![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পুরাতন লেখা গুলো পড়লে বিষণ্ণ বোধ করি! দীর্ঘশ্বাস হয় গল্প গুলোর জন্য! এরকম কিছু গল্পের প্লট মাথায় আসে ঠিকই, কিন্তু লিখে ফেলার স্পৃহা হয় না কেন যেন! আমি হয়তো আর লিখতে পারিনা বা লিখতে চাইনা, যাই হোক, দু ক্ষেত্রেই ব্যর্থতা শুধু আমার!
আমার জন্ম হল। অন্য সব শিশুর মতই আমার জন্ম হল, সেই একি ভাবে একি শরীর একি হৃদপিণ্ড নিয়ে। অন্য সব শিশুর মতই ভ্রুনে আমার বেড়ে ওঠা, চিৎকার করে পৃথিবীকে জানিয়ে দেয়া ‘আমি এসেছি’ ...
কিন্তু তবু আমি অন্য সবার মত হলামনা, জন্ম হয়েই আমার সাথে লেগে গেল একটা ‘কালো’ ট্যাগ । আমার কথা যেই বলুক না কেন তাঁর কথাতেই একটা কিন্তু লেগে গেল। “কেমন হয়েছে মেয়েটা??” “এইতো, ভালই কিন্তু গায়ের রং টা কালো।” আমার ‘মায়াবি হাসি’, ‘বড় চোখ’, ‘উঁচু নাক’, ‘কালো চুল’ কোনকিছু দিয়েই কাউকে ভোলাতে পারলামনা। আমার জন্য সবার মনে একটা ‘ইশ’!!! “ইশ, যদি মেয়েটার গায়ের রং টা একটু উজ্জ্বল হত!!” আমি সবার জন্য অনেক আনন্দ নিয়ে আসলাম কিন্তু সাথে নিয়ে আসলাম একটা হতাশা যা এখন কেবল এক বিন্দু বৃষ্টি আমি জানি যা দিনে দিনে আমাকে বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে!
আমি এখন শিশু, তবু আমি বুঝি আদর ভালবাসা। আমি বুঝি সুন্দর কি (চারপাশ দেখে যা শিখেছি)। ঈদে সব বান্ধুবিদের সাথে যখন বাইরে যাই, অন্য দের মত কেউ আমার গাল টিপে বলেনা “কি ফুটফুটে মেয়ে”!! একি জামা দুজন পড়ি তবু কেউ আমাকে বলেনা “একদম পরীর মত লাগছে”!! পাঁচ জনের মধ্যে কোলে নিয়ে আদর করার মত আমি একজন হইনা!!! আমি বুঝতে শিখি আমি সাধারন, আমি সাধারন, অতি সাধারন!
আমি এখন কিশোরী।নিজেকে আমার রঙ্গিন প্রজাপতি মনেহয়।এখন চোখে অজস্র লাল নীল স্বপ্ন। অদ্ভুত ভাললাগা, মুচকি হাসি, আর
অনেক চাওয়া। আমার বান্ধুবিদের মত আমার জন্যেও এক রাশ গোলাপ নিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে স্কুলের গেটে! আমাকে এক পলক দেখার জন্য আমার জানালায় উকি দেবে, বিশাল প্রেমপত্র নিয়ে বোকার মত আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে!! আমি অপেক্ষায় থাকি, সময় চলে যায়... কেউ আসেনা তাঁর ভালবাসা নিয়ে, কেউ ডাকেনা আমায়!!! আমার রঙ্গিন স্বপ্ন গুলো আমার ‘কালো’ রঙে ঢেকে যায়, সাদা কালো হয়ে যায় সব!!! কেউ যেন তাঁর অদৃশ্য হাত দিয়ে আমার ডানা কেটে দেয়!!! আর আমি কুঁকড়ে পড়ে থাকি একা, নিজেকে আমার ডানা পড়ে যাওয়া অসহায় আঁচা মনেহয়!
