নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর ধরতে হবে এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরীফে কোন নির্দেশ আছে কিনা?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

পীর ধরতে হবে এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরীফে কোন নির্দেশ আছে কিনা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, পীর ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে ।
তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই।
কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফেরেশতা ,খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই ।
কারন উহা ফার্সি শব্দ , তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমনঃ নামাজ- সালাত, রোজা- সাওম, ফেরেশতা-মালাকুন ইত্যাদি ।
আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় ।
অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন,
যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি ।
নিম্নে কিছু আয়াত শরিফের অর্থ পেশ করা হলঃ
১) হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (সাঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নেতা । (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৫৯) ।
২) স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব । (বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ )।
৩) মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১) ।
৪) তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে । (সুরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ৭১) ।
৫) অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত । (সুরাঃ ইমায়িন, আয়াতঃ ২১) ।
৬) যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর সুরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৫।
৭) জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে যিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও । (সুরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭)।
৮) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯) ।
৯) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । (সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬) ।
১০) আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁর জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (অলি-মুরশিদ) পাবে না । (সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭) ।
১১) সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য । (সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪) ।
সুতরাং এবার আপনিই বিবেচনা করুন, পীর ধরা লাগবে কিনা??

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: বাংলাদেশ ভারত আর পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন দেশে পীর নেই তার মানে এরা কেও বেহেস্তে যাবেনা?

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮

মোঃ সাকিব বলেছেন: পীরের মূরিদ হাওয়া তার জরুরী নয় যেই ব্যক্তি ঈমান ও ছহীহ আকিদায় থেকে রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামের সুন্নত মোতাবেক আল্লাহর হকুম আহকাম পালন করতে সক্ষম। যেমন: আলেম ওলামাগন পীরের মূদির হন না কারণ তারা কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেছেন এবং নিজেরা ছহীহ আমল করতে জানেন তবে "খেলাফত" একটি ভিন্ন বিষয়। কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেন নাই অথচ বংশ পরমপরায় মুসলমান অর্থাৎ আওয়াম মুসলমান তারা ছহীহ আমল কিভাবে করবে তাহা জানার জন্য হক্কানী আলেম ওলামাদের স্বরানাপন্ন হাওয়া উচিৎ, যার কাছ থেকে ছহীহ আমলের দিক নির্দেশনা নিবেন তিনিই ঐ আওয়ামের পীর। কোনো আমলই খেয়াল খুশি মত করা যাবেনা বরং সকল আমলই ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক হতে হবে আর এটি জানার জন্য কোরান হাদিসের ইলম অর্জন না করিয়া থকিলে যারা কোরান হাদিসের ইলম অর্জন করেছেন তাদের কাছে যেতে হবে। লোকটি যিনি বা যাদের কাছে আমল সম্পর্কে জানার জন্য গেলেন জ্ঞান নিয়ে আমল করছেন তিনি/তারা এই আওয়ামের পীর। এক কথায় কোরান হাদিসের জ্ঞান দানকারী ওস্তাদকেই পীর বলা হয়। আলেম ওলামাদের ভাষ্যমতে সকল পীরের পীর হইলেন হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাহিঃ) আর এই পীরের চাইতেও বড় পীর হইলেন সন্তানের জন্য তার/তাদের "বাবা এবং মা" যেই সন্তানের উপর "বাবা মা" অসন্তুষ্ট সেই সন্তানকে বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহিঃ) কে বাটিয়া খাওয়াইয়া দিলেও সে জান্নাতে যাইতে পারবেনা। এখানে দেখতে হবে যে, যার কাছ থেকে (পীর) ইলম অর্জন করে আমল করছেন তিনি বার তার আকিদা ছহীহ আছে কিনা অর্থাৎ ঈমান ছহীহ আছে কিন্তু ঈমানের আলোকে আমল করার জন্য আকিদা ছহীহ নাই, আকিদা ছহীহ না থাকিলে আমল ছহীহ হবেনা, আমল ছহীহ না হলে তাহা আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা, আল্লাহর দরবারে আমল কবুল না হলে ঠিকানা জাহান্নামে হবে। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন সারা দুনিয়ায় তো আছেই আমাদের দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় কিছু আলেম ওলামাগন আছেন তারা দুনিয়াবীর পেছনে দৌঁড়েন না বরং দুনিয়াবীই তাদের পেছনে দৌঁড়ে মূলত দুনিয়াতে তারাই হক্কানী আলেম ওলামা, হক্কানী পীর। আরও একটু ব্যাখ্যা করে বলিলে:- যারা মাসে ২ লক্ষ টাকা কামায় তারা অভাবের কথা বলেন, তিনি আরও পাইতে চান আবার দেখা যায় কিছুলোক আছেন যারা হক/হালাল পন্থায় মাসে ৩/৪ হাজার টাকা কামায় তারাও পেট ভরে খাচ্ছেন, চোখ ভরে গুমাচ্ছেন, অন্য ১০ জনের মত সংসার সামলাচ্ছেন সমাজেও মানী সম্মানী অর্থাৎ অভাব অনুভব করছেন না বরং তুলানা মূলক ভাবে ঐ ২ লক্ষ টাকা উপর্জন কারী ভদ্রলোকের চাইতেও বেশী সন্তোষ্টে জীবন যাপন করছেন। মূলত উনারাই হক্কানী আলেম ওলামা এবং উনাদের অনুসারীরাই হক পথে রয়েছেন। আশাকরি বুঝাইতে পেরেছি।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে কোনো সঠিক পীর নেই।
যারা আছে তারা ভন্ড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.