নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....
সাভারের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘রানা প্লাজা’ নামের আলোচিত ৯তলা ভবন ভেঙে পড়েছে। আজ সকাল ৯টায় ভবনটি ধসে পড়ে। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সেনা বাহিনী। স্থানীয়রাও উদ্ধার কাজে সহায়তা করছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১০টি টিম কাজ করছে সেখানে। এ পর্যন্ত ধংসস্তুপ থেকে ১৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ পর্যন্ত আহত ২ শতাধিক লোককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর বিএনপির হরতাল সাভার এলাকায় শিথিল করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ধসে পড়ার সময় ভবনের ভেতরে কমপক্ষে ৫ হাজার শ্রমিক ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদের বেশিরভাগই ভেতরে আটকা পড়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। তাদের খোঁজে আহাজারি করছেন স্বজনরা। এমুহূর্তে ভবনটি ঘিরে রেখেছেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক, শ্রমিকদের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বহুতল এ ভবনে ফাটল দেখা দেয়। ভবনটির মালিক সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা। ভবনে ৪টি গার্মেন্ট সহ বহু প্রতিষ্ঠান ছিল। ভবনে ফাটল দেখা দিলে আতঙ্কে ওই ভবনের ৪টি পোশাক কারখানা ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে ভবন থেকে মালামাল সরাতে যান প্রায় সবগুলো দোকান ও প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এছাড়া গার্মেন্ট সকালে খুলে দেয়া হলে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দেন। তাদের প্রায় সবাই ভেতরে আটকা পড়েছেন। এখানে থাকা কারখানাগুলো হচ্ছে- তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ তলার প্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেড, পঞ্চম তলার প্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ষষ্ঠ তলার ঈথার টেক্সটাইল লিমিটেড। দ্বিতীয় তলায় ছিল বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের সাভার শাখা। নয় তলা ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধনী সামগ্রী ও কাপড়ের মার্কেট। গতকাল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ৩য় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড কারখানার ভিতরের পিলারেও ফাঁটল দেখা দেয়। শুধুমাত্র চারটি কারখানায় সাড়ে ৫ হাজারের মতো শ্রমিক কাজ করেন।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
উযায়র বলেছেন: কি মর্মান্তিক ! দায়ী লোকগুলোকে ধরে ধরে ফাসী দেওয়া হোক।
আর কতকাল এরা পার পেয়ে যাবে ?
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
বাধা মানিনা বলেছেন: আজ যারা মারা গেছে, তারা একদিন টিভিতে অথবা লাইভ এ ধরণের ভবন ধস দেখেছে। কিন্তু তারা ভূলেও ভাবেনি একদিন তাদেরো এমন দশা হবে। আবার আজ যারা দেখছে একদিন তাদেরও এমন দশা হতে পারে, কারণ বাংলাদেশে হাজার হাজার ঝুকিপূর্ণ ভবন আছে। আমরা জানি, এসব কেন হয়, কি জন্য, কারা দায়ী, এরপরও আমরা চুপ। আসুন আমরা আরও চুপ থাকি ও ললিপপ চুসি, আর একদিন কাউকে হারিয়ে নিজে কাঁদি অথবা নিজে হারিয়ে আমাদের পরিবারকে কাঁদাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দুঃখজনক , শোকে মানুষ জন মূক
আমরাও নির্বাক