![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''I am the state-আমিই রাষ্ট্র" কথাটি বলেছিলেন ফরাসি সম্রাট লুইস। ফরাসি আন্দোলনের আগে। এমন কি মধ্যযুগের সব রাজা এবং শাসকেরা তাই মনে করতেন। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে যখন বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের বুদ্ধিজীবীরা মধ্যযুগীয় নীতির পুজা করতে থাকেন এবং সেই প্রসাদ আমাদের খেতে হয় তখন এর চাইতে অপমানের আসলে আর কিছু থাকেনা। প্রগতীর ধারক-বাহক নেতা যখন "I am the state" বলে যা খুশী তাই করতে থাকেন, তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে- এ স্টেটের আমি কেউ নই!
এবার লিংক সহ আমি কিছু পত্রিকার শিরোনাম দিচ্ছি।
Moja Losss admin held for ‘anti-govt posts’ - ডেইলি স্টার
সরকার বিরোধী কটূক্তি করার অপরাধে ফেসবুক পেজ ‘মজা লস’-এর অ্যাডমিন গ্রেফতার -বাংলাট্রিবিউন
সরকার বিরোধী প্রচারনার দায়ে ফেসবুকের জনপ্রিয় পেজ 'মজা লস' এর এডমিন আটক
শিরোনামগুলো খেয়াল করুন। মজা লসের এডমিন রেফায়েতকে গ্রেফতার করা হয়েছে 'অ্যান্টি-গভর্ন্মেন্ট' মানে সরকার বিরোধী কাজের গুরুতর (!)অভিযোগে। এখানে সিগনিফিকেন্ট ব্যাপার হলো- 'অ্যান্টি-স্টেইট' অর্থাৎ রাষ্ট্র-বিরোধী নয়; বরং সরকার বিরোধী কাজ। সরকার এবং রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলছেন সরকারীদল। তাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন- তাদের পক্ষে যারা লিখে থাকেন তারা। বলা হচ্ছে- সরকারই হল রাষ্ট্র, সুতরাং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বলা। আমাদের সরকার বাহাদুর এই ফ্যাসিস্ট ঘোল খাওয়াইয়ে মগজে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন যে, সরকার/শাসক এবং রাষ্ট্রের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
অর্থাৎ বর্তমান দখলদার আওয়ামী সরকারের কোন কাজের সমালোচনা করলে-তা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ বলে বিবেচিত হবে। কি দারুণ এক ব্যাপার।
আজ যারা রেফায়েত এর মুক্তির দাবীতে প্রচুর লিখছেন তারা যদি একটু রিকল করেন যে, এর শুরুটা কখন কোথায় কিভাবে হয়েছিলো তাহলে দেখতে পাবেন, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদকের গ্রেফতার এবং হয়রানীর মাধ্যমে এই আমলের আওয়ামী সরকার প্রথম ক্ষত তৈরি করেছিলো। সেই ক্ষত তখন আপনারা ইগনোর করে গিয়েছেন। আজ রেফায়েতের গ্রেফতারিকে ইনফেকশন মনে করে অ্যান্টিবায়োটিক চাইছেন। অথচ অশনীসংকেত তখনই বাজিয়ে দেয়া হয়েছিলো।
