![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A man who has no backlink.
আমাদের প্রিয় ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। আমরাই মাষ্টার্সের প্রথম ব্যাচ। দীর্ঘদিন যাবত অনার্স থাকলেও আমাদের দিয়েই মাষ্টার্স চালু হলো। সেম কেইস একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টেও।
ভর্তির সময় কলেজ ও ডিপার্টমেন্ট থেকে মেধাবী ছাত্রগুলোকে রেখে দেয়ার জন্য তখন বিভিন্ন ছাড় ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আমি ফাষ্ট-ক্লাস পাওয়ায় ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের হেড আমার শ্রদ্ধেয় শফিক স্যার অনেকটা জোর করেই আমাকে ভর্তি করিয়ে দেন। তাই স্যারের কাছ থেকে জোর করে বিভিন্ন দাবী আদায় করে নিতে পারি এবং নিয়েছি।
তো .. গত কয়েকদিন আগে মাস্টার্সে ফাইনালের জন্য ফর্ম পূরণের কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনা এখানেই শুরু। ছাত্ররা যখন নিজেদের বকেয়া টাকা-পয়সা পরিশোধ করতে গেলো, তখন বিশাল চার্জ দেখে সবার মাথা নষ্ট। একাউন্টিং ও ম্যানেজমেন্টের ছাত্র-ছাত্রীরা জোট হয়ে এর প্রতিবাদ করলো। এত চার্জ তারা দিবে না ! তারাই প্রথম ব্যাচ এবং সবাইকে ছাড়ের আশ্বাস দিয়েই ভর্তি করানো হয়েছে। এখন এত বিশাল এমাউন্ট পরিশোধ করা এই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্রগুলোর জন্য সম্ভব না।
ফলাফল কি? সবগুলো ডিপার্টমেন্টের প্রধানরা জরুরী মিটিং এ বসে সিদ্ধান্ত নিল। ছাত্রদেরকে নূন্যতম ৫০% ছাড় দেয়া হবে। মেধাবীদেরকে আরেকটু বেশি। এই সিদ্ধান্ত নিতে নিতে কেটে গেলো ৩ দিন। এর মধ্যেই আমাদের সোনার ছেলেদের (ছাত্রলীগ) ঘুম ভেঙ্গেছে। তারা দেখলো পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য কেউ তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছে না। কারণ সবগুলো ছাত্ররা এদের জঘন্য কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞাত। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা কেউ ভুলে যায়নি। তাই এদেরকে এড়িয়ে নিজেরাই জোটবদ্ধ হয়ে কলেজ থেকে দাবী আদায় করার ব্যবস্থা করেছে।
এবার সোনার ছেলেরা ঘোষণা করে বসলো, “প্রিন্সিপাল ও ডিপার্টমেন্টের হেডেরা কোন সাহসে ছাত্রদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে। একটা ছাত্রকেও এক টাকা ছাড় দেয়া হবে না। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।”
তারা গায়ের জোর খাটিয়ে সবগুলো ডিপার্টমেন্টের ফরম পূরণ স্থগিত করে দিয়েছে।
বাহ ! কি চমৎকার দেখা গেল !
এদের একজন নেতা ঘোষণা দিয়ে বসলো, “মাস্টার্সের ফরম পূরণের এক টাকাও কলেজ ফান্ডে ঢুকবে না। এটা আমাদের।”
বাহ ! এ তো দেখি বাপের তালুকদারী ! আর আমরা ছাত্ররা সবাই বুঝি এদের দুলাভাই ?? তাই উনারা এটা নিয়ে মশকরা-মশকরা খেলছেন !!
আমাদের মতো সাধারণ ছাত্রদের ক্ষোভ ক্রমে ক্রমে বাড়ছে। ধৈর্য্যর একটা বাঁধ আছে। এ বাঁধ ভেঙ্গে গেলে কারও জন্যই এটা শুভ হবে না।
বি:দ্র: আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিষ্টে কিংবা ব্লগের পাঠক তালিকায় ডিপার্টমেন্ট ও ডিপার্টমেন্টের বাইরের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী যারা আছেন তাদের বলছি:
কথাগুলো শোনার পর যদি মনে হয়, এই তোফায়েল ক্যাম্পাসে গেলে আমার বুকে একটা বুলেট ঢুকাতে হবে। তবে পকেটে করে আরও কিছু বুলেট নিয়ে আইসেন। কারণ কাবাবের ভেতর হাড্ডি আরও থাকতে পারে !!
©somewhere in net ltd.