নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সাধারণ একজন মানুষ হবার প্রচেষ্টায়......................।

আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!

তুহিন সরকার

অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।

তুহিন সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেকিং নিউজ- কসাই কাদেরের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

একাত্তরে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লা ওরফে কসাই কাদেরের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ।



গত ০৫ ফেব্রুয়ারী/২০১৩ খ্রিস্টাব্দে হতাশাব্যঞ্জক রায়!

মাননীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ওরফে কাদের কসাই বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়া স্বতেও তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।এ রায়ের প্রতিক্রিয়ার সারাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সেই বিক্ষোভ থেকে সৃষ্টি হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর “গণজাগরণ মঞ্চ”। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বকে সমর্থন জানিয়ে সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি হয় এবং সমগ্র জাতি হতাশায় মূহমান হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সেই প্রতিবাদ এবং গণজাগরণ মঞ্চের দাবীর মুখে আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। আগে আইনে সরকারের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ ছিল না। গত ৩ মার্চ সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পরদিন আপিল করেন কাদের মোল্লা। গত ১ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হয়। আসামি ও সরকার—উভয় পক্ষের দুটি আপিলের ওপর ৩৯ কার্যদিবস শুনানি শেষে ২৩ জুলাই আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। শুনানি শেষ হওয়ার ৫৪ দিনের মাথায় ফাঁসির চূড়ান্ত রায় হয়।

প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কলংক মোচনের প্রথম রায় কসাই কাদেরের ফাঁসি-বিজয়ের পথে গণজাগরণ মঞ্চ। এই রায় ঘোষণা করে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া এই রায়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডাদেশের পক্ষে ছিলেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এসকে সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

অন্যদিকে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

মহামান্য আদালত রায়ে বলেনঃ-

* কাদের মোল্লার অপরাধ সমূহ এতই পৈশাচিক যে মৃত্যুদন্ড ছাড়া পৃথিবীর ফৌজদারী আইনের পুস্তকে নির্ধারিত কোন সাজাই তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। একমাত্র মৃত্যুদন্ডই তার প্রাপ্য। তার কৃর্তকর্মের কারণে যে দূর্বিষহ ব্যথা-বেদনা ভুক্তভুগি এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা এমনকি গোটা জাতি যা আজও বহন করছে তার কোন প্রতিকার নেই, তার অপরাধ সমূহ একমাত্র একটি অসুস্থ মস্তিষ্কই চিন্তায় আনতে পারে। তার অপরাধের ফলাফল সমস্ত জাতিকে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে।

* জীবন নিশ্চিত ভাবে মহামূল্যবান, এক্ই কারণে মৃত্যুদন্ডকে কোন ভাবেই খাট করে দেখার অবকাশ নেই, সচারচার মৃত্যুদন্ড প্রদান করাও কোন অবস্থায় যুক্তিক নয়! কিন্তু যে ক্ষেত্রে একজন অপরাধী এতন অপরাধ সংগঠন করে যার ফলাফল অত্যন্ত সুদূর পরাহত হয় একং যার কারণে গোটা সমাজ ঘৃণার উদ্রেক হয় সেই অবস্থায় মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোন সাজা দেয়া যেতে পারে?

* তার অপরাধ গণধিক্কৃত হিসেবে বিবেচিত হবে।


ষষ্ঠ অভিযোগে ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। মৃত্যু পর্যন্ত তাকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।



মামলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ-

২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদেরের বিরুদ্ধে। এ মামলাতেই ২০১০ সালের ১৩ জুলাই জামায়াতের এই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

গতবছর ২৮ মে ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি ঘটনায় তার বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। ০৫ ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার উপস্থিতিতে রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।



কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিলের ক্ষেত্রে যে অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য শোনে আদালত, তারা হলেন- রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, টি এইচ খান, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি ও এ এফ হাসান আরিফ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

দিশার বলেছেন: একটা কথা বলতে ভুলে গেসিলাম, সক্ষম নারী পুরুষ মিলিত হইলেই বাচ্চা হবার চানস ১০০/১০০ এই মজাদার তথ্য কই পাইলেন ? হাহা

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

দিশার বলেছেন: আজীবন হাসিনার কাসে কৃতজ্ঞ থাকব। একটা রাজাকার অন্তত যেন ফাসী পায় এই বছর।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

তুহিন সরকার বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জবাবে বলছি চোখ-কান খোলা রাখুন অনেক মজাদার তথ্যই পাবেন।

আপনার মত সবাই সেই প্রত্যাশা করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যারা।

“রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ”

জয়বাংলা।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

হাসিব০৭ বলেছেন: @দিশার সাহেব রাজাকার না হয় ফাসি দিলেন কিন্তু এর ফলঠা তো ভোগ করবে সাধারন জনগন। সেই নিরাপত্তাটা কি সরকার দিতে পারবে। যদি একজন রাজাকার ফাসির জন্য ১০০ জন সাধারন মানুষ মারা যায় এর দ্বায়ভার কে নিবে। জামায়াত বা তার মিত্ররা কখনই হাসিনা বা তার সঙ্গীদের ধরতে পারবে না যা দুর্ভোগ সালা সব এই সাধারন আমজনতার। এখনই যা অবস্থা আর যদি ফাসি দিয়ে দেয় তাহলে কি হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

তুহিন সরকার বলেছেন: হাসিব সাহেব আপনিতো ইতিমধ্যেই ঘোমটা পরে বসে আছেন,
নিজে বাঁচলে বাপের নাম.............
আপনার আর কি ভয়ের কোন কারণ আছে।
রাজনীতিবিদের মত মিথ্যে জনগণের কথা বলে মুখে আর ফেনা তুলবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.