নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছি তাতে আমার আর এই ঢাকা শহর একদম ভাল লাগছে না! বলা চলে প্রবাস থেকে ফিরে প্রায় টানা ২২ বছর এই শহরেই কাটিয়ে দিলাম! আর বাঁচবো কয় বছর? ফলে মন আর এক জায়গাতে স্থির হতে চাইছে না, এই দেশের কত কিছুই তো দেখা হল না এখনো! এতকিছু না দেখেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব এটাও ভাবতে ইচ্ছা হচ্ছে না, অন্যদিকে কত কাজ এখনো বাকী, মানুষের সামান্য উপকারও তো এখনো করিনি!
কয়দিন ধরে ভাবছি বিষয়টা নিয়ে স্ত্রীর সাথে কথা বলবো, সাধারণ কোন উপজেলা শহরে নদীর কাছে কিংবা ধানের মাঠের পাশে বা গাছ গাছালির পাশে ছোট এক চিলতে জমি কিনে ছোট একটা ঘর বানাবো, নিজের ইচ্ছা মত ক্ষেতে খামারে কাজ করবো, পুকুরে মাছ ধরবো, নিজের হাতে গাছ গাছালির যত্ন নিবো, সন্ধ্যায় কিছু সময় সেই গ্রামের দরিদ্র পিতাদের সন্তানদের বিজ্ঞান কিংবা অংক পড়াবো, রাতে চাঁদের আলোয় বসে থাকবো, খড়ের চুলায় চা বানাবো, অন্ধকারে একা বাইরে সারা গ্রাম হেঁটে আসবো! কত কি!
আমি মনে মনে স্থান নির্বাচন করেও রেখেছি! কক্সবাজারের কোন গ্রামে, বা আরো ভিতরে মহেশখালীর বাঁকে কিংবা এদিকটায় ময়মনসিঙ্ঘের জয়নুল সংগ্রহ শালার পিছনে কিংবা শ্রীমঙ্গলের চা বাগানে প্রবেশের আশে পাশে কোন গ্রামে, নড়াইলের চিত্রানদীর ধারের কথাও মনে পড়ে! এভাবে কত কি স্থানের চিন্তা আমার!
সারাদিন ভাবি, চিন্তা করি, আজ বাসায় ফিরে এই আলোচনা করবো, আমাকে এই শহর থেকে মুক্ত করতে হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি। বিশ্বাস করুন যতই সাহস করি না কেন, স্ত্রীর সামনে গিয়ে আমি আর কোন কথাই বলতে পারি না! তিনি আবার কি মনে করে কি উত্তর দেন!
বহু বছর আগে আপনাদের এই শহরে একবার প্রায় বছর খানেক বেকার ছিলাম, উপার্জন ছিল না! জমানো সঞ্চয় প্রায় শেষ করে, চাকুরী বানিজ্য কিছুই না পেয়ে শেষের দিকে খুব হতাশায় পড়ে যাচ্ছিলাম। ভাবছিলাম আমাদের গ্রামের বাড়ী ফিরে যাব, পৈত্রিক ভিটেমাটিতে আবার নুতন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলাম! একদিন রাতে প্রিয়তমা স্ত্রীকে বললাম, চলো গ্রামে ফিরে যাই! প্রিয়তমা স্ত্রী এর উত্তর দিতে তেমন সময় নেন নাই, সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি বলে দিলেন, "আমার বাবা কি তোমার কাছে তার মেয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামে নিয়ে রাখার জন্য"!
বিশ্বাস করুন, আমি আর কথা বাড়াই নাই তবে পরদিন থেকে আমি প্রায় দেড় মাস পাগল ছিলাম!
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাস্তবতা হচ্ছে জ্ঞান, যা জ্ঞানে যা থাকে! অনেকে গ্রামে নিতে চাইলেও যেতে চায় না এবং গ্রামীন জনপদের উপর একটা ভীতি কাজ করে। ইত্যাদি ইত্যাদি। এই আর কি!
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেড়ানোর জন্য গ্রাম উৎকৃষ্ট হলেও স্থায়ি হওয়ার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
বিশেষ করে ভিলেজ পলিটিক্সের সাথে শহুরে মানুষ তাল মিলাতে পারেনা ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মানুষের জীবন মুলত নদীর স্রোতের মত। একদিকেই প্রবাহিত হয়, ফিরে যাওয়া বা এক স্থানেই সারা জীবন কাটানো যায় না অনেক সময়েই! হ্যাঁ, আপনার কথাও সত্য।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বহু মানুষ এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে, যাচ্ছে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমাদের আর কি উপায় আছে!
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
মোঃমোজাম হক বলেছেন: সত্য কথা হচ্ছে আমি শহরে বেড়ে উঠেছি, তাই মাটির টান আপনাদের মতো অতোটা বেশী নেই।
ছোট বেলায় যখন গ্রামে যেতাম, দেখতাম সন্ধ্যে বেলায় বাজারের কোলাহল থেমে যেতো।এশার নামাজের পর সবাই ঘুমাতে যেতো।ভোর বেলায় আশপাশের মুরুব্বিরা বাড়ীতে এসে আমাদের খোজ খবর নিতো।
তবুও কালে ভদ্রে গ্রামে যাই কিন্তু এখন আর সেই সময় নেই।
গতবছর গিয়ে ছিলাম রাত ১২টাতেও বাজার গমগম করছে। এখন আর গ্রামকে গ্রাম মনে হয়না
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তবুও কিছু কথা থেকে যায়! যা ইট পাথরের এই শহরে পাই না! আমার তো মনে হয় শুধু উপার্জনের জন্যই আমরা অনেকে এই শহরে পড়ে আছি। যেমন উপার্জনের জন্য আপনি দাম্মাম ছাড়তে পারছেন না! হা হা হা.।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছি না।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই হচ্ছে আমাদের জীবনের বাস্তবতা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৮
ঢাকার লোক বলেছেন: গ্রাম এখন আর ২২ বছর আগের মতো নেই । বিদ্যুৎ,পাকা রাস্তা, রিকশা সিএনজি, ফ্রিজ টেলিভিশন, ছোট খাটো দোকান এখন প্রায় সব গ্রামেই আছে । গ্রামের লোকজনও আজকাল হাঁটা প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে, বাজার ঘাটে যেতে রিকশাই বেশি পছন্দ! শুধু নাই এখনো রানিং ওয়াটার আর শহুরে sewer সিস্টেম । জানিনা আপনার স্ত্রী শেষ কবে গ্রামে গিয়েছেন, যদি বেশ অনেক দিন গিয়ে না থাকেন তো একবার উনাকে নিয়ে গ্রাম থেকে ঘুরে আসুন, হয়তো পছন্দ হতেও পারে, অন্তত বছরে কিছুদিনের জন্য হলেও !