![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারাক্ষন শুধু বিদেশের ট্যাংক, প্লেনের উপর চোখ থাকে । তাই ভাবলাম এইবার আমাদের দেশের দিকে নজর দেই । নজর দেওয়ার পর দেখলাম বাংলাদেশ কোন অংশেই কম না । প্রতি বছর বিশাল বাজেট থাকে এই কেনাকাটার পেছনে । প্রতিরক্ষা নীতিকে সামনে রেখে মূলত কেনাকাটা করে থাকে । এখানে শুধু ২০১৪ সাল ও ২০১৩ সালের শেষের দিকের নতুন সংযোজন গুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার চেস্টা করেছি ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী :
১. Nora B-52 K2 :
১৫২ এমএম কামান বিশিষ্ট এই সেলফ প্রপেল্ড আর্টিলারিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী আর্টিলারি । সেকেন্ডারি ওয়েপন হিসেবে রয়েছে ৭.৬২ এমএম মেশিনগান । ২৫ টনের এই মাল রাস্তায় ৯০ কিঃমিঃ/ঘন্টা বেগে চলতে পারে । আর হ্যাঁ, ৬৪ কিঃমিঃ সারফেস রেঞ্জের মধ্যে যে কোন কিছুকে গুড়া গুড়া কইরা দিতে পারে এই মালখানা
২. BOV M11:
এই মালটা ২ ভাবে কাজ করতে পারে Reconnaissance ভেহিকল অথবা Reconnaissance-Command ভেহিকল । ৩ জন ক্রু সহ এখানে সবমিলিয়ে ৭ জনের বসার ব্যবস্থা আছে । এটায় আছে ১২.৭ এমএম রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান । তবে আমাগোর আর্মির যদি মন চায় তাহলে এইটার লগে ৭.৬২ এমএম মেশিনগান আর ৩০ এমএম গ্রেনেড লাঞ্চার বসাইতে পারে । রাতের বেলা সুবিধার জন্য গাড়ির সামনের দিকে রয়েছে থার্মাল ক্যামেরা ।
৩. Landing craft Utility (LCU):
১৬ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই Landing craft Utility (LCU) টি তৈরি হয়েছে আমাদেরই খুলনা শিপ ইয়ার্ডে । এটি ট্যাংক,এপিসি,হেলিকপ্টার,সৈন্য সবই বহন করে প্রতি ঘন্টায় ১২-২০ নটিক্যাল মেইল বেগে ছুটতে পারে।
৪. 9K115-2 Metis-M (anti-tank guided missile systems):
রাশিয়ান অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল সিস্টেম যেটার মধ্যে রয়েছে হিট টেনডেম ওয়ারহেড, অ্যান্টি ম্যাটেরিয়াল ওয়ারহেড ইত্যাদি । এটায় রয়েছে সেমি-অটোমেটিক গাইডেন্স সিস্টেম যেটার মাধ্যমে মিসাইল সর্বোচ্চ ২ কিঃমিঃ পর্যন্ত যেতে পারে ।
৫. PF-98 (anti-tank rocket system):
PF-98 হল চাইনিজ ১২০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট সিস্টেম । ১০ কেজি ওজনের এই মালটায় রয়েছে অপটিক্যাল সাইট উইথ নাইট ভিশন চ্যানেল, লেজার রেঞ্জ ফাইন্ডার ও এলইডি ডিসপ্লে । মিসাইল নিক্ষেপের ২৫ মিঃ এর মধ্যে কোন ট্যাংক থাকলে ট্যাংকের ভেতরের ক্রুকেও মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই চাইনিজ মালটা
বাংলাদেশ নৌবাহিনী:
১. বিএনএস আলী হায়দার ও আবু বকর:
চীন থেকে কেনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আলী হায়দার’ ও ‘আবু বকর’। একই নামের যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনী থেকে সংগৃহীত দুটি জাহাজ ‘আলী হায়দার’ ও ‘আবু বকর’ ২২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-কমিশনিং করা হয়। সদ্য আগত জাহাজ দুটি পূর্বের বানৌজা ‘আলী হায়দার’ ও ‘আবু বকর’ নামে প্রতিস্থাপন করা হয়। ‘জিয়াংহু-৩’ ক্লাসের মিসাইল ফ্রিগেট দুটি দৈর্ঘ্যে ১০৩ দশমিক ২২ মিটার এবং প্রস্থে ১০ দশমিক ৮৩ মিটার। জাহাজ দুটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। আধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ দুটিতে ৪ টি বিমান বিধ্বংসী মিসাইল, ৮ টি জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল, ২টা ১০০ এমএম গান, ৪ টা ৩৭ এমএম গান এবং সমুদ্র তলদেশে সাবমেরিনের অবস্থান শনাক্তকরণসহ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে (টার্গেট) আঘাত হানতে সক্ষম ।
