নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

বাধা মানিনা

দুনিয়াটা এমনই হয়, যে অন্যায় করলো, বিচারক তার কথাই শুনলো, তার পক্ষেই রায় দিলো....

বাধা মানিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেগা-কোয়েক যা সাধারণ ভুমিকম্পের চাইতে ১০ গুন বেশী ধংসাক্তক

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

আর্থ কোয়েক (ভুমিকম্প) এর পর আসছে মেগা-কোয়েক যা সাধারণ ভুমিকম্পের চাইতে ১০ গুন বেশী ধংসাক্তক। এই মেগা ভূমিকম্পের ফলে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে এই দুই মহাদেশের পশ্চিম উপকূল জুড়ে। এখানে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। মেগাকোয়েক-এ ৮ মাত্রা থেকে কম্পন শুরু হবে। তা গিয়ে পৌঁছবে ১০-১৬ কম্পন মাত্রায়। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ আঞ্চল। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে।

বাংলাদেশসহ হিমালয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে বড় ধরণের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। রিখটার স্কেলে এই ভুমিকম্পের মাত্রা হতে পারে ৮ দশমিক ২ বা এর বেশি। এমন তথ্য দিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার জানানো হয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিশেষজ্ঞরা এই সতর্ক বার্তা শুনিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ‘গত সোমবার মণিপুরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ভবিষ্যতে এই অঞ্চলটিতে আঘাত হানতে পারে।’ রিখটার স্কেলে মণিপুরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

মাস ছয়েক আগে নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ছবি সারা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ছোট্ট পাহাড়ি দেশে মৃত্যু মিছিল দেখে অনুভব করা গিয়েছিল, প্রকৃতির শক্তির কাছে আমরা কতটা অসহায়, কতটা দুর্বল। সেটি যে বড় ধরনের ভূমিকম্প ছিল তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে যে কোনও দিন যে ভূমিকম্প আসতে চলেছে তার কাছে আগে ঘটে যাওয়া যে কোনও ভূমিকম্প শিশুর তকমা পেতে পারে। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ধেয়ে আসতে পারে বড় ধরনের সুনামি। বৈজ্ঞানিকদের অনুমান এতে কমপক্ষে ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারেন।

বৈজ্ঞানিক এবং নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ড. মেহরান কেশে এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে, এই মেগা ভূমিকম্পের ফলে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে এই দুই মহাদেশের পশ্চিম উপকূল জুড়ে। এখানে কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ প্রাণ হারাতে পারেন। এর আগাম প্রস্তুতি হিসাবে আমেরিকা এবং কানাডার বড় শহরগুলিতে আপত্‍কালীন পরিস্থিতিতে কী কী করণীয় তা নিয়ে মক ড্রিল করা হচ্ছে নিয়মিত।
ড. কেশে বলেন, আমরা জানি ৬ থেকে ৮.৩ মাত্রার যে কোনও ভূমিকম্প বেশ বড় কম্পন হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। কিন্তু মেগাকোয়েক-এ এই মাত্রা থেকে কম্পন শুরু হবে। তা গিয়ে পৌঁছবে ১০-১৬ কম্পন মাত্রায়। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ আঞ্চল। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে মধ্যেই উত্তর চিন এবং জাপানে পর পর বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হবে। তাতেও প্রচুর মানুষ প্রাণ হারাবেন। বলে ধারণা। ক্যারিবায়ান দ্বীপপুঞ্জও বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিশ্বের গোটা অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। আমি চাই যেন এমনটা না হয়, তবে এটা এড়ানো যাবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.