নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয় আজও নিশ্চুপ সময়ের কাছে,

anisa

এবার যদি আমি ফিরে আসি তবে আমি নীল রঙ হয়ে ফিরে আসব।বৃষ্টিশেষে মেঘের ফাঁক দিয়ে বাংলার আকাশে যে নীল রঙটুকু দেখা যায়আমি তারই মতো হাল্কা কিছু বলার চেষ্টা করব–যে-কথায় কোনও জড়তা নেই–যাকে না বুঝলেকারো ভাতকাপড়ে টান পড়বে না–কেউ বলতে পারবে নাতোমাকে বুঝলুম না হে, তোমাকে একেবারেই বোঝা গেল না।তখন তুমিও সাদা রঙ হয়ে ফিরে এসো।হাতে-বোনা খদ্দরের হিংসাহীনতা হয়ে তুমি যেন আমাদেরসবার চৈতন্যে ছড়িয়ে পড়তে থাকো–যে সাদা রঙ দাবি করে‘আমাকে বুলেটবিদ্ধ করো, আমাকে রক্তছাপে ভরিয়ে তোলো,আমাকে স্বাধীনতা দাও।’[email protected]

anisa › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার জীবন আমি ছড়াতে ছড়াতে এসেছি এখানে, কুড়াইনি তার একটিও ছেঁড়া পাতা, হাওয়ায় হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল তুলোর মতো!!

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

আমার জীবন ছড়াতে ছড়াতে

এসেছি এখানে,

আমি কিছুই রাখিনি

কুড়াইনি তার একটিও ছেঁড়া পাতা

হাওয়ায় হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল তুলোর মতো,

সব সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা,

আমি এই হারানো জীবন আর খুঁজিনি

সেই ফেলে আসা পথে;





সেদিন বিকেলে একাকী বারান্দায় চা এর কাপ এ চুমুক দিচ্ছিল মিলি। আনমনে ভাবছে চলমান জীবনের কথা। একটা কাক লাইটপোস্টের উপর বসে এদিক ওদিক দেখছে, কিসের আশায় কে জানে! দূরে দুষ্ট ছেলের দল ক্রিকেট খেলায় ব্যাস্ত। বিকেলের ম্লান রোদ সাঁঝের আগমনীবার্তা নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে। পশ্চিম দিগন্ত লাল হয়ে আছে তার রঙের ছটায় গোধূলি মায়াময় হয়ে উঠেছে। রাস্তায় অফিস ফেরত মানুষের ঢল।



এমনি সময় ঘরের ভেতর টেলিফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দে সম্বিত ফেরে মিলির। ছুটে এসে তুলে নেয় রিসিভার। ওধার থেকে পুরুষালি কণ্ঠের হ্যালো শুনে কেঁপে ওঠে মিলি।



- কাকে চান ?

- তোমাকে।

- মানে কি? আপনি কে?

- হা হা আমি ভাস্কর বলছি এবার চিনেছ?

- হ্যাঁ কিন্তু আপনিতো বিদেশে?

- এসেছি এইতো সেদিন, কেমন আছ মিলি?

- ভালো।

- শুধু ভালো আর কিছু নয়? পাঁচ বছর অনেক লম্বা সময় তাইনা মিলি?

- হ্যাঁ। আপনি কেমন আছেন?

- আবার আপনি? এই মিলি তুমি সত্যি চিনতে পারছনা?

- পেরেছি। কিন্তু আপনি তুমি’র বেড়াজালে কি সম্পর্ক আটকে থাকে?