২. Padma-class: Offshore Patrol Vessel:
এই প্রথম বাংলাদেশের খুলনা শিপ-ইয়ার্ডে তৈরি হল ৫ টি পদ্মা ক্লাস ওপিভি । জাহাজ গুলোর নাম হচ্ছে- বিএনএস পদ্দা,বিএনএস সুরমা,বিএনএস অপারেজেয়, বিএনএস অদম্য ও বিএনএস অত্রন্দ্র । ২ টা ৩৭ এমএম এর কামান ও ৪ টা ২০ এমএম গান নিয়ে ৩৫০ টনের এই জাহাজ গুলো সর্বোচ্চ ২৩ নট স্পিডে চলতে পারে ।
৩. BNS Durjoy ও BNS Nirmul:
বিএনএস দুর্জয় ও বিএনএস নির্মূল এই দুইটাই বাংলাদেশ নেভির সেমি স্টিলথ করভেট । চীনের তৈরি এই করভেট দুটিতে রয়েছে ৪ টা C-704 অ্যান্টি শিপ মিসাইল, ১ টা ৭৬ এমএম মেইন গান, ২ টা ৬ ব্যারলের ৩০ এমএম গান, ১২ টা সুপার ব্যারিকেড শাফ লাঞ্চার রয়েছে । আর শুধু বিএনএস দুর্জয়ে অতিরিক্ত হিসেবে আছে টর্পেডো লাঞ্চার । ৬৫০ টনের এই করভেট গুলো সর্বচ্চো ২৮ নট গতিবেগে ছুটতে পারে ।
৪. BNS Khan Jahan Ali :
আনন্দ শিপইয়ার্ড কর্তৃক নির্মিত বাংলাদেশ নেভির নতুন অয়েল ট্যাংকার । এটি একসাথে ২ টা যুদ্ধ জাহাজকে রি-ফুয়েলিং করতে পারে । সেফটির জন্য এটাতে ২০ এমএম গানও রয়েছে ।
ইসস্পেশাল পুস্টঃ
বাংলাদেশ মেড অ্যাসল্ট রাইফেল বিডি-০৮ :
* Eotech Red Dot Sight ,
* Forward Handgrip ,
* Weapon Mounted Flashlight &
* Rail interface system .
আসেন, এই বার কিছু অন্য ছবি দেখি
আমাগোর বিজিবি চাচার শইল্লে জোর দেখছেন ? এই বয়েসে আইসাও ইউএস মেরিন কমান্ডোরে ক্যামনে কাইত কইরা দিছে ?
এইটা হইলো আর্মির স্পেশাল স্নাইপার । ভাবই আলাদা । পুরাই ব্যাটেলফিল্ড গেমসের পোস্টার এর মত লাগে ।
আর এরা হইলো আরেক বস । নেভি সোয়াড । ডাইরেক্ট আমেরিকান সীল আর কোরিয়ান সীল দ্বারা প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা পেয়ে থাকে । দেশের সকল বাহিনী থেকে বাছাই করা সর্বোচ্চ কঠিন মাত্রার প্রশিক্ষণ (ড্রপ রেট ৯৫%) পেয়ে এই এলিট টিমের সদস্য হতে পারে। আর অস্ত্র গুলাও ইউজ করে পুরাই মাক্ষি একদম লেটেস্ট মাল ।
তথ্যসূত্র –
http://www.bdmilitary.com
উইকিপিডিয়া ও গুগল মামা
মিলিটারি ভেহিকেল সম্পর্কে আমার আর কিছু পোস্ট :
বাংলাদেশ সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীর সর্ব শেষ সংযোজন
বিশ্বের সেরা ১০ টি ব্যাটল ট্যাংক :পর্ব ১
বিশ্বের সেরা ১০ টি ব্যাটল ট্যাংক :পর্ব ২
বিশ্বের সেরা ১০ টি ফাইটার প্লেন : পর্ব ১
বিশ্বের সেরা ১০ টি ফাইটার প্লেন : পর্ব ২
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১১
তুষার মানব বলেছেন: যুদ্ধু জাহাজ জীবনে ইউজ হবে কিনা সন্দেহ---- কি কোন এগুলা ? জাহাজ কোনটাই বসায়া রাখার জন্য না । সব গুলাই কোন না কোন কাজে বিজি থাকে ।
আর আমার জানামতে সরকারের বাজেটে সামরিক খাতের চেয়ে শিক্ষা খাতেই টাকা বেশি থাকে ।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: কলাবাগান, একটা ছোট যুদ্ধ জাহাজের দাম ১২০০ কোটি টাকা থেকে ২০০০ কোটি টাকা যেটা সারা জীবন বসে বসেই কাটায় তবু ওটাই কিনবে আর ঐ টাকায় একটা বিশ্ববিদ্যালয় মিনিমাম ১২০ বছর গবেষনা কাজ করতে পারত! সেজন্যই জিপিএ গোল্ডেন ৫ পা্ওয়া একটা ছেলে ৫ লাইন বাংলা থেকে ইংরেজী অনুবাদ করতে পারেনা!