কলম বন্ধ করতে বাধ্য করা একটি ভয়ংকর অন্যায়। সে চাপাতির কোপে হোক কিংবা চৌদ্দশিকের আঘাতে হোক। আফসোসের ব্যাপার এই যে, মাহমুদুর রহমানের কলম বন্ধের সময় চাপাতির আঘাতপ্রাপ্তরা কিংবা হুমকিপ্রাপ্তরা এই জিনিসটা বুঝতে পারেনাই। সেই কলম বন্ধে আনন্দ ছিলো প্রচুর। আমাদের সু-শীল সমাজ ও তখন ভাবেনাই কলম বন্ধের ট্রেন্ড সেট হইতে যাইতেছে। আজকে জেল কালকে খুন। উহারা সরকারকে সাধুবাদ জানাইয়া আসিয়াছেন।
সরকার খুব ভালো মতই জানে 'মজা লস' পেইজের কারণে তাদের বিন্দুমাত্র কোনও লস নেই। রেফায়েত মুক্তি পাবে এমনিতেই। আপনি মুক্তি চাইলেও অথবা না চাইলেও। তাকে অন্যান্যদের মত রিমান্ডে নিয়ে পেটানো হবেনা, পঙ্গু করা হবেনা এবং হাত-পা বেঁধে গুলিতে গুলিতে পাঁজরের হাড়গুলো চূর্ণ করা হবেনা। রেফায়েতকে আমি একধরণের পোষ্টার বয় হিসেবে দেখছি।
তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র বাকিদের ভয় দেখাবার জন্য। ভয়ের এবং আতংকের একটি সংস্কৃতি তৈরি করবার জন্য। তারা ভাবছে, এই ভয় বৃক্ষের ফল দিয়ে তারা আরো কিছু বছর উদরপূর্তি করে নেবে। এরপর যা হবার তা পরে দেখা যাবে। নইলে এভাবে মারধোর এবং চোখ রাঙানো কখনই অন্তত সরাসরি সুবিধেভোগী ছাড়া বাকিরা সমর্থন করতে পারেনা। একটি দলে সবাই অন্তত এরকম নির্বোধ হতে পারেনা দেশের ব্যাপারে।
তারা ভালোমতই জানে এধরণের সংস্কৃতি শুভকর কিছু আনবেনা কখনই। তবুও তারা যেভাবে এই নীতিতেই অটল রয়েছেন তাতে ভয়ংকর কিছু সন্দেহ হয়। সন্দেহ হয় এই দেশ আমাদের হাতে নেই। এখানে যে সরকার তা এখন সম্পূর্ণ ভারতের পুতুল। আর তাই এরকম খোলাভাবে ভয়ের কালচার তৈরি করছেন তারা। কারণ দেশের মানুষের ভালোবাসার দরকার নেই তাদের। তাদের দরকার মানুষদের ভয় দেখিয়ে দমন করে রাখা। সরকার বিরোধী মানেই রাষ্ট্র বিরোধী- এই তরকা সমেত তরকারী খাইয়ে যতদিন পারা যায় ক্ষমতায় থাকা।
এবং এই বিষয়গুলো আওয়ামী বান্ধব সাংবাদিক লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা যারা সরকারের সাথে সরাসরি জড়িত নন তারা যত দ্রুত বুঝবেন তত পুরো জাতির মঙ্গল। তা নাহলে এই অন্ধকার টানেলের মুক্তি নাই।
সাতচল্লিশে শুরু হয় ষড়যন্ত্র, যার এক মাইলস্টোন ‘৭১ এ। তারপর থেকে সময়-সুযোগ বুঝে চলতে থাকে সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ভৌগলিক, অর্থনৈতিক আগ্রাসন। চুড়ান্ত পর্যায়ের কাছাকাছি এসে Police state দেখতে পাচ্ছি।
কেফায়েতের গ্রেফতারের সাথে রাষ্ট্রকেও জড়িয়ে ফেলে আমাদের বীর সরকার বাহাদুর জনগনকে একটা বার্তা দিতে চাইছে। বার্তাটি কি ? আপনি-আমি সবাই ই তা জানি
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে- সরকার আর রাষ্ট্রকে এক করে "মজা লস"? এই মজা আখেরে খুবই ভয়ংকর। খুব।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: বাকশালের চিরায়ত আদর্শের উত্তম বহির্প্রকাশ! জয় বাংলা!