আমি এখন তরুণী। জীবন নিয়ে হাপিয়ে ওঠা এক তরুণী । নিজেকে নিজের মাঝে লুকিয়ে রাখা একজন। আমি টিভি দেখিনা রং ফরসাকারি ক্রিম এর অ্যাড দেখবনা বলে, আমি বান্ধুবিদের সাথে বের হইনা রূপচর্চা বিষয়ক একশ কথ শুনবনা বলে। আমি আমার ঘরের জানালাটা নিয়ে থাকি, আকাশে কালো মেঘ হলে আমার ভাল লাগে, রাত যত গভীর হয় আমার তত বেশি ভাল লাগে! চাঁদ টাকে আমার অসহ্য লাগে আজকাল, চাঁদ কে নিয়ে আদিখ্যেতাও অসহ্য লাগে। যারা রাতের মহাত্ব বোঝেনা তাদের চাঁদকে নিয়ে এত আদিখ্যেতা কিসের শুনি!!! আমাকে নিয়ে আমার সময় ভালই কেটে যায়। শুধু মাঝে মাঝে পাত্র পক্ষের সামনে গিয়ে জড় পদার্থের মত বসেই থাকতে হয় প্রায় প্রায়।কিন্তু কিছুই হয়না, একজন আসে তো আর একজন যায়!! কেউ ভদ্রতা করে মুখ ফুটিয়ে কিছু বলেনা, কিন্তু আমি তো জানি কেন!! আজকাল বড্ড হাসি পায় আমার, এসব আর কিছু মনেহয়না। আমার মা খালারা যখন পাউডার মাখিয়ে আমাকে ফরসা করার ব্যর্থ চেষ্ঠা করে তখন আমার আরও বেশী হাসি পায়। আমি মনে মনে হাসি! আগে বলতাম, না করতাম, এখন আর কিছু বলিনা। শুধু দেখি, পাত্র পক্ষের চোখে আমার জন্য করা দ্বিধা টা দেখি। কি ভাবছেন??? আবার কুঁকড়ে যাচ্ছি??? হাহাহা, নাহ এখন আর কুঁকড়ে যাইনা। কেন শুনবেন????
কারন আমি সুকন্যা। কারও রাজকন্যা হতে পারিনি, কারও স্বপ্নকন্যাও হওয়া হয়নি আমার, কিন্তু আমি চিৎকার করে বলতে পারি আমি সুকন্যা। সব রাজকন্যা স্বপ্নকন্যাদের থেকে অনেক বেশি সুকন্যা। আর আমি জানি আমার মতই আমার জন্য একজন সুপাত্র আছে, আমি জানি সে আমাকে ভালবাসবে, আমার রং এর উরধে গিয়ে।না, আমার যোগ্যতায় আমার ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে না, শুধু আমার ভালবাসায়। আমি জানি সে আসবে। আমি জানি সে এসে আমাকে এই ‘কালো’ (যা শিখেছি) পৃথিবী থেকে দূরে নিয়ে যাবে। আমি জানি আমি আবার চাঁদ কে ভালবাসতে শিখব, আমি আবার প্রজাপতি হব, আমি জানি আমি পারব কারন আমি সুকন্যা তাই।
আমার লেখাটির অবতারনা আজকের একটি খবর দেখে। ‘কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরীর মাথায় মিস ইউনিভার্সের মুকুট’। আমার কেন যেন মনেহল কৃষ্ণাঙ্গ কথা টির সাথে সাথে অনেকেই লেখাটির পেছনে একটা ‘!’ চিহ্ন দিতে পারলে বেশি খুশি হতেন। সেই খুশিটা মাটি করে দিতে ইচ্ছা হল, আর FAIR ND LOVELY এর মুখে একটা ঠাস শব্দ করে চড় পড়লো দেখে খুব ভাল লাগছে।
আর সব সুকন্যা দের বলছি, হাজার জনের কাছে রাজকন্যা , স্বপ্নকন্যা হবার থেকে নিজের কাছে সুকন্যা হওয়া অনেক বেশি আনন্দের।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৬
টুকিঝা বলেছেন: আমার মনে হয় তাদের আরও উল্টাটা করা উচিৎ, কারন তারা তো সেসব কষ্টের ভেতর দিয়ে এসেছেন, at least তাদের তো সেটা বোঝা উচিৎ। তাঁরা নিজেরাই যদি নিজেকে নিয়ে complex এ ভুগেন তো অন্যরা তো এমন করবেই।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫
স্বপ্নওায়ালা বলেছেন: আপনার এই লেখা পরে মনটা খুব খারাপ হল...।সবাই বলে যে মানুষ এর ভেতরের সৌন্দর্য টাই নাকি আসল।কিন্তু আসলে ওইটা কথার কথা।সবাই আসলে উপরের সৌন্দর্য টাই পসন্দ করে।শুধু তাই , আজ কাল প্রকৃত ভালবাসারও কন দাম নেই।সবাই দেখে কার পরিবার কত বড়লোক।কয়টা বাড়ী,গাড়ি আসে।আপনি দুঃখ করবেন না।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০২
টুকিঝা বলেছেন: আমি দুঃখ করব কেন!!! আমার নিজের জন্য তো আমার কোন দুঃখ নেই, কারন কেউ আমাকে চাইলেও কালো বলতে পারবেনা, কারন আমি তা নই। আমার দুঃখটা শুধু তাদের জন্য যাদের এসবের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আমি জানি, হয়ত আমার পক্ষে তাদের কষ্ট টা বোঝা সম্ভব না, কিন্তু তবুও একটা ছোট্ট চেষ্ঠা করলাম মাত্র। এটা ছোট্ট প্রতীকী গল্প।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫
জনদরদী বলেছেন: আমার উপরের মন্তব্য কিন্তু শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৪
টুকিঝা বলেছেন: বুঝেছি । আপনাকে ধন্যবাদ ।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০২
ভবঘুের ইমন বলেছেন: আপনার কিসের এত দুঃখ?? নিজেকে নিয়ে গর্ব করুন, নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলুন।
আমার বান্ধবী ফারাহ হোসাইন একুশে টিভি এর রিপোর্টার ও তো দেখতে অনেক কালো ও আর আমি এক সাথে চারুকলায় পড়েছিলাম, ওকে তো কোনদিন মন খারাপ হতে দেখিনা!!!