এ ভাস্কর যাকে খুব ভালোবাসে মিলি। মনে পরে সেদিনের কথা, যেদিন জানাতে গিয়েছিল বাবা বিয়ে ঠিক করেছে, মিলি কি করবে? ভাস্করের নির্লিপ্ততা তাকে আহত করেছিল। ভাস্কর জার্মানি যাবে তারই তোড়জোর চলছিল তার বাড়িতে। সেদিন সে-ই ওকে বলেছিল, ‘মিলি বিয়ে করে ফেল আমার জন্য বসে থাকিসনা।’ এর পর আর কিছুই বলার থাকেনা। এত দিনের ভালবাসা একটা কথায় শেষ! যেনো পৃথিবীটা দুলছিল তার; নিজেকে কোন রকমে ওর সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছিল। খুব মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল সেদিন। নিজের ঘরে এসে খুব কেঁদেছিল। বাবা-মা ভেবেছেন বিয়ের কথায় মেয়ের মন খারাপ। মিলির বিয়ে হয়েছিল কিন্তু টিকলোনা। বছর না ঘুরতেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল। ছেলের নাকি এই বিয়েতে মত ছিলোনা। নিজের মনেই ভাবে তবে বিয়ে করা কেন? তারপর থেকে একাকী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মিলি। হঠাৎ ভাবনার ছেদ!



- মিলি আছ কি?

- আছি।

- বলো তোমার কথা বলো। তোমার হাসবেন্ড, তোমার সন্তান এদের কথা বলো।

- কিছু নেই।

- হাসবেন্ড কি করেন?

- নেই তো?

- মানে কি? হেঁয়ালি রাখো মিলি।

- সে অনেক বড় গল্প, আজ থাক। বাড়িতে আমি আছি। আছে আমার ওই বিছানাটা যা খুব প্রিয়। আছে দখিনের জানালা, দিগন্ত বিস্তৃত নীল আকাশ। ক্যালেন্ডারের নিচে লুকিয়ে থাকা টিকটিকিটা। খাঁচায় লাভবার্ড আর মুনিয়া। আর খুব সুন্দর একটা বেড়াল; এই তো বেশ! মানুষের সঙ্গ আমার ভাল লাগেনা। এরা সব আমার সঙ্গী। আপনি কেমন আছেন? ভাবিকে নিয়ে আসেন একদিন মায়ের ওখানে।

- হা হা মিলি আমি একা। তোমার ভাবি সেই এক্সিডেন্ট এর পর ছেড়ে চলে গেছে।

- এক্সিডেন্ট? সে কি? কিসের এক্সিডেন্ট!

- এখন ভালো আছি। একটা পা বাদ দিতে হয়েছে। একটা কৃত্রিম পা লাগানো হয়েছে। অনেক কথা, থাক মিলি। আমি সেই আগের আমি নেই। সময়ের নিষ্ঠুর থাবায় আমি ক্ষত-বিক্ষত মিলি। এলাম মা’কে দেখতে। ১৫ দিন পর ফিরে যাব। কাল পুরনো ডায়রি উল্টাতেই কিছু শুকনো গোলাপ পাপড়ি ঝরে পড়ায় খুলে দেখি তোমার চিঠি, সেখানেই তোমার নাম্বার পেলাম। তোমার যাপিত জীবনের কিছু কথা বলো মিলি।

- হা হা যাপিত জীবন! ভালই বলেছেন। ভালো আছি। হাওয়ার সাথে লুকোচুরি খেলি। মেঘের সাথে মিতালী আমার। ওই দূরে পাখিদের কাছে শুনি অনেক অনেক দূর দেশের গল্প, বলুন আর কিছু চাই কি? আর শ্রাবণ ধারায় হই সিক্ত, চাঁদনি রাতে একাকী গান শুনি। শুনি টিকটিকির টিকটিক, যেন প্রহরে প্রহরে জানান দিচ্ছে আমি আছি! আমি আছি!

- এখনো দেখি আগের মতন আছ একটু পাগলাটে সরল।

- ভাগ্যিস! বাচাল বলেননি। ভাস্কর, যে স্মৃতি দিয়েছি ভাসিয়ে ইছামতির জলে আজ কেন ডাকা তাদের বলেন? এইতো বেশ আছি খাচ্ছি-দাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, অফিস করছি। আর হচ্ছে নিজের আত্মার সাথে কথোপকথন,

"মনে রেখো মনে রেখো সখা যেনো কেউ আর মনে রাখিবে না। আজ সব দৃশ্য মুছে গেছে সম্মুখ থেকে।" এইতো বেশ তাই না?

