![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাবের (রাঃ ) বলেন, রাসুলে পাক (সাঃ ) সুদ গ্রহীতা, সুদদাতা, ইহার লিখক এবং সাক্ষীদ্বয় প্রত্যেকের উপর অভিসম্পাত করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ইহারা সকলেই সমান। হাদীসটি মুহাম্মদ ইবনে ছাব্বাহ, যুহাইর ইবনে হরব এবং ওছমান ইবনে আবী শায়রাহ (রহ: ) বর্ণিত। [মুসলিম শরীফ, সুদ অনুচ্ছেদ, ১৫৬৩ নং]
এই হাদীসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে শুধু সুদ গ্রহনই হারাম না বরং তার দাতার, সুদের লিখক এবং সাক্ষীদের উপর আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের অভিসম্পাত রয়েছে এবং বলা হয়েছে তারা সকলেই সমান। তাই আলেমদের মতে সুদী ব্যাংকে কাজ করা পর্যন্ত হারাম। আল্লাহ পবিত্র কুরানে সুরা বাকারার ২৭৬-২৭৮ আয়াতে বলেন,
আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।............... হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। অতঃপর যদি তোমরা পরিত্যাগ না কর, তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমরা নিজের মূলধন পেয়ে যাবে। তোমরা কারও প্রতি অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না।
আল্লাহ দুই ধরনের লোকের বিপরীতে যুদ্ধ করবেন বলে বলেছেন এবং সুদের কারবারী হলো তাদের মধ্য অন্যতম।
সুদের কারবারকারীর পরিণতিঃ
পোস্টে কিছু পরিণতির কথা বলা হয়েছে যেমনঃ ঐ চার প্রকারের লোকের উপর আল্লাহ এবং রাসুলে অভিসম্পাত করেছে এবং আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। অন্য দিকে ঘুষ খাওয়া যেহেতু হারাম তাই তার ইবাদাতও কবুল হবে না কারন ইবাদাত কবুল হওয়ার অন্যতম পূর্ব শর্ত হচ্ছে হালাল উপার্জন। এবং এই সকল লোকের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। কুরানে আছেঃ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। এবং তোমরা সে আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। (সুরা আল ইমরানঃ ১৩০-১৩১)
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সুরা বাকারাঃ ২৭৫)
উতসঃ https://www.facebook.com/1history
সহায়ক লিঙ্কঃ http://www.islamhelpline.net/node/6211
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
সেনপাই বলেছেন: শেয়ার কেনার মাধ্যমে একজন লোক ব্যাংকে মূলধন দিচ্হে যা ব্যাংক তার আমানতের সাথে মিশিয়ে লোন গ্রাহকদের নিকট লোন হিসাবে দেয়। তার মানে শেয়ার ক্রেতাও কিন্তু ব্যাংককে লোন দিতে এবং সুদ গ্রহনে সহায়তা করছে। আর শেয়ার ক্রেতা যে লভ্যাংশ পায় তাও কিন্তু সুদ থেকে আসে (প্রায় ৯০%)। তাই সেটাও হারাম।
উত্তরটি কিয়াসের (নিজের বিচার বুদ্ধি) ভিত্তিতে দেয়া। আরও ভালো ভাবে জানার জন্য দয়া করে আপনি ভালো কোন আলেমের সাথে কথা বলুন।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০০
মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমারও আপনার মতই বিশ্বাস। তবে বর্তমান অর্থনীতি ব্যবস্থা পুরোটাই সুদ ভিত্তিক বলে মানুষজনের পক্ষে সুদ থেকে বেচে থাকা প্রায় অসম্ভব। সে হিসেবে শেয়ার ব্যবসাকে কম মন্দ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কারো প্রয়োজন না থাকলে শুধু সম্পদ বাড়ানোর উদ্দেশ্য শেয়ার ব্যবসা না করাই ভাল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
সোজা সাপটা বলেছেন: যারা সুদি ব্যাংকের শেয়ার কেনা বেচা করে তাদের কি হবে?