![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধরুন,
এক ব্যাক্তি রিয়াকে খারাপ মনে করে,এবং এই খারাপ মনে করার কারণে কখনো তিনি রিয়া করেননা,বরং সর্বদা তা বর্জন করে চলেন।কিন্তু তবুও তার মন রিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। অবশ্য রিয়ার প্রতি এই আকর্ষণকেও সে খারাপ মনে করে।এখন এই ব্যাক্তি কি রিয়াকারীদের মধ্যে গণ্য হবে?
চলুন যাওয়া যাক ঈমাম গাজ্জালীর "Show Of Worship" এর ২য় খন্ডে।
প্রথমত,আল্লাহ তা'আলা কাউকে তার নির্দিষ্ট শক্তির উপর অতিরিক্ত কোন কাজের নির্দেশ দেননি।অর্থাৎ মানুষকে এমন কোন কাজের সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়নি,যা তার শক্তির ও ক্ষমতার বাইরে।শয়তানকে ওয়াসওয়াসা দেয়া থেকে বাধাদান করা এবং মনকে কোন বিষোয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে না দেয়া,এটি মানবীয় ক্ষমতার বহির্ভূত।মানুষের দায়িত্ব হলো তার মধ্যেকার কামনা-বাসনা ও লালিত ইচ্ছাকে ঘৃণা করা যা তিনি ঈমান ও ইলম দিয়ে ও মারেফতের মাধ্যমে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন।কোন ব্যাক্তি যদি এরূপ করতে পারেন,তাহলে মনে করা হবে তিনি যেন তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন।
নিচের বিবরণ এই বক্তব্যের দলীলঃ
হযরত ইবনে মাসুদ(রাঃ) থেকে বর্ণিত,একবার কয়েকজন সাহাবী নবী করিম(সাঃ) এর নিজেদের অবস্থার বিবরণ দিয়ে আরজ করলেন,"হে রসূল!আমাদের মনে অনেক সময় এমন খেয়াল পয়দা হয় যে,আমরা তা মুখে প্রকাশ করতে পারবোনা।সেসব খেয়ালকে ভাষায় রূপ দেয়া অপেক্ষা এটিই উত্তম হবে যে,আমাদেরকে যেন আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হয় বা কোন পাখী আমাদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় অথবা ঝড়ো হাওয়া যেন আমাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে দূরে কোথাও নিক্ষেপ করে ফেলে দেয়।"সাহাবায়ে কেরামদের উপরোক্ত বক্তব্য শোনে রসুলুল্লাহ(সাঃ) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন,তোমরা কি সেইসব খেয়ালকে খারাপ মনে করো?তারা আরজ করলেন "জ্বী হ্যা রসূল!আমরা একে খারাপ মনে করি"।তিনি এরশাদ করলেন,"তবে তো এটিই সুস্পষ্ট ইমান।"-মুসলিম শরীফ।
হ্যা,প্রকৃতপক্ষে আমরা মাঝেমাঝে নিজের জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে অনেক রিয়াঘটিত ভুল করে ফেলি।আমরা ফেসবুকিং এর সুবিধায় এর জালে আরও বেশি গভীরভাবে আটকে যাই,যা আমরা খেয়াল করিনা।ই শায়েখ ডট কমে ( http://eshaykh.com ) মাউলানা শায়েখ মোহাম্মদ হিসাম কাব্বানী ইজতিহাদ করেছেন যে ফেসবুকচালনাকারীদের নবী করিম(সাঃ) কে স্বপ্নে জিয়ারত লাভ করা সম্ভব নয়,( http://eshaykh.com/sufism/sheikh-hisham-sohbet-facebook/ ) ( http://eshaykh.com/uncategorized/about-facebook/ )এখন স্থান-কাল সাপেক্ষে এর পরিবর্তন অনুমদিত হওয়া সম্ভব।তাই তিনি ধর্মীয় বা জ্ঞানবিষয়ক কাজে ফেসবুকিং করতে সম্মতি দিয়েছেন।(বিঃদ্রঃ যারা নকশাবন্দি ত্বরিকত বা ত্বরিকা সম্পর্কে খুব একটা জানেন না,তারা কাইন্ডলি উনার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না)।
তাই আমাদের খুবই প্রয়োজন নিজেদের স্বভাবগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং নিজেদের নফসের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেষ্টা করে যাওয়া।অন্যথায় অহংকারের জলে ভেসে ইগো দেখিয়ে ইহকাল ও আখেরাত দু জায়গাতেই ভিক্ষুকের মতন অবস্থায় পতিত হবেন।আমরা কেউ কেউ কোন কাজ করতে গেলে অহংকার করতে আনন্দ পাই।কেউ বা এর থেকে সরে থাকতে চাই।এবং সবসময় পারিনা।উপরিউক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা এরই ইঙ্গিত দেয়,নিজেকে সূক্ষাতিসূক্ষ রিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়,নিয়ন্ত্রণ করবার চেষ্টা করাই ঈমানের সুস্পষ্ট লক্ষণ।
আমরা সবাই ইনশাল্লাহ সে চেষ্টা করবো এর উপর আমল করতে।এবং আমি চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে এর প্রাথমিক গোড়া থেকে পর্ব পর্ব করে এর ব্যাখ্যাগুলো করে যেতে।আল্লাহ আমাদের সবার সহায়ক হোন!আমীন।কারো বোঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট করুন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
ত্রিভুবন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ..
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
অলিভার বলেছেন: আপনার নেক উদ্দেশ্য আল্লাহ কবুল করুন। অনেক ধন্যবাদ এটি নিয়ে লেখার জন্য। আমার মনে হয় এটি শুধু রিয়ার ক্ষেত্রে নয় যা লোক দেখানো। এটি সম্ভবত সব ধরনের বদ চিন্তা ও খারাপ খেয়াল যা মানুষের অন্তরে আসে- সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় পরিস্কার করা জরুরী বলে মনে করি। তাওহিদ নিয়ে এমন সব খেয়ালের প্রতি কিন্তু অত্যন্ত সাবধান হতে হবে। তালাকের ব্যাপারে চিন্তা করা নিয়েও সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজন আছে।
ধন্যবাদ
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
ত্রিভুবন বলেছেন: يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنكَرِ وَاصْبِرْ عَلَىٰ مَا أَصَابَكَ ۖ إِنَّ ذَٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ [٣١:١٧]
হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। (Luqman: 17)
আপনি ঠিক বলেছেন,বস্তুত সকল নেগাটিভ বিষয়গুলো থেকে হিফাজত থাকার ক্ষমতা আমাদের নেই,আমাদের শুধুমাত্র হিফাজত প্রার্থনা করবার আর চেষ্টা করে যাবার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।এখানে আলোচনাটি লোক দেখানো ইবাদত অথবা পার্থিব খায়েশ সম্পর্কিত যা খারাপ খেয়ালের নিকটবর্তী,তবে সবসময় খারাপ নয়।
"إنما الأعمال بالنيات
innama al-`amaalu bin-niyyaat,
Every action is by intention."
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: +++++++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
ত্রিভুবন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৬
অন্য পুরুষ বলেছেন: ++++