছেন: না না, এটা শেষ! মানে কফিশপ যখন লিখছিলাম, তখনও একই ব্যাপার হয়েছিলো। ডেমন আর নীরব দুইজনেই মিল করাতে চাচ্ছিলো কিন্তু আমি পুরাই গোঁ ধরে বসেছিলাম যে বাস্তবে এরকম লং ডিসটেন্সের পরে প্রেম প্রায় অসম্ভব। একারনেই বিচ্ছেদ। নীরব বলেছিলো আমি নাকি প্রেমের শত্রু!
তখন ওদেরকেও বলেছিলাম আরেকটা লিখলে মিল করায়ে দিবো! একই ডায়লগ আবার দিলাম আরকি!
১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার একটা সিরিজ ++++++
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
মামুন রশিদ বলেছেন: নাহ, ঠিক আছে । চেহারা নিয়ে ইনফিউরিটি কমপ্লেক্সে ভোগা থেকেই তাদের কাছে আসা । এটা কখনোই ভালোবাসার অনুপ্রেরণা হতে পারে না ।
গল্পের শেষে এসে আবিরকে নাফিজা থেকে অনেক বোল্ড মনে হয়েছে ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২
ত্রিনিত্রি বলেছেন: এটা ভালো বলেছেন তো।
আপনার কমেন্টে প্লাস!
১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এ গল্পের শেষটা এমন ভাবতেও পারিনি।
শেষটায় ও পাঠককে ধাক্কা দিয়ে গেলেন।
দারুন।
নতুন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০
সায়েম মুন বলেছেন: গল্প বেশ ভাল লাগলো। পাঠক ধরে নিবে শেষদৃশ্যে নায়ক নায়িকার মিল হবে। কিন্তু না এ যে কেয়ামত সে কেয়ামত তক। টুইস্টটা দিয়ে ভালই করেছেন। পাঠকরা অন্তত একটা ধাক্কা খাক।
গল্পের মরাল কি বলে, নিজের যতই খুঁত থাকুক না কেন পাওয়ার বেলায় ষোল আনা চাই?
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: হ্যাঁ, মোরাল কিন্তু এটাই। নিজের বেলায় ষোলআনা!
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
তিনটাই পড়লাম ... প্রথম আর দ্বিতীয়টাতে মন্তব্য দেইনি এখানে একসাথে দেবো বলেই ...
অদ্ভুত আকর্ষণে এক নিঃশ্বাসে পড়েছি তিনটা পর্ব ...
দারুণ লিখেন আপনি ...
নিঃসন্দেহে !!
আসলেই সত্যি ... একটা কানা ও কিন্তু নিখুঁত মানুষটাকেই কামনা করে ... কি কারনে যেন নিজের দুর্বলতা তখন বেমালুম ভুলে যায় ...
আর তা না পেলে ... বাকিটাতো লিখেছেনই আপনি ... কেমন প্রতিক্রিয়া হয়!!
অসাধারণ গল্পে অসংখ্য ভালো লাগা নেবেন ...
ভালো থাকুন ত্রিনিত্রি !
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: চমৎকার কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজকন্যা। এরকম কমেন্ট পেলে লেখার উৎসাহ আরো বেড়ে যায়।
আপনার নিকটি কি কোন গান থেকে নেয়া?
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
আমিভূত বলেছেন: প্রত্যাশা ছিল মিলনের বিচ্ছেদেও বিরক্ত হইনি
উপস্থাপনা সুন্দর হয়েছে ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
মিল না করাতেই ভালোটা বো হয় বেশি লাগলো ।।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
২১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ছেলেটা কেন এত ভাল মেয়েটা কেন অমন ভাল হল না ই ই ই
গল্প খুবই চমৎকার হয়েছে আপু।
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
ত্রিনিত্রি বলেছেন: ব্যালান্স করার জন্য!!! হাহাহা।
অনেক ধন্যবাদ!
২২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
নাহ ! কোন গানের না ...
আপনার প্রশংসা শুনি সব সময় ,
লেখাও পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি ... my bad!!
শুভেচ্ছা নেবেন!!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।
২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: এন্ডীং টাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ টেস্টিং সল্ট। এত মজার মজার নিকের আইডিয়া আসে কোথা থেকে যে মানুষের!
