![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ বনী ইসরাইলকে জানিয়ে দিলেন যে তিনি তাদের কাছে এক নবী পাঠাবেন যিনি হবেন আল-মাসিহ, যিনি দাউদ আঃ এর সিংহাসন থেকে পৃথিবী শাসন করবেন। ইসরাইল তথা জেরুজালেম হল দাউদ আঃ এর সেই সিংহাসন। ঈসা আঃ এর আগমনের পর বনী ইসরাইল তাঁর উপর ঈমান তো আনলো না ই বরং তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে তাঁকে শেষ পর্যন্ত হত্যা করতে উদ্যত হল। তখন আল্লাহ এমন এক সত্ত্বাকে সৃষ্টি করলেন যার কাজ হবে ঈসা আঃ এর নকল করা। এই সত্ত্বার নাম হল দাজ্জাল, যার অর্থ মিথ্যাবাদী বা প্রতারক। ঈসা আঃ এর কাজ যেমন জেরুজালেম থেকে সারা পৃথিবী শাসন করা, তেমনি দাজ্জালের কাজ হল জেরুজালেম থেকে সারা পৃথিবী শাসন করার ভান করা। ইহুদিরা সত্য মাসিহ ঈসা আঃ কে প্রত্যাখ্যান করে যেই মাসিহের আশায় দিন গুনছে সে আর কেউ নয়, ভণ্ড মাসিহ দাজ্জাল। ইহুদিদের বিশ্বাস তাদের প্রতিশ্রুত মাসিহ ফিরে আসলে ইহুদিদের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে ও ইহুদিরা সারা পৃথিবীর উপর কর্তৃত্ব করবে।
.
দাজ্জাল যদি নিজেকে ঈসা আঃ হিসেবে প্রমাণ করতে চায় তবে তাকে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করতে হবেঃ
১। জেরুজালেম জয় করা ও অইহুদি শাসন থেকে মুক্ত করা।
২। সারা পৃথিবীর ইহুদিদেরকে পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরিয়ে আনা।
৩। ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করা ও ইহুদিদেরকে বোঝান এটাই সেই দাউদ আঃ এর পবিত্র ইসরাইল।
৪। ইসরাইলকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রক রাষ্ট্র বা Ruling State of the World এ পরিণত করা।
.
উপরে বর্ণিত ৪টি ধাপের মধ্যে ৩টিই সে অর্জন করে ফেলেছে। জেরুজালেম ছিল ইসলামী খিলাফত শাসনের অধীনে। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ আর্মি অটোম্যানদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের কাছ থেকে ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। ১৯২৪ সালে ইসলামী খিলাফতকে উচ্ছেদ করে নির্মূল করা হয়। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ও ১৯৬৭ সালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জেরুজালেম দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী থেকে ইহুদিরা পবিত্র ভূমি ইসরাইলে ফিরে আসতে শুরু করে এই বিশ্বাস নিয়ে যে এটাই সেই দাউদ আঃ এর পবিত্র ইসরাইল। দাজ্জালের পরবর্তী কাজ হল আমেরিকান ডলারের পতন ঘটানো ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত করা। যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর Ruling State আমেরিকার পতন হবে ও ইসরাইল হবে The Ruling State of the World. তখন দাজ্জাল একজন মানুষ রুপে আবির্ভূত হবে ও দাবি করবে “আমিই হলাম সেই প্রতিশ্রুত মাসিহ।” কেউ তাকে মেনে না নিলে সে তখন তার দাবির স্বপক্ষে সব ধরনের প্রমাণই পেশ করতে সক্ষম হবে। তার ধোঁকা মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “তার দু’চোখের মাঝখানে, কপালে লেখা থাকবে ‘কাফের’ (অবিশ্বাসী)। প্রত্যেক মুমিন এই ‘কাফের’ শব্দ পড়তে পারবে; এই মুমিন শিক্ষিত হোক বা অশিক্ষিত হোক”। - সহিহ মুসলিম।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১৩
প্রামানিক বলেছেন: যেহেতু ৪নং ধাপটি এখনও শুরু হয় নাই সেহেতু বুঝলাম দজ্জাল এখনও আসে নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কুরআন এবং হাদিসের আলোকে দজ্জালের বিস্তারিত বিবরণ সুন্দরভাবে উপস্থান করলে বিষয়টি আরো সুন্দর হতো।