| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুহিন সরকার
অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ওরফে কসাই কাদেরের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৭ সেপ্টেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ কাদের মোল্লা ওরফে কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।
বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা ০৫ ডিসেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ রোজ:- বৃহস্পতিবার ৭৯০ পৃষ্ঠার কসাই কাদেরের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।ব্রেকিং নিউজ- কসাই কাদেরের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের সমন্বয়ক এম কে রহমান ওইদিন বলেছিলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আব্দুল কাদের মোল্লার দণ্ড বাস্তবায়নের দিনক্ষণ সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে।
“আইন অনুসারে সরকারের সিদ্ধান্তে এই রায় বাস্তবায়ন হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার চাইলে জেল কোড অনুসরণ করতে পারে।…তবে জেল কোড অনুসরণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সরকার চাইলে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্তও নিতে পারে।”
অবশ্য জামায়াত নেতার আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুসরণের বিকল্প নেই। রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি; যদিও প্রসিকিউটররা বলছেন, এর কোনো সুযোগ নেই।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বলেছেন,
দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন করা হবে।
লাল কাপড়ে মোড়া কসাই কাদেরের দুই পৃষ্ঠার মৃত্যু পরোয়ানা বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপনিবন্ধক অরুণাভ চক্রবর্তী।
কারা বিধিতে বলা আছে, প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করার অধিকার থাকবে। যার সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদও একমত পোষণ করেছিলেন।
কারা বিধিঃ-
কারা বিধি অনুসারে কোনো মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর জেল সুপার তা বন্দিকে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে তার মত চাইবেন। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আসামির সর্বোচ্চ সময় সাতদিন। ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনে রাষ্ট্রপতি ও সরকার উভয়কে সম্বোধন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর জেল সুপার তা স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পাঠাবেন। সঙ্গে পৃথক পত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সম্ভাব্য তারিখ এবং আসামির দণ্ডের বিষয়ও থাকবে।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে পাঁচটি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। যে একটি অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছিল বিচারিক আদালত, আপিলের রায়ে তাতে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে। অন্য চারটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের শাস্তিই বহাল রাখা হয়েছে। আর ছয় নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশের বদলে আপিল বিভাগ দিয়েছে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ।
৭৯০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ষষ্ঠ অভিযোগে ৪:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো। মৃত্যু পর্যন্ত তাকে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
মহামান্য আদালত আরো বলেন,
* কাদের মোল্লার অপরাধ সমূহ এতই পৈশাচিক যে মৃত্যুদন্ড ছাড়া পৃথিবীর ফৌজদারী আইনের পুস্তকে নির্ধারিত কোন সাজাই তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। একমাত্র মৃত্যুদন্ডই তার প্রাপ্য। তার কৃর্তকর্মের কারণে যে দূর্বিষহ ব্যথা-বেদনা ভুক্তভুগি এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা এমনকি গোটা জাতি যা আজও বহন করছে তার কোন প্রতিকার নেই, তার অপরাধ সমূহ একমাত্র একটি অসুস্থ মস্তিষ্কই চিন্তায় আনতে পারে। তার অপরাধের ফলাফল সমস্ত জাতিকে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে।
* জীবন নিশ্চিত ভাবে মহামূল্যবান, এক্ই কারণে মৃত্যুদন্ডকে কোন ভাবেই খাট করে দেখার অবকাশ নেই, সচারচার মৃত্যুদন্ড প্রদান করাও কোন অবস্থায় যুক্তিক নয়! কিন্তু যে ক্ষেত্রে একজন অপরাধী এতন অপরাধ সংগঠন করে যার ফলাফল অত্যন্ত সুদূর পরাহত হয় একং যার কারণে গোটা সমাজ ঘৃণার উদ্রেক হয় সেই অবস্থায় মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোন সাজা দেয়া যেতে পারে?
* তার অপরাধ গণধিক্কৃত হিসেবে বিবেচিত হবে।
নিয়ম অনুযায়ী,এখন কারা কর্তৃপক্ষ কাদের মোল্লার কাছে জানতে চাইবেন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইবেন কি না। ক্ষমা ভিক্ষা চাইলে
এই জামায়াত নেতাকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে।
তার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ০৫ ফেব্রুয়ারী/২০১৩ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর হতাশাব্যঞ্জক রায়!
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ প্রধান বিচারপতি বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৭ সেপ্টেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কলংক মোচনের প্রথম রায় কসাই কাদেরের ফাঁসি-বিজয়ের পথে গণজাগরণ মঞ্চ। ফাঁসির এই রায় ঘোষণা করেন।
তথ্যসূত্রঃ-
* কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা-বিডি নিউজ২৪
*কাদের মোল্লার রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে-বিডি নিউজ২৪
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
তুহিন সরকার বলেছেন: মিরপুরের কসাই, কসাই কাদেরের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
২|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
যোগী বলেছেন:
কাদের মোল্লার দাফন এই বাংলায় কিছুতেই হতে দেয়া উচিৎ হবেনা। এই ব্যাপারে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
তুহিন সরকার বলেছেন: সহমত পোষণ করছি।
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ।
জয়বাংলা।
৩|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যোগী বলেছেন:
কাদের মোল্লার দাফন এই বাংলায় কিছুতেই হতে দেয়া উচিৎ হবেনা। এই ব্যাপারে সবার সোচ্চার হওয়া দরকার।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
তুহিন সরকার বলেছেন: আমার মনে হয় সবাই একই কথা বলবেন।
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ।
জয়বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
ফাসি ফাসি ফাসি চাই......