নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাব্দুল্লাহ তাহির

অাব্দুল্লাহ তাহির › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও জানু- একটু দুষ্টুমিও করা যাবে না?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

বড় বড় তত্তকথা গিলার আগে একটা মজার কৌতুক শুনে নিই। নারী ব্লগাররা আমাকে পূরুষতান্ত্রিক সমাজের কুৎসিত প্রেজেন্টার বলে কোপ মাইরেন না প্লিজ। আমি যথেষ্ঠ নারী ভীতু এক ছা!

ছেলে: I love you....... তুমি এই দুনিয়ার সবচে সুন্দর মেয়ে।

মেয়ে: কিন্তু তোমার পিছে তো আমার চেয়েও অনেক সুন্দর এক মেয়ে দাড়িয়ে আছে।

মেয়েটির মুখ থেকে এইটা শুনে ছেলে পিছে ফিরে দেখল সেখানে আদৌ কেউ নেই।

মেয়ে: তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে, তাহলে কখনো পিছনে ফিরে দেখতে না যে সেখানে মেয়ে আছে কি নেই। So, “I hate you.”

এতটুকুর মরাল: মরাল টরাল কিছু নাই। মেয়ে চালাক আছিল!!!

কিন্তু কাহিনী এখনো শেষ হয় নাই। আরেকটু বাঁকি আছে।

ছেলে: ওকে তোমার ইচ্ছা। তাইলে এই হীরার আংটিটি তো আর তোমাকে দেয়া হচ্ছে না। চিন্তা করছি কাকে দিব?

মেয়ে: (গালে একটা টোল ফেলে হাসি দিয়ে) আচ্ছা, আমি কি আমার জানুর সাথে একটু দুষ্টুমিও করতে পারবোনা ? মেয়ের কথা বলে তোমাকে পেছনে তাকাতে বাধ্য করে একটু মজা করেছি, ব্যস। তুমি রাগ করেছো?

মেয়েটি তার প্রিয়তমর হাত থেকে হীরার আঙটির বক্স নিয়ে নিলো। পরের দিন এসে বলছে খ্যাক খ্যাক করে বলে উঠলো- “আরে ধুর-এইটা তো সত্যিকারের হীরা না”।

ছেলে: তুমি যদি আমাকে ভালবাসতে, তাহলে এইটা পরীক্ষা করে দেখতে না হীরার রিং আসল নাকি নকল। So, “I hate you.”

এবারের মরাল: মরাল টরাল কিছু নাই। ছেলে মেয়ের চেয়ে এক ডিগ্রি উপরে আছিল।



এবার ছেলে-মেয়ের পল্টির হিসাব বাদ দিয়ে বাংলাদেশের হট ইস্যু জঙীবাদের দিকে আঙ্গুল তুলি। বর্তমান শাসক গোষ্ঠি ২০০৯ সাল থেকে একটানা ৭ বছর ধরে ( যাদের চেতনায় ঘাটতি আছে, তারা বলে শেষের ২ বছর অবৈধ! ) ক্ষমতায় আসীন। আমাদের মিডিয়া হ্যাপি মন্ত্রীবর্গ ক্যামেরার লেন্স দেখলেই বলতে শুরু করতো-বাংলাদেশ আফগানিস্তান হতে দিব না। আইইএস জঙ্গীদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিব। জঙ্গীবাদ নির্মুলে চেতনার সরকার আপোষহীন। আর মুরগী কবির নামে খ্যাত হালের যুদ্ধপরাধ বিষেশজ্ঞ ক্যামেরা পেলেই বলতোঃ জামায়াতই জঙ্গী। শিবিরই জঙ্গী।আর শাহবাগের চেতনার ঠেলা তো আছেই। আর মাশাআল্লাহ- বাংলাদেশের মিডিয়া। টয়লেটে কমোডে কোন প্রাকৃতিক সাইন্ড হলেও ক্যামেরা তাক করে বলার চেষ্টা করতোঃ জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগে টয়লেট সার্চ করে জমীয়তুল হাগুর বাংলাদেশ প্রধান অমুক গ্রেফতার। আমরা ক্রসফায়ার হ্যাপি প্রশাসনের কথা না বলি। বাসার পাঠাগারের বই বস্তাবন্দী করে মহিলার বোরকা পড়িয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির করে কবুল করাতো- আমি জঙ্গী। টেবিলে সাজনো বইকে স্বভাবসুলভ টার্মে বলা হতোঃ জিহাদী বই।

