নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে মুসলিমদের অবদান

২১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

মুসলিম বিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপুর্ণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আবিষ্কার যেগুলো মানব সভ্যতায় অসামান্য অবদান রেখেছিল। আজকের উইরোপ আমেরিকার গবেষণাগারে যারা গবেষণা করছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম আছে। আমার জানা মতে নাসাতেই কয়েকজন বাংলাদেশী পাক্কা মুসলিম আছেন। ইউটিউবের অন্যতম প্রতিষ্ঠা জাওয়াদ করিমও বাংলাদেশী মুসলমান। সুতরাং আজকের আমেরিকা-ইউরোপের আবিস্কারের পেছনেও মুসলমানদের মেধা ও অবদান অনস্বীকার্য। এমনকি পাকিস্তান-ইরান ইসলামিক রাষ্ট্র না হলেও মুসলমানরা সেখানে বসে নেই। তারা তাদের সাধ্য মতো বিভিন্ন আবিস্কার করে যাচ্ছে। আমাদের এই বাংলাদেশেও বিজ্ঞানীদের অভাব নেই। ইউরোপ-আমেরিকার ইহুদী-খৃষ্টানরা যা করতে পারে নি সেই পানি দিয়ে গাড়ি চালানো, বাতাস দিয়ে গাড়ি চালানো, পাথরকুচি পাতা থেকে বিদুৎ তৈরী করার মতো একের পর এক অত্যাশ্চর্যজনক আবিস্কার কিন্তু এদেশের মুসলিমরাই একের পর এক করে যাচ্ছেন। কিন্তু দু:খজনক বাস্তবতা হলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা অকালে ঝড়ে যাচ্ছে। কদিন পর আর আমরা তাদের কোন খবর পাচ্ছি না। ইবনে আল হাইসাম ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্র্রেষ্ঠ একজন পদার্থ বিজ্ঞানী। তিনিই সর্বপ্রথম প্রদান করেন জড়তত্ত্ব ও আলোর প্রতিসরণ তত্ত্ব। পরবর্তীতে যা নিউটনের হাতে পুনরাবিষ্কৃত হয়। জাবির বিন হাইয়ান রসায়ন শাস্ত্রের ভিত্তি রচনা করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইবনে সিনা, জাবির হাসান বিন হাইয়ান, আল রাযীর নাম উল্লেখযোগ্য। তাদের লিখিত বইয়ের ল্যাটিন অনুবাদ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য ছিল। কম্পিউটারের আবিষ্কার কিন্তু অঙ্ক শাস্ত্রনির্ভর। বস্তুর ‘সংখ্যাতাত্ত্বিক পরিমাপ’ আল খাওয়ারেযমীই প্রথম প্রণয়ন করেছিলেন। নিউটনের বহু আগেই কবি ওমর খৈয়াম ‘বাইনোমিয়াল থিউরাম’ আবিষ্কার করেন। পৃথিবীর প্রথম সম্পূর্ণ মানচিত্র প্রণয়ন করেন মুসলিম ভূগোলবিদ ইবনে হাক্কল। আল ফারাবি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ ও দার্শনিক। তিনি ৭০টি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। আল বিরুনি (প্রসিদ্ধ গ্রন্থ কিতাব আল হিন্দ), ইবনে বতুতা প্রমুখ মুসলিম মনীষী ভূবিদ্যার প্রসারে অনেক অবদান রাখেন। ইবনে খালদুনকে বলা হয় ইতিহাস, দর্শন ও সমাজ বিজ্ঞানের জনক। বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন ইবনে জাবির তাবারি। ‘তারিখ আল রাসূল ওয়া আল মুলুক’ তার এ গ্রন্থটি সারাবিশ্বে রেফারেন্স হিসেবে পঠিত হচ্ছে। আল ফিন্দি গণিত, ইতিহাস, ভূগোল, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ৩৬৯টি গ্রন্থ রচনা করেন। অতীতে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতেই নয়; বরং ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, কল-কারখানাতেও মুসলমানদের ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আব্বাসীয় খলিফা মামুন বাগদাদে ‘দারুল হিকমাহ’ নামে যে বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তাতে সে যুগেই প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছিল। ড. মরিস বুকাইলী তার এক বইতে উল্লেখ করেন, ‘অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানকে অনেক ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। যখন খ্রিষ্টীয় জগতে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছিল তখন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বহুসংখ্যক গবেষণা ও আবিষ্কার সাধিত হয়। কর্ডোভার রাজকীয় পাঠাগারে ৪ লাখ বই ছিল। ইবনে রুশদ তখন সেখানে গ্রীক, ভারতীয় ও পারস্য দেশীয় বিজ্ঞানে পাঠদান করতেন। যার কারণে সারা ইউরোপ থেকে পণ্ডিতরা কর্ডোভায় পড়তে যেতেন, যেমন আজকের দুনিয়ায় মানুষ তাদের শিক্ষার পরিপূর্ণতার জন্য আমেরিকা যায়। চোখের সানি অপারেশন আবিষ্কার করেছিলো মুসলিমরাই। সেচযন্ত্র আবিস্কার করে মরুভূমিতে চাষাবাদ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছিলো মুসলিমরা। মুসলিমদের তৈরী করা ইমারত শিল্প তথা সুবিশাল আর্কিটেকচারের ধারে কাছেও আজ পর্যন্ত আধুনিক বিজ্ঞান পৌঁছতে পারেনি। বুখারা, সমরকন্দ আর আরব আফ্রিকার মুসলিম স্থাপত্য শৈলীর রহস্যও তারা এখনও খুঁজে পায়নি। যখন ইউরোপ জঙ্গলে রাত কাটাতো, তখন মুসলিমরা আবিস্কার করেছিলো এসকল বিশাল বিশাল মসজিদ, মাদ্রাসা আর বিশ্ববিদ্যালয়। মুসলিম বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অন্যদের বৈজ্ঞানিক সমাধানগুলো গ্রহণ করেন এবং নতুন ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেমন দামাস্কাস, বাগদাদ ও নিশাপুরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য পর্যবেক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অঙ্গ-ব্যবচ্ছেদ বিদ্যার বাস্তব জ্ঞানের জন্য মৃতদেহের সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হতো। খলিফা মুহতাসিম এ কারণে চিকিৎসকদের বানর সরবরাহ করতেন।