- বাহ বেশ গুছিয়ে কথা বলো তো?

- সময় শিখিয়েছে যেমন আপনি শিখিয়েছিলেন। মনে পড়ে সেই জিয়া উদ্যানে বট গাছটার নিচে দু’জন বসে গোধূলির আলোয় বাদাম খাচ্ছিলাম আর কথার ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন। সেদিন আপনাকে খুব আপন লাগছিল!! ভাস্কর আমি সব ভুলে গেছি, কিন্তু এই কথাগুলো ঠিক মনে আছে। আমাদের সেই কথোপকথন, সেই বাক্যালাপগুলি টেপ করে রাখলে পৃথিবীর যেকোন গীতিকবিতার শ্রেষ্ঠ সঙ্কলন হতে পারতো; হয়তো আজ তার কিছুই মনে নেই। আমার মনে সেই বাক্যালাপগুলি নিরন্তর শিশির হয়ে ঝরে পড়ে, মৌমাছি হয়ে গুনগুন করে স্বর্ণচাঁপা আর গোলাপ হয়ে ঝরতে থাকে। ভাস্কর, আমি ঠিক তেমন আছি। বিশ্বাস করুন এখন আর ভালো লাগেনা প্রেম ভালবাসার কথা শুনতে। আজ কেমন অচেনা লাগে সব। আমিতো ছিলেম বেশ। কেন আপনি সব তছনছ করে দিলেন বলবেন কি? আমিতো সেদিন আমার সবটুকু নিয়েই দাঁড়িয়েছিলাম আপনার সামনে। কেন পারেননি নিতে আপন করে জীবনের সাথে বলেন তো ভাস্কর? না না আর কোনো দিন আমি যাবনা আপনার সামনে।

- না না মিলি থাক পুরনো কথা। মিলি বিশ্বাস করো, তুমি কেমন আছ জানতে চেয়েছিলাম আর কিছু নয় তবু একটি বার আসবে কি? সেই সেদিনের মতন আকাশনীল বুটিদার শাড়িটি পরে এলোচুলে কপালে কালো টিপ। আসবে মিলি? শুধু একটিবার দেখব তোমায়। মিলি কথা বলছ না কেন? কেঁদোনা মিলি, প্লিজ কেঁদোনা। বুকের ভেতর জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করেছে এক্ষুণি লাফিয়ে পড়বে ঝরনা হয়ে। সবই আমাদের নিয়তি মিলি!

- ভাস্কর, আমি সত্যি অপরাগ। ক্ষমা করবেন। আমায় যেতে হলে সত্যভঙ্গ হবে। নিজের সাথে প্রতারণা করা হবে। প্লিজ কিছু মনে করবেননা আমি রাখছি।



সেদিন মিলি আর কিছু বলতে পারেনি। শুধু কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে পড়তে বলেছিল, ‘ভাস্কর, আমি খুব ভালোবাসি আজও তোমায়।’



তারপর কয়েকটা দিন ঘোরের মধ্যে পার করলো মিলি। সেই মায়াময় গোধূলি, সেই মাধবী বিকেল, ছোট্ট পাখির কিচির মিচির আর সেই স্বর্ণচাঁপা তল! কোথায় গেল সব!? আজ চোখের কোল বেয়ে জল পড়ে। মিলি একমনে ভাবে, কি হতো? ওই পঙ্গু মানুষটা একবার দেখতে চেয়েছিল, কেন গেল না সে!! সত্যি কি চলে গেছেন তিনি! কিছুই জানেনা সে।



