নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....
মাদারীপুর থেকে আমার ঢাকা ফিরে আসার কথা ছিল ৪ তারিখ দুপুরের মধ্যে। কেওড়াকান্দী ঘাটে এসে লঞ্চে উঠার যে কাঠের সিড়ি থাকে সেখানে পা রেখেও অত্যাধীক মানুষের ধাক্কাধাক্কি, লঞ্চ ষ্টাফদের হাকডাক আর ব্যক্তিগত কিছু মানসিক অশান্তির কারনে সেই লঞ্চে উঠলাম না। তখন বাজে সকাল প্রায় দশটা। ঘাটেই একটা হোটেলে নাস্তা করলাম। অন্য একটা চা-ষ্টল থেকে গরুর দুধের চা খেলাম। হাজার হাজার মানুষ নদী পাড় হতে একযোগে লঞ্চ ঘাটে এসে ভিড় করে আছে। একটা একটা করে লঞ্চ মানুষে ভরে যাচ্ছে আর ছেড়ে যাচ্ছে। এদিকে আকাশও কিছুটা কালো হয়ে ছিল। আমি লঞ্চে উঠবো না কি ফেরীতে উঠবো তা ভেবে ঠিক করতে না পারায় কেটে গেলো প্রায় ৪০-৫০ মিনিট। শেষ পর্যন্ত লঞ্চেই উঠলাম। লোকে লোকারন্য। সোজা গিয়ে উঠলাম একদম পিছন দিকে নামাযের জন্য যে উচু যায়গাটা থাকে সেখানে। কেওড়াকান্দী ঘাটে থাকতেই আকাশ কালো ছিল কিছুটা। এবার শুরু হলো বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি। তবে কোন ঝড়ো বাতাস ছিল না মোটেও। শরিয়তপুর ঘাট পার হওয়ার পরপরই লঞ্চটি আচমকাই সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়ে আবারও কেওড়াকান্দী ঘাটের দিকেই ফিরে আসতে লাগলো লঞ্চটি। সুকানি, সারেং কেউই যাত্রিদের সঠিক কোন তথ্য দিলো না। শুধু জানালো যে লঞ্চ এ সমস্যা হয়েছে। আবারো প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পথ পারি দিয়ে লঞ্চটি আমাদের ঘাটে নামিয়ে দিল। নামতেই দেখলাম হাজার হাজার লোক নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছে। তাদের কাছ থেকেই জানলাম যে মাঝ পদ্মায় একটা লঞ্চ প্রায় ৪০০ জীবন্ত মানুষ নিয়ে ডুবে গেছে একটু আগেই।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।