নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা বাবাকে ভুলে যাবেন না, উনাদের হক আদায় করুন সবার আগে, উৎসবে উনাদের উপহার ও বাড়তি টাকা দিন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

দুনিয়াতে আমরা কেহই অমর নই। আমাদের একদিন এই স্বাদের দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতেই হবে! চাইলেও কেহ আমরা বেঁচে থাকতে পারবো না। আমাদের দাদা, দাদী সহ আশে পাশে এমন সব মৃত্যু আমরা প্রায় সবাই দেখেছি। বাংলাদেশের মানুষ হিসাবে মৃত্যুর অভিজ্ঞতা আমাদের আরো বেশি কারন এই দেশে অকাল মৃত্যু অনেক বেশি। বাসা থেকে বের হয়ে শত শত মানুষ আর বাসায় ফিরতে পারে না, অনেকে লাশ হয়ে পড়ে কিংবা কারো খবর আর সারা জীবনেও পাওয়া যায় না! ফলে আমাদের দুনিয়ার অন্যান্য দেশের মানুষের তুলনার আরো বেশি সতর্ক থেকে জীবন যাপন করতে হয়, বেঁচে থাকাটাই এখন আমাদের দেশের জন্য একটা বড় ব্যাপার। যাই হোক, এই সব কথা নুতন নয় আপনারাও জানেন আমিও জানি।

আজ আমি আপনাদের সামান্য সময় নিয়ে যা বলবো, তা হচ্ছে প্রিয় ভাইবোনেরা, আপনাদের যাদের বাবা মা বেঁচে আছেন তাদের খবরটা একটু বেশি বেশি নিয়েন। উনারাও একদিন এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিবেন এবং নিয়ম মোতাবেক আপনার আগেই। আজ আপনি যে অবস্থানে আছেন, যা কিছু করছেন এটা উনাদের জন্যই করছেন। বাংলাদেশে বর্তমান এমন কোন জেনারেশন নেই যে বলতে পারবে, যাদের মানুষ করার পেছনে বাবা মায়ের কষ্টকর অধ্যায় নেই। আমি নিশ্চিত আপনাকে মানুষ করতে, আপনার বাবা মাকে অনেক বেলা হয়ত না খেয়ে থাকতে হয়েছে! এর চেয়ে আর দুঃখজনক কি হতে পারে!

আজ আপনার সব হয়েছে বা হবে, আপনি নিজে বিয়ে করেছেন, আপনার সুন্দর স্ত্রী আছে, সুন্দর সন্তানেরা আছে, বড় চাকুরী বা ব্যবসা করেন, আরো হবে সব কিছু। দয়া করে বাবা মায়ের খবরটা নিয়েন, মাসে মাসে একটা নিদিষ্ট টাকা তাদের জন্য পাঠাবেন, আপনার কম পড়বে না! মাঝারি মানের একটা হোটেলে না হয় এক বেলা খাবেন না, দুইহাজার টাকা বেঁচে যাবে, সেই টাকাই উনাদের পাঠিয়ে দিয়েন।

অনেক স্ত্রীরাই বাবা মা এবং আপনার মধ্যে একটা দুরত্ব/দেয়াল তৈরী করে দেন, প্লিজ বিবেক বোধ জাগান, দোয়াল ভাঙ্গুন, স্ত্রীকে স্ত্রী জায়গায় রাখুন বাবা মাকে তাদের পাপ্য মর্যদা দিন। বাবা মাকে টাকা দিতে কিংবা সেবা করতে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে দিতে/করতে হয় না। স্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করুন, একদিন তিনিও আর সুন্দরী থাকবেন না, চামড়া কুচকে যাবে, তিনিও একাকী হয়ে পড়বেন, তিনিও মারা যাবেন, এতেও কাজ না হলে আপনি আপনার পথেই থাকুন। একটু ভেবে দেখুন এই যে, আপনি প্রতিটা বেলা ভাল খাচ্ছেন, আপনার বৃদ্ধ বাবা মা কি খাচ্ছেন!

আসলে, এই বিষয়ে কিছু বলার দেখি না, আমি জানি আপনারা আমার চেয়ে আরো আরো বেশি বুঝেন। তবুও যখন গ্রামে/শহরে বৃদ্ধ মানুষ গুলোর শুকানো মুখ দেখি, তখন প্রশ্ন উঠে যায়! আপনি আমি আমাদের বাবা মাদের যঠিক যত্ন নিচ্ছি না বলেই তো উনার এমন মলিন হয়ে পড়ছেন!

