![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ১৩ দফা দাবিতে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দাবিগুলো হলো:
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি।
হেফাজতে ইসলামের নীল নকশাঃ-
হেফাজতে ইসলামের সকল ষড়যন্ত্রের নীল নকশা কাহিনী শুনতে হলে নিচের ওয়েব পেইজটা দেখুন।
এইখানে ক্লিক করুন।
হেফাজতী ইসলামের সকল ষড়যন্ত্রের অডিও ফাঁসঃ রেড এলার্ট।
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
* সংবিধানের শুরুতে আমার-
“পরম করুনাময় মহান আল্লাহ্র নামে শুরু করছি।”
ধমের অবস্থান থাকবে সবার উর্দ্ধে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মনীতি থাকবে রাষ্ট্রের স্বার্থে। হেফাজতে ইসলাম ধর্ম ও রাষ্টকে এক সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার চেষ্টায় ব্যস্ত।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
জামায়তে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আলা মওদুদী’র ইসলাম, নবী রাসুল, সাহাবী সম্পর্কে কটুক্তিঃ-
আমাদের প্রিয় নবী-রাসুল (সাঃ)- কে বলছে-
* হে নবী আপনার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্রটি বিচ্যুতি হয়ে গেছে (নবুয়তের দ্বায়িত্ব পালনে) এজন্য আপনি ক্ষমা প্রার্থণা করুন।
(এর চেয়ে আর রাসুল (সাঃ) কে অবমাননার কি হতে পারে, এরাতো নাস্তিক ব্লগারদের চেয়েও বড় নাস্তিক মুরতাদ,জঘন্য। সে সম্পর্কে হেফাজতে ইসলাম নিশ্চুপ কেন?)
হযরত ইউনুছ (আঃ) সম্পর্কে-
* তিনি তাঁর দ্বায়িত্ব পালনে ত্রুটি করেছেন।
সর্বশ্রেষ্ঠ সাহাবী হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (র) সম্পর্কে বলছে-
* হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (র) দুর্বলমনা ও খেলাফতের দ্বায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অযোগ্য।
যেখানে স্বয়ং রাসুল (সাঃ) বলছেন-
সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হচ্ছেন হযরত ওমর (র) ।আর ওমরের সারাজীবনের ইবাদতকে যদি একত্রকরা হয় তাহলেও আবু বক্করের এক রাত্রির ইবাদতের সমান নয়।
(রাসুল (সঃ) অবমাননা এবং এর চেয়ে আর নাস্তিকতার কি হতে পারে, গণজাগরণ মঞ্চতো নবী-রাসুল ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম সম্পর্কে কোন কথা বা মন্তব্য করেনি তাহলে কেন তাদের নাস্তিক বলা হচ্ছে ঢালাও ভাবে।)
হযরত আলী সমপর্কে বলেছে-
* হযরত আলী (র) এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নাই।
(অথচ হযরত আলী (র) কে রাসুল (সাঃ) নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন। এই কথা কি রাসুল (সাঃ) কে অবমাননার পর্যায়ে পড়েনা?)
সাহাবী সম্পর্কে বলেছে-
* সাহাবীকেরাম সত্যের মাফকাঠি নন।
অথচ আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলছেন-
“তোমরা ঈমান আনো, সাহাবীদের ঈমানের মত”
(তাহলে আসল নাস্তিক কে?)
