নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....
বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। চারদিক উপচে বাড়ী ঘরের মেঝে ডুবতে শুরু করেছে কেবল। দুর্গতদের সাহায্যার্থে ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল জীপ গাড়ীতে করে বন্যা দূর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটু উচু ও নিরাপদ স্থানে। সরকারী-বেসরকারী, এনজিও, ব্যাক্তিবিশেষে সবাই এ কাজে সহযোগীতা করছে। এরই ধারাবাহিতায় উদ্ধারকারী দল এলো একজন খোদাভক্ত লোকের বাড়ীতে। গাড়ীতে উঠার কথা বললে লোকটি বলল যে, সৃষ্টিকর্তাই তাকে সাহায্য করবেন। বন্যার পানি তাকে কিছুই করতে পারবে না।
দু-একদিনের মধ্যেই পানি বেড়ে দ্বিগুন হয়ে গেল। এখন শুধু আর ঘরের মেঝে না, ঘরের ভিতর গলা পানি হয়ে গেল। আবারও সেই উদ্ধারকারী দল এলো। এবার এলো স্পীড বোট নিয়ে। লোকটির একই কথা, “সৃষ্টিকর্তাই আমাকে সাহায্য করবেন। বন্যার পানি আমাকে কিছুই করতে পারবে না।”
অল্প সময়ের মধ্যেই পানি ছাপিয়ে ঘরের চালা পর্যন্ত উঠে গেল। পারদিকে অথৈ পানির তোড়। প্রচন্ড স্রোতে সব কিছু ছিড়ে-ভেঙ্গে-চুরমার হয়ে ভেসে যেতে লাগলো। কিছুক্ষন লোকটি ঘরের চালের উপর আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারলো। এমনি সময়ে আবারও এলো সেই উদ্ধারকারী দল। এবার তারা হেলিকপ্টারে তাকে উঠিয়ে সাহায্য করতে চাইলো। কিন্তু বিধিবাম, একগুয়ে লোকটির কথা, “সৃষ্টিকর্তাই আমাকে সাহায্য করবেন। বন্যার পানি আমাকে কিছুই করতে পারবে না।”
হেলিকপ্টার উড়ে গেল। উদ্ধারকারী দল নিরাপদ আশ্রয়ে এবার নিজেরাই আশ্রয় নিল। তুমুল স্রোতে ভেঙ্গে গেল লোকটির ঘর। ভেসে গেলো প্রবল ঘুর্ণীবাকে। মৃত্যু বরণ করল পানিতে ডুবে।
এমনি যার খোদার উপর ভরসা, তার কেন এমন পরিনতি হবে? মৃত্যুর মুহুর্তে লোকটি মনে মনে ভেবে রাখলো যে, সৃষ্টিকর্তাকে জিজ্ঞাসা করবে। খোদার সামনে আনা হলো মৃত লোকটিকে। জিজ্ঞাসা করলো, হে খোদা! আমি আপনার উপর শতভাগ বিশ্বাস এনেছিলাম। আপনার উপর ভরসা করেই বিপদের সময়ে আপনারই আশ্রয়ের প্রত্যাশী ছিলাম। তাহলে কেন আমাকে পানিতে ডুবে মরতে হলো??
মহান খোদার উত্তর, “যখন তোমার ঘরের মেঝেতে পানি উঠলো, কে তোমাকে উদ্ধার করতে মানুষ পাঠিয়েছিল? যখন তোমার গলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে যেতে লাগলো, তখন কে তোমাকে বাঁচাতে নৌকা পাঠিয়েছিল? যখন মৃত্যুর কাছাকাছি ছিলে তখন কে তোমাকে আকাশ পথে বাচাবার পথ দেখিয়েছিল? কে জানতো যে, এমন জায়গায় তুমি একলা বিপদে পড়ে আছো?? বল, কে তোমাকে বাচানোর জন্য দূত পাঠিয়েছিল???
ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে বেচে থাকার পথ দেখায়। কিন্তু গোঢ়ামীতে ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বাস মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অনেক দুর, কিন্তু অন্ধভাবে পথ চললে বিপদ আসবেই। আসলে মানুষের জীবন-যাপনের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব। মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার কার্যকলাপ। মানুষের মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরিচালিত করেন। বিবেক আর মানুষত্য এই দুইয়ে মিলে জীবনকে করে নিতে হয় সুন্দর-নিরাপদ-সাবলিল... ... ...
উৎস ব্লগ এখানে।
২| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
গোবর গণেশ বলেছেন: সহমত
৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে বেচে থাকার পথ দেখায়। কিন্তু গোঢ়ামীতে ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বাস মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অনেক দুর, কিন্তু অন্ধভাবে পথ চললে বিপদ আসবেই। আসলে মানুষের জীবন-যাপনের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব। মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার কার্যকলাপ। মানুষের মাধ্যমেই সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পরিচালিত করেন। বিবেক আর মানুষত্য এই দুইয়ে মিলে জীবনকে করে নিতে হয় সুন্দর-নিরাপদ-সাবলিল... ... ...
সুন্দর বলেছেন।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
নতুন বলেছেন: ধম` আর ট্রাফিক আইন একই রকমের... মাইনা চললে খারাপ কিছু হয় না..
জীবন আর গাড়ী বেপরোয়া চালালে অন্যের সমস্যা হতে পারে... তাই কিছু নিয়ম মানা ভাল...
আর গোড়ামী কোন কিছুতেই ভাল না...
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে বেচে থাকার পথ দেখায়। কিন্তু গোঢ়ামীতে ধ্বংস অনিবার্য
........আমি কঠনভাবে একমত ।