![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আল-বদর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির রায় প্রদান করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুসদস্য হলেন বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও জেলা জজ মোঃ শাহিনুর ইসলাম।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন নেতৃত্বাধীনে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে-এ জনাকীর্ণ আদালতে ২০৯ পৃষ্টার পূর্ণাঙ্গ রায়ের ৩৭ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ রায়ের ভূমিকা পড়া শুরু করেন।
সুচনা বক্তব্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন বলেন-
রায় প্রত্যাখ্যান করে ভাংচুর- ফাঁসি চাই দাবি আদালত অবমাননার শামিল
১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা মুজাহিদ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী আল বদর বাহিনীর শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৩৪ ধরণের ৭টি অভিযোগ আনা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এর এটি ৬ষ্ঠ রায়, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চতুর্থ রায়।
এর আগে পাঁচটি রায়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ দুটিতে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
আল-বদর প্রধান মুজাহিদের বিরুদ্ধে ৭ টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত।
১,৩,৫,৬,৭ নং অভিযোগ গুলো প্রমাণিত। ২ ও ৪ নং অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
পূর্বের রায় গুলো।
মুজাহিদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের শাহবাগে অবস্থান-জনকন্ঠ
সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান
মুজাহিদের পরিচিতি:
মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ গঠনের আদেশে তাঁর পরিচিতিতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের ২ জানুয়ারি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামে মুজাহিদ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘে (জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন) যোগ দেন। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ওই বছর তিনি ঢাকা জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হন। একাত্তরের অক্টোবরে তিনি ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক সভাপতি ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠিত হলে ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রসংঘের তখনকার সভাপতি ও জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী। অক্টোবরে ওই বাহিনীর প্রধান হন মুজাহিদ।
তার নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী যুদ্ধের মধ্যে ফরিদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, অপহরণ, লুটপাটের মতো ব্যাপক মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালায়। এমনকি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতির সময়ও বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণ না করার সিদ্ধান্ত নেন মুজাহিদ। স্বাধীনতার পর মুজাহিদ জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ১৯৮২ সালে কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য হন। ১৯৮৯ থেকে দুই বছর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালনের পর ২০০০ সালে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হন তিনি। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়লাভ করেননি। কোনো নির্বাচন জয়ী হতে না পারলেও বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সমায়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুজাহিদ। জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের পরিচালনা পর্ষদেরও প্রধান তিনি।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২০১০ সালের মার্চে জামায়াতে ইসলামীর এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের মতো কোনো ধরনের অপরাধে জামায়াত নেতারা জড়িত ছিলেন না।
মামলার বিচারিক কার্যক্রম:
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ২০১১ সালের ২১ জুলাই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন কর্মকর্তারা। এরপর ২ আগস্ট তাকে ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৭টি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। মুজাহিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। অপরদিকে মুজাহিদের পক্ষে প্রথম এবং একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তার ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর। গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ মে দিন ধার্য করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল ট্রাইব্যুনালে বলেন, "যুদ্ধের সময় মুজাহিদ স্টেনগান হাতে আমাকে 'মাদারচোদ' বলে গালি দিয়ে আমার মাথার পেছনে বাঁট দিয়ে আঘাত করল। সঙ্গে সঙ্গে ফিনকি দিয়ে মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। তার পর প্রচণ্ড জোরে লাথি মেরে আমাকে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে মারতে থাকল। আমাকে মাটি থেকে নিজামী, মুজাহিদ দুজনে গর্দান টেনে তুলে বন্দিদের রুমে নিয়ে গেল।"
উভয়পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত মোট চার দিবসে মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আসামিপক্ষে সৈয়দ মিজানুর রহমান ও মুন্সি আহসান কবির যুক্তি উপস্থাপন করেন। গত ২ জুন থেকে ৪ জুন পর্যন্ত আইনি বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে ব্যারিস্টার এমরান সিদ্দিকী।
বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশান্তরে বাধ্য করাসহ ৩৪ ধরণের সাতটি অভিযোগে অভিযুক্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
আল-বদর প্রধান মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোঃ-
অভিযোগ-১: পাকিস্তানের বাঙালি সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি দৈনিকে প্রবন্ধ লেখার অপরাধে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ৫ নম্বর চামেলীবাগের ভাড়া করা বাসা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয় ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে। এর পর তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ইন্ধন, অপরাধীদের সুযোগ সৃষ্টি করে অপরাধ সংঘটনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে মুজাহিদের বিরুদ্ধে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এর ৩ (২) (এ) (জি), ৪ (১), ৪ (২) এবং ২০ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগ প্রমাণিত। মৃত্যুদন্ড
