![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে মুসলমানিত্ব সাংস্কৃতিকভাবে (Culturally) আমদানী হয়েছে। এটা খুবই সিগনিফিকেন্ট ব্যাপার যে এ দেশে একাডেমিক্যালী কনভিন্স হয়ে বাপ-দাদার ধর্ম-বিশ্বাস পরিত্যাগ করে মুসলমান হতে হয় নি। আমরা আমার বাপকে প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠে ওযু করে মসজিদে দেখেছি, তাই আমরাও গিয়েছি। সারাদিন কাজের শেষে ইশার নামায পড়ে ঘুমোতে দেখেছি, তাই আমরাও ইশার নামায পড়ে ঘুমিয়েছি। ঈদের দিন উৎসব দেখেছি, তাই আমরাও ঈদের মজা লুটেছি। নামের আগের মুহাম্মাদ আর নামের শেষের আহমদ, হোসাইন, ইসলাম, উদ্দিন জন্মগতভাবেই বরাদ্দ পেয়েছি।
একটু ঘুরিয়ে যদি বলি আমাদের মা-বাবাকে যদি সকালে উঠে পূজোর ঘরে দেখতাম, তাহলে সম্ভবত আমরা মসজিদে যেতাম না। ঈদের মাঠের বদলে স্বরস্বতী পুজায় আমাদের কাছে উৎসবের মাধ্যম হয়ে উঠতো। তিনবার আলহামদুলিল্লাহ পড়ে স্ত্রী অধিকার দেয়ার বদলে তখন সাত পাঁকের বাঁধনই বিয়ের যৌক্তিক উপায় বলে বিবেচিত হতো। আমাদের নামের শুরুতে যদি শ্রী থাকতো বড় হয়ে তা কি মুহাম্মাদ হতো?
"ইসলাম ইজ দ্যা কমপ্লিট কোড অব লাইফ" বলার আগে একবারও কি ভেবে দেখেছি কিভাবে কমপ্লিট কোড অব লাইফ? বরং এ আমাদের অন্ধ বিশ্বাস। মুসলমান হিসাবে সম্ভবত এটাই আমার চরম ব্যর্থতা। একজন মুসলমান কখনো বাই বর্ন জান্নাতের উত্তরাধীকারী হতে পারেন না। ডাক্তারের সন্তান মেডিক্যাল সাইন্স না পড়ে যেমন ডাক্তার বলে বিবেচিত হতে পারেন না, একজন মুসলমানও শুধু নামের আগে পিতা প্রদত্ত মুহাম্মাদ লাগালেই মুসলমান হতে পারেন না। ইসলামে অন্ধ বিশ্বাসের কোন স্পেস নেই। বাস্তবতা হলো ইসলামের মৌলিকত্ব নিয়ে আমরা মুসলমানরা মোটেও পড়াশোনা করি না। তাই হুজুরের বয়ান শুনে অন্ধ বিশ্বাসের জায়নামায বিছিয়ে পুলসিরাত পাড়ি দেয়ার স্বপ্নে আমরা বিভোর।
অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দ্ব্যার্থহীন ঘোষনাঃ
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ "(হে রাসূল) আপনি বলুন যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে ? (সূরা যুমার ৯)
আচ্ছা একজন শ্রী যুক্ত ব্যক্তি শুধু নামের আগে শ্রী ব্যবহার করার কারনেই জাহান্নামে যাবে? আর নামের আগে মুহাম্মাদ লিখে শিরক করে, মুহাম্মাদ সাঃ এর নির্দেশিত পথে না চলেই জান্নাতে চলে যাবে?
