![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিভিন্ন কাজে বিদুৎ-সরবরাহের জন্য বিদুৎ শক্তি পরিমাপের প্রয়োজন হয়।আসুন বিদুৎ পরিমাপের কয়েকটি একক সর্ম্পকে কিছু জানার চেস্টা করি।
অ্যাম্পিয়ারঃ ফরাসী বিজ্ঞানী আদ্রেঁ অ্যাম্পিয়ার (1775-1836) এর
নামানুসারে বিদুৎ প্রবাহের এককের নাম অ্যাম্পিয়ার দেয়া হয়েছে।
সিলভার নাইট্রেটের দ্রবে স্থাপিত রুপার ক্যাথোডের উপর প্রতি
সেকেন্ডে 1.12 মিঃগ্রাঃ প্রলেপের সৃস্টি করতে যে পরিমান বিদুৎ প্রবাহ ব্যায় হয়-উহাই হইল অ্যাম্পিয়ার। বিদুৎ প্রবাহের মাত্রা সরাসরি পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যাবহার করা হয় তার নাম অ্যামি্টার।
ভোল্টঃ পানি প্রবাহি একটা নলের খোলা মুখে আঙ্গুল রাখলে পানির চাপ অনুভব করা যায়।এই চাপের জন্যই নলের মধ্যে পানি প্রবাহিত হয়।তদ্রুপ বৈদ্যুতিক চাপের ফলেই তারের মধ্যে বিদুৎ প্রবাহিত হয়।এই চাপ যত বেশী হইবে বিদুৎ প্রবাহ তত প্রবল হইবে। তারের মধ্যে বৈদ্যুতিক চাপ বিদুৎ-উৎপাদক যন্ত্র বা বিদুৎত কোষের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।বিদুৎ কোষের সাহায্যে উৎপন্ন বৈদ্যুতিক চাপের ফলে বর্তনীতে বিদুৎ প্রবাহিত হয়।
চাপকে কোষের বিদুৎ-উৎপাদক শক্তি বলে।বৈদ্যুতিক চাপের পার্থক্য সরাসরি বিদুৎ কোষের সাহায্যে উৎপন্ন বৈ্দুৎতিক পরিমাপের জন্য যে যন্ত্র ব্যাবহার করা হয় তার নাম ভোল্টমিটার।
ওহমঃ কোন পরিবাহী্র মধ্য দিয়ে বিদুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় ঐ পরিবাহী পদার্থ বিদুৎ প্রবাহের পথে বাধা সৃস্টি করে,বিদুৎ-প্রবাহের এই বাধাকে বৈদ্যুতিক রোধ বলে।
জার্মান বিজ্ঞানী সাইমন ও্হম (1787-1854) এর নামানুসারে রোধ পরিমাপের একককে ওহম বলা হয়।
বিজ্ঞানী ওহম বৈদ্যুতিক চাপ,বৈদ্যুতিক প্রবাহ এবং বৈদ্যুতিক রোধের মধ্যে সর্ম্পক নির্নয় করিয়াছেন।ইহা ওহমের সুত্র নামে পরিচিত।নীচে সুত্রটি দেয়া হলো।
সংক্ষেপে, ওহম= ভোল্ট
----------------- বা ভোল্ট=অ্যাম্পিয়ার X ওহম
অ্যাম্পিয়ার ভোল্ট এবং অ্যাম্পিয়ার জানা থাকলে এই সুত্র হইতে ওহম জানা যায়।
ওয়াটঃ বিদুৎ শক্তির মাপের একটি সাধারন একক ওয়াট।বৈদ্যুতিক বাতিতে কত শক্তি ব্যায় হয় তা বোঝার জন্য 40,60,100 প্রভৃতি ওয়াট লেখা থাকে।ওয়াট একটি ছোট একক,সুতরাং বড় বড় যন্ত্রপাতি ইঞ্জিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কিলোওয়াট এককটি ব্যাবহার করা হয়।বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটের নামানুসারে বিদুৎ শক্তি পরিমাপের এককের নাম ওয়াট হইয়াছে।
বৈদ্যুতিক চাপ এবং মোট বিদুৎ - শক্তির মধ্যে একটা সর্ম্পক রয়েছে।এই সর্ম্পকটি হইল;ওয়াট=অ্যাম্পিয়ার X ভোল্ট। ভোল্ট।এই সর্ম্পক হইতে বুঝা যায়,কোন বর্তনীর দুই প্রান্তের মধ্যে বৈদ্যুতিক চাপ 1 ভোল্ট ও বর্তনীতে প্রবাহিত বিদুৎ যদি 1 অ্যাম্পিয়ার হয় তবে ঐ বর্তনীতে প্রতি সেকেন্ডে যে শক্তি ব্যায় হয় উহার মান 1 ওয়াট।1 ওয়াট বিদুৎ শক্তি 1 ঘন্টা চলিতে থাকিলে যে পরিমান শক্তি ব্যায় হয় তাহাকে 1 ওয়াট ঘন্টা বলে।ওয়াট Xঘন্টা=ওয়াট-ঘন্টা।
2 ওয়াট শক্তির বিদুৎ প্রবাহ 3 ঘন্টা ধরে যদি চলিতে থাকিলে 2 ওয়াট X 3 ঘন্টা= 6 ওয়াট ঘন্টা বিদুৎ খরচ হইবে।1000 ওয়াট ঘন্টা = 1 কিলোওয়াট-ঘন্টা 1 ওয়াট ঘন্টা বিদুৎ শক্তিকে আমরা 1 ইউনিট বা বিদুৎতের 1 ব্যাবহারিক একক বলি। 120 ভোল্ট বিদুৎ সরবরাহ ব্যাবস্থায় কোন পরিবাহীর মধ্যে 3 অ্যাম্পিয়ার বিদুৎ প্রবাহিত হইলে ঐ তারের রোধ হবে। রোধ=ভোল্ট ভাগ অ্যাম্পিয়ার=120 ভোল্ট ভাগ 3 অ্যাম্পিয়ার= 40 ওহম।
ছবি গুগল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ভালো থাকুন সর্বদা।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
টুম্পা মনি বলেছেন: ছুটবেলায় ফিজিক্স বইয়ে পড়ছিলাম। এখন আবার মনে পড়ল। ভাল্লাগ্লো।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: আর একবার ঝালাই করে নিলেন।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
আনপ্রেডিক্টেবল ম্যান বলেছেন: দারুন !!!
৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
নেবুলা মোর্শেদ বলেছেন: ঈদ মুবারক।ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর জ্ঞান আহরনীও পোষ্ট । জ্ঞানী হলাম ।