২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পড়তে শুরু করে দেখলাম বুঝিনা কিছুই। তাই আগের দুই পর্ব পড়ে আসলাম। এত খাটনির পর শেষে বিচ্ছেদ আসলেই মেনে নেওয়া যায় না!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনার অসম্ভব রকমের প্রশংসা শুনেছি। কিন্তু ইরেগুলার হবার কারনে পড়ি পড়ি করেও পড়া হচ্ছে না। তবে আপনার সায়েন্স ফিকশনটা পড়েছি। খুবই ভালো লেগেছে।
আপনি বিচ্ছেদ মানুন আর না মানুন আপনাকে আমার ব্লগে দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঠিক আছে । মিল হলে বাস্তবসম্মত দেখাত না ।
ভাল লাগল গল্প । শেষ দিকের বর্ণনাটা দারুণ । তিন পর্বই পড়ে দেখলাম ।
বড় লিখার জন্য ও আপনাকে ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন ।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধনে পাতা পড়ার জন্য।
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
ডানামনি বলেছেন: এটা কি হল আপু? এমনই মন খারাপ আরও খারাপ করে দিলে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ত্রিনিত্রি বলেছেন: দুঃখিত ডানামনি...ঈদ মুবারাক। ঈদ নিশ্চই হাসি খুশী নিয়ে এসেছে।
২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: বিচ্ছেদই মনে হয় ওদের প্রকৃত নিয়তি ছিল, তাই না আপু?
বিচ্ছেদ ব্যাপারটা শেষে এসে গল্পটাকে একটা মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পের মর্যাদা দিয়েছে। সত্যিই তো, আমি যেমনই হই, আমার বউ/স্বামী হওয়া লাগবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর, নিখুঁত একজন মানুষ। যতই মনের সৌন্দর্য নিয়ে আমরা হাউকাউ করি না কেন দিন শেষে নিজের জীবনসঙ্গী নির্বাচনের সময় শারীরিক সৌন্দর্য অনেকাংশেই মুখ্য হয়ে ওঠে।
আপনি এত কম লেখেন কেন?? কত বহু দিন পর আপনার লেখা পেলাম! এবং ধন্য হলাম।
যাকগে, এইরকম থিম নিয়ে আমার দুটো গল্পের লিঙ্ক দিতে চাই। আশা করি পড়ে দেখবেন, হয়তো এরই মধ্যে পড়ে ফেলেছেন।
এইটা একটা
এইটা আরেকটা
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
ত্রিনিত্রি বলেছেন: হু, আশে পাশে তো তাই দেখি! কে যেন একবার স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, ডিএসএলয়ার আর এডোব ৯০ ভাগ ছেলেকে হ্যান্ডসাম আর মেয়েকে রূপবতী করেছে। হাহাহা।
গল্প পড়ে কমেন্ট দিবো।
২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিচ্ছেদ পছন্দ হৈসে। নাইলে বেশি টিপিক্যাল লাগতো।
দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা ঘাসের ডগায় জমে থাকা ভোরের শিশির বিন্দুকে সূর্যের আলোর প্রতিফলনে হীরে বলে ভ্রম হয়, কিন্তু কাছে আসলে তা সামান্য জলকণা মাত্র
কোটেবল লাইন।
+
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: থাঙ্কু হামা ভাই! আমি বিচ্ছেদ খুব বেশী পছন্দ করিনা, তবে অবাস্তব মিলন আরো বেশী অপছন্দ করি।
২৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
"একই ডায়লগ আবার দিলাম আরকি"- খালি ডায়লগ দেন, কাজের বেলায় নাই। কথায় আর কাজে এক না। বলেছি না আপনে অতি বদ !!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি যে করি...আচ্ছা বদ থেকে ভালু হবার ট্রাই করবো।!
৩০| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: তিন পর্বই একসাথে পড়লাম।বাস্তবসম্মত ফিনিশিং। ভাল লাগল
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩১| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: আমি তুমি আমরা বলেছেন: তিন পর্বই একসাথে পড়লাম।বাস্তবসম্মত ফিনিশিং.....আসলেই!!
শহমত!