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: সরকার যখন এ ধরনের কাজ করে, তখন ধরে নিতে হয় তাদের শাসনের ভিত দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, যদিও উপরে উপরে সবই নিয়ন্ত্রনে। একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে জনগনকে চাপ দিয়া বাগে রাখা যায় না। পাহাড়ি নদীর মত সবকিছু ভেঙ্গে চুরেই আগাবে জনমত। জনগনকে প্রভাবিত করা হোক ভালো কাজ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে নয়। তাহলে জনগনও সরকারের সাথে থাকবে। সরকার তো এক অর্থে জনতারই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: আপনি যেভাবে সুস্থ মস্তিস্ক থেকে সরকার ও জনগনকে বিবেচনা করছেন, আমাদের বিরাট সরকার বাহাদুর তা স্বীকার করে না। চেতনায় এখানে সুপেরিওয়র। জনগণ গৌণ। ট্রিগার হ্যাপি প্রশাসন যেখানে বড় কর্তা।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
আহমেদ ফিরোজ- বলেছেন: তার মানে সরকারের সকল অপকর্মের বিরোধীতাই রাষ্ট্রদ্রোহিতা.....????? তাহলে তো ৫ জানুয়ারির ৫% ছাড়া পুরো ৯৫%ই রাষ্ট্রদ্রোহী...!!!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: কে বলেছে ৫%। আপনার চেতনায় সমস্যা আছে। আর কিসের ৯৫%। যারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না, তারা বাংলাদেশের নাগরিকই নন। তাদের আবার কিসের পারসেনটেজ? বর্তমান সরকার শতভাগ মানুষের সমর্থিত সরকার।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
আহমেদ ফিরোজ- বলেছেন: তাইলে তো আমিও সরকারের সমর্থক। জয় বাংলা।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুধুমাত্র বাকিদের ভয় দেখাবার জন্য। ভয়ের এবং আতংকের একটি সংস্কৃতি তৈরি করবার জন্য। .......... এইটাই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: আসুন আমরা বীর সরকারকে ভয় স্বীকার করি। ভয়।
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
দোলাভাই বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে- সরকার আর রাষ্ট্রকে এক করে "মজা লস"? এই মজা আখেরে খুবই ভয়ংকর। খুব।
############৩জটিল বলেছেন...........।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
দোলাভাই বলেছেন: সরকার ছাড়া কেউ মজা নিবে না ..................সরকার এর ইচচা হলে সালাউদিদন কে নিয়ে মজা করবে......না হ্য় এরশাদ কাকু কে নিয়ে মজা করবে.....।না হয় রিজভি কে নিয়ে মজা করবে......। না হয় নিরবাচন নিয়ে মজা করবে......না হয় ১৫ কোটি জনগন নিয়ে মজা করবে...। মজা শুধু সরকার করবে...............
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: মজা আর মজা। এটা মজার রাজ্যরে ভাই ! আসেন সবাই মজা করি। চেতনার মজা!
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
রাফা বলেছেন: মজা লসের মজা নেয়া এবং মূল অপরাধীদের আড়াল করার কৌশল
==================================
গত কয়দিন যাবত "মজা লস" নামক পেইজটি যা করেছে তা জানা নেই এমন কোন নিয়মিত ফেইসবুক ব্যবহারকারী আছেন কিনা তা আমার জানা নেই। তবে "মজা লস" নামক পেইজের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড থেকে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় কেন চৌধুরী সাহেবের আড়ালের মানুষটি নিজেকে কেন লুকিয়ে রেখেছিলো।
প্রথমতঃ যেই ছেলের ছবি মজালসের এডমিন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, সে চৌধুরী হলেও এসব কিছুর পরিকল্পনা এতটা কম বয়সী কিংবা কোন নির্দিষ্ট একটি মাথা থেকে আসেনি। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এর পিছনে আছে। এতটা কৌশলে এতগুলো সচেতন চোখ ফাঁকি দেয়ার বুদ্ধি কোন একক মস্তিষ্কপ্রসূত নয়।