জাহেলিয়াতের অনুসারী আসহাবে রাসূল কি করে মাত্র ২৩ বছরে তাদের জীবনকে আমূল বদলে ফেলেছিল? একবার ভেবেছেন? হ্যাঁ, তারা এমনভাবে জেনে বুঝে ইসলাম গ্রহন করেছিল যা তাদের বাপ-দাদার বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। তারা একাডেমিক্যালি কনভিন্স হয়েই জাহেলিয়াতের রীতিনীতি ও বিশ্বাস ছেড়েছিল। সাংস্কৃতিকভাবে ইসলামের স্রোতে স্রেফ গা ভাসানো টাইপের কাজ ছিল না সেটি। বরং স্রোত তৈরী করার বড় ঝুঁকিটা নিয়েছিল। ঠিক জেনেবুঝে।
মনে পড়ে আবু বকর রাঃ ও ওনার সন্তান আব্দুল্লাহ রাঃ এর ঘটনা। ইসলাম গ্রহন করার পর আব্দুল্লাহ রাঃ বলছিলেনঃ বাবা আমি তোমাকে বদর যুদ্ধে আমার তরবারীর নিচে পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমার জন্মদাতা পিতা, তাই তোমাকে কতল করি নি। আবু বকর রাঃ বললেনঃ তুমি কতল করো নি ঠিক আছে, কিন্তু আমার তরবারীর নিচে পড়লে তুমি আর আজ এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে না।
আবু বকর রাঃ বুঝেছিলেন সন্তানের ভালবাসার চেয়েও ইসলাম অনেক বড়। ইসলামের আনুগত্য পৃথিবীর সবকিছুর উপরে।
কিন্তু আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক মুসলমানিত্ব চলছে। ঠিক যেভাবে আইয়ামে জাহেলিয়াতের আনুগত্য করতো ইসলাম পুর্ব সাহাবীরা। বাংলাদেশের ইসলামের বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে ইসলাম নিয়ে ব্যক্তিগত একাডেমিক পড়াশোনা নেই। আছে হুজুরের নসিহত। বিশ্বাসের কৃত্রিম ফানুষ আর আবেগ। জেনে-বুঝে কনভিন্স হয়ে ইসলামের উপর দাঁড়িয়ে নেই। বরং ইসলামকে নিছক এক ধর্ম মনে করে পথ চলছে লাখো পথিক।
মুখস্ত এক গালি শিখেছে "নাস্তিক"। তাতেই যেন ঈমানের পূর্নতা! আরে বেটা! তুমিই বলো ইসলাম কি? ইসলামের মানবিক সমাধান কি? কি করে ইসলাম মানবতার সমাধান?
আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করি- প্লিজ ইসলাম সম্পর্কে জানুন। কোরআন পড়ুন, হাদীস পড়ুন, ইসলামী সাহিত্য পড়ুন। তারপর দাবী করুন আপনি মুসলমান। এই সাংস্কৃতিক মুসলমানিত্ব দিয়ে আধুনিক জাহেলিয়াতের মোকাবেলা করে মানবতার মুক্তি তো দূরের কথা ব্যক্তি হিসেবে আল্লাহর কাছেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
খুব খেয়াল করে, জেনেবুঝে বলুন- ইন্নানি মিনাল মুসলিমিন।
২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১
শামিম ভাই বলেছেন: মহা চিন্তার বিষয়
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: মালদ্বীপের সি বীচ ঘুরে আসুন স্যার ! টেনশন কমে যাবে।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩
রোলেন বলেছেন: নাস্তিক গালি হলে "আস্তিক" ও গালি। কি বলেন?ফারুক১
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
ফারুক১ বলেছেন: রোনেল@ আস্তিককে ওই নামে ডাকেন। গালি হিসেবেই ডাকেন। সম্মানিত হবেন তিনি। অন্যদিকে আপনাকে নাস্তিক বললে আপনি ক্ষুব্ধ হবে। নাস্তিকতার সংজ্ঞা, মডারেশন সবই দেখতে চাইবেন তখন।
কেন হয় এমনটা?
কারন চুরি কখনো স্বীকৃত পেহা হিসেবে সমাজে গ্রহনযোগ্য হয়নি। গ্রহণযোগ্যতা হল এক্ষত্রে নির্নায়ক। পৃথিবীর কোন দেশে 'আস্তিক' বলে কোন গালি প্রতীষ্ঠিত হয়নি। কেন জানেন? কারন এটা কোন সমস্যার নাম নয়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: এটা টার্মিং এর শ্রষ্ঠাদের লায়াবিলিটি। ইসলাম আস্তিকতাওকে টার্ম হিসেবে পছন্দ করে নি। বরং গোলাম, আবদ ই অনেক সম্মানের, মর্যাদার। নাস্তিকতার বিপরীতে আমি আস্তিকতাকে রিপ্রেজেন্ট করতে চাই না। আমি আবদ কে বেটার কাউন্টার হিসেবে পছন্দ করি।
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪
কমরেড ফারুক ১ বলেছেন: টেনশানে পড়ে গেছি।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: কমরেড টেশনশনে পড়লে আমাদের কি হবে ?