খুব বেশি ভালোলাগলো আপুনি! কফিশপ পড়ে আপান গল্পের ফ্যান হয়েছিলাম! অনেকদিন পর একটা অনেল ভালো গল্প পড়লাম! এমন আরো চাই প্লিজ!!
চিরদিন কি দূর থেকে ভালোবাসা যায় না? কেন ভালোবাসা শুধু ভালবাসার স্পর্শের জন্য উন্মাতাল হয়? কেন ভালোবাসাকে প্রতিটি ইন্দ্রিয় দিয়ে জানতে হয়? কেন ভালোবাসাকে মানুষ হাত বাড়ানো দূরত্বে পেতে চায়? কেন শত চেষ্টা করেও ভালোবাসার ডাক অগ্রাহ্য করা যায় না? কেন নেশাগ্রস্ত মানুষ বার বার করা ভুল আবারো করে কষ্ট পেতে চায়?
লাইন গুলো অসাধারন!
সম্ভব হলে কফিশপের মতো আরেকটা ট্রায়ান্গুলার লাভস্টোরি লিখবেন !আবদার রইলো!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বটবৃক্ষ। কফিশপ আসলে তিনজনের ত্রিমুখী লেখার কারনে হয়ত পাঠক সমাদৃত হয়েছে, আমি একা লিখলে কফিশপ এত ভালো অবশ্যই হতো না।
তবে আরেকটা লেখার আসলেই ইচ্ছে আছে, মাথায় প্লট ঘোরাঘুরিও করে, কিন্তু একা একা লিখতে ইচ্ছে করে না। কঠিন সমস্যা।
আবারো ধন্যবাদ।
৩২| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ফেবু তে শেয়ার দিলাম....
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১১
অনিমেষ হৃদয় বলেছেন: জটিল লেখনী! +++++
আচ্ছা আপু আপনার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল। আপনার নেপাল ভ্রমণ নিয়ে পোস্টটা পড়েছি... আমরা কয়েকজনও একইভাবে বাই রোডে ইন্ডিয়া হয়ে নেপাল যেতে চাচ্ছি। ফিরবো-ও একইভাবে। এক্ষেত্রে কি সিঙ্গেল এন্ট্রির ট্রানজিট ভিসা লাগবে? নাকি ডাবল এন্ট্রি? আপনাদের কোনটা লেগেছিল?
এম্বেসিতে ফোন দিয়েছিলাম... ব্যাটা আমতা আমতা করে কিছুই কইতে পারলো না
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমি দুঃখিত এতদিন পরে উত্তর দেবার জন্য। বাই রোডে ইন্ডিয়া হয়ে নেপাল যেতে হলে ডাবল এন্ট্রি ভিসা লাগবে। এটা যদি আপনারা টুরিজম কোম্পানির মাধ্যমে করেন তাহলে তো একটু সহজ হবে, নিজেরা করলে ইন্ডিয়ান এমবেসি ভয়াবহ রকমের ঘুরায়। নেপালে প্রথমবারে ভিসায় কোন টাকা লাগে না।
তবে ভাই এক্সপেরিয়েন্স থেকে একটা জিনিস শেয়ার করি। জার্নি ভয়াবহ। শুধু ভয়াবহ না, কঠিন রকমের ভয়াবহ। নেপালে শত শত মাইল পানি বাথরুম ছাড়া। সাথে যদি মেয়েরা থাকে তাহলে মনে হয় বাই এয়ার প্রেফার করাই ভালো। য়ার শুধু ছেলেরা হলে সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
ইন্ডিয়ান বর্ডারে ওদের মনে মনে হাজারটা গালি দিতে হতে পারে, ঐ প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন যে কিছুতেই বিরক্ত হবেন না। নেপাল বর্ডার খুবই ভালো, কিন্তু ইন্ডিয়া যে জ্বালানি টা জ্বালিয়েছে রে ভাই, আসার সময় মনে হচ্ছিল আগুন ধরায় দিয়ে আসি।
যাত্রা শুভ হোক।
৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ওয়াও...........
চমৎকার লিখেছেন!!!!!!!!!!!!!!