যাই হোক বোন আমার মন খারাপ করার কিছুই নাই।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১০
টুকিঝা বলেছেন: ভাইয়া, এটা জাস্ট একটা গল্প, আর কিছু না। আমার ছবি দেখলে বুঝবেন আমার রং নিয়ে দুঃখ থাকার কারন নেই কোন। তারপরও আপনারা আমার কষ্টে (আমার গল্পেরই হোক নাহয়, সেতো আমারি নাকি?) সমবেদনা জানাচ্ছেন এতেই বুঝে গেলাম আমি একটু হলেও লিখতে পারি নাহলে আপনাদের এত ভালবাসা পেতাম না।
এখন বুঝেছেন??? তবুও ধন্যবাদ ভাইয়া।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২২
ওসিরিস টিমোন বলেছেন: ব্যাপার না, এইসব ট্যাগিং এর দিন শেষ হইয়া আসতাছে। চিয়ার আপ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪০
টুকিঝা বলেছেন: আচ্ছা আমি গল্প লিখলে কেউ বোঝেনা কেন??? নাকি আমি বোঝাতে পারিনা!! নাকি first person এ লিখলাম তাই??? anyways ,tagging দিন শেষ হওয়া মানে মানবতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২২
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: যারা মানুষকে এবং সুন্দর্যকে কালো বা সাদা দিয়ে বিবেচনা করে তারা মানুষিক বিকলাঙ্গ ।টুকুঝা আপনি হবেন শ্রেষ্ঠ আপনার যোগ্যতায় এগিয়ে যান বিকলাঙ্গরা কি বললো তাতে কি আসে যায়
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৩
টুকিঝা বলেছেন: হুম, অবশ্যই তাঁরা বিকলাঙ্গ, আর আমি খুশি যে এমন অনেকেই আছেন যারা বিকলাঙ্গ নন। ভাইয়া, দোয়া করবেন যাতে আমি আমার যোগ্যতায় বড় হতে পারি, আর বিকলাঙ্গরা আমাকে কিছু বলেনি, এটা গল্প মাত্র।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: oshadharon laglo apuni.. Sob khanei dekhano hoy je sundor mukh, kinba sada gayer rong di sob joy kore fela jay!!! Ai droroner hino prochar bondho kora dorkar..
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৩
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি। হুম, আমাদের তাই দেখান হয় আমরা যা দেখতে চাই আমাদের তাই দেখানো হয়।
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৪৩
ফারিয়া বলেছেন: মনুষের এই দিকটাই অবাক করা, সবাই বাহ্যিক সৌন্দর্য চায়।
অথচ আপনি যত গৌরবর্ণই হিন না কেনো, মনের কালো মুছা যায়না।
আর চরিত্রই একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৬
টুকিঝা বলেছেন: সবাইকে গুনের থেকে রুপ বেশি টানে বলে, রুপ দেখা যায়, গুন লুকিয়ে থাকে তাই।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৩৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: হুমম!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫২
টুকিঝা বলেছেন: শুধু হুম???? :/
১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৩