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
উচ্ছল বলেছেন: চিন্তার খোরাক রয়েছে।
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: পোস্ট ভাল্লাগছে। ধর্ম যেই পালন করুক, আগে নিজের ধর্মকে সত্যিকারভাবে জানুক, উপলব্ধি করুক।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪২
মোঃ সালহউদ্দিন নাসিম বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করি- প্লিজ ইসলাম সম্পর্কে জানুন। কোরআন পড়ুন, হাদীস পড়ুন, ইসলামী সাহিত্য পড়ুন। তারপর দাবী করুন আপনি মুসলমান। এই সাংস্কৃতিক মুসলমানিত্ব দিয়ে আধুনিক জাহেলিয়াতের মোকাবেলা করে মানবতার মুক্তি তো দূরের কথা ব্যক্তি হিসেবে আল্লাহর কাছেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
খুব খেয়াল করে, জেনেবুঝে বলুন- ইন্নানি মিনাল মুসলিমিন।--------সহমত
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২২
উল্টা দূরবীন বলেছেন: কোন ধর্মই খারাপ বিষয়ে কানপচায় না। ধর্ম যার যার বাকিটা আপনে বলেন। তবে আপনার লেখা ভাল্লাগছে এবং চিন্তার খোরাকও রয়েছে। সুন্দর লেখনীর জন্য ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: ইনশাআল্লাহ আপনার ব্লগের সাথে আছি।
১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১
আহমেদ ফিরোজ- বলেছেন: (হে রাসূল) আপনি বলুন যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে ? (সূরা যুমার ৯)
১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
এস এম পাশা বলেছেন: ভাবনার যথেষ্ট খোড়াক আছে।
১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই উদাহরণটা ভয়ংকর :
"মনে পড়ে আবু বকর রাঃ ও ওনার সন্তান আব্দুল্লাহ রাঃ এর ঘটনা। ইসলাম গ্রহন করার পর আব্দুল্লাহ রাঃ বলছিলেনঃ বাবা আমি তোমাকে বদর যুদ্ধে আমার তরবারীর নিচে পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমার জন্মদাতা পিতা, তাই তোমাকে কতল করি নি। আবু বকর রাঃ বললেনঃ তুমি কতল করো নি ঠিক আছে, কিন্তু আমার তরবারীর নিচে পড়লে তুমি আর আজ এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে না।"
ধর্মোন্মাদরা এই ধরনের বিকৃত গল্প ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের কতল করে, বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় !!!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: আমি কি উদ্দ্যেশ্যে লিখেছি-আপনি নিশ্চয় উপলব্ধি করেছেন। আমি এই ধর্মান্ধদের জন্যই এখানে হাপিত্যেশ করেছি। ইসলামের প্রাণসত্তা সম্পর্কে যাদের ধারনা নেই-তারাই এসব ঘটনাকে মানুষ হত্যার লাইসেন্স মনে করে।
ইসলাম বিরোধীরা অন্ধ হয়ে ইসলামের বিরোধীতা করছে। আর ইসলামিষ্টরাও অজ্ঞতার জোশে ইসলাম পালন করছে। এই আয়াতটি খুবই ইম্পর্ট্যান্ট ঃ (হে রাসূল) আপনি বলুন যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান হতে পারে ? (সূরা যুমার ৯)
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ফারুক১ বলেছেন: বাংলাদেশের ইসলামের বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে ইসলাম নিয়ে ব্যক্তিগত একাডেমিক পড়াশোনা নেই। আছে হুজুরের নসিহত। বিশ্বাসের কৃত্রিম ফানুষ আর আবেগ। জেনে-বুঝে কনভিন্স হয়ে ইসলামের উপর দাঁড়িয়ে নেই। বরং ইসলামকে নিছক এক ধর্ম মনে করে পথ চলছে লাখো পথিক।
মুখস্ত এক গালি শিখেছে "নাস্তিক"। তাতেই যেন ঈমানের পূর্নতা! আরে বেটা! তুমিই বলো ইসলাম কি? ইসলামের মানবিক সমাধান কি? কি করে ইসলাম মানবতার সমাধান?
-লেখক সত্য লিখেছেন।