আজ দু’দিন লাভবার্ড দু’টো কেবল ডানা ঝাপটাচ্ছে, এদিক ওদিক করছে, খাঁচার মুখ খুললেই ছুটে পালাবে এমন। মিলি চেয়ে দেখে ওই লাভবার্ড জোড়া এক সাথে গা ঘেঁষে বসে আছে। একটু পর পর দানা খুঁটে মুখে দিচ্ছে। ইচ্ছে হচ্ছে উঠে পাখি দু’টোকেই ছেড়ে দেয়। খাঁচার মুখ খুলে দেয় মিলি। কি অবাক কাণ্ড! ওরা যায়না, খাঁচা থেকে বের হয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে ঘরের, খাঁচায় বন্দী পাখি কি উড়তে ভুলে গেছে? সেও যেমন ভুলে গেছে ভালবাসতে! খুলে রাখে ডালা, পাখি দু’টো ঘরময় ঘুরে বেড়ায়। হেলান চেয়ারে বসে মিলি দেখে পাখিদের, আর নীল আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলা। জানালার ফাঁক গলে আসা এক চিলতে রোদ পড়ে ঘরে। আঁকিবুঁকি করে মেঝেতে কি অপূর্ব আলপনা গাছের পাতার! ঠিক তখনি আবার বেজে উঠলো ফোন। ধরতেই ভাস্কর,



- মিলি আমি চলে যাচ্ছি। একটিবার এসো প্লিজ এয়ারপোর্টে, দূর থেকে দেখব তোমায়। মিলি, যে ভুল করেছিলাম তার শাস্তিতো পাচ্ছি, আর কেন? বাকিটা জীবন একটু শান্তি চাই মিলি আসবে তো?

- আসবো, খুব আস্তে বলে মিলি।

- এত আস্তে বলছ মিলি! এসো কেমন? আমি কিন্তু সত্যি অপেক্ষা করব তোমার জন্য।



তিনটে বাজতে দেরী নেই। কেন যে এখনো ক্যাব নিয়ে আসছেনা গার্ড! ছটফট করছে মিলি। সেজেছে সে নীল শাড়িতে। ক্যাব আসতেই আর একবার টিপ ঠিক করে নিয়ে রওনা দিল।



রাস্তার জ্যাম পেরিয়ে অবশেষে এলো এয়ারপোর্টে। তখন ঘোষণা দিচ্ছে ভাস্কর এর ফ্লাইটের; ইস্ আরেকটু দেরী হলেই আর দেখা হতো না! এদিক ওদিক তাকাচ্ছে মিলি, ভাস্কর কই? চিনবে কি তাকে? হার্টবিট দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে। ঠিক এমন সময় একটা উষ্ণ হাত মিলির কাঁধ ছুঁলো। চমকে দেখে, ভাস্কর! হাতে টিকিট আর বোর্ডিং পাস, হাসছে ও! মিলি কেঁপে উঠলো। চোখ ছলছল। এ কোন ভাস্কর? কাকে দেখছে সে? অনেক বয়স হয়ে গেছে, মনে হয় অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আসা একটা মানুষ। খুব পরিচিত খুব আপন তার।



- এই মিলি কি হলো?



নিজেকে পারল না ধরে রাখতে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল মিলি। ভাস্কর ওকে জড়িয়ে ধরে আছে। ফুলে ফুলে উঠছে মিলি কি এক অজানা অভিমানে সে নিজেই জানে না। ভাস্করের দু’বাহুর বন্ধনে নিজেকে ছেড়ে দেয় মিলি। বহু দিন এমন নিশ্চিন্তের আশ্রয় সন্ধানে, ক্লান্ত সে।



কি রে মিলি অমন নিচু হয়ে কি দেখছিস? মায়ের ডাকে ফিরে তাকায় সে ভাবছিল ওই বুঝি ভাস্কর এলো!!

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

আহমেদ আরিফ বলেছেন: জিয়া উদ্যানের বর্তমান নাম মনে হয় চন্দ্রিমা উদ্যান :) :) :)

গল্পে সিনেমাটিক ভাব আনতে গিয়ে গল্পের মজা নষ্ট হয়ে গেছে ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

anisa বলেছেন:
তাই নাকি ? সিনেমাটিক ভাব তো আনিনি আনতে চাইনি.জীবনটাই মস্ত বড় সিনেমা

ধন্যবাদ ।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০৭

আহমেদ আরিফ বলেছেন: আমিতো তাই জানি।জানাই ভুলও হতে পারে।আওয়ামী আমলে জিয়া উদ্যান বলে কিছু থাকেনা :) :) :)