পারভেজ আলম বলেছেন: আমার লেখাটির অবতারনা আজকের একটি খবর দেখে। ‘কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরীর মাথায় মিস ইউনিভার্সের মুকুট’। আমার কেন যেন মনেহল কৃষ্ণাঙ্গ কথা টির সাথে সাথে অনেকেই লেখাটির পেছনে একটা ‘!’ চিহ্ন দিতে পারলে বেশি খুশি হতেন। সেই খুশিটা মাটি করে দিতে ইচ্ছা হল, আর FAIR ND LOVELY এর মুখে একটা ঠাস শব্দ করে চড় পড়লো দেখে খুব ভাল লাগছে। আর সব সুকন্যা দের বলছি, হাজার জনের কাছে রাজকন্যা , স্বপ্নকন্যা হবার থেকে নিজের কাছে সুকন্যা হওয়া অনেক বেশি আনন্দের।
শেষ প্যারার জন্যে বিশেষভাবে প্লাস।
বাংলাদেশে গাত্রবর্ণ বিষয়ক রেসিজম বহাল তবিয়তে এই আধুনিক যুগে টিকা থাকাটাও এককালে বড় অবাক লাগতো। পরে অবশ্য বুঝছি যে জিনিসটা আধুনিক যুগেই সৃষ্টি, আর এই কারনেই বাংলাদেশের আধুনিক কালের বুদ্ধিজীবীদের এর বিরুদ্ধে তেমন কিছু কইতে দেখা যায়না। গাত্রবর্ণের সাথে সৌন্দর্যের সম্পর্ক স্টাবলিশ করায় তাদের বিশেষ হাত আছে। ইভটিজিং বিষয়ক আমার ৪ পর্বের লেখাটায় এই বিষয়ে সামান্য আলোচনা করছিলাম। মানুষের সৌন্দর্য সম্পর্কে সবধরণের ধারণা মায়ের পেট থেইকা তৈরি হয়না, গাত্রবর্ণের সাথে সৌন্দর্যের ধারণা তেমন একটা জিনিস। পুরা বিষয়টাই হয় কগনেটিভ লার্নিংএর প্রসেসে, শুইনা, পইড়া অথবা দেইখা শেখা, সেইসাথে আধিপত্ত্ববাদী গোষ্ঠি এবং মিডিয়া প্রতিনিধিত্ত্বের গাত্রবর্ণ এইক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ধরেন যে আইন কইরা যদি বাংলাদেশে গাত্রবর্ণ সম্পর্কৃত রেসিজম প্রমোট করে অথবা সাদা=সুন্দর আর কালা=অসুন্দর এমন অর্থ প্রকাশ পায় এমন যেকোন কিছুকেই নিষিদ্ধ করা হয় তাইলে দেখবেন যে বাংলাদেশে এই আইনের পরবর্তি সময়ে জন্ম নেয়া প্রজন্মের মাঝে সৌন্দর্যের সাথে রিলেটেড কোন বিশেষ ধোরণের কালার কনসেপ্ট নাই। দুনিয়ার অনেক জাতিতেই সৌন্দর্যের সাথে কালার কনসেপ্ট গইড়া উঠে নাই। আর বাংলাদেশে তো ব্রিটিশ আমলের আগের বাংলা সাহিত্যে সৌন্দর্য আর গাত্রবর্ণের সম্পর্ক খুইজা পাওয়া দুস্কর। ইউনিলিভার এবং এই জাতীয় অন্যান্য রেসিস্ট কোম্পানিসমূহ এবং তাদের বিজ্ঞাপনগুলারে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিৎ। সৌন্দর্য সম্পর্কে গাত্রবর্ণের ডিসকোর্সগুলা টিকায়া রাখতে পারলেই এদের ব্যাবসা হয়, আর তাই তারা নির্লজ্জ্বভাবে তার প্রমোটও করে। দুঃখজনক বিষয় হইলযে ইউরোপিয়গোরে নিজেদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা বাঙালির জ্ঞানিগুনি সন্তানেরাও এর বিরুদ্ধে প্রবোল কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৯
টুকিঝা বলেছেন: দারুন বলেছেন। আমি একমত আপনার সাথে। ব্যাপারটা অনেকটা মানুষের মগজ ধোলাই এর মত। আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যে সাদাই সবকিছু!!! আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না, কিন্তু আমি নিজেও ধোলাই এর শিকার। আমি অন্য কাউকে ছোট করিনি কখনও কিন্তু কিছু ব্যাপার ছিল আমার মাঝে , যেমন রোদে বের হলে রং টা নষ্ট হয়ে গেল কিনা, ফরসা ভাব টা রোদে পুড়ে একটু ডার্ক হয়ে গেলেই খারাপ লাগা শুরু হয়ে যেত, মনের ভেতর কেমন ফিলিংস, মনে হত জামা গুলো পড়ে বোধহয় আগের মত লাগছেনা দেখতে, হয়ত মানাচ্ছেনা আগের মত। আর শুধু চিন্তায় থাকতাম কিভাবে আবার আগের রং ফিরে আনব!!!