বলুন তো টানা ৭ বছরে রাষ্ট্রের কোন ধরনের কি যন্ত্র জঙ্গীবাদ নাই বলে ঘোষনা করেছে ? সারাদিন জঙ্গী জঙ্গী বলে চিল্লাইতে গিয়ে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ পশ্চিমারা যখন স্বীকৃতি দিতে শুরু করলোঃ হ্যাঁ, তোমাদের জঙ্গী আছে। তোমাদের জঙ্গীরা হোসে কোনিিরা সিজারি তাভেল্লা কে হত্যা করেছে।

তখন আমাদের সরকার বাহাদুর বলার চেষ্টা করছেঃ দুষ্টুমিও করতে দিবেন না? আমরা টিক্স করেছি মাত্র। বাঙ্গাল টিক্স।

পশ্চিমারা ভাবছেঃ ঠিক আছে, দুষ্টিমি হলে ঠিক আছে।

আরপরই আবার শ্রশ্রুমন্ডিত কাউকে গ্রফতার করেই বলা হচ্ছেঃ জঙ্গী মূলোৎপাটনে আমরা বদ্ধ পরিকর। তখন সরকারের এই দুষ্টামি আর দুষ্টামি থাকে না। পশ্চিমারা রসিক, তবে এতটা দুষ্টুমি আবার পছন্দ করে না। এর মূল্য দিতে হয় সিরিয়া, ইরাক। লিবিয়ার মত।

আমরা সরকারের জঙ্গীবাদ নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির অবসান চাই। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তার লোক আছে। কিন্তু মূলধারার ইসলামিষ্টদের রাজনৈতিক আদর্শিক লড়াইয়ে পরাজিত করার বদৌলতে জঙ্গীবাদের ট্যাগ মেরে দিলে-আখেরে সবাইকেই পস্তাতে হবে। যাদের গায়ে এই লেবেল আটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্থ হবেই। একই সাথে লেবেলদাতাদের সালতামামীও খুব সূখের হবে না।

ক্ষমতার স্বার্থে যারা গাদ্দাফির হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেছিল, তারা কি আল্টিমেটলি ভাল আছে এখন? ইরাকের সাদ্দাম হোসেনকে সরিয়ে ওরা কি ভাল আছে?

আমরা জাতীয় অনেক ক্রাইসিস মোকাবেলা করছি। সেখানে জঙ্গীর ধুয়া তুলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে বর্গা দিবেন না প্লিজ। এটা আমার মিনতি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

সালভাদর ডালি বলেছেন: সাম্রাজ্যবাদীরা ঢুকতে চাইলে যে কোন কায়দায় পারে; আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুকাতে আরও বেশি পারে । সুতরাং এইসব কইয়া কোন লাভ নাই । রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করে জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারলে সমস্যার এই কেন্দ্রীক সমাধানের কোন মূল্য নাই ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: কইতে তো চাই ই না। না কইতে পারলেই খুশী হতাম !

