![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন লেখক। আমার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা মোট ১০৮ টি। প্রচুর ছোটগল্প এবং কবিতাও লিখেছি আমি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়। আমার সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী উপন্যাস ‘মাইলাভ’ যা ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯৮৬ সালে এবং এটিই বাংলাদেশে সবচেয়ে বিক্রিত বই। এছাড়াও আমার স্বনামে প্রকাশিত আলোড়ন সৃষ্টিকারী বইগুলো হলো ‘ফেরারী সৌরভ’, ‘বিষন্ন সৌরভ’, ‘বসন্তমালতী’, ‘প্রিয়া কোথায়,’ ‘তোমার জন্য,’ ‘বিদায় মোনালিসা’, ‘ফেরারী অভি’, ‘শুধু আমারই’, ‘বিষাক্ত দাঁত’, ‘বুড়োর কফিন,’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ইংরেজী শেখার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘টিআরএস থিওরি অন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ’, ‘ক্রাশ ইয়োর আইইএলটিএস,’ ‘লার্ন ইংলিশ ইন থ্রি ডেজ,’ ‘টিআরস ইজি ইংলিশ ভোকাবুলারী,’ ‘টিআরস ইউ ক্যান স্পিক ইংলিশ,’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দেশে করোনা ভাইরাস ঢুকে গেছে। ঘরে খাবার দাবার ভরে রেখে মানুষজন দরজা বন্ধ করেছে। কোন কাজ নেই। জয় শুয়ে শুয়ে তুহিন রহমানের ‘নির্বাচিত কৌতুক’ নামের বইটা পড়ছিল। একটা কৌতুক পড়ে সে খুব হাসতে লাগলো। কৌতুকটা হলো এমনঃ এক বুড়ো লোকের ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তার জেল হয়ে গেছে। বুড়ো লোকটা খুব চিন্তায় আছে। তার ছেলে আয় করে তাকে খাওয়াতো। এখন কি হবে? সে জেলে থাকা ছেলেকে চিঠি লিখলোঃ বাবা, এখন কি হবে? এতো বড়ো আলুর ক্ষেত আমি কিভাবে চষবো?
ছেলে চিঠি পেয়ে পাল্টা জেল থেকে পুলিশের বাহক মারফত চিঠি লিখে পাঠালোঃ বাবা, খবরদার ও কাজটি করোনা। ক্ষেতের নিচে অস্ত্রের গুদাম আছে। কেউ টের পেয়ে গেলে শেষ।
পুলিশের বাহক গোপনে চিঠি খুলে তো অবাক। সে দৌড়ে গিয়ে পুলিশকে ব্যপারটা জানালো। পরদিন দলে দলে পুলিশ বাহিনি গিয়ে পুরো ক্ষেত চষে ফেললো। তারা গভীর গর্ত করে পুরো ক্ষেতটা তামা তামা করে ফেললো কিন্তু কোন অস্ত্রের দেখা পেলনা।
তারপর দিন ছেলে আবারও চিঠি লিখলো বাবাকেঃ বাবা, তোমার ছেলে এখন জেলের দারোগা। দেখ আমার বাহিনি পাঠিয়ে কেমন ক্ষেতটা চষে দিলাম। এখন শুধু আলুর বিজ ছড়িয়ে দাও।
এটা পড়ে জয়ের মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল ........
দেশে ঢুকে পড়েছে করোনা ভাইরাস। অলিতে গলিতে ভাইরাসের জীবানু গড়িয়ে গড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মানুষ মরছে শিয়াল কুকুরের মতো। জয় রিস্ক নিয়ে হাতে রঙ তুলি নিয়ে রাস্তায় নামলো। তারপর বাড়ির সামনের দোকানের সাইনবোর্ডে চায়নিজ ভাষায় দোকানের নাম লিখলো। কলেজে থাকতে চায়নিজ ভাষার ক্লাস করেছিল সে। সেই জ্ঞানের আলোয় সে গলির সব দোকানের নামগুলো পরিবর্তন করে দিল। কোন দোকানের নাম চু লিং চি, কোনটা পুন চি চি, কোনটা চ্যাং চু চু, আর গলির মাথায় দাঁড়িয়ে সে উচ্চস্বরে বাজাতে লাগলো চায়নিজ গান। একদিন পরেই তার এলাকা থেকে করোনা ভাইরাস নাই হয়ে গেল। এভাবে সে পুরো বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস তাড়িয়ে দিল। মানুষ জন অবাক হয়ে গেল তার বুদ্ধিতে। একি অসাধারন বুদ্ধি! কতো মেডিসিন, কতো হাসপাতাল, কতো বিজ্ঞানী যেখানে হেরে ভুত হয়ে যাচ্ছে সেখানে এই সাধারন বুদ্ধি করোনা ভাইরাসকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছে!
আসলে বিষয়টা ছিল এমন। ভাইরাসগুলো চারপাশে চায়নিজ নাম দেখে, চায়নিজ গান শুনে ভাবলো তারা বুঝি আবার চায়নাতে ফিরে গেছে। এই বিষয়টা তাদের মাথার মগজে তালগোল পাকিয়ে দিচ্ছিল। এতোদিন এতো কষ্ট করে এতো দুর জার্নি করে তারা বাংলাদেশে এসে পৌছেছিল, আর এখন দেখা গেল তারা আবার চিনে পৌছে গেছে। এটা কিভাবে হয়? এর কারন হতে পারে যে পৃথিবী গোলাকার। তারা আবার চিনে এসে পৌছেছে। তাহলে তো তাদের মিশন কমপ্লিট! এবার ঘুমানোর পালা। তাই সবগুলো ভাইরাস সেল্ফ ডেসট্রাকটর দিয়ে আত্মঘাতী হয়ে গেল।
(আর তুহিন রহমানের একটা কৌতুক পড়েই জয় পুরো বাঙালী জাতিকে ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিল।)....
১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
তুহিন রহমান বলেছেন: পুরোটা পড়েননি তাহলে!
২| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কমনীয় ভাবনা।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৭
তুহিন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: মজার কাহিনী।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৬
তুহিন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আলুর ক্ষেত চষার কৌতুক আগে শুনেছি
তবে করোনা বিদায় করারটা একন জানলাম।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০২
তুহিন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন:
৭| ১০ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কৌতুকটা জানা ছিল।
পরের অংশ ভাল লেগেছে।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩
তুহিন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৮| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহা...........
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫
তুহিন রহমান বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ
৯| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুহিন রহমান,
শেষের কৌতুকটা বেশ হয়েছে।
১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৬
তুহিন রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই কৌতুক আমি অনেক আগেই পড়েছি।