হাস্যকর!! এখন আর ওসবের বালাই নেই, এখন শুধু রোদ টা avoid করি গরম, তাপ, আর ব্রণের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য। রং টং ধুলোয় যাক।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০
টুকিঝা বলেছেন: মগজ ধোলাই টা কেমনে হয় বলি আগে। ছুটিতে যখন বাসায় যাই, রোদে ঘুরে চেহারায় যদি শেড পড়ে অল্প, বাসায় যাওয়া মাত্র শুরু হবে কচকচানি ( মহা বিরক্ত ইমো ) - "ইশ!!! মেয়েটার রোদে ঘোরাঘুরি বেড়ে গেছে, মেয়েটা নিজের যত্ন করেনা, ইশ, মুখ টা পুরায় ফেলছে, ইশ ইশ ইশ ( মহা অসহ্য ইমো) " এগুলো শুনে কার মাথা ঠিক থাকে বলেন??? তখন বারবার গিয়ে আয়না দেখি আর বলি - " আরে হ্যাঁ তো, আরে আমি তো আর ফরসা নাই, আরে তাইত, এখন? এখন??? (মহা চিন্তিত ইমো)" আর যেবার শেড পড়েনা - "বাহ, মিতিন তো এবার একদম ফরসা হয়েই আসছে, রংটা আরও উজ্জ্বল হইছে, সুন্দর লাগতেছে, আরও কত কি!!!!"
কার মাথা ঠিক থাকবে বলেন??? নারী জাতি উঠে পড়ে রং এর পিছে লাগছে, এমনকি আমার বাড়ির মেয়েটা পর্যন্ত দিন রাত পাউডার মেখে ভূত হয়ে বসে থাকে। !!! আমি বড়ই বিরক্ত।
১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০৬
পারভেজ আলম বলেছেন: ফারিয়া@ আপনের মন্তব্যটা কিন্তু গাত্রবর্ণ সম্পর্কৃত সৌন্দর্যের আধিপত্ত্ববাদী ডিসকোর্সের একেবারে সঠিক উদাহরণ।
অথচ আপনি যত গৌরবর্ণই হিন না কেনো, মনের কালো মুছা যায়না।
এইখানে গৌর=ভালো এবং কালো=খারাপ এমন উঠে এসেছে। এইটা থেকে বেরুতে হবে। আমার গাত্রবর্ণ কালো বলে আমার মন সাদা হতে হবে কেন? অথবা কারো চরীত্র খারাপ মানে তার মন কালো এমন কেনো হবে? সাদা অথবা কালা শব্দ দুইটা ভালো এবং খারাপের প্রতিনিধিত্ত্ব কেনো করবে? এই থেইকা না বাইর হইতে পারলে বাঙালি নারী এবং বাঙালির মুক্তি নাই।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৩
টুকিঝা বলেছেন: আপনার কি মনে হয় মুক্তি আদৌ সম্ভব??? তাঁর আগে FAIR ND LOVELY, গারনিয়ার , পণ্ডস ব্লা ব্লা ব্লা দের ঝেটীয়ে বিদায় করতে হবে।
১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪০
পাগলমন২০১১ বলেছেন: আমার উনি কিন্তু কালো
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৩
টুকিঝা বলেছেন: সেসব ব্যাপার না কারন আমি জানি উনি সুকন্যা, নাহলে তো আপনি ভালবাসতেন না তাইনা??? আপনারা সুখি হন।
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৪
পারভেজ আলম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কি মনে হয় মুক্তি আদৌ সম্ভব??? তাঁর আগে FAIR ND LOVELY, গারনিয়ার , পণ্ডস ব্লা ব্লা ব্লা দের ঝেটীয়ে বিদায় করতে হবে।
মুক্তি অবশ্যই সম্ভব। ডিসকোর্সের বিপরীতে ডিসকোর্স তৈরি করতে হবে। গাত্রবর্ণ সম্পর্কৃত ডিসকোর্স একদিনে তৈরি হয়না, তৈরি হইতে সময় লাগছে, ভাংতেও একটু সময় লাগবে। এইটা একটা কন্টিনুয়াস ডি কনস্ট্রাকট্রিভ প্রসেসের মধ্যে দিয়া যাওয়ার মতো বিষয়, যেইটা মূলত কালচারাল এবং দিনশেষে অবশ্যই একটা পলিটিকাল মুভমেন্ট। গাত্রবর্ণ সম্পর্কৃত সৌন্দর্যের ধারণা কলোনাইজেশন থেইকা সৃষ্ট, এর ধ্বংস করতে হবে আমাদের মনজগত এবং রাজনৈতিক জগতে ডি কলোনাইজেশনের মাধ্যমে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৫
টুকিঝা বলেছেন: কিন্তু সেসব করবে টা কে??????