আল্লাহওয়ালা পীর মাশায়েখ সম্পর্কে বলেছে-
* বহুমুত্র রোগীকে যেমন চিনি থেকে সরিয়ে রাখতে হয়, মুসলমানদেরকেও অনুরুপ ভাবে পীর আউলিয়া থেকে দুরে রাখা প্রয়োজন।
(যেখানে পরিষ্কার ভাবে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআন-এ সুরা তাহাফ ১৭ নং আয়াতে (পীর/ওস্তাদ/ শিক্ষক/মোর্শেদ)-এর কথা বলা হয়েছে।)
এর চেয়ে অবমাননাকর এবং কুৎসা রটনার আর কি হতে পারে আমার বোধগম্য নয়। উপরোক্ত তধ্যাদি কি প্রমাণ করে না জামায়াতে ইসলামের অবস্থান সেই জামায়াত ইসলামী সম্পর্কে হেফাজতের বক্তব্য কোথায়? তাহলে আমার বলা কি ভুল হবে চোরে চোরে মাসতুত ভাই।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
* নবী করিম (সাঃ)-কে নিয়ে তৈরী চলচিত্র প্রকাশের জন্য বাংলাদেশে ইউটিউব প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।
শাহবাগের আন্দোলনে স্বঘোষিত কোন নাস্তিক নেই, নেতৃত্বদানকারীর কোন প্রশ্নই উঠেনা। আমরাও চাই যারা ধর্মের উপর আঘাত হেনে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃস্টি করছে তাদের বিচারের সমম্খীন করা হোক।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
* নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠাকে বেহায়াপনা,অনাচার, ব্যভিচার বলে এই প্রথম শুনলাম। প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ বিচরণ বলতে ওনারা কি বুঝাতে চেয়েছেন................নারী-পুরুষেরা কি তাহলে অপ্রকাশ্যে অবাধ বিচরণ করবে।আমাদের দেশে কোন বিজাতীয় সংস্কৃতির কোন স্থান নেই আমরা বাঙ্গালী,বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
জাতীয় নারীনীতি
* ইসলাম সর্ব প্রথম নারীকে তাঁর পূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে। ইসলামবিরোধী নারীনীতি কোথায় উল্লেখ্য করা হযেছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জনগনকে সচেতন করে তোলার জন্য জাতীয় নারী নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা (ধর্ম বিষয়ক পাঠ) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিজের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেকের তাড়নায় যে যেটা বাঞ্চনীয় সে সেটা্ই গ্রহণ করবে। পরিনত বয়সে আমরা সচেতন করে তোলার জন্য পদক্ষেক নিতে পারি, কারও উপর জোর করে চাপিয়ে দিয়ে পারিনা। জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দিয়ে কোন কিছুর সুফল পাওয়া যায়না। ইতিমধ্যে তার আমরা অনেক প্রমাণ পেয়েছি।
৬.সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
হযরত মাওলানা আহম্মদ শফী (মাঃ আঃ) সাহেবের শিক্ষক বলছেন-
* কাদিয়ানীদের চাইতেও ফিৎনাবাজ, এদের চেয়েও খারাপ জামায়াতী ইসলাম।
(অথচ উনার শিক্ষক জামায়াতকে কাদিয়ানীর দেয় ফিৎনাবাজ বলেছেন, সেই জামায়াতী ইসলাম সম্পর্কে কোন বক্তব্য নেই ১৩ দফা দাবী সত্যিই সেলুকাস! হেফাজতে ইসলাম নয় হেফাজতে জামায়াত ইসলাম।)
ভারত উপমহাদেশে সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রধান মুফতি হযরত হোসাইন আহম্মেদ মাদানী (র) বলেছেন-
*“ মওদুদীর জামায়াত পথভ্রষ্ট তাদের আকিদা আহলে সুন্নাতওয়াল জামাত ও কোরআন হাদীসের পরিপন্থি, তাদের দলে শরিক হওয়া, সাথে কাজ করা, সহযোগিতা করা জায়েজ নয়।”
(উপরোক্ত অডিও এতক্ষণে নিশ্চয়ই শুনেছেন।)
হযরত থানভী (র) বলেছেন-
* মওদুদী সবসময় নাপকীর সঙ্গে মিশ্রিত করে কথা বলে।
পাকিস্থানের সবচেয়ে বড় মুফতি- মুফতি শফি সাহেব বলেছেন-
* জামায়াতী ইসলাম মওদুদী পন্থীদের ঈমাম বানিয়ে নামাজ পড়া জায়েজ হবেনা।
শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক সাহেব বোখারী শরীফের পরিশিষ্টের ১৪২ পৃষ্টায় লিখেছেন-
স্বার্থান্ধদের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব শুধুমাত্র দুনিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার হীনমানসে তারা ইসলামের মূলভিত্তিতে কুঠারঘাত করে নড়বড়ে করে দিয়েছে দ্বীনের সৌধকে।পরিতাপ এইজন্য যে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ইসলামকে। নিঃসন্দেহে তারা সীমালঙ্ঘনকরী, তারা বাতিল, শুধরে নেবার যোগ্যতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। মিথ্যার বেসাতী করতে গিয়ে তারা সম্পূর্ণ অসত্যের উপর অবস্থান নিয়েছে। বাতিলের উপর কি জঘন্য দৃঢ়তা এ কুখ্যাত সংকলক মুওদুদী এবং তার পদলেহীরা দলিল প্রমাণ, সমালোচনা অনুরুপ কুঞ্জের মুল্য দেয়না।
হযরত মাওলানা আহম্মেদ শফী (মাঃ আঃ) সাহেবের শিক্ষক এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি,
মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলছেন-
* মওদুদী আহলে সুন্নাতওয়াল জামাতের বিপরীত আকিদা পোষণ করে, মওদুদী দলের সঙ্গে ওঠাবসা, সংশ্রব রাখা মুসলমানদের জন্য জায়েজ নয়।
(তাহলে কি তিনি এবং তাঁর দলের অবস্থান কি?)
ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে হযরত আল্লামা শফি সাহেব নিজে বলেছেন-
* ইসলামী শব্দটি ব্যতিরিকে মূলত সাধারণ সুদী ব্যাংক আর তথাকথিত ব্যাংকের লেনদেনের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকের সাথে সুদী কারবারকে হালাল মনে করে কখনো কেউ যেন গ্রহণ না করেন। এথেকে যেন নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে সতেষ্ঠ হোন এবং আল্লাহপাকের কাছে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।
(তাঁর দল কি নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন?)
অথচ যাকে কাদিয়ানীদের চেয়ে বেশি ফিৎনাবাজ বলা হল সেই দল সম্পর্কে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কি? জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবী কোথায়? অবস্থান অনুযায়ীতো আগে জামায়াতে ইসলামের নাম আসে।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
* সারা বিশ্বে যেখানে ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা সেখানে এনারা মসজিদের শহরকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। নিচের ছবিটি সম্পর্কে ওরারা কি বলবেন......................
(ছবিটির জন্য কামাল ভাইকে ধন্যবাদ।)
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
* জাতীয় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে আগুন কে ধরিয়ে দিয়েছে, ওয়াজ নসিহত কে বন্ধ করেছে, খতিবের মাইক কে কেড়ে নিয়ে.............. প্রশ্ন রইল।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
* আমরা সরল ধর্মপ্রাণ মানুষ কাউকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা কৃষ্টি-কালচার আমাদের মাঝে নেই।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
* বাংলাদেশ অপতৎপরতা চালার জায়গা নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারাই অপতৎপরতা চালাবে তাদের রুখে দেয়া হবে ইনশাল্লাহ্।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
* ভিত্তিহীন দাবী।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
* জাতীয় মসজিদে ঈমাম-খতিবকে কে হুমকি-ধামকি দিয়েছিল। হেফাজতে সহায়তাদানকারী জামায়তে ইসলাম চট্টগ্রামে শীর্ষ ১০ আলেমকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
* ইসলাম ন্যায় বিচারের কথা বলেছে। অপরাধ যারাই করুক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে। এটাই কাম্য।
ব্লাসফেমি আইনঃ-
ব্লাসফেমি আইন কি?
ব্লাসফেমি শব্দের অর্থ'- 'ধর্ম নিন্দা' বা 'ঈশ্বর নিন্দা' গ্রিক শব্দ ‘ব্লাসফেমেন’ থেকে এসেছে। এর অর্থ কারো ওপর অপবাদ বা কলঙ্ক আরোপ করা বা সম্মানে আঘাত করা। তবে ব্লাসফেমি বলতে প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান বোঝায়। কোন ব্যক্তি এইসব অপরাধ করলে যে আইনে তার বিচার করা হয়, সেটাকেই ব্লাসফেমি আইন বলে। প্রাচীন ও মধ্যযুগে ইউরোপে ব্লাসফেমির উদ্ভব হয়েছিল। এখন থেকে ১৪৫০ বছর আগে রোমের সামন্ত রাজারা প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী খ্রিষ্টান ক্যাথলিক চার্চের যাযকদের সহায়তায় জনগনের উপর ধর্মের নামে যে অত্যাচার করে ছিল তার নাম দেওয়া হয়েছিল "ব্লাসফেমি"। আধুনিক যুগেতো দূরের কথা এমনকি ১৪০০ বছরের ইসলামের ইতিহাসে এ ধরনের আইনের কোন ধারণা ও ইসলাম ধর্মে এই ধরণের আইনের কোন ভিত্তি নেই। সে সময় রাজা বাদশাদের বলা হত ঈশ্বরের প্রতিনিধি,তাই রাজাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বলা,এইভাবে রাজার অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগনের আন্দোলন যাতে গড়ে না উঠতে পারে সেই জন্য ওই সময় ব্লাসফেমি নামের এই কালো আইন তৈরি হয়েছিল। ইউরোপে সর্বপ্রথম এই আইনের প্রবর্তন করা হয়। বর্তমানে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোমালিয়া, মালয়েশিয়াতে ব্লাসফেমি আইন চালু রয়েছে।
বিস্তারিত-
ব্লাসফেমি আইন কি?
