নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ একজন মানুষ হবার প্রচেষ্টায়......................।

আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!

তুহিন সরকার

অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।

তুহিন সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণজাগরণ মঞ্চ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

গণজাগরণ মঞ্চের আজকের কর্মসূচীঃ-

কালো পতাকা মিছিল।

জামায়্ত-শিবিরের হরতালের প্রতিবাদে সকাল ১২টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর গণজাগরণ মঞ্চ থেকে হরতালবিরোধী কালো পতাকা মিছিল।

ব্রেকিং নিউজ...........................ব্রেকিং নিউজ.................................

নব্য রাজাকার মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার।

সকাল ৯টায় আমার দেশ কার্যালয় থেকে গোয়েন্দা পুলিশ দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নব্যরাজাকার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে।ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, স্কাইপ কথোপকথন সহ ৮টি অভিযোগ আনা হয়।

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো ব্যক্তিগত মতামত তার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা যাবেনা।- ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি।

বুকপকেটে চিঠিগুলো।



*গতকাল ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর গণজাগরণ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বুকপকেটের চিঠিগুলো’ শীর্ষক শহীদদের কাছে নতুন প্রজন্মের লেখা চিঠি পাঠ।

সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে ‘বুকপকেটের চিঠি’ পাঠের কর্মসূচী শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে লেখা সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত ১৫টি চিঠি পাঠ করা হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে।

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠন মারুফ রসুলের সঞ্চালনায় চিঠি পাঠ করেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, আবৃত্তিশিল্পী আহকামউল্লাহ, আবৃত্তি শিল্পী রফিকুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, তামান্না তিথি, রোজিনা ওয়ালী লিনা প্রমুখ। চিঠি পড়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। চিঠিগুলোতে একাত্তরের শহীদদের প্রতি এ প্রজন্মের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে নিবেদিত হয়েছে।

‌বুক পকেটে চিঠিগুলো' শীর্ষক পাঠকরা কয়েকটি চিঠিঃ-

‘পরম শ্রদ্ধেয় সকল শহীদ, তোমরা হয়ত জানো না, তোমরা ঘুমিয়ে থেকেও আজ কোটি কোটি মানুষকে জাগিয়ে যাচ্ছ প্রতিনিয়ত। শুধু বিশেষ দিবসেই নয়, বরং প্রতিটি দিবসে, প্রতিটি রজনীতে তোমাদের স্মরণ করে এ জাতি।’ সিফাতের লেখা চিঠিতে আরও ছিল- ‘তোমরা যে বয়সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলে, এখন আমার ঠিক সেই বয়স। এটা ঠিক যে আমরা মেতে ছিলাম আধুনিকতায়। সন্ধ্যা-রাতে ঘুমাতে যাবার, আর সাত সকালে জেগে ওঠার অভ্যাস আমাদের মাঝে একদমই নেই। অবাধ্যতার মাত্রাও ছাড়ি-ছাড়ি করছিল আমাদের। কিন্তু খুব সুপ্তভাবে, খুব গোপনে যেই রক্ত বয়ে চলছিল আমাদের ধমনিতে, সে তো তোমাদেরই রক্ত। তোমরা যে রক্ত দান করে গিয়েছিলে তা নিয়েই তো বেঁচে আছি আমরা। দেশ যখন মুমূর্ষু অবস্থায় মৃত্যু-পথযাত্রীর মতো বেদনা কাতর ছিল, তখন তোমরাই তো রক্তদান করে দেশকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে প্রাণ। আজ থেকে আমরা শপথ নিলাম, যে রক্ত আমাদের শরীরে বহন করে চলেছি, বার বার প্রমাণ করব সেই রক্তের যোগ্য বাহক আমরা।’

‘প্রিয় নানা ভাইয়া, আমার সালাম নেবেন। আমি আপনার কনিষ্ঠ মেয়ে সোমার একমাত্র মেয়ে আস্থা অনিন্দিতা। আপনি তো ওপর থেকে সবই দেখছেন দেশের অবস্থা। আপনাকে দেখার সুযোগ আমার হয়নি। কিন্তু চিঠি লেখার সুযোগটা হারাতে চাই না। আমি কয়েকবার শাহবাগে গিয়েছি। ছড়াও লিখেছি : তোমার হাসি/ আমার হাসি/ রাজাকারের হোক ফাঁসি। ভাল লাগল? আরও অনেক ছড়া লিখেছি। চিঠি লিখে পাঠাব। আমি তোমার পছন্দের রং হলুদ কলম দিয়ে চিঠিটা লিখেছি লাভলি ইয়েলো। হা হা হা। ইশ তুমি যদি থাকতে তাহলে কত গল্প করতাম তোমার সাথে। তোমার আনা খেলনাগুলো দেখেছি যেগুলো তুমি বড় মনি ও মামার জন্য বিদেশ থেকে এনেছিলে। তোমাকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর স্বাধীন দেশ দিয়ে যাবার জন্য।’

