নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কোরআনের কোথাও নামাজ পরতে বলা হয় নি, রোজাও রাখতে বলা হয় নি...

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

পবিত্র কোরআনের কোথাও নামাজ পরতে বলা হয় নি, রোজাও রাখতে বলা হয় নি... একটি আয়াতেও নামায বা রোজা শব্দটি নেই...তাহলে আমরা নামায পড়বো কেন?? রোজাই বা কেন রাখবো??? কারন :-

আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের বহু সুরায় বহুবার অত্যন্ত সাবধানতার সাথে এবং অত্যন্ত জোড়ালোভাবে "সালাত" আদায় করার জন্য হুকুম দিয়েছেন, যেটাকে আমরা সহজবোধ্য ভাষায় "নামায/নামাজ" শব্দ ব্যবহার করে থাকি। রামজানের "শাওম" শব্দটি দারা পবিত্র রোজার নির্দেশই আমরা পেয়েছি।

তেমনি ভাবে, পীর বা মুর্শেদ বা অলী আল্লাহ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন শরীফে কোন নির্দেশ আছে কিনা সেটাও জেনে নিন।

পীর ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে। সতর্কতার সাথে লক্ষ রাখতে হবে যে, "পীর" শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই। কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফেরেশতা ,খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই। কারন এটা ফার্সি শব্দ। তবে প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফ আছে, যেমনঃ
নামাজ = সালাত
রোজা = সাওম
ফেরেশতা = মালাকুন
অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি। নিম্নে পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতের বাংলা অর্থ পেশ করা হলঃ
১) সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৫৯ : "হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (সাঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ধর্মীয় নেতা"।
২) বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ : "স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব"।
৩) সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১ : "মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু"।
৪) সুরাঃ আল-ইমরান, আয়াতঃ ৭১ : "তোমাদের মধ্যে এমন একদল লোক যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে"।
৫) সুরাঃ ইমায়িন, আয়াতঃ ২১ : "অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত"।
৬) সুরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৫ : "যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর"।
৭) সুরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭ : "জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে যিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও"।
৮) সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯ : "হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও"।
৯) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । (সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬) ।
১০) সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭ : "আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁর জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (অলি-মুরশিদ) পাবে না"।
১১) সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪ : "সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য"।

পবিত্র কুরআনুল মাজিদ এর রেফারেন্স অনুযায়ী প্রমানিত হলো যে পীর বা মুর্শিদ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি অধ্যায়। সুতরাং এবার আপনিই বিবেচনা করুন, পীর ধরা লাগবে কিনা??

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় পোষ্ট থেকে আমি দূরে থাকবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.