আবারো বলি, মা বাবাকে ভুলে যাবেন না, উনাদের হক/সেবা আদায় করুন সবার আগে, উৎসবে উনাদের উপহার ও বাড়তি টাকা দিন, উনারা নিশ্চিন্তে দিন কাটাক, জীবনের শেষ কয়েকটা দিন অন্তত!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

বিজন রয় বলেছেন: অবশ্যই, অবশ্যই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধনবাদ আপনাকে। সহজ কথা গুলো সহজে আজকাল অনেক বুঝতে পারছেন না!
শুভেচ্ছা নিন।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

বিজন রয় বলেছেন: বুঝবে কি করে, আসলে সুসন্তান কয়টা হয় এখন?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আসলেই, কাকে কি বলবো। সময়টা এখন যে বিপদজনক! সমাজে এখন কুলঙ্গার সন্তানই বেশি, দেখতে পাই/পাচ্ছি। দুনিয়ার সব কিছুতে এরা আছে, শুধু বাবা মায়ের বেলাতেই হিসাব করে! দুঃখজনক।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে মানুষ একা হয়ে যায়, সেই সময়টাকে আমার খুব ভয়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, ফলে এখুনি তৈরী হউন!
শুভেচ্ছা নিন।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সহমত।

বাবা-মায়ের প্রতি আমাদের আরো যত্নবান হওয়া দরকার।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, এটা দরকার নয় শুধু দায়িত্বও।
আমাদের যথাযত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শুভেচ্ছা নিন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অবশ্যই। সবার আগে মাবাবা, ভাইবোন দেন বউবাচ্চা। কিন্তু দুঃখজনক, আজকালকার ছেলেমেয়েরা বউবাচ্চা নিয়াই বিজি হইয়া পড়ে। মা-বাবা বা ভাইবোনের প্রতি যে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য আছে সেগুলো ভুলে যায়।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ রাহমান ভাই,
বউ বাচ্চার হক এবং বাবা মা, ভাইবোনের হক আলাদা। বৌ বাচ্চা তাদের স্থানেই থাকবে কিন্তু পিতা মাতা ভাই বোনকে অবহেলা করে নয়। আজকাল কিছু কুলাঙ্গার সন্তান দেখি যারা বাবা মায়ের দিকে তাকাই না, তারা যে অভাবে আছে তাও নয়। তারা বেশ আরামেই আছে, অথচ বাবা মায়ের দিকে সামান্য খেয়াল টুকুও রাখে না, ঠিক মত টাকা কড়িও দেয় না, চলে স্ত্রীর পরামর্শে, টাকা রাখে স্ত্রীর নামে। স্ত্রীর কথায় পিতা মাতাকে দূরে ফেলে রাখে, ইত্যাদি! ভেবেও দেখে না, সেও একদিন এমনি অবস্থায় এসে যাবে!

শুভেচ্ছা নিন।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কিছুদিন আগে এক বন্ধু শহরের বড় পরিবারে বিয়ে করেছে। বেচারা পড়েছে মাইনকা চিপায়। ওর বউ গ্রামে থাকতে চায় না, আর মা শহরে থাকতে পারে না। এখন মা একা একা গ্রামে থাকে। :(:(

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাদের সমস্যা গুলো এমনি। এই মায়ের সামনে কি কষ্ট আছে তা আমি চোখের সামনেই দেখতে পারছি। শেষ সময়ে তিনি কাউকেই সাথে পাবেন বলে মনে হচ্ছে না! চোখের আড়াল হলে অনেক কিছুই আড়াল হয়ে পড়ে, এই মা তেমনি ছেলের আড়ালে চলে যাবেন, এখন যদি ছেলের স্ত্রী বুঝদার/ভাল হয় তবে হয়ত গ্রামেও মা ভাল থাকবেন কিছু দিন। তবে অবস্থা দৃষ্টে তা মনে হয় না! আমরা এই সবের বাস্তব উদাহরণ। শুভেচ্ছা নিন।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বউ বাচ্চার হক এবং বাবা মা, ভাইবোনের হক আলাদা। এই সত্য'টা অনেক বেকুব বুঝে না।
বৌ বাচ্চা তাদের স্থানেই থাকবে কিন্তু পিতা মাতা ভাই বোনকে অবহেলা করে নয়। আজকাল কিছু কুলাঙ্গার সন্তান দেখি যারা বাবা মায়ের দিকে তাকাই না, তারা যে অভাবে আছে তাও নয়। তারা বেশ আরামেই আছে, অথচ বাবা মায়ের দিকে সামান্য খেয়াল টুকুও রাখে না, ঠিক মত টাকা কড়িও দেয় না, চলে স্ত্রীর পরামর্শে, টাকা রাখে স্ত্রীর নামে। - এমন বেকুবদের সংখ্যা ইদুরের মতো বাড়তেছে।
স্ত্রীর কথায় পিতা মাতাকে দূরে ফেলে রাখে, ইত্যাদি! ভেবেও দেখে না, সেও একদিন এমনি অবস্থায় এসে যাবে! - সে যে একদিন এই অবস্থায় আসতে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার সন্তান এটা শিখছে। তার(সন্তানের) বিবেকে তখন একটুও লাগবে না। কারণ, সে তার বাবা-মাকে দেখেছে তাদের বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে বা গ্রামের বাড়িতে এভাবে রাখতে।

বোধোদয় হোক।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ,
বোধোদয় হোক। আমিও চাই।
শুভেচ্ছা।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
সবার আগে মা বাবা। এমনকি বউ বাচ্চার আগেও বাবা মা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সবার জন্যই মায়া থাকবে, বাবা মায়ের জন্য অবশ্যই সেটা আর একটু বাড়িয়ে রাখতে হবে।
শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.