নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর-ওলী আল্লাহ-গন মানুষকে কিছু দিতে পারেন কি না

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে চলে যান সোজা বঙ্গভবনে। বিশাল এক রাজপথ আছে সামনে। পুলিশের ব্যারিকেড পার হয়ে, চেকবক্স পার হয়ে সোজা চলে যান মুল ফটকে। মূল ফটক পার হলে দেখবেন এসএসএফ এর সদস্যরা কালো কালো কুকুর নিয়ে হাতে বিশেষ ডিটেক্টর মেশিন হাতে দাড়িয়ে আছে। তাদের সামনে দিয়ে সোজা চলে যান মূল ভবনে। মূল ভবনের সিড়ির গোড়াতেই দেখবেন দুইপাশে ফুলের টব, পানির ফোয়ারাসহ নয়নাভিরাম দৃশ্য। দৃশ্য দেখতে দেখতে চলে যান লবিতে। সেখানে অত্যান্ত সু-শোভিতভাবে গোছানো আছে আসবাবপত্র। চাইলে মখমলের কার্পেটের উপর পা মারিয়ে সোফায় আরাম করে বসে নিতে পারেন। তার আর দরকার নেই অবশ্য। আপনি সোজা চলে যান এলিভেটরের দিকে। সেলফ সেন্সর আপনাকে নিয়ে যাবে সোজা রাষ্ট্রপতির ব্যাক্তিগত কক্ষে। কোন ভনিতা না করে সোজা ঢুকে পড়ুন ভিতরে। রাষ্ট্রপতির পাশের খালি একটা চেয়ার বেছে নিয়ে সটাং বসে পরুন। এবার শুরু করুন খোশ গল্প..........

যেভাবে বল্লাম ব্যাপারটা কি এতটাই সহজ?

অসম্ভব!!! এর বহু আগেই আপনি হয় গ্রেফতার নয়তো এসএসএফ এর হাতে গুলি খেয়ে মারা পরবেন।

অনেক আগে থেকে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। আর এই এপয়েন্টমেন্টের জন্য বঙ্গভবনের সাথে জড়িত কারো রেফারেন্স নিয়ে আসতে হবে। আর যদি আপনি রাষ্ট্রপতির খুবই ঘনিষ্ঠ-পরিচিত-বন্ধু-বান্ধবের রেফারেন্স নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দুনিয়ার একজন রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে যদি রাষ্ট্রপতির নিকটজনদের রেফারেন্স এত ভ্যালুয়েবল হয় তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাথে সাক্ষাত করার সময় আপনি কার রেফারেন্স নিয়ে যাবেন? অবশ্যই আল্লাহর বন্ধু (ওলীয়ে কামেল) যারা আল্লাহ পাকের রহমতের চাদরে সদা সর্বদা ঢাকা থাকেন তারা আপনার সকল প্রকার বিষয়াদী নিয়ে সোজা চলে যেতে পারেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের খাস চেম্বারে। যেখানে সংয় রাব্বুল আলামিন আরশে আযিমে উপবিষ্ট আছেন। যেখানে কোন সাধারণ মানুষের প্রবেশাধীকার নেই।

আপনার সকল প্রকার চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কামেলে মোকাম্মেল ওলীগন সরাসরী আল্লাহ তায়ালার কাছে যান এবং আপনার চাহিদার বিষয়াদী নিয়ে কথা বলেন। আল্লাহ তিনার বন্ধুর বন্ধুত্বের খাতিরে সেই ওলীয়ে কামেলের সকল প্রকার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ করে দেন। আল্লাহ তায়ালার সেই নেয়ামত ও রহমতের ভান্ডার নিয়ে আউলীয়ায় কেরামগন মানুষের কাছে আসেন এবং সকলের সর্ব প্রকার চাহিদা পুরনের সুখবর দেন।

পীর-ওলী আল্লাহ-গন মানুষকে কিছু দিতে পারেন কি না সে বিষয় নিয়ে বিতর্কের কোনই সুযোগ নেই। যারা আল্লাহকে রাজি খুশি করিয়ে তিনার নৈকট্য হাসিল করেছেন সেই সকল ওলীয়ে কামেলরা হলেন আল্লাহর বন্ধু। আর স্বাভাবিক নিয়েমেই বন্ধুর মন রক্ষা করার মানসে আল্লাহ তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না।

এখানে সুস্পশ্টই প্রমান হয় যে, পীর বা ওলী আল্লাহগন আসলেই কাউকে কিছু দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন কি না। সুতরাং বিতর্কের কোনই সুযোগ নেই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.