১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: ডি কলোনাইজেশনের প্রসেস যখন কালচারাল মুভমেন্টের গন্ডি পার হইয়া পলিটিকাল মুভমেন্টের গন্ডিতে প্রবেশ করবে তখনই ফেয়ার এন্ড লাভলি, গার্নিয়ার এইসবরে ঝাটায়া বিদায় করা সম্ভব হবে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৮
টুকিঝা বলেছেন: সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: খুব ভাল লাগলো
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩০
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০২
অক্টোপাস পল বলেছেন: ভার্সিটিতে ক্লাস শেষে মুখ ধুচ্ছিলাম, ফ্যাকাসে চামড়ার এক বন্ধু বলে উঠলো 'যতোই ধোস না কেন লাভ নাই, কাউলা কাউলাই থাইকা যাবি'
আমি বুঝি এটা হয়তো ফান ছিলো। হয়তো ছিলো সূক্ষ্ণ অপমান। কিন্তু , চামড়ার রঙ নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই। বর্ণবাদ ছেলেদের ও প্রভাবিত করে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৩
টুকিঝা বলেছেন: আপনার বন্ধুকে বলতেন - "ক্যান? তিনটা requirement (TALL, DARK,HANDSOME) এর একটা পুরন হয়নাই তোর, পুরন না হইয়া ফ্যাকাসে হইয়া গেছস তাই আমারে হিংসা লাগে????"
সুন্দর হল না রিপ্লাই টা???
চামড়ার রঙ নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই
আক্ষেপ থাকার কোন কারনও নাই, একটা কথা মনে রাখবেন, যারা আপনার রং দেখে ভালবাসতে আসবে তাঁরা কখনই আসলে আপনাকে ভালবাসবে না।
১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: তোর ভ্যাদা নাক, কালো রং সব্বাই বলে সং!
নচিকাতার এই গানটা যতবার শুনতাম ততবারই মন খারাপ হতো! তোমার পোস্ট পড়েও মন খারাপ হইছে!
কর্পোরেট কালচার যে হারে সুন্দরী মেয়েদের স্পন্সর করতেছে তাতে করে কালো মেয়েদের সুকন্যা হয়েছি এই ভাবনায় থেকে মানষিক তৃপ্তি পাওয়া ছাড়া কোন ঊপায় নাই বলেই মনে হয়!
তারপরও আশায় থাকি!
একদিন ঝড় থেমে যাবে,
পৃথিবী আবার সুন্দর হবে !!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৮
টুকিঝা বলেছেন: আমারও মন খারাপ হয়, এই ব্যাপার গুলো আমার মাথায় কিভাবে এসেছে জানেন??? আমার দুই কাজিন, একজন শ্যামলা কিন্তু অসম্ভব মিষ্টি দেখতে, আর একজন ফর্সা। দুজনি পিচ্চি, কিন্তু সবার আদিখ্যেতা ফর্সা জন কে নিয়ে। কিন্তু আমি দুজন কেই সমান ভালবাসি, দুজনি আমার খুব আপন, তাদের রং নিয়ে মাথা ব্যাথা হয়না আমার। কিন্তু খুব খুব খারাপ লাগে যখন অমু আমাকে কষ্ট নিয়ে চিঠি লিখে - "দিদি, তুমি ফর্সা, প্রাচী ফর্সা, শুধু আমিই কালো কেন???" এর উত্তরে আমি কি লিখব আমি জানিনা। আমার ভিতর টা দুমরে মুছরে যায়। আমি শুধু বুঝাই ওকে যে এসব ব্যাপার না, কিন্তু কিচ্ছু বুঝেনা ওর!!! মেয়েটা নিজের মধ্যে থাকে, নিজেকে নিয়ে, আগের মত হাশেনা, খেলতে যায়না, কারও সাথে মিশতে চায়না। জড়তা এক ধরনের!! আমি জানিনা ও এসবের ভেতর থেকে কবে বের হয়ে আসতে পারবে, বা আদৌ পারবে কিনা!!!!
আমি তো কাউকে মানসিক তৃপ্তি বা সান্তনা দেবার জন্য কিছু বলিনি, আমি সত্য টা বলেছি, সুকন্যা রা সত্যিই সুকন্যা হয়।
তারপরও আশায় থাকি!
একদিন ঝড় থেমে যাবে,
পৃথিবী আবার সুন্দর হবে !!
আমিও।
১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সৌন্দর্য্য আসল কথা না, আসল কথা হইলো আকর্ষন!
মানুষের আকর্ষনে আকর্ষিত হবে এখন সেটা সৌন্দর্য্যে হোক অথবা ফিগারে, এটা টোটালি জেনেটিক্যাল আর মেন্টাল ব্যাপার!
ধরা যাক একজন ডিস্কোতে গেলো। ঘুরতে ঘুরতে সে একজন ইন্ডিয়ানও পেতে পারে যার গায়ের রং কালো হলেও গেট আপ বা ফিজিক্যাল আকর্ষনে সে আজকের রাত কাটাবে অথবা সে একটা ককেশীয় পিক করলো!
দেখা যায় মাঝে মাঝে এমনও যে অনেক সুন্দর মেয়ে কিন্তু শরীরে সাইজ এতি বেঠপ যে তার গায়ে ঘেষতে চায় না, তখন সেটাও একটা ব্যাপার হয়ে দাড়ায়!