অভিযোগ-২: একাত্তরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানায় বৈদ্যডাঙ্গি, মাঝিডাঙ্গি ও বালাডাঙ্গি গ্রামে হিন্দুদের প্রায় সাড়ে তিনশ’ বাড়ি পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা। হামলাকারীদের গুলিতে ৫০ থেকে ৬০ জন নরনারী নিহত হন। ওই ঘটনায় ফরিদপুর শহরের হামিদ মাওলানা ছাড়াও ৮/১০ জন অবাঙালি অংশ নেন।
এ ঘটনায় বিশেষ ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের ওপর হামলায় সহযোগিতা করা ও হামলায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মুজাহিদের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এর ৩ (২) (এ) (সি)(জি) এবং ৪ (১) ধারায় এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভিযোগ সত্য তবে তার সম্পৃত্ততা প্রমাণিত হয়নি।
অভিযোগ-৩: একাত্তরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ফরিদপুর শহরের খাবাসপুর মসজিদের সামনে থেকে রাজাকাররা ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার গোয়ালচামট (রথখোলার) এলাকার মৃত রমেশ চন্দ্র নাথের ছেলে রণজিৎ নাথ ওরফে বাবু নাথকে আটক করে। বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর পুরনো সার্কিট হাউসে মুজাহিদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনা অফিসার মেজর আকরাম কোরাইশীর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে নির্যাতনের পর মুজাহিদের নির্দেশে তাকে হত্যা করার উদ্দেশে বিহারি ক্যাম্পের উত্তর পাশে আব্দুর রশিদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ঘরের জানালার শিক ভেঙে রাতে রণজিৎ নাথ বাবু পালিয়ে জীবন বাঁচান।
এ ঘটনায় মুজাহিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ এর ৩ (২)(এ) (জি) ধারায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুজাহিদের অপরাধের দায়বদ্ধতা আছে, অভিযোগ প্রমাণিত, ৫বছরের সাজা।
অভিযোগ-৪: একাত্তরের ২৬ জুলাই সকালে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থেকে স্থানীয় রাজাকাররা মো. আবু ইউসুফ ওরফে পাখিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে আটক করে। পরে তাকে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আটক রাখা হয়। সেখানে মুজাহিদের কাছ থেকে পাখির বিষয়ে জানতে পেরে তার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় পাকসেনারা। প্রায় এক মাস ৩ দিন তাকে সেখানে নির্যাতন করা হয়। এতে পাখির বুক ও পিঠের হাড় ভেঙে যায়।
এ ঘটনায় ১৯৭৩ এর ৩(২)(এ) (জি) ধারায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে মুজাহিদের বিরুদ্ধে, যা ২০(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য।
প্রমাণিত হয়নি।
অভিযোগ-৫: যুদ্ধ চলাকালে সুরকার আলতাফ মাহমুদ, জহিরউদ্দিন জালাল, বদি, রুমি, জুয়েল ও আজাদকে আটক করে ঢাকার নাখালপাড়ায় পুরনো এমপি হোস্টেলে রাখা হয়। ৩০ অগাস্ট রাত ৮টার দিকে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি মুজাহিদ ও সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী সেখানে গিয়ে এক সেনা কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেন, রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আগেই তাদের হত্যা করতে হবে। এ সিদ্ধান্তের পর সহযোগীদের নিয়ে মুজাহিদ আর্মি ক্যাম্পে আটকদের অমানসিক নির্যাতনের পর জালাল ছাড়া বাকিদের হত্যা করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালস আইন ১৯৭৩ এর ৪(১) এবং ৪(২) ধারায় যা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
অভিযোগ প্রমাণিত, যাবজ্জীবন সাজা
অভিযোগ-৬: একাত্তরে ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প তৈরি করে। পরবর্তীতে রাজাকার ও আলবদর বাহিনী গঠনের পর সদস্যরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতেন। পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সেক্রেটারি হওয়ার সুবাদে ওই আর্মি ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মুজাহিদের। সেখানে নিয়মিত ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসারের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করতেন তিনি। এ ধরনের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী নিধনসহ গণহত্যার মতো ঘটনা সংঘটিত হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত। মৃত্যুদন্ড
অভিযোগ-৭: একাত্তরের ১৩ মে মুজাহিদের নির্দেশে রাজাকার বাহিনী ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়ে বীরেন্দ্র সাহা, নৃপেন সাহা, শানু সাহা, জগবন্ধু মিত্র, জলাধর মিত্র, সত্য রঞ্জন দাশ, নরদবন্ধু মিত্র, প্রফুল্ল মিত্র, উপেন সাহাকে আটক করে। পরে উপেন সাহার স্ত্রী রাজাকারদের স্বর্ণ ও টাকার বিনিময়ে স্বামীর মুক্তি চাইলেও মুজাহিদের নির্দেশে রাজাকাররা সবাইকেই হত্যা করে। একই সময়ে রাজাকাররা সুনীল কুমার সাহার কন্যা ঝর্ণা রানীকে ধর্ষণ করে। হিন্দুদের বসতঘরে লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া অনিল সাহা নামে একজনকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।
এসব অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসের ৩(২)(এ)(জি) ধারায় মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়, যা ৪(১) এবং ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য।
অভিযোগ প্রমাণিত।মৃত্যুদন্ড
বিভিন্ন পত্রিকায়ঃ-
মুজাহিদের ফাঁসি চান নির্যাতিতরা
সর্বোচ্চ সাজার আশা বিচ্ছু জালালের
বুদ্ধিজীবী হত্যায় নেতৃত্ব দেন মুজাহিদ- কালের কন্ঠ
মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ-প্রথমআলো
বুদ্ধিজীবী হত্যা সহ সাত অভিযোগে অভিযুক্ত ॥ মুজাহিদের মামলার রায় আজ- জনকন্ঠ
মুজাহিদের রায় আজ- ইত্তেফাক
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২
তুহিন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা, আপনার মত আশায় বুক বেধে বসে আছি।
জয়বাংলা।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
চলতি নিয়ম বলেছেন: জয়বাংলা।
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২
তুহিন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ চলতি নিয়ম।
জয়বাংলা।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আর বিশ্বাস করি না কাউকে ... ঝুলানোর পর লাশ দেখে বিশ্বাস করবো।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
তুহিন সরকার বলেছেন: আপনার মত জাতি আজ প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে।
ধন্যবাদ রহমান সাহেব, শুভকামনা রইল।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: তুহিন ভাই, রায় তো বহুত শুনলাম.....সরকার যেভাবে নাকানি-চুপানি খাচ্ছে, তাতে রায়ের কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শুভেচ্ছা রইলো
১৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
তুহিন সরকার বলেছেন: কি বলব ভাই, সন্দিহান থেকে আশাবাদী।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন:
ফাঁসীতে না ঝুলানো পর্যন্ত এইসব রায় ফায় আর বিশ্বাস করি না ।