সিনেমা জীবন থেকে নেওয়া ক্ষুদ্র একটি অংশের কাল্পনিক রুপায়ন ছাড়া আর কিছুইনা্

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১২

anisa বলেছেন: কোনো আমলের কথাই বলা হয়নি আপনি অনেক জানেন । আমি শিক্ষানবিশ আমার ভুল থাকবে এটাই স্বাভাবিক ।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১৬

শাফি উদ্দীন বলেছেন: বিশাল ও অনন্য। ষফলতার জন্য প্রচেষ্টাই মূল । অনেক ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

anisa বলেছেন: শুভদুপুর,
আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো ।
আমি বিশেষ করে নিজেকে, আনাড়ি শিক্ষানবিশ মনে করি ।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শেখার উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।
আমি সকলের থেকে কিছু না কিছু শিখতে চাই ।
ভালো লাগলো ।
ভালো থাকবেন ।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১৮

আহমেদ আরিফ বলেছেন: ভাই মনে হয় ক্ষেইপ্যা গেছেন :) :) :)
ওকে বাই B-)

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

anisa বলেছেন: আপনি যদি আমাকে খেপাবার উদ্দেশ্য নিয়ে এসে থাকেন । তো বলবো ভুল করছেন ।
ভালো লাগলে বলবেন ভালো । খারাপ হলে খারাপ ।
অনুরোধ উল্টো পাল্টা বক্তব্য লিখবেন না ।
ভালো থাকুন .।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২১

মুখ ও মুখোশ বলেছেন:

অপুর্ব! খুবই ভাল লাগল

চমৎকার বর্ননায় আবিষ্ট ছিলাম.................

বিরহেই ভালবাসার স্বার্থকতা, বিরহ আছে বলেই ভালবাসা এত প্রখর হয়ে ধরা দেয়, তা নয় কি?



ভাল থাকবেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

anisa বলেছেন: শুভদুপুর,
ভালো লাগলো খুব
রইলো শুভেচ্ছা ।
ভালো থাকবেন ।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

সায়েম মুন বলেছেন: গল্পটা বেশ ভাল লাগলো। কখনো কখনো জীবনটা সিনেমাটিক উপাদানের চেয়ে ভরাট হয়ে যায়।
আরো আসুক গল্প।
--------------------------------

আমার জীবন ছড়াতে ছড়াতে
এসেছি এখানে ,
-আমি কিছুই রাখিনি
কুড়াইনি তার একটিও ছেঁড়া পাতা
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল তুলোর মতো,
সব সুখ দুঃখ ,আনন্দ -বেদনা ,
আমি এই হারানো জীবন আর খুজি নাই
সেই ফেলে আসা পথে ;

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:১৭

anisa বলেছেন: শুভসন্ধ্যা
জীবনটাই তো সিনেমার উপাদানে ভরা তুমি ঠিক বলেছ
আসলে কি জানো আমরা সবাই কেমন খেপাটে হয়ে গেছি
অস্থিরতা বাড়ছে আমাদের মধ্যে কিন্তু কেন একটু স্থির হই একটু শান্ত
সবাই তো কিছু কিছু করছে করবে সব ফুল কি পূর্ণতা পায় ?
এখানে যা লিখি তা নিজের মনের গভীর থেকে উঠে আশা কোনো অনুভুতি
অমন ভালো লিখতে পারলে আমি কি এখানে লিখতাম ?
হাসি পায় দুঃখ ও হয় .
এই কবিতাটা খুব সুন্দর জীবনের পথে আমরা এমন ভাবেই চলছি
রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

সুন্দর কিন্তু সহজ।

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২০

anisa বলেছেন:
শুভসন্ধ্যা,

হেলাল ভালো লাগলো খুব ।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো ।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ভাস্কর আর মিলির গল্পটা ভালোই লাগলো :)
++

৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৩

anisa বলেছেন: শুভসন্ধ্যা
জেশান কেমন আছে সব ।

ভালো আছ তো ?


রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদের অক্ষমতা বলেছেন: আমার জীবন ছড়াতে ছড়াতে
এসেছি এখানে ,
-আমি কিছুই রাখিনি
কুড়াইনি তার একটিও ছেঁড়া পাতা
হাওয়ায় হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছি শিমুল তুলোর মতো,
সব সুখ দুঃখ ,আনন্দ -বেদনা ,







শুধু এই কথামালার জন্যই আপনার পোস্ট প্রিয় তে নিলাম ।
গল্পের শুরুটা ভাল লাগছে কিন্তু এন্ডিং টা.....................:(:(:(:(:(:(:(:(:(:(:(

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২৭

anisa বলেছেন: সুপ্রভাত

ভালো লাগলো খুব।

ধন্যবাদ, প্রিয়তে নেয়ার জন্য।

অনেক শুভেচ্ছা।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: মিলির জন্য কষ্ট হচ্ছে :(( :(( :((

দিদিভাই, শেষে মিল দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। অনিশ্চয়তার মাঝে শেষ করে দিলা :(

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৩

anisa বলেছেন: সুপ্রভাত
ডেমন!!
তোর খবর আছে হুউ !! X( X(

মিল ? আবার পর বার বার বার পর বুঝবি

আর রেল লাইন বহে সমান্তরাল
একেই ছাদের নীচে দুজনের জীবন নদী পাশা পাশি বয়ে চলে

অনেক শুভেচ্ছা

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সূর্য বলেছেন: শুরুর কবিতাংশটুকু যদি আপনার নিজের লেখা হয় তাহলে বলবো, শুধু কবিতাই লিখুন। ভালো লেগেছে কবিতা।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৯

anisa বলেছেন: সুপ্রভাত

কবিতা আমার লেখা নয়,

আপনার উপদেশ মাথায় রাখলাম।

কিছু লাইন এখানে আমার নিজের।

শুভেচ্ছা অনেক অনেক.।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০০

ফাইরুজ বলেছেন: আনিসাপু আপনার যত গুলো পোস্ট আছে তার মধ্যে এই গল্পটা পড়ে খুব আরাম পেলাম। খুবি ভাল লাগল।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪১

anisa বলেছেন: সুহাশিনি ফাইরুজ,

শুভোসকাল।

ভালো লাগলো তাই খুব খুশি হলাম।

শুভেচ্ছা।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:২৩

আহমেদ আরিফ বলেছেন: নারে ভাই আপনার সাথে কি আমার শত্রুতা আছে নাকি যে আপনাকে ক্ষেপাতে আসব!! এর আগে আপনার কোন পোষ্টে কমেন্ট করছি বলেও তো মনে পড়ছে না। :-* :-* :-* :-* :-*

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪৯

anisa বলেছেন: সুপ্রভাত
নাহ তো কিসের শত্রুতা?

আমরা সবাই বন্ধু তো কিন্তূ কেউ কিছু লিখলে লিখাটা হয় দলবল নির্বিশেষে সব কিছুর উর্ধে।

আর কিছু জিনিস এমনি চলে আসে, হয়ত এই ঘটনা সেই সময়ের তাই চলে এসেছে।

আপনি সিনেমাটিক আরো অনেক কিছু বলেছেন আপনি নিশ্চয় আমার ভালো চান তাই বলেছেন।

খুশি হলাম তবে সব কিছুতেই একটু সামলে মন্তব্য করা ভাল। আপনি আগেও করেছেন মন্তব্য আমার অন্য পোস্টে। সে যাই হোক ভুলে যান সব।

ভালো থাকবেন।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৪

স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: গল্পটা ভালোলাগলো। :)

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫২

anisa বলেছেন:
সুপ্রভাত

তোমার ভালো লাগলো বলে খুশি হলাম । স্মৃতির নদী বয়ে চলো

নিরবধি।

শুভেচ্ছা নিও

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩৯

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: দেখো দেখি কান্ড! আমি কবিতা ভেবে পড়তে শুরু করে দেখি গল্প! :D

৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৫

anisa বলেছেন:
সুপ্রভাত,

স্নেহের মাহী আপু,

কবিতা না পেয়ে হতাশ !
হা হা একটু না হয় পড়েই গেলে।

ভালো থেক,
শুভেচ্ছা অনেক অনেক।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০৩