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা সরকারের জঙ্গীবাদ নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতির অবসান চাই। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তার লোক আছে।
বিরোধীদলকে দমাতে, তাদের রাজনৈতিক মিত্রকে হেনস্থা করতে (যদিও জামাত মূল ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না ) রাজনৈতিক আদর্শিক লড়াইয়ে পরাজিত করার বদৌলতে জঙ্গীবাদের ট্যাগ মেরে দিলে- আখেরে সবাইকেই পস্তাতে হবে। যাদের গায়ে এই লেবেল আটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তারা তো ক্ষতিগ্রস্থ হবেই। একই সাথে লেবেলদাতাদের সালতামামীও খুব সূখের হবে না।

আমরা জাতীয় অনেক ক্রাইসিস মোকাবেলা করছি। সেখানে জঙ্গীর ধুয়া তুলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে বর্গা দিবেন না প্লিজ। এটা আমার মিনতি।

রাখাল বালকের গল্পের মতো- একটা সময় কিন্তু কেইউ ছুটে আসবে না। তাই সাবধান! ব্যক্তির খাসলতে যেন দেশকে ভুগতে না হয়।



৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনায় সোহাগা বলেছেন: ফাটাইয়া দিলেনতো

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: এত ফাটাফাটি কেন রে ভাই? আসেন কন্সট্রাভটিভ কিছু করি।

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ফারুক১ বলেছেন: সর্বোত ভাবে একমত।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনাদের প্রবলেম একটাই| আপনারা জামাতশিবিরকে ঘৃণা করেন না| এইজন্যই করুনা হয়| এটা অনেকটা সেইরকম রান্নার মধ্যে গু দেয়ার মত| সব ঠিক আছে, কিন্তু জামাতশিবিরের গুটাও মিশিয়ে দেয়া হইছে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: এই গুটা খেতে আপনাদের কোন ক্লান্তি নেই রে দাদা! পারেনও বটে!

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২

মোহা: আবু সাঈদ হাওলাদার বলেছেন: সাবধান! ব্যক্তির খাসলতে যেন দেশকে ভুগতে না হয়।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: স্বীকার করলেন তো গু! হা হা| ঠিকাচে| কয় জনই বা স্বীকার করে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: হ দাদা, প্রতিদিনই তো হাগু দেই। লজ্জা কিসে! কিন্তু এটা খেতে যে আপনারদের এত মজা লাগে তাতো তো জানতুম না ! যাহ ! এবার লজ্জাই পেলুম!

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

উচ্ছল বলেছেন: মিথ্যবাদী রাখালের কথাও মনে রাখা উচিত।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

শামিম ভাই বলেছেন: কোন কোন পয়েন্ট ধরে শিবিরকে ঘ্রিনা করবো বললে একটু উপকার হইতো ভায়া আরণ্যক রাখাল?? তুমিও দেখি সরকারের মত মুখস্থ বুলি ঝেরে দিলা!!

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

শামিম ভাই বলেছেন: শিবিরের কোন ছেলের নামে চুরি, ছিনতাই, ইফটিজিং, রেপ, টেন্ডারবাজি কোন প্রকার অপরাধের অভিযোগ আছে? যে কাজ গুলো আমাদের সোনার ছেলেরা প্রতিদিন করছে।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

আহমেদ ফিরোজ- বলেছেন: আরণ্যক রাখাল .......... জামাত শিবিরকে দেশের জনগনও কেনো যেনো ইদানিং ঘৃনা করা ছেড়ে দিচ্ছে জনাব। ছোটখাটো নির্বাচনগুলোতে তাদের জয়জয়কার দেখে সেটাই প্রতিয়মান হয়। আমার মনে হয় সাধারণ পাবলিক আপনাদের চেতনার স্বরুপ ধরে ফেলেছে। তারা এখন আর এসব ভন্ডামীর চেতনা মেতনা গিলেনা। তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে, সুযোগ পেলে চেতনার নামে ভন্ডামীর শোধ কড়ায় গন্ডায় তুলে নিবে। সাবধান জনাব।

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

দোলাভাই বলেছেন: আমাদের সোনার বাংলা সোনার মানুষ জন্ম দিতে না পারলে ও সোনার চাটুকার,চামচা আর দালাল জন্ম দিতে পেরেছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.