নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হার্ট আইল্যান্ড (Hart Island): সত্যি এক ভালবাসার দ্বীপের নাম

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

হার্ট আইল্যান্ড (Hart Island) সত্যি এক ভালবাসার দ্বীপের নাম। আমেরিকার নিউইউর্কের পাশের এই দ্বীপ এখন অনেকের আলোচনায়, কারন ধারনা করা হচ্ছে এই দ্বীপের গন কবর সারা বিশ্বের সব চেয়ে বড় কবর হবে। করোনা ভাইরাসে যারা মারা যাবেন এবং যাদের লাশ নেয়ার কোন লোক থাকবে না, তাদের জন্য এই দ্বীপেই গণকবরের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ইত্যমধ্যে ট্রেইঞ্জ খুড়ে কিছু কবর দেয়া হয়েছে এবং আগামীর জন্য আরো ব্যাপক আকারে রেডি করা হচ্ছে। আমরা ইত্যমধ্যে ছবিতে বা খবরে তা দেখতে পেয়েছি।

ছবি ১

ছবি ২

প্রায় দেড়শত বৎসর আগে এই দ্বীপে সাধারন মানুষের বসবাস ছিলো, পরে এই দ্বীপের লোকজন সরিয়ে এখানে বন্দীদের জন্য জেল বানানো হয় এবং এর পরে ধীরে ধীরে নাম পরিচয় সংসার হীন লোকদের কবরখানা হয়ে পড়ে। আপনারা জানেন, দুনিয়ার সেরা একটা বড় শহর হচ্ছে নিউইউর্ক, এই শহরের বিশালতা নিয়ে কথা বলা চলে না, অনেকেই আন্দাজ করতে পারবেন যদি একটা বাস্তব গল্প শুনাই, আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু এই শহরে বসবাস করে। তারা এলে এই শহর নিয়ে গল্প চলে। এদিকে এই শহরকে বাঙ্গালীদের প্রিয় একটা শহর বলা চলে, আমেরিকাতে ধারনা করা হয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ (আমার কাছে আরো বেশি মনে হয়, কারন সঠিক হিসাব কেহ দিতে পারবে বলে মনে হয় না) বাংলাদেশী বসবাস করেন তার বেশীর ভাগ এই শহরেই বসবাস করেন।

আমার বন্ধু ইউসুফ একবার দেশে এল, আমাদের কমলা পুরে বাবুর হোটেলে আড্ডা হচ্ছে, সেই কথার ফাঁকে এই গল্প বলেছিল বলে এখনো মনে পড়ে। সে বলেছিল, বাংলাদেশে আমরা যদি কোন সুন্দর মুখের মানুষ (বাহ্যিক সব মিলিয়ে) দেখি, তবে তা আমাদের মনে যদি কয়েকদিনের বা মাসের জন্য গেঁথে থাকতে পারে, আমরা সেই লোকটা মুখ হয়ত ভুলে যেতে পারবো না অনেকদিন বা আবারো কোন মুখ দেখলে সেটা ভুলে যাব। কিন্তু আমরা যদি নিউইওর্কের রাস্তায় বা মোড়ে বসে মানুষের মুখ দেখতে থাকি তবে প্রতি ১০ সেকেন্ডেই নুতন মুখ দেখবো এবং পূর্বের জন ভুলে যাব! শহরের বর্ননায় এই কথা যদি আপনাকে বুঝাতে পারি তবে বুঝে নিন। এই শহরে সারা দুনিয়া থেকে আগত লোকেরা থাকে এবং এক থেকে আরেকজন লোকে আপনি ফেলে দিতে পারবেন না।

যাই হোক, আজ সেই সব আড্ডা নিয়ে আলোচনা নয়, আজ সেই দ্বীপের কথা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। এই নিউইওর্ক শহরের জৌলুশ যেমন তেমনি হাজার হাজার মানুষ আবার গৃহহীন, ফুটপাতে পড়ে থাকে বা এরা কোন ঘর সংসার করে না! এরা শহরের বড় বড় রাস্তায়, বড় বড় বিল্ডিং, মার্কেটের সামনে পাশে রাত কাটায়, এ এক অদ্ভুত দুনিয়া। এরা মারা পড়লে এদের মৃত শরীর কেহ দাবী করে না বা বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পড়ে। সরকার নানান চিন্তায় এদের লাশ নিয়েই এই হার্ট দ্বীপে কবরস্থ করে ফেলে, সারা শহরে মাসের পর মাস এই লাশের সংখ্যাও কম নয়। তবে এদের একটা সিরিয়াল থাকে (ছবিতে দেখুন), দলিল নথি পত্র থাকে, যদি কখনো এদের দাবীদার এসে পড়ে তবে তাদের আবার লাশের হাড় গোড় ফিরিয়ে দেয়া হয়!

ছবি ৩, পূর্বে যেভাবে কবরস্থ করা হত, এখনো সেভাবেই করা হচ্ছে।


ছবি ৪, প্রতিটা কফিনে সিরিয়াল নাম্বার বসানো থাকে, তথ্য দিয়ে পরে লোকেশন দেখে তা পরে সনাক্ত হয়ে থাকে।

ঠিক এই কন্সেপেটেই আজকাল করোনা ভাইরাসে মৃত্য ব্যক্তিদের লাশ একই ভাবে এই দ্বীপে কবরস্থ করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে মৃতদের লাশ অনেক পরিবার নিতে চাইছে না বা একটা নিদিষ্ট জায়গাতে কবরস্থ করতে যে টাকা লাগে তা তার আত্মীয় স্বজনের কাছে নেই ফলে এই অসহায় লাশ গুলোর ঠিকানা হয়ে যাচ্ছে হার্ট আইল্যান্ডের মাটি।