-ইতি আস্থা।


‘তোমরা কেমন আছ? ভেব না এখন কেন তোমাদের জিজ্ঞেস করছি কেমন আছ? এখন আমাদের লজ্জা ভেঙ্গেছে, আমরা অহঙ্কারের সঙ্গে আকাশপানে তাকিয়ে বলতে পারব তোমাদের জন্য আমরা কিছু করতে পেরেছি। আমরা এখন প্রজন্ম চত্বরে রাত দিন থাকি তোমাদের জন্য।’

-কানিজ তাহমিনা (মুক্তিযোদ্ধার কন্যা)

গণজাগরণ মঞ্চে শহীদদের উদ্দেশে পড়ে শোনানো হলো বুক পকেটের চিঠি

(গত ২০ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের আহবানে সারাদেশে শহীদদের কাছে চিঠি লিখেছিলো নতুন প্রজন্ম। প্রতিটি চিঠিতে ফুটে উঠেছে হৃদয়ের অপরূপ আবেগ আর অনির্বচনীয় চেতনার উদ্ধত ক্যানভাস। এ চিঠিগুলো থেকেই বাছাই করা কয়েকটি চিঠি পাঠ করা হবে দশই এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায়।)



গণজাগরণ মঞ্চের আগামী কর্মসূচীঃ-

মহাসমাবেশ।

* ১৪ এপ্রিল নববর্ষকে সামনে রেখে ১লা বৈশাখে সারা দিন শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বর গণজাগরণ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকাল ৪ টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্ত্বর গণজাগরণ মঞ্চে মহাসমাবেশ।

* এছাড়াও গণজাগরণ মঞ্চের নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে।

একাত্তরে হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার

প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার।

দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেব রক্ত।

জন্ম থেকে জন্মান্তরে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর অন্তরে।

ইনশাল্লাহ্ আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছব,

জামায়াত-শিবির মুক্ত মক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ব।

জয়বাংলা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

সাজিদনজরুল বলেছেন: ঘর, সমাজ-সংসার, দেশ তখনই আপনাদের চেতনা কে বুকে নিয়ে স্বতস্ফূর্ত ভাবে সাথে থাকবে যখন আপনারা এই সাধারন জনগনকে বিশ্বাস করবেন, যখন আপনাদের বিরিয়ানীর কথা না চিন্তা করে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি দেশ গড়ে তুলতে পারবেন।
৪২ বছর আপনাদের বাপ-দাদারা এই দেশকে নিজের জায়গীর ভাবছে। জামাত যদি ৪২ বছরে তার কার্যক্রম তার কর্মীদেরকে জন্য ও তার দলের জন্য এতগুলো প্রথিষ্ঠান গড়ে তুলেছে সেই সময়ে আপনার চেতনাধারীরা কি করেছেন? নিজের আখের গুছিয়েছেন।
আপনারাকি আপনাদের জন্য ছাড়া অন্যদের জন্য ভাবতে পারেন?
আপনাদের চেতনা মানেই ঘর।
আমি যেমন ঘৃনা করি জামাতীদের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব, আবার তেমনি ঘৃনা করি আপনাদের আখের গুছানো চেতনা।
আমার দেশটি ভালো থাকুক, আমার মা ভালো থাকুক।
আমার ভাই-বোন রা ভালো থাকুক। সেই সব ভাই-বোন ছাড়া যারা এই দেশের স্বাধীনতার বিরোধী, সেই সব ভাই বোন যারা তথাকথিক চেতনা ধারী।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২০

তুহিন সরকার বলেছেন: ৪২ বছর আপনাদের বাপ-দাদারা এই দেশকে নিজের জায়গীর ভাবছে।
* আপনার এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এই দেশটা কারো একার নয় কিন্তু দেশবিরোধীর নয়।
জামাত যদি ৪২ বছরে তার কার্যক্রম তার কর্মীদেরকে জন্য ও তার দলের জন্য এতগুলো প্রথিষ্ঠান গড়ে তুলেছে সেই সময়ে আপনার চেতনাধারীরা কি করেছেন? নিজের আখের গুছিয়েছেন।

* হয়তবা তাই।
আপনারাকি আপনাদের জন্য ছাড়া অন্যদের জন্য ভাবতে পারেন?
* ভাবতে শিখছি তাইতো এত আয়োজন।
আপনাদের চেতনা মানেই ঘর।
* ঠিক তা নয়।
আমি যেমন ঘৃনা করি জামাতীদের স্বাধীনতা বিরোধী মনোভাব,
* সহমত।
আবার তেমনি ঘৃনা করি আপনাদের আখের গুছানো চেতনা।
* বারবার আপনাদের কথা উল্লেখ্য করে আপনার অব্স্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
* আমার দেশটি ভালো থাকুক, আমার মা ভালো থাকুক।
আমার ভাই-বোন রা ভালো থাকুক। সেই সব ভাই-বোন ছাড়া যারা এই দেশের স্বাধীনতার বিরোধী,
* সহমত।
সেই সব ভাই বোন যারা তথাকথিক চেতনা ধারী।
* তথাকথিত চেতনাধারী যেন এদেশে আর জন্ম না নেয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.