আমাদের দেশে বিয়ে এখনও একটা ক্যারিয়ার অথবা অবলম্বন হিসেবে ধরা হয়। আমার কাছে এটা ভালো লাগে না!একটা মেয়ে করতে পারলে তার আর খাওয়া দাওয়া নিয়া চিন্তা নাই এটা ভাবাটাও যেমন অন্যায় তেমনি অন্যায় বিয়া করা বৌ বাইরে যাবে কেন?
তবে চেন্জ্ঞ হচ্ছে, অনেক ভালো মন্দের সাথে এটাও চেন্জ্ঞ হচ্ছে!
কিন্তু আমার মনে হয় যে যদি কোনো ছেলে একজন মেয়ে বাহ্যিক চেহারা বা ফিজিক্যাল এপিয়ারেন্সে আকর্ষিত হয়ে তার কাছে ছুটে যায় তাহলে তার দোষের কিছু নাই, কারন পুরো ব্যাপারটাই জেনেটিক্যাল অথবা মেন্টাল! সেক্ষেত্রে তাকে দোষ দেয়াটা ইলজিক্যাল মনে হয়!
যাই হোক এটা আমার ব্যাক্তিগত অভিমত!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০১
টুকিঝা বলেছেন:
কিন্তু আমার মনে হয় যে যদি কোনো ছেলে একজন মেয়ে বাহ্যিক চেহারা বা ফিজিক্যাল এপিয়ারেন্সে আকর্ষিত হয়ে তার কাছে ছুটে যায় তাহলে তার দোষের কিছু নাই, কারন পুরো ব্যাপারটাই জেনেটিক্যাল অথবা মেন্টাল! সেক্ষেত্রে তাকে দোষ দেয়াটা ইলজিক্যাল মনে হয়!
সেটাতো দোষের কিছুনা। কিন্তু যারা শুধু গায়ের রং কালো বলে মানুষকে তুচ্ছ করে তাঁরা তো দোষ করে তাইনা ভাইয়া???
এই লেখায় আমি শুধু একজন নারী যার রং ফর্সা নয় সেজন্য তাঁকে যে কষ্ট গুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হয় তাই সামনে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। এজন্য কোন কোন দিকে তাঁকে কি কি সহ্য করতে হয় সেটাই তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই লেখায় আমি শুধু একজন নারী যার রং ফর্সা নয় সেজন্য তাঁকে যে কষ্ট গুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হয় তাই সামনে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। এজন্য কোন কোন দিকে তাঁকে কি কি সহ্য করতে হয় সেটাই তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি।
আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের দেশে একটা সাইকোলজিকাল সিম্পটম! একটা মানুষ কালো বলে তাকে সবার কথা শুনে মন খারাপ করতে হবে এমন কোনো কথা নাই। সমাজটা অসুস্হ এটা ঠিক, কিন্তু বোধ বুদ্ধি হবার পর নিজের মধ্যে একটা স্ট্রাগলিং এটিচুড না থাকা একটা ভয়ংকর সীমবদ্ধতা। নিজে নিজে এগুলো থেকে বের হয়ে না আসলে খুবই সমসয়া হয় ভবিষ্যতে। একজন মেয়ে কালো হলে তার কি কি সমস্যা হবে সেটা আগে ভাবা উচিত! আমার মনে হয় মাথা কাজে লাগালে তার একমাত্র বিয়ে শাদী ছাড়া আর কোনো সমস্যা হবার কথা না!
আর আমার মনে হয় না কালো মেয়ে হলেই সমস্যা! কারন আমি অনেক দেখেছি আমার অনেক সুদর্শন বন্ধু প্রেম করে একটু ডার্ক শ্যামলা মেয়ে বিয়ে করেছে। দেখা গেলো হয় সে তার কলিগ অথবা দেখা গেলো ছোটবেলা থেকেই জানা শোনা!
এটা কত সাল, আসলে আমার ঠিক আজকের তারিখটাও মনে নাই! হবে হয়তো ২০১২ বা ১৩, সেটা কথা না, কথা হলো সময় অনেকখানি এগিয়ে গেছে কিন্তু আমরা আমাদের কিছু সমস্যা নিয়ে এখনো পড়ে আছি। দেশ পড়ে আছে তার জনসংখ্যার চাপ আর দুর্নীতি নিয়ে, নারীরা পড়ে আছে ফেয়ার এন্ড লাভলী আর একটা ভালো বিয়ে নিয়ে আর ছেলেরা পড়ে আছে তার বৌ চাকরী করবে নাকি বাসায় চাকরানী খাটবে এসব চিন্তায়!