হাসপাতালগুলোতে ছাত্রদের বাস্তব শিক্ষার জন্য শল্যচিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হতো। একাদশ ও দ্বাদশ শতকের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার এক উঁচুমান স্থাপিত হয়েছিল। সে যুগের বৈজ্ঞানিক চেতনা শিহাব আল দ্বীন আল কিরাফির দৃষ্টি সংক্রান্ত কাজের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যিনি একাধারে ছিলেন কায়রোর একজন ইসলামী আইন ও বিচার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং তিনি দৃষ্টি সংক্রান্ত পঞ্চাশটির মত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইবনে খুরদাদবে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের আংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করেন। আল বিরুনি বিভিন্ন বস্তুর সুনির্দিষ্ট ভর নিরূপণ করেন। ইসলামী শাসন ব্যবস্থার সময় বিজ্ঞানীরা শুধু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বেরই আবিষ্কার করেননি বরং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলোকে প্রযুক্তিতে রূপান্তর করেছেন। তারা গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং নৌ চলাচলের জন্য তারকা মানচিত্র তৈরী করেছেন। ইবনে ইউনুস সময় পরিমাপের জন্য পেন্ডুলাম তৈরী করেন, ইবনে সিনা বাতাসের তাপমাত্রা মাপার জন্য বায়ুমাপক যন্ত্র আবিষ্কার করেন। কাগজ, কম্পাস, বন্দুক, গান পাউডার, অজৈব অম্ল ও ক্ষরীয় পদার্থের আবিস্কার হচ্ছে মুসলিম বিজ্ঞানীদের কিছু গুরুত্বপুর্ণ বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত আবিষ্কার যেগুলো মানব সভ্যতায় অসামান্য অবদান রেখেছিল।

মুসলিম বিজ্ঞানীরা এ্যালজেবরা আবিষ্কার করেন যেটা গণিতের একটি স্থায়ী শাখায় পরিণত হয়। এ্যালজেবরা শব্দটি উৎসারিত হয়েছে আরবি শব্দ জাবর থেকে। মুসলিম বিজ্ঞানিরা সমতল এবং গোলাকার ভূমির জন্য ত্রিকোণমিতি আবিষ্কার করেন এবং তা জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্রয়োগ করা হয়। তারা জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে আলাদা করেন কারণ ইসলামে মানুষের ভাগ্যের উপর তারকাদের প্রভাব জাতীয় বিশ্বাসকে নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়। ফলে জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্ধ-বিশ্বাস থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানকে নিরেট বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়ে উন্নীত করা হয়। চিকিতসা শাস্ত্রের জনক আজো ইবনে সীনা। আল বিরুনীর নাম আজো অমুসলিমরা নতশীরে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। অংক শাস্ত্রে শূন্য ০ আবিস্কার মুসলমানরা না করলে আজো আমাদেরকে রোমান সংখ্যার মতো বিশাল অক্ষরের পর অক্ষর দিয়ে হিসাব করতে হতো। (আহসান পাবলিকেশন্স প্রকাশিত, বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান দ্রষ্টব্য)
এভাবে মুসলিম বিজ্ঞানীদের নামের তালিকা আর আবিস্কার নিয়ে আলোচনা করলে বিশাল অধ্যায় হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

বিজন শররমা বলেছেন: "মুসলিমরা আবিস্কার করেছিলো এসকল বিশাল বিশাল মসজিদ, মাদ্রাসা আর বিশ্ববিদ্যালয়" - আবিষ্কার শব্দের অর্থ জানা আছে?

২| ২২ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞানীরা মানুষ আগে তারপর তার ধর্ম

যখন মানুষ পৃথিবীতে বসে মংগল গ্রহে রোবট চালায়, তখন সৌদী আরব ব্যস্ত সবচেয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু ক্লক টাওয়ার বানাতে!!!!! এই মুসলিম রা আর কি আবিস্কার করবে

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কাজ সবার আগে। তারপর তার ধর্ম।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

বাধা মানিনা বলেছেন: মাত্র এক কোটি ইহুদী কি ভাবে সারা দুনিয়ায় অধিপত্য বিস্তার করতে পারছে

view this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.