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১১
নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: ফিনিসিং টা বেশিই পছন্দ হইছে।
আর ইয়ে, আমি নিজেও কিঞ্চিৎ ট্যারা। :!> :#> তবে কোন কারণে কখনোই ট্যারা হওয়ার জন্য সেরকম কোন সিচুয়েসনে পরতে হয়নাই। ইনফ্যাক্ট কেউ আমাকে ট্যারা ডাকেও নাই কখনো। (একজন ছাড়া) কারণ আমার চোখ খুবই ছোট। আমার চোখ খোলা নাকি বন্ধ সেটাই কেউ ধরতে পারে না।
চাইনিজ জাপানিজদের সাথে টেক্কা দেওয়ার মতো চোখ।
ছোট চোখের জন্য অবশ্য অনেক পচানি খাইতে হইছে। এখনো হয়।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলে শারিরীক দুর্বলতার জন্য কেউ সিচুয়েশনে পড়ুক সেটা কখনই কাম্য নয়। তবে আমার এক পরিচিত ছিল যাকে এই কারণে অসম্ভব মনোঃকষ্টের শিকার হতে হয়েছে।
ভাই আপনে একাই নন, আমারে মানুষ বলে চাইনীজ, মুরং সব কিছু। সুতরাং নু টেনশন!
৩৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২২
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: গল্প খুবই চমৎকার হয়েছে আপু।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
অন্ধ বাউল বলেছেন: অসাধারন..... মন ছুয়ে গেল......
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০০
হৃদয় শাহী বলেছেন: নাহ... আমরা ওনলি বয়েজ আর খরচ বাঁচানোর জন্য রোড ছাড়া উপায় নেই!
ডাবল-এন্ট্রির ক্ষেত্রে কি আগে বাসের টিকেট কনফার্ম করতে হবে?
ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে করানোর কথা মাথায় এসেছিল, কিন্তু দুয়েকটায় কথা বলেও লাভ হয়নি। সবার এক কথা, ওদের মাধ্যমে করালে ওদের প্যাকেজেই যেতে হবে
আপনারা কি এজেন্সি দিয়েই ভিসা করিয়েছিলেন নাকি? সেক্ষেত্রে কি একটু কষ্ট করে তাদের নাম/ঠিকানা দিতে পারেন?
আমাদের ২২ তারিখ এম্বেসিতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে (অ্যাপ্লাই করার একমাস পর ডেট পড়ছে )। ডাবল এন্ট্রিতেই অ্যাপ্লাই করেছি, কিন্তু টিকেট কনফার্ম করিনি। তাই টেনশিত
৩৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৫
হৃদয় শাহী বলেছেন: আর সরি, ওই অ্যাকাউন্ট (অনিমেষ হৃদয়) দিয়ে হঠাৎ কমেন্ট করতে পারছি না কোথাও, তাই এটা দিয়ে করতে হলো
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
ত্রিনিত্রি বলেছেন: অসম্ভব দুঃখিত ভাই, আমি এত ইরেগুলার.। এত দিন পর ব্লগে ঢুকলাম। আমরা তো এজেন্সি দিয়েই করিয়েছিলাম, আর ঘটনা সত্য। এজেন্সি দিয়ে করালে ওদের প্যাকেজ নিতে হয়। তবে শুধু শুধুও করানো যায় কিন্তু এক্সট্রা কিছু টাকা গুণতে হয়। ভাই আমরা যেটাতে করিয়েছিলাম মহাই অখাদ্য এজেন্সি ছিল, নাম মনে নেই। ড্রিম সামথিং ছিল। ওটাতে না যাওয়াই ভালো। অনেক ঝামেলা করেছে ট্যুরে গিয়ে।
টিকেট কনফার্ম তো করতে হয় না, বাসের টিকেট আর কি? আমরা তো নেপালে লোকাল বাসে করে ঘুরে বেড়াইছিলাম।
জানাইয়েন আপনাদের ঘটনা কি হয়।
৪০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
জন ঢাকা বলেছেন: তিন পর্বই একসাথে পড়লাম সব মিলিয়ে অসাধারন লাগল।++
৪১| ২৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
শায়মা বলেছেন: আপুনি কতদিন পরে এলে। কেমন আছো? কোথায় আছো?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
অপু তানভীর বলেছেন:
আপনের নামে কেইস কইরা দিমু মিয়া !! মিল করলে কি এমন হত !
উকিল ঠিক কইরা নেন, আমি কেইস করতে যাইতাছি !!
++++