নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

খারেজী গুরু মাওলানা আশরাফ আলী থানভী। উপমহাদেশের মুসলমানদের ইমান ধ্বংসকারী প্রথম দেওবন্দী ওলামায়ে ছু

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খারেজী গুরু মাওলানা আশরাফ আলী থানভী। উপমহাদেশের মুসলমানদের ইমান ধ্বংসকারী প্রথম দেওবন্দী ওলামায়ে ছু

কথিত হাকীমুল উম্মত খারেজী গুরু মাওলানা আশরাফ আলী থানভী ছিল ব্রিটিশ এজেন্ট। ব্রিটিশদের থেকে ঐ সময় সে মাসিক ৬০০ রুপি ভাতা গ্রহণ করত। উদ্দেশ্য এ অঞ্চলের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভ উপশমের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা। উল্লেখ্য, ব্রিটিশদের হাত থেকে নিজ মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য ইংরেজদের সাথে বহু যুদ্ধে লিপ্ত হয় এ অঞ্চলের জনগণ। বিশেষ করে হযরত সাইয়্যিদ আহমেদ শহীদ বেরেলভী এবং উনার খলিফা হযরত তীতুমীর (সাইয়্যিদ মীর নেসার আলী) ইংরেজদের সাথে ব্যাপক জিহাদ করেন। দুইজনই পৃথক যুদ্ধে ১৮৩১ সালে শহীদ হন। এরপর থেকে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে ইংরেজ বিরোধী ক্ষোভ ক্রমেই বাড়তে থাকে। ১৮৫৭ সালে হয় সিপাহী বিদ্রোহ। ইংরেজরা সিপাহী বিদ্রোহ দমন করতে পারলেও তাদের দিন যে ফুরিয়ে এসেছে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। আর তাই এ অঞ্চলের জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইংরেজরা বেছে নেয় ভিন্ন কৌশল। যেহেতু এ অঞ্চলের অধিকাংশ জনগণ মুসলমান, সেহেতু ১৮৬৬ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ এলাকায় কিছু মাওলানাকে একত্র মাদ্রাসার জায়গা দিয়ে দেয় ব্রিটিশরা। (এ মাদ্রাসার প্রথম প্রিন্সিপাল ছিল মাওলানা কাসিম নানুতুবী, যে প্রথম জীবনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকলেও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এই মাদ্রাসাই বর্তমানে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত, ভারতে এরা কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নামে রাজনীতি করে)। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু মাওলানাকে পোষা, যারা বিভ্রান্তিকর ফতওয়ার মাধ্যমে মুসলমান সমাজকে নিষ্ক্রিয় করে যাবে। এক্ষেত্রে দেওবন্দ ও তাদের সমগোত্রীয় মাওলানাদের নিয়মিত ভাতা প্রদান করত ব্রিটিশরা, এ ধর্মব্যবসায়ীরাই ব্রিটিশপক্ষ নিয়ে ফতওয়া দিয়ে মুসলমানদের ব্রিটিশদের সাথে যুদ্ধ থেকে ফিরিয়ে রাখত। আর এই এজেন্ট তৈরীতে ব্রিটিশদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় ছিল মাওলানা আশরাফ আলী থানভী। যার কারণে দেখা যায়, এই ক্ষূদ্র রেসালা লেখকই পরবর্তীতে প্রচার পায় বেশি, যদিও তার থেকে ঐ সময় আরো অনেক বড় বড় আলেম ভারতবর্ষে ছিল।

আশরাফ আলী থানভির কতিপয় কুফরী আকিদা নিম্নরুপ :

নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। নাঊযুবিল্লাহ! (আশরাফ আলী থানবী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭)

দেওবন্দীদের আরও কিছু কুফরী আক্বীদা

(১) আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ১ম খণ্ড: পৃষ্ঠা-১৯, রশিদ আহমদ গাংগুহী, তালিফাত রশিদিয়া, কিতাবুল আক্বাঈদ অধ্যায়, পৃষ্ঠা-৯৮, খলীল আহমদ আম্বেঢী, তাজকিরাতুল খলীল, পৃষ্ঠা ১৩৫, মেহমুদ হাসান, আল-জিহাদুল মুগিল, পৃষ্ঠা ৪১)

(২) আল্লাহ তাঁর বান্দা ভবিষ্যতে কি করবে তা আগে থেকে বলতে পারেন না। বান্দা কর্মসম্পাদনের পর আল্লাহ তা জানতে পারেন। নাঊযুবিল্লাহ! (হুসাইন আলী, তাফসীরে বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)

৩. হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জ্ঞানের চেয়ে শয়তান ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস্‌ সালাম-এর জ্ঞান বেশি। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)

(৪) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ভাগ্য সম্পর্কে জানতেন না। এমনকি দেয়ালের ওপাশ সম্পর্কেও না। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা-৫১)

(৫) নবীর (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) যদি কিছু ইলমে গায়েব থেকেও থাকে তাহলে এতে তাঁর বিশেষত্ব কী? এমন ইলমে গায়েব তো সকল চতুষ্পদ জন্তু, পাগল ও শিশুরও আছে। নাঊযুবিল্লাহ! (আশরাফ আলী থানবী, হিফজুল ঈমান, পৃষ্ঠা ৭)