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১
তুষার মানব বলেছেন: পুরাই সহমত
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কলাবাগান ও ঢাকাবাসী সঠিক বলেছেন। তার পরেও তো ভাই এগুলোর দরকার আছে, তাই নয় কী?
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৫
তুষার মানব বলেছেন: ঠিক বলছেন
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই ভাল লেখা কিন্তু সমস্যা একটাই... সামরিক খাতে যতই বরাদ্দ থাকুক না কেন... এখন পর্যন্ত আমরা সেরকম কোন কিছুই তৈরি করতে পারি নাই... তাই বাইরের বিশ্বের সামরিক বাহিনীর দিকে নজর রাখতেই হবে... যেহেতু বাজেটের বিশাল অংশ সামরিক অস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ থাকে তাই নজর না থাকলে কোনটা কেনা লাগবে তা বোঝা বেসম্ভব ব্যাপার...
আর উপরে যারা কমেন্ট করেছেন তাদের বলছি... সাধারন নাগরিক হিসেবে আমাদের যেমন মৌলিক অধিকার রয়েছে শিক্ষার... তেমনি যে কোন দেশের মৌলিক অধিকার রয়েছে তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার...
আর শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সম্ভাবত সব থেকে বেশি থাকে... অথবা স্বাস্থ্য খাতের পরেই... দূর্নীতি যদি নিজেরা ভবিষ্যতে না করেন... তাহলে আপনাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক কিছু করার সুযোগ পাবে...
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
তুষার মানব বলেছেন: আমরা উন্নত বিশ্বের হয়ত এখন ট্যাংক, প্লেন বা সাবমেরিন বানাতে পারছি না কারণ অই লেভেলের সামর্থ আমাদের এখনো হয় নি । কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম হলেও আমরা অনেক কিছুই নিজেরা বানাতে শুরু করেছি--এটাতেই আমাদের অনেক খুশি হওয়ার কথা । আর কেনাকাটার ধরন দেখলে আমার মনে হয় বাংলাদেশ ডিফেনসিভ মোডেই কেনাকাটা করে থাকে ।
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছ।
পোস্টে ++++++্
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪০
তুষার মানব বলেছেন: থ্যাংকু থ্যাংকু
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১২
এহসান সাবির বলেছেন: আর্মির স্পেশাল স্নাইপার । ভাবই আলাদা ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৯
তুষার মানব বলেছেন: ঠিকই কইছেন
৭| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ২:৩৮
পংবাড়ী বলেছেন: যেদেশে গার্মেন্টস এর মেয়েরা সারা জীবন কাজ করে 'একটা ১ রুমের এপার্টমেন্ট' কেনার মত আয় করতে পারে না, সেই দেশে অকারনে এসব অস্ত্র কেনা ক্রাইম: অনেককে জেলে যেতে হবে একদিন।
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
তুষার মানব বলেছেন: যা কইবেন ক্লিয়ার কইরা বলেন ।
৮| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: আরিবাহ! ভালো পোস্ট, জব্বর কিছু সংযোজন ....
নিঃসন্দেহে ভালো ....
প্রিয়তে গেল ....
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
তুষার মানব বলেছেন: থাঙ্কু থাঙ্কু
৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৬
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
সাধুবাদ জানবেন।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
তুষার মানব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৪২
কলাবাগান১ বলেছেন: একটা যুদ্ধু জাহাজ জীবনে ইউজ হবে কিনা সন্দেহ... কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মৌলিক গবেষনার জন্য একটা জাহাজের দামের ১০০ ভাগের ১ ভাগ ও দেওয়া হয় না.... তাইতো শিক্ষকরা লাল/নীল/সাদা/গোলাপী দল নিয়েই ব্যস্ত যেখানে অন্যদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্যস্ত রিসার্চ পেপার পাবলিশ করতে...........।