ব্লাসফেমি আইনের পরিকল্পনা নেই: প্রধানমন্ত্রী
ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
(মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের কথা বলছেন হেফাজত নেতারা)
এই আইন করার পরিকল্পনা সরকারের নেই- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দিল চট্টগ্রামভিত্তিক ইসলামী সংগঠনটি।
৯ এপ্রিল/১৩ মঙ্গলবার বন্দর নগরীর লালখান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি জনগণের ম্যান্ডেট বুঝে থাকেন, তাহলে ব্লাসফেমি আইন করবেন, নইলে তাকে বাধ্য করা হবে।” “ব্লাসফেমি আইন না করলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না ও ক্ষমতায় আসতেও পারবে না,” বলেন তিনি। ব্লাসফেমি আইনে ধর্ম সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আলোচনার পথ রুদ্ধ করে বলে এই আইন প্রণয়নের বিরোধিতা রয়েছে। তবে হেফাজত গত শনিবার মতিঝিলে সমাবেশে যে ১৩টি দাবি তুলে ধরেছে, তাতে সরাসরি উল্লেখ করা না হলেও ব্লাসফেমির মতো আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের কথা বললেন হেফাজত নেতা। (সূত্রঃ- http://www.bdnews24.com)
ব্লাসফেমি আইন করতে বাধ্য হবেন প্রধানমন্ত্রী
ব্লাসফেমি আইন চায় না হেফাজতে ইসলাম?
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে কোথাও ব্লাসফেমি আইনের কথা উল্লেখ নেই। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। (সূত্রঃ- দৈনিক মানবজমিন)
ব্লাসফেমি চায় না হেফাজত
উপরের খবর দুটি লক্ষ করুন এরা কত বড় মিথ্যেবাদী, যখন কিনা দেখা গেল ইসলামে এ ধরণের আইনের কোন অস্তিত্ব তখনই এদের এক গ্রুপ ভোল পাল্টালো এদের কাছে ইসলামের এই হল অবস্থা আর এরাই করবে ইসলামের হেফাজত বড় বিস্ময়ের কথা...................!
আইনমন্ত্রী ব্যরিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির মধ্যে একটিরও সাংবিধানিক ও আইনগত কার্যকারিতা নেই। এসব দাবি দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয়। তাই এসব দাবি পূরণের উদ্যোগ নেওয়ার আইনি অধিকার সরকারের নেই।
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের অভিজ্ঞতা
সরকারের কাছে ১৩ দফার একটিও গ্রহণযোগ্য নয়
আমরা সব সময় ধর্মীয় অনুভূতিকে রক্ষার চেষ্টা করি।
বিএনপিতে আলোচনা হয়নি, জামায়াত চায়
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা- নাগরিক অভিমত।
দেশকে অন্ধকার অতীতে ফিরিয়ে নিতেই এ দাবি- অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
যৌক্তিক দাবি একটাও আমার চোখে পড়েনি- এম হাফিজউদ্দিন খান।
নারীনীতি বাতিল করার দাবি অন্যায্য- সালমা খান।
তাদের দাবি নৈতিক অবস্থানের দিক দিয়েও দুর্বল- সুলতানা কামাল।
গণমাধ্যম অযৌক্তিক কথা গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে কেন?- এম জহির।
আপনি নাস্তিক বলার কে: কৃষিমন্ত্রী
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী একাত্তরে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সহায়তা করেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট।
আল্লামা শফী ছিলেন ’৭১ মুজাহিদ বাহিনীতে’
হেফাজতের আন্দোলন ঘিরে ৮৫ কোটি টাকা ভাগাভাগি
'টাকার বিনিময়ে হেফাজতের লংমার্চ'
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আছে আশা-নিরাশা দুটোই
সাংবাদিক নেতাদের মতামত
ঝুঁকি নিয়েই খবর সংগ্রহ।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
তুহিন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ফ্রিঞ্জ। ফন্দির জালে বন্দি ওরা।
জয়বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ফ্রিঞ্জ বলেছেন: লাক ঠিক করার জন্য ১৪ নং দফা যোগ করসে
১৪ অবিলম্বে আই এস আই এর পেইড এজেন্ট বঙ্গ ছুছুন্দর মহামতি মাহমুদুর রহমান কে মুক্তি দিতে হবে।
লাক আরো ভালো করার জন্য অগ্নিকন্যা লাকি কে দলে ভিড়ানোর চেষ্টাও চলছে।