আমার মনে হয় এসব পোস্ট না লিখে লেখা উচিত ছিলো কিভাবে একজন মানুষ নিজেকে মানুষ হিসেবে তৈরী করবে, কিভাবে সে সমাজে ন্যুনতম অবদান রাখবে!
বিয়ে শাদী বাচ্চা কাচ্চা সুন্দর সংসারের মতো ফালতু বিষয় অথবা গায়ের রং কি বা কেন লিখে দেখা যায় যে সমাজের একটা কালো দিককে আরও বেশী করে আলোকপাত!
সমাজে কিছু মানুষ থাকবেই যারা অন্ধকারে বসবাস করবে। তাদেরকে সেখানে থাকতে দিলে একটা সময় যখন তারা এক ঘরে হয়ে যাবে তখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে, জোর করে বলে কেউ কোনোদিন আলোতে আনতে পারবে না, বাংলাদেশে তো নয়ই! যদি তা হতো তাহলে স্বাধীনতার ৪০ , ৪৫ বছর পরও এই জনসংখ্যা আর দুর্নীতি ব্যাপারটা পাল্টে অন্য কিছু হয়তো টপ চার্টে আসতো!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০১
টুকিঝা বলেছেন: আমার যদি কিছু লিখতে ইচ্ছে করে আর আমি যদি তা লিখেই ফেলি তাহলে কি খুব সমস্যা!!
অনেকেই হয়ত এর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, কিন্তু আমি জানি এখনও অনেকেই পারেননি! সারাক্ষন মনকষ্টে ভুগে যখন নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হয় তখন অন্যকিছু নিয়ে চিন্তা করা কষ্টের হয়। যাইহোক, কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬
স্বপ্নচারী সুমন বলেছেন: শেষ কথাটা অনেক ভাল লাগল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫২
ইমরান হক সজীব বলেছেন: দুঃখ করেন না আপু , এখন আর গায়ের রং সাদা-কাল এগুলো কেও ধর্তব্যর মধ্যে নেই না। আপনি আপনার যোগ্যতা বলে প্রতিষ্ঠিত হবেন এই কামনা করি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩১
টুকিঝা বলেছেন: দুঃখ করিনাই, কারন আমার দুঃখ নাই। হাহাহা, থ্যাংকস তবুও!
২২| ০৯ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০
প্রদীপ কুমার চক্রবত্তী বলেছেন:
পড়ে ভালো লাগলো...... আপোনার লেখার হাত ভাল।
৩১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২১
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৪২
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: যতজনকেই বলতে গেসি বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে মনের সৌন্দর্যটাই আসল তাদের অলমোস্ট সবার কথার সারমর্ম হল "আগে দর্শণধারী,পরে গুণবিচারী"...যারা এরকম বিশ্বাসে বিশ্বাসী তাদের আসলে কিছু বুঝাতে যেয়ে লাভ হয়না তেমন,তাই এখন আর বুঝাতে যাইনা কারণ বিশ্বাস বদলে দেয়াটা অনেক কঠিন...
৩১ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২২
টুকিঝা বলেছেন: কাউকে বোঝার আগে জানার আগে হয়তো দেখাই হয় এজন্য এরকম! আসলেই তাঁদের কিছু বুঝিয়ে লাভ নেই! আর এজন্যই আজীবন 'কালো' মেয়েদের কষ্ট থেকে যাবে হয়তো!
২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
সকাল রয় বলেছেন:
সাদা-কালোর ঝড় কোন কালেই থামবে না। যারা মুখে বড় বড় বুলি আওরায় -গায়ের রংটা কিছু না মনটাই বড় তারা নিজেরা শুধু মুখেই বলে আদতে সেটা বলবার ভাষা; করে দেখাবার নয়!
যারা বলি কালোই ভালো সেটা কিন্তু মনের কথা নয় আসলে আমরা কিছু না পারলেও স্বান্তনা আর জ্ঞান বেশ দিতে পারি।
=============================
লেখা সুন্দর
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫৭
টুকিঝা বলেছেন:
ধন্যবাদ, অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪২
জনদরদী বলেছেন: অবাক লাগে যেই সব মেয়ে কাল হয় তাদের (৮০%) পত্র বুধু কিন্তু কাল চায় না । আমার বান্ধবী, বাড়ি আশে পাশের লোকজন, আত্নীয় স্বজনদেরকে এরকম দেখেছি । আগ্রহের কারনে আমি এ নিয়ে কিছু মেয়ের আলাপ করেছি । আসলে বেশীর ভাগ মানুষ(বিশেষ করে মেয়ে মানুষ) তার যা শখ তা তার ছেলে-মেয়ে বা পুত্রবুধুদের-জামাইদের দিয়ে মেটাতে চাই ।