দ্বিতীয়তঃ তাদের মূল টার্গেট ছিলো, "আই হেইট পলিটিক্স" প্রজন্ম। আর এই "আই হেইট পলিটক্স" প্রজন্ম যে শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশে আছে তা নয়। সবদেশেই আছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের একমাত্র দেশ যেদেশে এখনো রাজনীতি করছে সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল। আর এই আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম যেখানে মনে করে রাজনীতি মানেই খারাপ, তাদের মাথায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের দলকে অপেক্ষাকৃত বেশী খারাপ এটি ঢুকিয়ে দিতে পারলেই দীর্ঘমেয়াদী একটা সুবিধাভোগ করবে সেই স্বাধীনতাবিরোধীতাকারী দলটি। আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম সবসময় সরকার (যেই দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন) এর সমালোচনা পছন্দ করে। "মজা লস" পেইজ মজা নিতে নিতে কৌশলে এই সুযোগটাই নিয়েছে। এই সুযোগে তারা খুব সাবধানতার সাথে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে নিয়ে ট্রল করে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে, তাদের মুখোশ যাতে খুলে না যায় সেকারণে মাঝে মাঝে খুব সাবধানতা অবলম্বন করে বিরোধী দলগুলো নিয়েও হাতে গোনা দুই একটা ট্রল করেছে। যাতে করে কেউ প্রশ্ন করলে তারা জবাব দিতে পারে, তারা সবাইকে নিয়েই করে।
এর বাইরে তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরব থেকেছে। এটা মূলত, আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য। যেমন কোথাও কোন নারী নির্যাতিত হয়েছে তারা দুই একটা এমন ইস্যুতে সক্রিয় ছিলো। এটাও তাদের একটি কৌশল। এই কৌশলের পিছনে কারণ হলো, রাষ্ট্রের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতাকে হাইলাইট করে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বাহিনী যেমন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা এদের অকার্যকর হিসেবে প্রচার করা। যাতে করে, নিকট ভবিষ্যতে আই হেইট পলিটিক্স প্রজন্মকে মগজ ধৌলাই দিয়ে জঙ্গী বানানোর মিশনটা সফলতা পায় খুব সহজেই।
অনেকেই জানে না এবং যা তারা নিজেদের চেহারা লুকাতে মুছে দিয়েছে তা হলো, তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেও ট্রল বানিয়েছিল। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে ট্রল করে শুধু আইনের দিক থেকে অপরাধ করেনি, তারা চরম বেয়াদবী করেছে।
তাদের বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যে চৌধুরী নামের আড়ালের ব্যক্তিটি লিখেছে তার বাবা নাকি শেখ কামালের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো। এই কথাটি বলে সে প্রমাণ করতে চেয়েছে, সরকারকে নিয়ে কটুক্তি করে অন্যরা পার না পেলেও তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এই কথাটি বলার পিছনেও যথেষ্ঠ কারণ আছে। এরদ্বারা সে ছাগুদের প্রচারিত একটি কথাকে প্রতিষ্টিত করতে চেয়েছে, আর তা হলো, সরকারের কাছের লোকজন যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
শাহবাগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সে সময়ে সরাসরি রাজাকারের ফাঁসি চাওয়া কোন পোস্ট না দিলেও দুই একটি পোস্ট দিয়েছে শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে। আমরা অনেকেই জানি, শাহবাগ আন্দোলনের সময় এমন অনেককেই সেখানে দেখা গেছে যারা রাজাকারদের মৃত্যুদন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানবতার বুলি ঝেড়েছেন বিভিন্ন সময়ে। তবে "মজা লস" পেইজ সেসময় শাহবাগ নিয়ে একেবারে চুপ থাকলে তার পিছনের লোকজন সম্পর্কে ধারণা হয়ে যেতে তরুন প্রজন্মের আর তাই তারা সেসময় অনিচ্ছা সত্তেও দুই একটা পোস্ট দিয়েছে। আর সেই পোস্টগুলোতে তাদের ক্রিয়েটিভিটির ব্যবহার ছিলো না বিন্দুমাত্রও সেখানে সরকারকে নিয়ে ট্রলগুলোতে তাদের সৃজনশীলতার প্রশংসা করবে যে কেউই।
