নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ একজন মানুষ হবার প্রচেষ্টায়......................।

আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!

তুহিন সরকার

অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।

তুহিন সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

“রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ”- এর জাতীয় সমাবেশ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

যুদ্ধাপরাধের বিচার তরান্বিত, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে “বাংলাদেশ রুখে দাড়াও"-এর জাতীয় সমাবেশ।

অনুষ্ঠানের সময়সূচীঃ-

তারিখঃ- ০৫অক্টোবর/২০১৩ খ্রিঃ রোজঃ- শনিবার।

স্থানঃ- সোহরাওয়ার্দি উদ্যান,ঢাকা।

সময়ঃ- সকাল ১০টা।



মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ পরাজিত শক্তি দ্বারা আজ আক্রান্ত। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হায়েনাদের পরাজিত করেছি, আবারও সেই ভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরাজিত শক্তি পরাস্ত করতে হবে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ বিচারকে কেন্দ্র করে অপশক্তি গুলো আবার মাথা চাড়া দিয়েছে, ওদের মাথা বাঙ্গালী জাতির পদ তলে পিষ্ট করতে হবে। আসুন সম্মিলিভাবে পরাজিত হায়েনাদের দোসর জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য ধর্মান্ধ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত যেভাবে ধর্মের নামে বিষবাষ্পের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, নারীসমাজ ও মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ। আজও তেমনি ভাবে জামায়াত-শিবির সেই অপচেষ্টায় লিপ্ত।

জামায়াত-শিবির সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালচ্ছে। মন্দির, প্যাগোডা,গির্জায় তারা হামলা চালাচ্ছে, শহীদ মিনার এমনকি আমাদের জাতীয় পতাকা আজ তাদের হাতে ভূলুণ্ঠিত। মসজিদে আগুন, জায়নামাজ পুড়িয়ে ফেলা ইমাম সাহেবকে নামাজে বাধা প্রদান সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের কথা মুসলমানের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেয় নিজেরে স্বার্থচরিতার্থ করার জন্য।ওরা নাকি আবার ইসলামের হেফাজতকারী নাউযুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের হেফাজত করুন। ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আজ তারা মসজিদ মাদ্রাসাকে ব্যবহারসহ কোমলমতি মাদ্রাসা ছাত্রদের বিপথে পরিচালিত করছে। দেশে জাতীয় সম্পদ আজ তাদের হাতে বিপন্ন, রাস্তাঘাট, রেললাইন, গাছপালা তাদের হাত থেকে কিছুই রেহাই পাচ্ছেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ আজ তাদের হামলার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজ নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছে। শিক্ষা ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আজ। দেশের ষোলকোটি মানুষ আজ চরম উৎকন্ঠা ও অনিশ্চয়তায় দিনানিপাত করছে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় সেই অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আজ দেশের প্রধান বিরোধীদল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আজকে হুমকির মুখে একদল ঘৃণ্য ধর্মান্ধ উগ্রবাদী জন্য। তেঁতুল তথ্য দিয়ে আজকে তারা দেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চায় তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। মায়ের জাতি নারীর নারীর অধিকার আজ তারা ভূলুন্ঠিত করতে অতি উঃসাহী হয়ে উঠেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোর মুক্তচিন্তার পথকে রুদ্ধ করতে উদ্যত হয়েছে।

এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শাহবাগ ও দেশের সর্বত্র গণজাগরণ মঞ্চের তরুণেরা মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শকে শান্তিপূর্ণ পথে সমুন্নত রাখছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে নানা ধারার নাগরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। এ ধরনের সকল সফল উদ্যোগকে স্বাগত।

বর্তমান উদ্বৃত পরিস্থিতিতে নিম্নবর্ণিত পাঁচ দফা দাবীতে ঐক্যবদ্ধ হতে “বাংলাদেশ রুখে দাড়াও” এর জাতীয় সমাবেশ।

১. জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর।

২. যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত কর।

৩. সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ কর, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াও।

৪. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নাও, মুক্তচিন্তার পথ খোলা রাখ।

৫. তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা প্রতিহত কর, নারীর অধিকার সমুন্বত রাখা।


এই সকল দাবীর সাথে সহমত পোষণ করলে সংহতি জানিয়ে এই ওয়েবসাইটের নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করে পাঠানোর জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আমরা আহবান জানাচ্ছি। আমাদের সমবেত প্রচেষ্টায় এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াবে।

নিবন্ধন করতে লগইন করুন:- http://www.rdbd.net

ফেসবুক পেজ:- বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও

“বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও”-এর বিস্তারিত পাঁচ দফাঃ-



১. জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ কর।

আমরা মনে করি বর্তমানে বিচারাধীন জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে রায় হলে, তারা নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হবে কিন্তু তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না। আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কিন্তু জামাত-শিবির তার কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা ধর্মের অপব্যবহারকারী, সংবিধানবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর অধীনে তাদের অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত।

২. যুদ্ধাপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করা।

আমরা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিরসন করার জন্য ও মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে বিচারাধীন সকল শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ ত্বরান্বিত করে বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে রায় ঘোষণা ও রায় কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুন্যালকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

৩. সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিহত কর, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াও।

বাংলাদেশ আবহমানকাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অথচ, গত কয়েক মাসে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রশাসন নিষ্ক্রিয় রয়েছে, পাশে দাড়ায়নি জনপ্রতিনিধিরা। নিরাপত্তাহীনতায় আতংকিত রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার মূল উৎপাটন করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে, সকল মন্দির-বিগ্রহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা মনে করি, এ কাজ কেবল সরকারের নয়, সমগ্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তদুপরি এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ণ এবং এক্ষেত্রে বাঙালি সংস্কৃতির প্রসার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

৪. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নাও, মুক্তচিন্তার পথ খোলা রাখা।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতিতে প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভাবাদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠা ছাড়া আধুনিক বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। আমরা মনে করি সর্বজনের ধর্মানূভুতিকে রক্ষা করুন, কিন্তু মুক্তচিন্তার পথ রুদ্ধ করবেন না।

৫. তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তার প্রতিহত কর, নারীর অধিকার সমুন্নত রাখা।

সম্প্রতি ধর্মান্ধ শক্তি তাদের ১৩ দফা দাবীর মাধ্যমে দেশকে মধ্যযুগে প্রত্যাবর্তন করাতে উদ্যত হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা এ বিষয়ে বিবিসিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ও আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যাকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের বিষ্ময়কর অর্জনের কেন্দ্রে রয়েছে নারী-পুরুষের সমবেত উদ্যোগ। এক্ষেত্রে নারীশিক্ষা ও তাদের কর্মজীবন বিপুল ভূমিকা রয়েছে। সকল রক্ষণশীলতাকে অতিক্রম করে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের আধুনিক যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গড়ার রক্ষাকবচ। সুতরাং ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর সকল পাঁয়তারা রুখে দাঁড়াতে হবে। এই অপশক্তিকে রাজনৈতিক কৌশলের কারণে তুষ্ট কিংবা লালন করার সকল প্রয়াস রুখে দাঁড়াতে হবে।



আমরা মনে করি, দেশের এই সংকটকালে প্রয়োজন একাত্তরের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সর্বসাধারণের জাতীয় ঐক্য যা এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াবে।

রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।

সবার জন্য শভেচ্ছা,

“বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও”-এর ঘোষিত পাঁচটি দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেকে তথা দেশ ও জাতিকে কলংক মুক্ত করতে এগিয়ে আসুন। সবার সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করছি।




জয়বাংলা।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.