ছবি ৫, এই হচ্ছে বর্তমানের ট্রেঞ্জ করা গনকবর।

আমি হার্ট আইল্যান্ডকে এক ভালবাসা বলছি এই জন্য যে, এই দ্বীপের মাটি পরম মমতায় এই লাশ গুলোকে নিজের বুকে ঠাই দিচ্ছে এবং এই পরিচয়হীন বা অসহায় পরিবার গুলোর ভালবাসার মানুষ গুলোকে চীরদিনের জন্য বুকে পেতে নিচ্ছে। ইতিহাসের পাতায় মানব সভ্যতায় এই হিসাব একদিন জ্বলজ্বল করে লেখা থাকবে।

*********
যাদের তথ্যে আরো জানতে ইচ্ছা আছে, আপনারা এই লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারেন। আমি অনেক গুলো লিঙ্ক বা এই দ্বীপকে জানার জন্য দেখেছি, আমার কাছে এই লিঙ্ক সেরা মনে হয়েছে। view this link

আর যাদের পড়তে ইচ্ছা হয় না তারা আমাদের সুপ্রিয় সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ ভাইয়ের এই ছোট রিপোর্ট দেখতে পারেন।


* আজকাল নেটে প্রায় ছবি খবরই কপিরাইট যুক্ত, ফলে তেমন ভাল ছবি পেয়েও দেয়া গেল না। যারা তথ্য অনুসন্ধান করতে চান, তারা গুগল করতেই পারেন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: এই গণকবর সম্পর্কে জানা ছিল না।

ভালো লাগল লেখা।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমেরিকায় আজ প্রায় ২০০০ হাজারের বেশি লোক করোনা ভাইরাসে মারা গেল এদের প্রায় অর্ধেকের পরিবারের প্রায় লাশ কবরস্থ করার টাকা বা ইচ্ছা নেই, ফলে এদের লাশ ৮ দিন হিমাগারে রেখে পরেই এই দ্বীপে সমাহিত করা হবে। এটা সরকারের সিধান্ত। এছাড়া অবশ্য আর কোন উপায় নেই। সম্পর্ন আলাদা জায়গা বলে এই লাশ গুলোর একটা আলাদা অবস্থান নিশ্চিত হবে এতে। ধন্যবাদ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই সময়ে, দেশের বাংগালীদের এই বিষয়টি জানার খুব দরকার ছিলো বলে আপনার মনে হচ্ছে?

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তথ্য জানতে সমস্যা নেই, মানুষ জানুক, আজ শুনলাম প্রায় ২০০০ জনের বেশী মারা গিয়েছে আমেরিকায়। এদের অনেকের কবর কোথায় হবে বা হচ্ছে ইত্যাদি। আর নুতন কি নিয়ে লিখবো। আমাদের দেশে সামান্য কিছু লিখলেই তো গুজব হিসাবে কাউন্ট করে কবে যে করোনার আগেই গুম করে দেয় বা দিতে পারে! সেই হিসাবে এই সব ভাবনা মন্দ লাগছে না। আপনার সেই ভয় না থাকতে পারে, আমাদের কিছু আছে, তবুও ফেবুতে আরো আরো জটিল বা সমসাম্যিক বিষয় নিয়ে লিখি। তা ছাড়া একজন ব্লগার হিসাবে যে কোন কিছু নিয়েই লিখতে পারি! শুভেচ্ছা নিন।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হার্ট আইল্যান্ড সম্পর্কে আমি কিছুটা জানি। অনেক ভ্রমন কাহিনিতে এই নামটা বেশ কয়েকবার পেয়েছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হ্যাঁ, প্রায় ১৫০ বছর ধরে এই দ্বীপ মানুষের মনে স্থান নিয়ে আছে।

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। খুবই ভালো লাগলো।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: লাশ গুলোর সাথে চমতকার ভালবাসা মিশিয়ে এই দ্বীপ তার বুকে টেনে নিচ্ছে, এটা সবাইকে ভাবতে হবে। শুভেচ্ছা।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০৩

মা.হাসান বলেছেন: ইউক্রেনে ৬০০ গন কবর খুড়ে রাখা হয়েছে ছবিতে দেখেছি। আমার হিসেবে সরকারের কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। আমাদের দেশে কতোটা খারাপ পরিস্থিতি হবে বলা মুশকিল। মৃত্যু কি শয়ের নিচে থাকবে? হাজার ? না আরো বেশি? সামনের দশ দিনে কিছুটা আভাস পাওয়া যেতে পারে। কবরের জন্য আলাদা জায়গা প্রস্তুত রাখা ভালো হতো বলে মনে করি। জায়গা থাকলে গর্ত করতে বেশি সময় লাগবে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ওদের দেশের সরকার সামান্য হলেও আগামী দিনের কথা চিন্তা করছে, মন্দ নয়। আমাদের ভবিষত কি হবে কে জানে, অনেকে কে কোথায় মরে পড়ে থাকবে সেও কিছু বোঝা যাচ্ছে না!

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার নিজেরো অনেক কিছু অজানা, জানার জন্যই দেখছিলাম, এবং সেই সাথে সামান্য কয়েকটা লাইন লিখে ফেললাম।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৩

শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: এত মন দিয়ে পড়লাম। এত সুন্দর গুছিয়ে পড়তে দিয়েছেন না ভাল লাগবে হবে?
শিরোনাম আরো স্পর্শী।
আপনার পোষ্টে রেটিং দিয়ে ভালোলাগা প্রকাশ করে গেলুম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন ।

ভালোলাগা . ..

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.