তারা সাঈদির চন্দ্রগমণ মিশন নিয়ে নাকি ট্রল করেছিলো। কিন্তু কখনোই এই রাজাকারদের কুকর্ম নিয়ে কোন পোস্ট তাদের পেইজে আসেনি, আসেনি চিহ্নিত রাজাকারদের কোন কথা কিংবা অন্য কিছু নিয়ে কোন ট্রল, সেখানে দুই দিন পর পর দেখেছি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের উক্তি নিয়ে কিভাবে ট্রল করেছে এই পেইজটি। ছাড় পায়নি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।
তারা নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সোচ্চার, অথচ একাধিক নারীর ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে ট্রল করেছে তারা প্রতিনিয়ত। সাহারা খাতুনের মতন একজন বয়ষ্ক নারীর সাথে নায়ক সাকিব খানের ছবি জোড়া দেয়া ট্রলগুলো দেখেছে অনেকেই। তখন একজন নারীকে হেয় করা হয়নি? কিংবা খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা (যদিও হাতে গোনা দুই একটি)।
সম্প্রতি কামারুজ্জামানের ফাঁসি নিয়ে পুরো দেশে একটি মাস ধরে প্রতিটি মানুষ ছিলো উৎকন্ঠায়, সেই একমাসে চৌধুরী ব্যস্ত ছিলেন অন্য জগতে। তাছাড়া, দীর্ঘ তিন মাসের মতন হরতাল/অবরোধ দিয়ে যেভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোঁড়ানো হলো, তখন আমাদের কেজরিওয়াল চৌধুরীর বিবেক জাগ্রত হয়নি দেখে অবাক হয়েছিলাম।
সর্বশেষ তারা খুব কৌশলে প্রচার করতে চাইলো, হেফাজত-জামাতের ফতোয়া। আর তা করতে চেয়ে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করেও রক্ষা হলো না তাদের। পহেলা বৈশাখের ঘটনার পর প্রথমেই তারা সরাসরি আঙ্গুল তুললো ছাত্রলীগের দিকে। অথচ তখন পর্যন্ত এবং এরপরেও সয়ং লিটন নন্দী নিজে বলেছে সেই ঘটনায় জড়িতরা বহিরাগত। তাও, ছাত্রলীগকে জড়িয়ে কুৎসা করার জন্য বেছে নিয়েছিলো, বাঙ্গালী জাতির প্রাণের শ্লোগান, "জয় বাংলা" কে। শাহবাগের পক্ষে পোস্ট দেয়া কেউ "জয় বাংলা" শ্লোগান নিয়ে ট্রল করবে এতে তার ল্যাঞ্জা লুকায়িত থাকবে এতটাই বেকুব ভেবেছিলো চৌধুরী আমাদের।
ছাত্রলীগকে নিয়ে দেয়া পোস্টের পরে তারা ডাক দিলো পহেলা বৈশাখে টিএসসি বর্জনের। তখন ফুঁসে উঠলো সবাই। আর সন্দেহ রইলো না তারা আসলেই কি বলতে চাইছে। তবুও অনেককে দেখেছি বলতে অতি আবেগের বসে তারা টিএসসি বর্জনের ডাক দিয়েছে। লক্ষ করলে দেখা যায়, এই ডাকটি ঠিক সে সময় দিয়েছে যে সময় একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত ফারজানা রুপার একটি রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয় প্রকৃত অপরাধীদের।
উক্ত পোস্টের পরের পোস্টটি ছিলো, পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান, "এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো....." গানটিকে নিয়ে ট্রল করে। এরপরেই তারা নাটক শুরু করলো বিভিন্ন রকমের। যাতে করে সবার দৃষ্টি থাকে এই মজালসের দিকে। বলতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তাদের রেড ফ্ল্যাগ দেখিয়েছে। অথচ, সয়ং প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে ট্রল করার সময় প্রধানমন্ত্রীর অফিস কিছুই বলেনি তাদের। কি হাস্যকর কথা বার্তা। আর আমাদের দেশের কিছু ছাগল তাদের সহানুভূতি দেখিয়ে জাতীয় বীর ঘোষণা করলো। এরপর তারা ঘোষণা করলো চৌধুরী তার বোনকে নিয়ে কানাডা চলে যাচ্ছে। তার নিজের আরেকটি একাউন্ট ব্যবহার করে ইভেন্ট খুললো, "উই ওয়ান্ট ইউ ব্যাক মজা লস" শিরোনামে। পেইজ থেকে একটি ভুয়া ওয়েভ ঠিকানা ব্যবহার করে বলা হলো, সেই পেইজটা নাকি তাদের মালিকানাধীন।