(৬) ‘রহমতুল্লিল আলামীন্তু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন বিশেষ লক্বব নয়। তাঁর উম্মতও ‘রহমতুল্লিল আলামীন্তু হতে পারে। নাঊযুবিল্লাহ! (রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া ২ম খণ্ড: পৃষ্ঠা-১২)

(৭) সাধারণ মানুষের কাছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাতামুন নাবিয়্যীন হলেও বুযূর্গ ব্যক্তির কাছে নয়। নাঊযুবিল্লাহ! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-৩)

(৮) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আগে বা সর্বশেষে আসার মধ্যে কোন ফযীলত নেই। ফযীলত হলো মূল নবী হওয়ার মধ্যে। তাঁর পরে যদি এক হাজার নবীরও আগমন মেনে নেয়া হয় তাতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খতমে নবুয়তের কোন রূপ বেশ-কম হবে না। নাঊযুবিল্লাহ! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন্নাছ, পৃষ্ঠা-২৫)

(৯) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেওবন্দের উলামাদের কাছ থেকে ঊর্দু ভাষা শিখেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! (খলীল আহমদ আম্বেঢী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ২৬)

(১০) একজন নবীর জন্য সকল মিথ্যা থেকে মুক্ত ও নিষ্পাপ হওয়ার প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, শফীয়াতুল আক্বাইদ, পৃষ্ঠা ২৫)

(১১) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাগুদ (শয়তান) বলা যায়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৪৩)

(১২) আমলের মাধ্যমে নবী-রসূলের চেয়ে নবী-রসূলগণের উম্মত মর্যাদাবান হয়। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, তাহযীরুন নাছ, পৃষ্ঠা ৫)

(১৩) আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পুলসিরাত হতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছি। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (হুসাইন আলী, তাফসীর বুঘাতুল হাইরান, পৃষ্ঠা ৮।

(১৪) কালিমা শরীফ-এ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ”-এর পরিবর্তে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আশরাফ আলী রসূলুল্লাহ” এবং দরূদ শরীফ-এর “আল্লাহম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা মুহম্মদ”-এর পরিবর্তে “আল্লাহম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা আশরাফ আলী” পড়লে কোন ক্ষতি হবে না।” নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (আশরাফ আলী থানভী, রিসালা আল ইমদা, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫)

(১৫) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ (জন্মদিন) উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন নবী পালন করা আর হিন্দুদের দেবতা কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা একই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ১৪৮)

(১৬) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিশেষত্ব দাজ্জালের মত। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯)

(১৭) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বড় ভাই এবং আমরা তাঁর ছোট ভাই। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (খলীল আহমদ আম্বেটী, বারাহীন-ই-কাতেয়া, পৃষ্ঠা ৩)

(১৮) দুরূদে তাজ মূল্যহীন এবং এটি পাঠ করা নিষিদ্ধ। নাঊযুবিল্লাহ মিন যালিক! (রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী, তাজকীরাতুর রশীদ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-১১৭, জাকারিয়া কান্দালভী দেওবন্দী, ফাজায়েলে আমল, পৃষ্ঠা ৫২-৫৩)

(১৯) মীলাদ শরীফ, মীরাজ শরীফ, ফাতিহা খাওয়ানী, চেহলাম, সোয়েম এবং ঈছালে সওয়াব সমস্ত আমল শরীয়ত বিরোধী, বিদায়ত এবং কাফের-হিন্দুদের রেওয়াজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৪ এবং ১৫০।
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪।

(২০) স্থানীয় “কাক” খাওয়া সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১৩০।
(২১) হোলী ও দিওয়ালীর ভোগ খাওয়া এবং উপহার গ্রহণ করা সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১২৩।

(২২) হিন্দুদের সুদের টাকা দ্বারা নির্মিত পানির চৌবাচ্চা (সাবীল) থেকে পানি পান করা জায়িয ও অধিক সওয়াবের কাজ। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪।

(২৩) রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী, ফতওয়া রশিদিয়া

(২৪) কোন কিছু ঘটানোর জন্য হুযুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) ইচ্ছা পোষণ করার গুরুত্ব নেই। (নাঊযুবিল্লাহ)
কাশেম নানুতুবী, আবে হায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৯।

(২৫) নবী-রসূলদের মোজেজার চেয়ে যাদুকরদের যাদু সর্বোকৃষ্ট হতে পারে। (নাঊযুবিল্লাহ)
রশিদ আহমদ গাংগুহী ,ফতওয়া রশিদিয়া , ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৫।

(২৬) যে বলবে হুযুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) হাজির-নাযির সে কাফির। (নাঊযুবিল্লাহ)
গোলামুল্লাহ খান, যাওয়াহিরুল কোরান।

(২৭) “ইয়া রসূলুল্লাহ” বাক্যটি কফুরী কালেমা। (নাঊযুবিল্লাহ)

রেফারেন্স : Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট কিন্তু কোনো মন্তব্য নেই কেন? আজিব!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.