আহমেদ আরিফ বলেছেন: আপনি শুধু শুধু অভিযোগ করলেন ভাই।আমি আপনার লেখায় কোন দলের প্রতি ইঙ্গিত করি নাই।আমি জানি জিয়া উদ্যান এখন চন্দ্রিমা উদ্যান।আমি ১০০ভাগ শিওর হই নাই এই জন্য মনে হয় শব্দ দুটো ব্যবহার করেছি ।

ভাই আমি এমনি মন্তব্য করি ।এর চাইতে সামলে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না।সামলে মন্তব্য করা মানে আমার যেটা বিশ্বাস কিংবা ভাবনা সেটা লুকিয়ে রেখে মিথ্যা বলে কাউকে খুশি করা।দুঃখিত আমাকে দিয়ে তা হয়না।আমার কাছে যা মনে হয়েছে আমি তাই বলেছি তাই সিনেমাটিক শব্দটা ব্যবহার করেছি।যাই হউক আপনার কোন পোষ্টে আমি আর মন্তব্য করছিনা।অকারণ অপবাদ ভাল লাগেনা।

ভাল থাকুন।

৩১ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:০০

anisa বলেছেন: শুভদুপুর

শুনে খুশি হলাম ।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৪৫

নীরব 009 বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। বিশেষ করে একাকিত্বের বর্ণনাগুলো। চমৎকার। লাভ বার্ড, মুনিয়া পাখি, শূণ্য ঘর। সব সুন্দর তবে বিষন্নতা সুন্দর না। :(


অনেকগুলো প্লাস রইল আপনার জন্য। শুভ রাত্রি। :)

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:২৪

anisa বলেছেন:
শুভসকাল

ভালো লাগলো

এসব আমাদের একাকিত্বের ভালো সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে
আর বিষন্নতা কি বাদ দেয়া যায়

হাসি কষ্ট দুঃখ বেদনা এসব কিছু নিয়েই এই সব দিন রাত্রি

ভালো থেক.

শুভেচ্ছা নিরন্তর

১৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: কেমন আছো আনিশা আপু? কেমন মেঘ করেছে দেখেছো?


গল্প ভাল লেগেছেভ :)

০২ রা আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:১০

anisa বলেছেন: হাই রেযুমনি,

বসে বসে মাছি তো নেই ঘুম তাড়াচ্ছি।

মেঘ করেছে
বৃষ্টি হলেই হয়.।

কেমন কাটছে আজকের দিন?

অনেক শুভেচ্ছা । :) :) :) :)

২০| ০২ রা আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

ত্রাতুল বলেছেন:
আমি কিন্তু এখন না পড়েই মন্তব্য করলাম। B:-/
তবে গল্পটা ভাল লেগেছে।

শুভ অপরাহ্ন। :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৩৯

anisa বলেছেন: হা হা ত্রাতুল,

উপস্থিতিটাই আনন্দায়ক ।

আরো সুন্দর হত ।

মনে রেখেছি সব পরে করব ।
খুব ভালো থাকার শুভকামনা রইলো ।

২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৯

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটা গল্প!
বেশ ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন আপু।
শুভরাত।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:০১

anisa বলেছেন: শুভো সকাল

কেমন আছ তুমি ?

তোমাকে এখানে দেখে খুশি হলাম স্বাগতম

ভালো লাগলো টাই খুশি হলাম অনেক অনেক

শুভেচ্ছা

২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪২

পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:০৪

anisa বলেছেন: পাগলা ঘোড়াকে দেখে ভয় পেলামতো ।

শুভোসকাল।

আমার আঙ্গিনায় স্বাগতম ।

ভালো লাগলো খুব খুব.

২৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:০৬

পটল বলেছেন:

জীবনের মিছিলের ঝরা কাব্য :)


+

১১ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:০০

anisa বলেছেন:
সুপ্রভাত

কেমন আছেন আপনি ?

ঝরা কাব্য খুব ভালো বলেছ ।

ভালো থেক ।

শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.