এরপর সে একখানা বিশাল আবেগে ভরা পোস্ট দিলো একটি ছবি ব্যবহার করে, যাতে সে দাবী করে সেটা তার নিজের ছবি। কিন্তু অতি চালাক চৌধুরী অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ধরা পড়ে গেলো টকিং টম খ্যাত আরমানের হাতে। আরমান পোস্ট দেয় আসল একাউন্টের লিংক সহ যেই ছবিটি সে ব্যবহার করে সেটা ভারতীয় এক ছেলের ছবি। ধরা পড়ার সাথে সাথে দশ মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেয় পেইজ। এরপর আবার এক্টিভ করে সে দাবী করে সে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নিজে নাকি মজা নিয়েছে।
হায়রে চৌধুরী এতই বেকুব ভাবলে আমাদের? এই সব নাটক করে সকলকে মজা লস নিয়ে ব্যস্ত রেখে চেয়েছিলে সবাই ভুলে যাবো মূল ইস্যু। নির্যাতিত মেয়েগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে অপরাধীদের খুঁজে বের করার নাটক মঞ্চস্থ করে বাঁচিয়ে দিতে চাইলে প্রকৃত অপরাধীদের। ছিঃ চৌধুরী, ছিঃ মজা লস। আমাদের এত বেকুব ভাবা তোমার উচিত হয়নি। এখনো যারা তোমাদের দুই একটা সাইনবোর্ড সর্বস্ব ভাল কাজের জন্য তোমাদের পক্ষে নিচ্ছে তাদের জন্যও করুনা হয়।
চৌধুরী সাহেব, বাংলা সিনেমার বহুল প্রচারিত খল নায়কের নামের আড়ালে তুমি নিজেই একজন প্রকৃত খলনায়ক হিসেবেই থেকে যাবে সব সময়।
এই হইতেছেে-"মজা লস" চৌধুরি সাহেবের আমল নামা।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: "আই হেইট পলিটিক্স" প্রজন্ম তৈরী করতে এই ঐতিহাসিক সরকারের অবদানের গুণের খ্যাতাই তো ছিঁড়া যাবে না? বাকশালীদের মত এত প্রতাপশালী দলের অনন্য কর্মকান্ডের বিপরীতে " মজা লস" এর মত একটা পেইজই "আই হেইট পলিটিক্স" ইস্যু সামনে নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে। আর এটার ট্রিটমেন্ট এডমিন গ্রেফতার? ওয়াও। এখানেও বাকশালী চরিত্র দেখে দিলেন? কেন বাকশালী পেইড এজেন্টরা বিরোধী দল নিয়ে ট্রল বানাচ্ছে না? বানাক না। দেখা যাক- সাধারন জনগণ কোন কোটা বেশী উপভোগ করে!
৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭
আমি শঙ্খচিল বলেছেন: তাইলে এখন আর মজা ও লওন জাইব না , মজা লইলেই সরকার ক্যাঁক কইরা ধইরা বইবো
১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬
জীবনতরী চলছে বলেছেন: বাহ @রাফা সাহেব কি চমৎকার বয়ান দিলেন। আপনি বুঝাতে চাইছে মজা লস পেইজ সরকারের বিরোধী। এটা তো আপনাদের কমন ডায়ালোগ। এখন আবার বর্তমান বাকশালী সরকার আর রাষ্ট্র একাকার। কার সাহস সরকার নিয়ে ট্রল করে। আপনি যে প্যারামিটার নিয়ে কথা বললেন-বাংলাদেশের অধিকাংশ তরুন সেই প্যারামিটার মানে না।
১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: রাতের টক শো গুলিতে রগ কাপিয়ে বক্তা রা সরকারের কাপড় খুলে বৃক্তিতা দেন ....।এই সরকারের আমলে কোন বাক স্বাধীনতা নাই। কথা বললেই ধরে নিয়ে যায়..........আবার পরদিন উনি আসেন সেই কথাই বলে যান .......আবার উনি আসেন ....সেই একই রেকর্ড
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: কার কাপড় যে কে খোলে? কেন তুহিন মালিক দেশে আসতে পারছে স্যার? কেন আসিফ নজরুলকে টিভিতে অঘোষিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন অধ্যাপক শাহীদুজ্জামান টিভিতে যেতে পারেন না? কেন মাহমুদুর রাহমান জেলে? কেন একের অপ এক টিভি, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে? কেন কেন?
১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই এরকম খোলাভাবে ভয়ের কালচার তৈরি করছেন তারা। কারণ দেশের মানুষের ভালোবাসার দরকার নেই তাদের। তাদের দরকার মানুষদের ভয় দেখিয়ে দমন করে রাখা। সরকার বিরোধী মানেই রাষ্ট্র বিরোধী- এই তরকা সমেত তরকারী খাইয়ে যতদিন পারা যায় ক্ষমতায় থাকা।
কঠিন তেতো সত্য কথা লিখেছেন।
দেখা যাক ১৫ কোটির সাথে মজা লওয়া কতদিন চলে!!!!!
১৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
তট রেখা বলেছেন: প্রাক্তন সোভিয়েত আমলে নিম্নোক্ত উক্তিটি খুবই প্রসিদ্ধ ছিল, " Do not think. If you think, do not express. If you express, do not keep any witness. If you keep any witness, be prepared to go to jail. If you go to jail, tell your family to forget you."
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: এটাই এখন আমাদের দেশেরও নিয়তি !
১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটা ফালতু কুলাঙ্গারের জন্য এত আহাজারি, কান্নাকাটি?
মহম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে শিশু ধর্ষন-নিহত গুজব, নগর কেন্দ্রে তাবৎ স্কুলের অভিভাবকদের ইচ্ছাকৃত আতঙ্কিত করে, স্কুলটিচারদের জীবন হেল করে ফেলা।
ব্যাক্তিগত আক্রোশ মেটাতে ছবি দিয়ে, নারী, ছাত্রী, বিবাহিতা নারীর চরিত্র হরন, দিনের পর দিন নোংড়া কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেয়া।
সরকারের, মন্ত্রীদের পাছা মারা, মুজিবকোট, ছাগুগিরি করা এসবে দোষ দেই না। সবাই জানে এতে সরকারের একটি চুলও (হিন্দিতে) ঝরে না। বিম্পি-ছাগু জনমত একটুও বাড়ে না।
কিন্তু ব্লগার হত্যা সমর্থন? এটা কি ফাজলামির মধ্যে পড়ে?
সে বেশিরভাব সরকারবিরোধী ট্রল করত তাই সে নিরিহ পাপমুক্ত?
মিথ্যাকে সত্যর মত উপস্থাপন নোংড়া আবর্জনা ছড়ানো এইসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে একটু ব্যবস্থা নিলেই ফালতু কুকুরটার জন্য হাগার হাগার শুশিলের আহাজারি, কান্নাকাটি! চোখের পানিতে ব্লগ ফেবু ভাসিয়ে ফেলা?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: হাসান ভাই-আপনি পুরো দলকানা হয়ে গেছেন। মুক্তমতের ধারক-বাহকরা এভাবে স্বৈরাচারী কায়দায়- অনলাইন একটিভিষ্টদের গ্রেফতার করছে, আর আপনি এখনো তা ডিফেন্ড করছেন। পারেনও বটে ব্রাদার। সরকার আর ব্যক্তির সমালোচনাকে রাষ্ট্রের সাথে মিলিয়ে নেওয়ার পরিনতি কারো জন্যই ভাল হবে না ভাই।
১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
ব্লগার ওমর ফারুক বলেছেন: সরকার
বিরোধী মানেই রাষ্ট্র বিরোধী- এই
তারকা সমেত তরকারী খাইয়ে যতদিন
পারা যায় ক্ষমতায় থাকা।
১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
প্রবালরক বলেছেন: বন্ধ হোক বাড়াবাড়ি রকমের অতীত চর্চা। মোহনীয় আবেগর ফেনিল সাগরে ডুবিয়ে রেখে নিজেদের ব্যার্থতা, অকর্মন্যতা, অযোগ্যতা আর অপকর্ম থেকে বাঁচার চেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ-বিপক্ষ, মনগড়া মুক্তিযুদ্ধর চেতনা - ইত্যাদি ইত্যাদির অবসান্ হোক। এদেশের জনগন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায়। জাতীয় প্রয়োজন হল ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনায় সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহন। বিকল্পে নইলে দুর্দশাগ্রস্ত অনাগত দিন। তখনো আমরা শুধু স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিকে গাল দিয়েই যাব! পার পাব!
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: সহমত।
১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪
দোলাভাই বলেছেন: সবই চেতনা...........মহান চেতনা....................।মজা ওনেক মজা......চেতনায় মজা....।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
অাব্দুল্লাহ তাহির বলেছেন: আসেন চেতনা চেতনা খেলি। মজা!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
মুদ্দাকির বলেছেন: সরকার ছাড়া কেউ মজা নিবে না!